বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের নতুন চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাসে ক্ষমতা দখল করে বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জিম্মি করে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা আঁকড়ে আছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তথা আওয়ামী দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আওয়ামী জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লায়ন ফারুক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস-নৈরাজ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ইসলাম ও জাতীয়তাবাদের চেতনায় আমাদের পথচলা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ‘৬৯-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের শ্রমিকদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশ লেবার পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে লেবার পার্টিও নিষিদ্ধ হয়। ১৯৭৭ সালে শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ দিলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর মাওলানা আবদুল মতীন ও মাওলানা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে পুনর্জীবন ফিরে পায়। পরে শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ মে ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হলে- মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ন্যাপ, শাহ আজিজুর রহমানের মুসলীম লীগ, বিচারপতি সাত্তারের জাগদল, মাওলানা মতীনের লেবার পার্টি, কাজী জাফরের ইউপিপি ও তপশিলি জাতি ফেডারেশন জোটের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
তিনি আরও বলেন, জাতি আজ চাতক পাখির মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বের আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। কিন্তু প্রকৃত নেতৃত্ব তখনই গড়ে ওঠে যখন কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে একযোগে কাজ করে এবং তাতে সফলতা অর্জিত হয়। অপরদিকে নেতা ভুল করে বসলে সবই পণ্ড হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রচলিত শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য করার চক্রান্তে লিপ্ত। যদি পেছনের দিতে তাকাই, মনে হয় অনেক দূরে চলে এসেছি। আর যদি সামনের দিকে তাকাই, তাহলে মনে হয় সামনে অনেক পথ বাকি আছে। বাংলাদেশ লেবার পার্টি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের শোষণ ও নিপীড়নের মাঝে বসবাস করছে। এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে।
মন্তব্য করুন