

এবার জামায়াত-বিজেপি-এলডিপির প্রধানদেরসহ পাঁচ ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে গানম্যান। তাদের গানম্যান দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জুলাই যোদ্ধা, সাবেক সমন্বয়ক, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এরই অংশ হিসেবে গানম্যান দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ২০ ব্যক্তিকে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশে নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো শঙ্কা নেই। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপির ৬ নেতা এবং প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকসহ নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকা ২০ জনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে।
গানম্যান পাওয়া এনসিপির নেতারা হলেন— অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন রাজনীতিক ও সংসদ-সদস্য প্রার্থী গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন— জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রধান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং এবি পার্টির ব্যারিস্টার ফুয়াদসহ একাধিক নেতা। তাদের গানম্যান দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনে সম্মুখসারির কয়েকজন যোদ্ধা, সমন্বয়ক এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনীতিকরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকির মুখে রয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক প্রতিবেদনে নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের তথ্য সরকারকে অবহিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে ১২ জন গানম্যান ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। দুই-এক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শহীদ ওসমান হাদির পরিবারকেও বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় আনা হচ্ছে। হাদির এক বোনকে অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান দেওয়া হবে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হবে।
মন্তব্য করুন