ফেনীর সোনাগাজীতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়কে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিজয়কে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ উঠায় সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে গত ২৯ এপ্রিল কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ইকবাল হাসান বিজয়কে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মনোহর আলী মিয়া বাড়ির বাসিন্দা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ঢাকার সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলা করেন ওই তরুণী।
একই দিন রাতে ফেনী শহরের পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার ডানহাম গলির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার (৮ মে) আদালতের আদেশে বিজয়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাদিয়া খান আদরী ওরফে সিমরান সাদিয়া বলেন, কক্সবাজারে শুটিং করতে গিয়ে আট মাস আগে বিজয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। বিজয় বিয়ের প্রলোভন দেওয়ায় ফেনীতে এসে তার বোনের বাসায় বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক হয়। তার পরিবারসহ সবাই জানে বিজয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিজয়কে বিয়ের কথা বললে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং নম্বর ব্লক করে দেয়। তারপর বিষয়টি সবার নজরে নিয়ে আসি।
মন্তব্য করুন