সুরাহা না হলে রাজপথ থেকেই ‘জুলাই সনদ’ আদায় করে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত ৮টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। হাদির পোস্টটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো।
আলাচনার নামে প্রবঞ্চনা চাই না
জুলাই সনদ নিয়ে এই পর্বে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন। যদি এরমধ্যে কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে রাজপথ থেকেই জুলাই সনদ আদায় করে নিতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে।
হাসিনা ও দিল্লির এখন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা হলো, বিভিন্ন উপায়ে জুলাই সনদকে প্রলম্বিত করা। জুলাই সনদ হলো লীগের কফিনে শেষ পেরেক। এ মাসের শেষের দিকে সম্ভবত তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে সুপ্রিম কোর্টে। এরপরই দাবি তোলা হবে, ইন্টেরিম ভেঙে নির্বাচন আয়োজনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং নির্বাচনের জন্য সেটা করতেও হবে। কিন্তু সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একমাত্র নির্বাচনী রুটিন ওয়ার্কের বাইরে আর কোনো কাজ করতে পারবে না। এটা তার এখতিয়ারে নাই।
স্বাভাবিকভাবেই তখন তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তকে পরবর্তী সরকারের ওপরে রেখে যাবে। আর পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দিল্লির চাপ উপেক্ষা করে জুলাই সনদ কতখানি বাস্তবায়ন করতে পারবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। একাত্তরে পাকিস্তান যেমন একদিকে আলোচনা জারি রেখে অন্যদিকে পঁচিশে মার্চে হামলার প্ল্যান করছিল, জুলাই সনদ নিয়েও তেমন কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
জুলাই না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। রাজনীতি যার যার, জুলাই ও জমিন সবার।
মন্তব্য করুন