সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সারের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তার তৎকালীন স্ত্রী তাবাসসুম কায়সারের দায়ের করা অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির ৩টি মামলা সম্প্রতি খারিজ করেছেন আদালত।
মামলাগুলো দায়ের হওয়ার পরে অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আদালত ডিবিকে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে ডিবি অভিযোগের সঙ্গে বিবাদী আজিজ আল কায়সারের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
কিন্তু বাদী তাবাসসুম কায়সার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দরখাস্ত দাখিল করেন। এতে আদালত মামলাগুলো পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) দায়িত্ব দেন। পিআইবি পুনঃতদন্ত করে পুনরায় অভিযোগের সঙ্গে বিবাদীর কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ১৭ এপ্রিল তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে।
পুনরায় বাদী তাবাসসুম কায়সার নারাজি দরখাস্ত দায়ের করলে এবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নামঞ্জুর করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে আজিজ আল কায়সারকে মামলায় আনা সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা অহেতুক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটা প্রচেষ্টা ছিল। ডিভোর্স হতেই পারে। সেটার সমাধানের জন্য ইসলামি শরিয়াহ আছে, পরিবারের মুরুব্বিরা আছেন। খুব দুঃখজনক, মুরুব্বির দায়িত্বে ছিলেন আমার সাবেক স্ত্রীর বড়ভাই ও বড় বোন। তারা তাদের কাজটা করেননি বলেই সবকিছু এতটা বিশ্রী পর্যায়ে চলে গেল। এ জন্য তাদেরকে আল্লাহর দরবারে দায়ী থাকতে হবে।
একাধিকবার তদন্তে কোনো অপরাধ প্রমাণ না হওয়া সত্ত্বেও বারবার আদালতে তার সাবেক স্ত্রীর নারাজি দরখাস্ত জমা দেওয়ার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মন্তব্য করুন