বাজেটে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বন্ধ হচ্ছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে অভিন্ন ভ্যাট হারের দিকে যাচ্ছে। আগামী বাজেটে প্রাথমিকভাবে ১২ ধরনের পণ্যে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছর থেকে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আয়কর, শুল্ক খাতসহ রাজস্ব অব্যাহতি সুবিধা ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হবে। বাজেটে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আর এসব সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর সায়ও মিলেছে। এ ছাড়া কর জিডিপি বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ২০২২ সালে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক মিলে প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়। আইএমএফের অন্যতম শর্ত ছিল রাজস্ব আহরণ বাড়াতে অব্যাহতি তুলে দিতে হবে। তাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে যাচ্ছে এনবিআর। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে নতুন করে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া অভিন্ন ভ্যাট হার নিয়ে এনবিআরের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বাজারে যাতে কোনো পণ্যের দাম না বাড়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া পুঁজিবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করারোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অনুবিভাগের বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের তিন অনুবিভাগের নীতি শাখার সদস্য, প্রথম সচিব, দ্বিতীয় সচিব ও বাজেট সমন্বয়কারী দল। জানা গেছে, আগামী অর্থবছর থেকে এমপিরা গাড়ি আমদানি করলে ২৫ শতাংশ শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে। এর পাশাপাশি এমপিদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এতদিন হাইটেক পার্কের জন্য আমদানি করা গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে এসেছে। এবার সেখানেও শুল্ক আরোপ করা হবে। হাইটেক পার্কের শুল্ক হার নির্ধারণ করা না হলেও তা এমপিদের ওপর আরোপিত শুল্কহারের চেয়ে বেশি হবে। তবে নির্মাণ সামগ্রীর জন্য শুল্ক আরোপ না করতে এনবিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেজা-বেপজার শুল্কমুক্ত সুবিধা কিছুটা তুলে নেওয়ার এবং কৃষি উপকরণ ও সার আমদানিতে শুল্ক না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানতে চাইলে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে নতুন করে আর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বর্তমানে যেসব খাতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া আছে, তা ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে ইতিবাচক সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে একজন ভোক্তা মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৮৩ টাকার কথা বলতে পারেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসাবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তারা ৭৮ টাকার কথা বলতে পারবেন। জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কালবেলাকে বলেন, আগামী বাজেটে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বন্ধের পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাটের অভিন্ন হার বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক। এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্কারোপের সিদ্ধান্তটিও ইতিবাচক। তবে বাজেটে কতটা বাস্তবায়ন করা যায়, সেটাই দেখার বিষয়। উল্লেখ্য, আগামী বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
১৫ মে, ২০২৪

দুই তরুণীকে নিয়ে পালানো সেই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
ফেনীর সোনাগাজীতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়কে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিজয়কে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ উঠায় সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে গত ২৯ এপ্রিল কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ইকবাল হাসান বিজয়কে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মনোহর আলী মিয়া বাড়ির বাসিন্দা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ঢাকার সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলা করেন ওই তরুণী।  একই দিন রাতে ফেনী শহরের পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার ডানহাম গলির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার (৮ মে) আদালতের আদেশে বিজয়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া বলেন, কক্সবাজারে শুটিং করতে গিয়ে আট মাস আগে বিজয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। বিজয় বিয়ের প্রলোভন দেওয়ায় ফেনীতে এসে তার বোনের বাসায় বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক হয়। তার পরিবারসহ সবাই জানে বিজয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিজয়কে বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং নম্বর ব্লক করে দেয়। তারপর বিষয়টি সবার নজরে নিয়ে আসি।
১০ মে, ২০২৪

যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য কালবেলাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  সূত্র জানায়, অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্তে শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে তদন্ত করতে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, গত সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিনের সময় বেঁধে দেয়।  এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে রাজধানীর অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা এবং দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন একটি বিবৃতি প্রদান করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন। অবশেষে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
০৮ মে, ২০২৪

ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে মিসরের সঙ্গে আলোচনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও ভিসা অব্যাহতি নিয়ে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের সাইভলাইনে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ মে) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ এবং মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় হাছান মাহমুদ পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে প্রস্তাবনা দিলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা অব্যাহতি নিয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হন। পাশাপাশি উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন  আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একমত হন তারা। মিসরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিসর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
০৪ মে, ২০২৪

ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যকে অব্যাহতি
সনদ জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত চট্টগ্রামের বেসরকারি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) বিরুদ্ধে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের খরচ নির্বাহ করাসহ বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে সনদ জালিয়াতির ঘটনায় পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হক যখন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই তার বিরুদ্ধে অনিয়মের পাল্টা অভিযোগ তোলে বিওটি। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতির ‘ভূমিকায় অবতীর্ণ’ হয়ে উপাচার্যকে সাময়িক অব্যাহতিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে এখতিয়ারের বাইরে, এমন কাজ করায় শিগগির বিওটিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ চার বছরের জন্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হককে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ওই বছরের ১ এপ্রিল তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে হিসাবে উপাচার্য হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ। গত ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির বিওটি সদস্য সচিব সরওয়ার জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ২০ এপ্রিলে এই সিদ্ধান্ত সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির নীতি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী ৭৭তম বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়, যা ২১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, আর্থিক অনিয়ম, অসদাচারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়বিরোধী কোনো এক কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছিলেন। বারবার অনুরোধ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ নিয়োগকৃত রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ক্রমাগত বিরতিহীনভাবে মিথ্যা অভিযোগ প্রদান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও দুদকে অভিযোগ ইত্যাদির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এজন্য একটি কারণ দর্শানোর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এবং জবাব প্রাপ্তির সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’ এদিকে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ এনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্যকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় আইন মানা হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৩১ (৯) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সুষ্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কোনো কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সুপারিশক্রমে উপাচার্যকে অপসারণ করতে পারবেন আচার্য। তবে শর্ত থাকে যে, অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।’ সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা অনেকগুলো জাল সনদ বিক্রি করেছে। অধ্যাপক মোজাম্মেল হক উপাচার্য হয়ে আসার পর বিষয়টি জানতে পেরে অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে সরাসরি প্রক্রিয়ায় আবেদন যাচাইয়ের ব্যবস্থা করেন। তখন ১০৫টি জাল সনদ ধরা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পদাধিকারবলে তিনি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে মামলা হলে অনেক রাঘববোয়ালও ফেঁসে যাবেন। সে কারণে অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ এনে উপাচার্যকে সাময়িক অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়। সূত্র আরও জানায়, সাউদার্নের বিওটি নিয়ম ভেঙে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় ‘চিটাগং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালানো হচ্ছে। সেখানে এরই মধ্যে ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিষয়গুলো ইউজিসির মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাম্মেল হকের দাবি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও অর্থ কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় নিয়ম ভেঙে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী বিওটি আমাকে অব্যাহতি দিতে পারে না। আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকার বিষয়টি আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। সে সুযোগও আমি পাইনি। এ বিষয়ে জানতে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব সরওয়ার জাহানের মোবাইল ফোনে দুদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি। ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ওমর ফারুখ কালবেলাকে বলেন, আইন অনুযায়ী বোর্ড অব ট্রাস্টিজ রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত কোনো উপাচার্যকে অব্যাহতি দিতে পারে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির বিওটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব।
০৪ মে, ২০২৪

জামালপুরে পৌর মেয়রকে সাময়িক অব্যাহতি
জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে বর্তমান মেয়র আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।  তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা সরকারি গুদামের মালামাল লুট, জমি দখল করে দোকান নির্মাণসহ নানা অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ১১ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার পৌর আইন ২০০৯ এর ৩৩ (১) ধারা অনুযায়ী মেয়রকে সাময়িক অপসারণের আদেশ দেওয়া হয়।  স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের স্বাক্ষরিত আর এক প্রজ্ঞাপণে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে ওই পৌর সভার প্রথম প্যানেল মেয়রকে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

সেই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
ফেনীর সোনাগাজীতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভকে তার স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর স্ত্রীর থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠায় সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে গত ২৩ এপ্রিল তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকায় আফাজ উদ্দিন সৌরভকে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে শাহারিয়ার জামান ফাহিম (১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ)-কে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী বেলায়েত হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ফাহাদের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদকে ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলেন এবং ফাহাদের মা মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ সময় উল্টো মেয়ের পরিবার ছেলের মাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদ এর মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারে এক স্বর্ণ দোকানে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে ওই টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ প্রয়োগ করে। ফাহাদের মা মনোয়ারা বেগম জানান, সৌরভ নিজে তার বাড়িতে এসে স্বর্ণ নিয়ে তাকে সহ কুঠিরহাট বাজারে গিয়ে এক স্বর্ণ দোকানে স্বর্ণ বন্ধক রেখে এবং এক নিকট আত্মীয় থেকে সংগ্রহ করা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। সম্প্রতি আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে নিরুপায় হয়ে তিনি বিষয়টি তার পরিবারকে, স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, ফাহাদের মাকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নে ওই মেয়ের বাড়িতে আটকে রাখলে বিষয়টি ফাহাদ আমাকে জানায়। পরে আমি গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সঙ্গে কথা বলার পর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ বৈঠকের কথা বলে ছেলের মাকে নিয়ে আসি। এ জন্য আমি তার কোনো টাকা গ্রহণ করিনি। আমার এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিয়াদ আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্ত্রীর তিন মামলায় সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের অব্যাহতি
জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রীর করা তিন মামলায় সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পারটেক্স স্টার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাদীর নারাজির আবেদন নামঞ্জুর করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। রোববার আদালতে তেজগাঁও থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এশারত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাগুলোর অভিযোগের বিষয়ে আদালত ডিবিকে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সঙ্গে আসামির কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে তাকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিবি; কিন্তু বাদী এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) পুনর্তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআইও তদন্তকালে অভিযোগের সঙ্গে আসামির কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি। ফলে ১৭ এপ্রিল তাকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী আবারও নারাজি আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে মামলাগুলো থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্ত্রী তাবাসসুম কায়সার আদালতে আজিজ আল কায়সারের বিরুদ্ধে চারটি মামলার আবেদন করেন। আদালত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় তিনটি মামলা রেকর্ড করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামি জালিয়াতির মাধ্যমে তাবাসসুম কায়সারের স্বাক্ষর নকল করে তার মালিকানাধীন পারটেক্স গ্রুপের শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের অব্যাহতি
সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সারের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তার তৎকালীন স্ত্রী তাবাসসুম কায়সারের দায়ের করা অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির ৩টি মামলা সম্প্রতি খারিজ করেছেন আদালত। মামলাগুলো দায়ের হওয়ার পরে অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আদালত ডিবিকে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে ডিবি অভিযোগের সঙ্গে বিবাদী আজিজ আল কায়সারের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু বাদী তাবাসসুম কায়সার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দরখাস্ত দাখিল করেন। এতে আদালত মামলাগুলো পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) দায়িত্ব দেন। পিআইবি পুনঃতদন্ত করে পুনরায় অভিযোগের সঙ্গে বিবাদীর কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ১৭ এপ্রিল তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। পুনরায় বাদী তাবাসসুম কায়সার নারাজি দরখাস্ত দায়ের করলে এবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নামঞ্জুর করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে আজিজ আল কায়সারকে মামলায় আনা সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা অহেতুক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটা প্রচেষ্টা ছিল। ডিভোর্স হতেই পারে। সেটার সমাধানের জন্য ইসলামি শরিয়াহ আছে, পরিবারের মুরুব্বিরা আছেন। খুব দুঃখজনক, মুরুব্বির দায়িত্বে ছিলেন আমার সাবেক স্ত্রীর বড়ভাই ও বড় বোন। তারা তাদের কাজটা করেননি বলেই সবকিছু এতটা বিশ্রী পর্যায়ে চলে গেল। এ জন্য তাদেরকে আল্লাহর দরবারে দায়ী থাকতে হবে। একাধিকবার তদন্তে কোনো অপরাধ প্রমাণ না হওয়া সত্ত্বেও বারবার আদালতে তার সাবেক স্ত্রীর নারাজি দরখাস্ত জমা দেওয়ার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি
নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাসান ইমাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আজম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এম এম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লুৎফুল হাবিব রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন নামে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে রুবেলের নির্দেশে অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও নির্যাতন করে তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ দুই নেতার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হলে রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় নির্যাতিত দেলোয়ারকে মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
X