কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মহানবী (সা.) কোরবানির গোশত যেভাবে বণ্টন করতেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

কোরবানি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা হয়। ইসলামী শরিয়তে কোরবানির অর্থ হলো- আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে কোনো প্রিয় বস্তু তার দরবারে উৎসর্গ করা। কোরবানি কেবল পশু জবাই নয়; বরং এটি বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে ভালোবাসা, আত্মত্যাগ ও আনুগত্যের এক মহান নিদর্শন।

মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য লাভের ও সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম কোরবানি। সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এছাড়া গরিব-দুঃখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়।

আল্লাহ ও রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে এ কোরবানিতে। মহানবী (সা.) কে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাওসার : ২)

অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসুল!) আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম : ১৬২)

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা পশুর গোশত বণ্টনের একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী (সা.) কোরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়ম সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কোরবানির গোশতের একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ দিতেন গরিব-মিসকিনদের।

এ ছাড়া ইবন মাসঊদ (রা.) কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

কোরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কোরবানির মাধ্যমে কোরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।

সুরা হজের ৩৭-৩৮ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কিন্তু মনে রেখো কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা। এ লক্ষ্যেই কোরবানির পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন সেজন্যে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো। হে নবী! আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

মুখ অতিরিক্ত ঘামে কেন, যা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

ফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের, দেখে নিন দু’দলের একাদশ

মালদ্বীপে নেপালি নারীকে ছুরিকাঘাত, বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

দলীয় লোগো পরিবর্তন করছে জামায়াত!

খাগড়াছড়িতে ৩ জন নিহত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর বার্তা

শরিয়াহ কমিটির সদস্যদের মাসিক বেতন ২৫ হাজার টাকা

চার বছর পর নতুন নেতৃত্বে চমেক ছাত্রদল

২৩ বছরে ফাইনারী অ্যাডভারটাইজিং

জাবি সংলগ্ন মহাসড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

১০

পাঠ্যপুস্তকে জুবিন গার্গের জীবনী

১১

আরও ২৫০ সনাতনীর বিএনপিতে যোগদান

১২

দেখে নিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সময়সূচি

১৩

আমার স্ত্রীই ঠিক করেন কখন হামলা চালানো হবে : নেতানিয়াহু

১৪

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে

১৫

কাঠগড়ায় দুর্জয়কে দেখে কাঁদলেন স্ত্রী, চুমু খেলেন বোন

১৬

হজে কমেছে বিমান ভাড়া, বেড়েছে স্বাস্থ্যবিমা

১৭

আরও এক ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে পিসিবির অভিযোগ

১৮

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে তথ্য উপদেষ্টার অভিযোগ

১৯

পূজা উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি

২০
X