ইভিএম দখলের ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
শরীয়তপুরের জাজিরায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পেয়ে ভিডিও ধারণের সময় হামলার শিকার হয়েছেন ছয় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে জাজিরা সেনেরচর ফরাজী দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফেজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জাজিরা উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইদ্রিস ফরাজীর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম রতন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সহসভাপতি বরকত মোল্লা, কালবেলার ভেদরগঞ্জ প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়, সাংবাদিক সানজিদ মাহমুদ সুজন, রুহুল আমিনসহ জেলার সাংবাদিকরা জাজিরা ফরাজী দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফেজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহে যান। তখন মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর (মোটরসাইকেল প্রতীক) কর্মী-সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রের কক্ষের কাপড় সরিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিচ্ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইদ্রিস ফরাজীর সমর্থক বিপ্লবসহ ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মী-সমর্থকরা সাংবাদিক পলাশ, বরকত, হৃদয়, সুজন, রুহুল, নুরুল আমিনদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ৬ সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হন। হামলায় আহত সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ জানতে পারি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা। পরে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করতে গেলে সবুজ শার্ট গায়ে বিপ্লব খা ও মোটরসাইকেলের ব্যাচ পরা এক যুবক আমাদের বাধা দেয় এবং মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে আমার সঙ্গে থাকা অন্য সহকর্মীরা আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর ভাই ইমন ফরাজীর নেতৃত্বে অনেক লোক এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের থেকে সাহায্য চাইলে তারাও আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। আহত আরেক সাংবাদিক বরকত মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর যখন হামলা চালানো হয়, আমরা প্রশাসনের কাছে হাতজোড় করে বাঁচাতে অনুরোধ করেছিলাম, তারা তখন সরে যায়। কেউ আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেখলেই হামলাকারীরা মারধর শুরু করে। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, এখানে বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া একজনের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে, তার অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকায় পাঠানো হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, আমরা খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকসহ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। যারা আহত হয়েছেন তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭ ঘণ্টা আগে

মুরাদনগরে বাড়ি দখলে হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগরে বাড়ি দখল করতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাড়িতে থাকা নারী সদস্যদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দুপুরে উপজেলার আকুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দুপক্ষই বাঙ্গরা বাজার থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আকুবপুর গ্রামের মৃত প্রফুল্ল সূত্রধরের দুই ছেলে প্রদীপ সূত্রধর (৪০) ও বিশ্বজিৎ সূত্রধরের (৪৪) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিশ্বজিৎ সূত্রধর দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছোট ভাইয়ের ঘরে আশ্রয় নেন। রোববার দুপুরে বিশ্বজিৎ সূত্রধর বাড়িটি দখলের উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে প্রদীপ সূত্রধর ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালায় আসবাবপত্র ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় হামলাকারীরা শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটায় বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ সূত্রধর সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো হামলা করেননি। উল্টো তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। বাঙ্গরা থানার ওসি সফিউল আলম বলেন, আমরা দুপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি।
১৭ ঘণ্টা আগে

‘আমরা নিরাপদে নেই, দুই দিন ধরে না খেয়ে আছি’
মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের জেরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী বিশকেকে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। যার ফলে সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে বাংলাদেশের অন্তত ৮০০ মেডিকেল শিক্ষার্থীর।  কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তবে প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে থাকা দূতাবাস কিরগিজস্তানের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ ঘটনার পর দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দূতাবাসটি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর মেহরাব বাংলাদেশি এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না। আমরা এখানে নিরাপদে নেই।  তিনি বলেন, গতকাল হোস্টেলে স্থানীয়রা আক্রমণ করেছিল। আজকে আক্রমণ করা হচ্ছে আমরা যারা হোস্টেলের বাইরে বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি তাদের ওপর। বাসায় এসে দরজাতে নক করা হচ্ছে। আমরা খাবার কিনতে নিচে যেতে পারছি না।  স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে স্থানীয়দের সঙ্গে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। তবে ঠিক কী কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। এর পরই দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসগুলোতে হামলা চালাচ্ছে স্থানীয়রা। শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদেশিদের মারধর ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি মেডিকেল কলেজগুলোর হোস্টেলে তারা ঢুকে পড়ছে। ছাত্রীদের হেনস্তা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় তিন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংঘর্ষের পর বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সে দেশে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। কিরগিজ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সালমান ফারসী সিয়াম জানান, তারা একরকম গৃহবন্দি রয়েছেন। অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। তিনি বলেন, উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন তারা। বিশকেকের রয়েল মেট্রোপলিটন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আমি দেশে ফেরত যেতে চাই। প্রায় দুই দিন হতে চলল, না খেয়ে রয়েছি। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে যখন বিদেশিদের ওপর হামলা শুরু হয়, তখন থেকে আত্মগোপনে রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কক্ষের বাইরে যেতে নিষেধ করেছে।’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাঠানো ভিডিওতে দেখা গেছে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ১৫-২০ জনের গ্রুপ করে একটি রুমের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে এক ব্যক্তিকে নির্বিচারে পেটানো হচ্ছে। একজন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। তবে তিনি কোন দেশের নাগরিক, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়রা একসঙ্গে ২০-২৫টি গাড়ি করে শহরে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি শ্রমিকসহ শিক্ষার্থীরাও আহত হয়েছেন। তবে কতজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন, এ সংখ্যা কেউ দিতে পারেননি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃবিতে জানায়, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জরুরি নম্বর (+৯৯৮৯৩০০০৯৭৮০) চালু করা হয়েছে। দূতবাস জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। সরকারি তথ্যমতে, সেখানকার পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।
১৯ মে, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় থানায় হামলা চালিয়ে ২ পুলিশ সদস্যকে হত্যা
মালয়েশিয়া জোহরবারু উলু তিরাম থানায় হামলা চালিয়ে ২ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক পুলিশ সদস্য।   শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে মালয়েশিয়ার জোহরবারু রাজ্যের উলু তিরাম থানায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চরমপন্থি গোষ্ঠী জেমাহ ইসলামিয়ার সদস্যরা হামলা চালায় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা। রাজ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজারুদিন বলেন, হামলার পর পুলিশ বর্তমানে জোহরবারু রাজ্যতে থাকা ২০ জনের বেশি জেমাহ ইসলামিয়া সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে।  এ ঘটনায় নিহত দুই পুলিশ সদস্যের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জড়িতদের খোঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দাতু সেরী আনোয়ার ইব্রাহিম। মুখোশধারী সন্দেহভাজন একটি বন্দুক এবং একটি প্যারাং নিয়ে সজ্জিত হয়ে স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিটে উলু তিরাম থানায় হামলা চালায়। তারা দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে এবং অপর একজনকে আহত করে। পরে তার কাছ থেকে একটি  পি ৯৯ পিস্তল এবং একটি এইচকে এমপি ৫ রাইফেল উদ্ধার করা হয়। হামলায় আহত পুলিশ সদস্য বর্তমানে ভালো রয়েছে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক। পুলিশের  মহাপরিদর্শক জানান, এ ঘটনার পরে মালয়েশিয়াজুড়ে সব থানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হামলার তদন্ত করার জন্য ১৯ থেকে ৬২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বালিতে বোমা হামলায় ২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পেছনে ছিল এ জেমাহ ইসলামিয়া। ২০০৯ সালে জাকার্তার ম্যারিয়ট এবং রিটজ-কার্লটন হোটেল লক্ষ করে বোমা হামলা করেছিল চরমপন্থি এ দলটি।
১৭ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনার চিত্ত সর্বদা ভয়শূন্য : ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুরু করেন। এরপরই শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন তিনি। এ পর্যন্ত তাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। মৃত্যু ভয়কে পরোয়া না করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। ভয় শেখ হাসিনার জন্য নয়। তার চিত্ত সর্বদা ভয়শূন্য। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল অরনেটে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে  সার্ক কালচারাল ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।   তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে সমসাময়িক রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি উন্নয়ন রূপকল্পের অন্যতম পথিকৃৎ। ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নামক উন্নয়ন রূপকল্পের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা। তিনি বৈশ্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা এমডিজি ও এসডিজির অন্যতম কন্ট্রিবিউটর। এছাড়া, দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পর্বতসম অবিচল-অটল এক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশে মেগা প্রজেক্টের যুগস্রষ্টা। শেখ হাসিনার সাফল্য তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিগত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে যা দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে মাইলফলক। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এটা অনেক বড় অর্জন।  সার্ক কালচারাল ফোরামের সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, অতিরিক্ত সচিব আব্দুস সাত্তার শেখ, মিতু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান চৌধুরী, সুতাকথন নারী উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌসী প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
১৭ মে, ২০২৪

আইসিজের কাঠগড়ায় ইসরায়েল, খালাস পেতে যা বলল
গাজায় গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয়েছে। শুক্রবার ( ১৭ মে) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আদালতের কার্যালয়ে ইসরায়েল তার পক্ষে যু্ক্তিতর্ক তুলে ধরে। তারা বলে, দক্ষিণ আফ্রিকা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইসরায়েল বলেছে, নিজেদের রক্ষায় ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ধরনের আবেদন জাতিসংঘের জাতিগত নিধন সনদের সঙ্গে ‘ঠাট্টা’। তাই আবেদন নাকচ করে দেওয়ার দাবি জানান ইসরায়েলের আইনজীবীরা। ইসরায়েল আরও বলে, এটি বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি আবেদন। রাফায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। ইসরায়েল বিষয়টি ভালোভাবে জানে। কিন্তু হামাস এসব মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সেখানে আস্তানা গেড়েছে। যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। হামাসের ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূলে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে ইসরায়েল। শুনানিতে ইসরায়েলের আইনজীবীদের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিলাড নোয়াম।  এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদনের পক্ষে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরে। সেখানে দেশটি গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও রাফা শহরে হামলা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ দিতে আদালতের কাছে অনুরোধ জানায়। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বলে, গাজায় ইসরায়েল ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে। তা জাতিগত নিধনের পর্যায়ে পড়ে। এ হামলা গত কয়েক মাসের তুলনায় বর্তমানে আরও ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত। দুই দেশের মধ্যে বিবদমান কোনো বিষয় সমাধানে অনেকটা মধ্যস্থতার কাজ করে আইসিজে। এ আদালত স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারে। তবে তা বাস্তবায়নে কোনো শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা রাখে না।
১৭ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের গভীরে সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবু্ল্লাহ এ হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, বুধবার তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তিবেরিয়াস শহরের পশ্চিমে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ঘাঁটিটি লেবাননের সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি দেশটি থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে গভীরে হামলা।  গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইলানিয়া ঘাঁটিতে এ হামলায় প্রথমবারের মতো আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। ঘাঁটিটির পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ ব্যবস্থার একটি অংশে এ হামলা চালানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর এ হামলা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ হামলার লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।  গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের এত গভীরে এটি প্রথম হামলার। এর আগে লেবাননের ১০ কিলোমিটার ভেতরে নাহারিয়ার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল হিজবু্ল্লাহ। ফলে এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে গভীরে লেবাননের হামলা।  লেবাননের এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও বুধবার সকালে জানায়, লেবানন থেকে ইসরায়েলের সীমান্তর্তী বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে।  এর অগে সোমবার (১৩ মে) আরব নিউজ জানিয়েছে, অধিকৃত লেবাননের শেবা ফার্মের কাছে ইসরায়েলের একটি সেনা সমাবেশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। দেশটিতে এ হামলায় জিহাদ মুগনিয়া নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। হিজবুল্লাহর সাবেক এক যোদ্ধার নামে এ ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়। ২০১৫ সালে জিহাদ মুগনিয়া নামের ওই যোদ্ধা ইসরায়েলি গুপ্তচরদের হামলায় নিহত হন। হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র সুনির্দিষ্ট লক্ষবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি দিয়ে হামলা চালালে বেশ বড় রকম ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানায় গোষ্ঠীটি। এর আগে লেবাননের এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা সামরিক যানে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ ছাড়া ইসরায়েলের হুনিন ব্যারাকে মোতায়েন করা কয়েকটি কারিগরি ডিভাইসে হামলা চালায় তারা।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলাধুনা হলেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের তোপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার প্রশ্নে সরকারের ব্যর্থতার জন্য খোলাখুলি হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এতে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে সামরিক অভিযানের দিকনির্দেশনা নিয়ে বিভক্তি প্রকাশ্যে এলো। ইসরায়েলের নেতাদের মধ্যে এ ধরনের বিভক্তি খুবই বিরল। এক সভায় গ্যালান্ট প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জনসমক্ষে যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে ঘোষণা দিতে বলেন। তিনি বলেন, গাজায় যে ইসরায়েলের বেসামরিক বা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো পরিকল্পনা নেই তা জনসম্মুখে নেতানিয়াহু বলে দিক। তিনি রাগান্বিত সুরে বলেন, অক্টোবর থেকে আমি মন্ত্রিসভায় এই বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে উত্থাপন করছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। এতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের কার্যকলাপ তুলে ধরেন। নেতানিয়াহু জানান, তিনি ‘ফাতাহস্তানের’ কাছে ‘হামাস্তান’ দিয়ে দিতে এখনই প্রস্তুত নন।  ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, সিদ্ধান্তহীনতা গাজায় কেবল দুটি খারাপ বিকল্প রেখে যাবে। ইসরায়েলের অভিযান শেষে হামাসই গাজা শাসন করবে। নয়তো ইসরায়েলি সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। হতে পারে, আমাদের সামরিক অর্জনগুলো ক্ষয় হয়ে যাবে। হামাসের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি কাঠামো অর্জনের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে। যুদ্ধ মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য বেনি গ্যান্টজ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এ সদস্য এর আগেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘গ্যালান্ট সত্য কথা বলেছেন। যে কোনো মূল্যে দেশের জন্য সঠিক কাজ করা নেতৃত্বের (নেতানিয়াহুর) দায়িত্ব।’ এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও গ্যালান্টের সুরে কথা বলেছেন। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইসরায়েলের একটি পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়াজন বলে তিনি মনে করেন। বুধবার (১৫ মে) কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে আমরা সমর্থন করি না এবং করবও না। অবশ্যই আমরা গাজায় হামাস শাসনকেও সমর্থন করি না।’ এ বিষয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনায় আসতে ইসরায়েলকে তাগিদ দেন তিনি।
১৬ মে, ২০২৪

ইসরায়েলি ট্যাংকে নাটকীয়ভাবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের গেরিলা হামলা
নাটকীয়ভাবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গেরিলা হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর (আইডিএফ) অত্যাধুনিক ট্যাংক। অভিযানের পুরোটাই ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ভিডিও আল জাজিরা আরবির হাতে এসেছে। পরে ভিডিও ক্লিপগুলো যাচাই করে এর সত্যতা পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। বুধবারের (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার রাফায় ইসরায়েলি ট্যাংকে এ হামলা করেন কাসাম ব্রিগেডের সদস্যরা। হামাসের সামরিক শাখার একটি শক্তিশালী ইউনিট এটি।  ভিডিওতে দেখা যায়, রাফা শহরে ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে অবস্থান করছে দখলদার সেনারা। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা পার্ক করা ইসরায়েলি ট্যাংকের খুব কাছের একটি টানেল থেকে হঠাৎ উঠে আসেন। তাদের হাতে ছিল ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন। মাটির নিচ থেকে যোদ্ধাদের উঠে আসার ঘটনা ছিল অপ্রত্যাশিত। সেখানে অবস্থান করা দখলদার সেনারা সড়ক, খোলা মাঠ, ভবনের দিকে নজর রাখছিলেন। এ সুযোগে যোদ্ধারা মাইন নিয়ে সেনাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্যাংকের দিকে এগিয়ে যান। তা কৌশলে ট্যাংকের নিচে স্থাপন করেন। এরপরই দৌড়ে টানেলে ঢোকার প্রাক্কালে বিস্ফোরণ ঘটে। ঠিক এ সময় টানেল থেকে আধো বের হয়ে কাঁধে বহনযোগ্য মর্টার শেল ছোড়েন আরেক যোদ্ধা। নিমিষেই বিধ্বস্ত হয় গোলাবারুদভর্তি ট্যাংক। এ যোদ্ধাদের নাগাল পায়নি ইসরায়েলিরা। তারা নিরাপদে টানেলের গভীরে চলে যান। এ কাজে তিন থেকে চারজন স্বাধীনতাকামী ছিলেন।   "كتـ.ـائب القسـ.ـام" تنفذ هجوما مركبا ضد قوات الاحتلال المتوغلة شرق رفح#حرب_غزة #فيديو pic.twitter.com/qLdoQ8BoVp — الجزيرة فلسطين (@AJA_Palestine) May 14, 2024
১৫ মে, ২০২৪

ঝালকাঠিতে পথসভায় হামলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ১৫
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কীর্তিপাশা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন সুলতানসহ ১৫ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে তার গাড়ি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ খানের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুলতান হোসেনের সমর্থকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কীর্তিপাশা মোড়ে সুলতান হোসেনের একটি নির্বাচনী পথসভা চলছিল। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ সেখানে কে বা কারা হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতানকে, এরপর চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৪ জনকে আহত করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি পাহারায় সুলতানকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাইম জানান, সুলতান হোসেন বাঁ কাঁধ ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হামলায় আহত অন্যরা হলেন ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম সৈকত, ডিবিসি নিউজের অলোক সাহা, আমাদের বার্তার প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সুইট, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম রুহুল আমীন রেজভী, সুলতান হোসেন খানের সমর্থক কেএস জাহিদ, মনির খান, রুবেল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মিলু। তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় সুলতান হোসেন খানসহ আহতদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে খান আরিফুর রহমান বলেন, ‘কারা এ হামলা করেছে, তা আমি জানি না। আমি সেখানে ছিলাম না।’
১৫ মে, ২০২৪
X