জাতির বর্তমান সংকটে পেশাজীবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জাতির সংকটকালে পেশাজীবীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এখন আর নীরব থাকার সুযোগ নেই। দেশ বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পেশাজীবী কনভেনশন সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ঢাকায় আগামী ৪ অক্টোবর এই পেশাজীবী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, প্রফেসর ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, ডা. এম এ সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এমতাজ আহমেদ, অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, ড. মামুনুর রশীদ , ড. জাহাঙ্গীর সরকার, ড. ইদ্রিস আলী, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, প্রফেসর আবুল হাসনাত শামীম, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লব উজ্জামান, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, এম সাঈদ খান, জিয়াউল হায়দার পলাশ, মির্জা লিটন, কামরুজ্জামান কল্লোল, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ প্রমুখ।
প্রস্তুত সভায় পেশাজীবী নেতারা বলেন, দেশে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে। যে কোনো মূল্যে আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। একইসঙ্গে দেশের মানুষকে মুক্ত করে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। এ জন্য যত ত্যাগই স্বীকার করতে হয়, বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীরা তা করবে।
তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পর্যন্ত আজ নেই। সভা, সমাবেশ করার অধিকার, এমনকি বাক স্বাধীনতাও আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ আজ অসহায়।
মন্তব্য করুন