এক শর্তে জাহাজে হামলা বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করবে ইয়েমেন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ করলে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বন্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে তারা হামলা বন্ধ করবে কি না জানতে চাইলে হুতিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম রয়টার্সকে বলেন, গাজা অবরোধের অবসান এবং সেখানে মানবিক ত্রাণসহায়তা অবাধে প্রবেশ করতে পারলে তারা পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করবেন। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধ বন্ধ হওয়া ছাড়া ফিলিস্তিনি জনগণকে সাহায্য করে এমন কোনো অভিযান বন্ধ হবে না। মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। এরপর এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজের নাম যুক্ত করে ইরানপন্থি গোষ্ঠীটি। মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৩০টির বেশি জাহজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা। লোহিত সাগরে হামলা ঠেকাতে হুতিদের নিশানা করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। যৌথ অভিযান ছাড়াও প্রায় প্রতিদিন হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এত এত হামলা করেও এখনো হুতিদের থামাতে পারছে না পশ্চিমারা।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইয়েমেন উপকূলে হামলায় জাহাজে আগুন
ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন লেগে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইয়েমেনের এডেন শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ হামলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ব্রিটিশ ম্যারিটাইম এজেন্সি জানিয়েছে, জাহাজটিকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসরায়েলি জাহাজে হামলায় ধারাবাহিকতায় এ হামলা হয়েছে।  জাহাজের নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, হামলার শিকার জাহাজটি পালাউ প্রজাতন্ত্রের পতাকাবাহী এবং ব্রিটিশ মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ। জাহাজটি থাইল্যান্ড থেকে লোহিত সাগরের দিকে যাচ্ছিল।    যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক বাণিজ্য পরিচালনাকারী সংস্থা ইউকেএমটিও জানিয়েছে, এডেন থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মার্কিন জোট তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি সংস্থাটি।     সংস্থাটি জানিয়েছে, জাহাজটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে তাতে আগুন লেগে গেছে।  এর আগে মঙ্গলবার আলজাজিরা জানায়, মার্কিন রণতরী ও ইসরায়েলি জাহাজে হুতিরা হামলা চালিয়েছে। তারা জানিয়েছে, লোহিত সাগরের প্রবেশমুখে এডেন উপসাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার জাহাজটির নাম এমএসসি সিলভার। জাহাজটিকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বিষয়টির নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তারা আরব সাগর ও লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের রিসোর্ট শহর ইলিয়াতেও হামলার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের এ হামলায় ফিলিস্তিনের ২৯ হাজার ৩১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৬৯ হাজার ৩৩৩ জন। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের পর্যটন শহরে হামলা
অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজায় হামলা চালালেও এ ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করে আসছে প্রতিবেশী দেশগুলো। এমনকি এসব দেশ থেকে ইসরায়েলে বেশ কয়েকবার হামলাও হয়েছে। এবার ইসরায়েলের এক পর্যটন নগরীতে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের এক মুখপাত্র জানান, তারা ইসরায়েলের লোহিত সাগরেরর তীরবর্তী এক পর্যটন শহর এইলাতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এইলাত লোহিত সাগরের তীরবর্তী রিসোর্ট শহর।  হুতিরা মূলত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দলটি দেশটির বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার জোরদার করে আসছে হুতিরা।  এর আগে শনিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের হামলার ভয়ে লোহিত সাগর দিয়ে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে শিপিং জায়েন্ট মার্স্ক। পশ্চিমা এই কোম্পানিটি জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরবের সুন্নি রাষ্ট্রগুলোর মতো শুধু কথায় নয় বরং সরাসরি সামরিক পদক্ষেপও নিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনপন্থি এ গোষ্ঠীটি। তারই ধারাবাহিকতায় লোহিত সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজে হামলা ও জব্দ করে আসছে হুতি সদস্যরা। এমনকি আরব ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী যে কোনো জাহাজ তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু বলে গণ্য হবে বলেও সতর্ক করেছে বিদ্রোহ গোষ্ঠীটি। এরপর থেকে সেখানে একের পর এক হামলা করে চলেছে গোষ্ঠীটি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরেনর সিদ্ধান্তের কথা জানাল মার্স্ক। শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বৃহস্পতিবার আমাদের জিব্রাল্টার জাহাজে প্রায় হামলা হয়েছিল। শুক্রবার আবার একটি কন্টেইনার জাহাজে হামলা হয়েছে। এসব ঘটনার জেরে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে সংযোগকারী বাব এল মান্দেব প্রণালি দিয়ে চলাচলকারী আমাদের সব জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত যাত্রাবিরতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি মার্স্ক বলেছে, তাদের জাহাজ জিব্রাল্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা হয়েছে। জাহাজটি ওমানের সালালাহ থেকে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাচ্ছিল। তবে নাবিক ও জাহাজটি নিরাপদ রয়েছে বলে জানা গেছে। মার্স্কের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেনি। যদিও হুতিদের দাবি, জাহাজটি ইসরায়েলে যাচ্ছিল। এই জাহাজে তারা হামলা করেছে। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর যে হারে হামলা হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইয়েমেন উপকূলে তেলবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে সংযোগকারী বাব এল মান্দেব প্রণালিতে তেলবাহী একটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)। খবর আলজাজিরার। হামলার শিকার জাহাজটির নাম স্ট্রিন্ডা। তেলবাহী এই জাহাজটি নরওয়ের মালিকানাধীন। এটি ইতালির ভেনিসে যাচ্ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত সেন্টকম এক বিবৃতিতে বলেছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে বাব-এল-মান্দেবের প্রণালি দিয়ে যাওয়ার সময় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে জাহাজটিতে হামলা হয়েছে। নরওয়ের কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গেইর বেলসনেস হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের জাহাজে আগুন ধরে যায়। তবে কোনো নাবিক আহত হননি। নাবিকরা নিজেরাই আগুন নেভান। জাহাজে থাকা নাবিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা আমাদের প্রধান বিবেচনার বিষয়। এখন জাহাজটি নিরাপদ একটি বন্দরের দিকে যাত্রা করেছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরবের সুন্নি রাষ্ট্রগুলোর মতো শুধু কথায় নয় বরং সরাসরি সামরিক পদক্ষেপও নিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনপন্থি এ গোষ্ঠীটি। তারই ধারাবাহিকতায় লোহিত সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজে হামলা ও জব্দ করে আসছে হুতি সদস্যরা। এমনকি আরব ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী যে কোনো জাহাজ তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু বলে গণ্য হবে বলেও সতর্ক করেছে বিদ্রোহ গোষ্ঠীটি। তাদের এই হুমকির পরই এই হামলা হলো। সোমবারের হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করেনি হুতিরা। তবে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সামরিক বিভাগের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, খুব শিগগিরই তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
এবার ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণের এলাকা এইলাতে এ হামলা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, তারা ইসরায়েলের সেনাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বুধবার সকালে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ আরলে বার্ক ক্লাস ডেস্ট্রয়ার একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এ ড্রোনটি ইয়েমেনের হুতিদের এলাকা থেকে ছোড়া হয়েছিল। হুতিদের ছোড়া এ ড্রোনে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ছাড়া এটি কাদের উদ্দেশ্যে ছোড়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।  এ নিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ৬ বার লোহিত সাগরে হামরলার মুখে পড়েছে। ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে দেশটির যুদ্ধজাহাজে হামলা হয়েছে। এমনকি এ সময়ে ভূমধ্যসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার মুখে পড়েছে।  হুতিরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। এমনকি আবর সাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল করতে দেওয়া হবে না। ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিদ্রোহীরা এমন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে।  এর আগে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করে, তারা দুটি ইসরায়েলি জাহাজে হামলা করেছে। সশস্ত্র ড্রোন এবং একটি নৌ-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। সংগঠনটির সামরিক অংশের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার জানায়, হুতি মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইউনিটি এক্সপ্লোরার’ এবং ‘নম্বর নাইন’ নামের দুটি জাহাজ হুতি নৌবাহিনীর সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করার পর তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি অ্যামব্রে বলেছে, লোহিত সাগরে যাত্রা করার সময় একটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ অন্তত দুটি ড্রোনের সাথে ধাক্কা খেয়েছে। অন্য একটি কন্টেইনার জাহাজ উত্তর ইয়েমেনি বন্দর হোদেইদা থেকে প্রায় ১০১ কিলোমিটার (৬৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পেন্টাগন জানায়, একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজ লোহিত সাগরে হামলার শিকার হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সামুদ্রিক হামলা চলে তারই অংশ এটি।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবার ইসরায়েলের ট্যাংকার জব্দ করল ইয়েমেন
এবার ইয়েমেনের উপকূলে ইসরায়েলি ট্যাংকারে হামলা হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) হামলা চালানোর পর ট্যাংকারটিকে জব্দ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ হামলার জন্য ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের দায়ী করছে। এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা আম্বেরি জানিয়েছে, আক্রমণকারীরা এ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী সেন্ট্রাল পার্ক নামের ট্যাংকারটিকে জব্দ করেছে। এটি ইসায়েলের মালিকানাধীন জোডিয়াক ম্যারিটাইম নামের একটি কোম্পানি পরিচালনা করে আসছিল, যা লন্ডনভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক নৌযান ব্যবস্থাপনা কোম্পানি।  সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জোডিয়াক ম্যারিটাইম জানিয়েছে, ট্যাংকারটি ফসফরিক এসিড বহন করছিল। এ ছাড়া ট্যাংকারটিতে ২২ জন ক্রু ছিলেন। তারা বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, ভারত, ফিলিপাইন, রাশিয়া, তুরস্ক এবং ভিয়েতনামের নাগরিক। তারা সবাই নিরাপদ রয়েছেন।  কোম্পানি জানিয়েছে, আমরা ফোর্সকে দ্রুত সাড়া দিয়ে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানায়। তারা আমদের সম্পদ রক্ষা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা আইন সমুন্নত রেখেছে। কোম্পানি কীভাবে আক্রমণকারীরা জাহাজটি ছেড়ে গেছে বা কারা ছিল তার বিষয়ে কিছু জানায়নি।  পেন্টাগন জানিয়েছে, আক্রমণের শিকার জাহাজটি এখন নিরাপদ রয়েছে।  তবে তারা আক্রমণকারীদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাইনি।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেন্ট্রাল পার্ক আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ম্যাসন সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। ওই কর্মকর্তারা যদিও বলেছেন যে তারা মন্তব্য করার মতো কেউ না।  এর আগে গত সপ্তাহে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের জাহাজ জব্দ করার দাবি করে ইয়েমেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি এ দাবি করেন। হুতির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, ইসরায়েলি জাহাজটিকে লোহিত সাগর থেকে জব্দ করা হয়েছে। এরপর ক্রুদেরসহ জাহাজটিকে উপকূলে সরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে ইসলামী নিয়মনীতি মেনে আচরণ করছি। এর আগে ইসরায়েলের জাহাজ দেখলেই হামলার হুমকি দিয়েছিল ইয়েমেনের এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছিল, লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ দেখলেই হামলা করা হবে। হুতিদের নেতা আবদুল মালেক আল হুতি বলেন, তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নজরদারি করছে। ইসরায়েলের পতাকা বহন করে না এমন জাহাজের ওপর নজর রয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। আল মাশিরাহ টিভিকে তিনি বলেন, আমরা লোহিত সাগরে নজরদারি করছি। এ নৌপথে ইসরায়েলের জাহাজের ওপর আমাদের তীক্ষ্ণ নজর ও অনুসন্ধান চলছে। তিনি বলেন, শত্রুরা এ অঞ্চলে বিশেষ করে বাব আল মানদেবে ছদ্মবেশে চলাচল করছে। তারা নিজেদের পতাকা উড়িয়ে চলার সাহস করছে না। এমনকি এ অঞ্চলে চিহ্নিতকরণ সরঞ্জাম বন্ধ করে তারা চলাচল করছে। হুতির এ নেতা বলেন, আমরা খোঁজ করছি এবং তাদের জাহাজের বিষয়টি যাচাই করছি। তাদের জাহাজ পেলে আমরা হামলা চালাতে পিছপা হব না।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলি জাহাজ দেখামাত্র আটকে দেবে ইয়েমেন
লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা সব ধরনের ইসরায়েলি জাহাজ নিজেদের বৈধ টার্গেট। সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ দেখামাত্র আটক করার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। গত রোববার (১৯ নভেম্বর) লোহিত সাগরে ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট একটি জাহাজ আটকের পর এই সতর্কবার্তা দিল সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। আল-মাসিরাহ টিভিকে হুতি সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আলি আল-মোশকি বলেছেন, যে কোনো জায়গা দিয়ে চলাচল করা ইসরায়েলি জাহাজ তাদের বৈধ টার্গেট। এসব জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা দ্বিধা করবেন না। এর আগে গত রোববার লোহিত সাগরে ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট একটি জাহাজ জব্দ করে হুতিরা। হুতির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, ‘ইসরায়েলি জাহাজটিকে’ লোহিত সাগর থেকে জব্দ করা হয়েছে। এরপর নাবিকসহ জাহাজটিকে উপকূলে সরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে ইসলামি নিয়মনীতি মেনে আচরণ করছি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, হুতিদের জব্দ করা জাহাজটির নাম গ্যালাক্সি লিডার। এটি ব্রিটিশ কোম্পানির। পরিচালনা করছিল একটি জাপানি কোম্পানি। এটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক নাবিকদের নিয়ে তুরস্ক থেকে ভারত যাচ্ছিল। জাহাজটিতে কোনো ইসরায়েলি নেই। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে হুতিরা। তবে এবারই প্রথমবারের মতো জাহাজ আটক করল।
২১ নভেম্বর, ২০২৩

লোহিত সাগরে ‘ইসরায়েলের’ জাহাজ জব্দের দাবি
লোহিত সাগরে ইসরায়েলের জাহাজ জব্দ করার দাবি করেছে ইয়েমেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি এ দাবি করেছেন। রোববার (১৯ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  হুতির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, ইসরায়েলি জাহাজটিকে লোহিত সাগর থেকে জব্দ করা হয়েছে। এরপর ক্রুদেরসহ জাহাজটিকে উপকূলে সরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে ইসলামী নিয়ম-নীতি মেনে আচরণ করছি।  ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুতিদের এই ঘটনা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এটিকে তারা সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বলেও আখ্যা দিয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, জব্দ করা জাহাজটির একটি ব্রিটিশ কোম্পানির। এটি একটি জাপানি কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাহাজটির মালিকানা ইসরায়েলের নয়।   আইডিএফ জানিয়েছে, জব্দ করা জাহাজটির নাম গ্যালাক্সি লিডার। এটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক ক্রুদের নিয়ে তুরস্ক থেকে ভারত যাচ্ছিল। জাহাজটিতে কোনো ইসরায়েলি নেই।  হুতির মুখপাত্র জানান, গাজা এবং পশ্চিম তীরে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং নৃশংস অপরাধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখব।  এর আগে ইসরায়েলের জাহাজ দেখলেই হামলার হুমকি দিয়েছিল ইয়েমেনের এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছিল, লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ দেখলেই হামলা করা হবে।  হুথিদের নেতা আবদুল মালেক আল হুতি বলেন, তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নজরদারি করছে। ইসরায়েলের পতাকা বহন করে না এমন জাহাজের ওপর নজর রয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। আল মাশিরাহ টিভিকে তিনি বলেন, আমরা লোহিত সাগরে নজরদারি করছি। এ নৌপথে ইসরায়েলের জাহাজের ওপর আমাদের তীক্ষ্ণ নজর ও অনুসন্ধান চলছে। তিনি বলেন, শত্রুরা এ অঞ্চলে বিশেষ করে বাব আল মানদেবে ছদ্মবেশে চলাচল করছে। তারা নিজেদের পতাকা উড়িয়ে চলার সাহস করছে না। এমনকি এ অঞ্চলে চিহ্নিতকরণ সরঞ্জাম বন্ধ করে তারা চলাচল করছে। হুতির এ নেতা বলেন, আমরা খোঁজ করছি এবং তাদের জাহাজের বিষয়টি যাচাই করছি। তাদের জাহাজ পেলে আমরা হামলা চালাতে পিছপা হবো না।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোন ধ্বংস করল ইয়েমেন
আবার মার্কিন ড্রোনে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‍হুতিরা এবার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ড্রোন ধ্বংস করেছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পেন্টাগন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ইয়েমেনের হুতিরা একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দেশটির উপকূলীয় এলাকায় এটি ধ্বংস করা হয়।  প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন নয়, এটি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সার্ভিল্যান্স ড্রোন। হুতিরা এ ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে বলেও নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।  গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাঘাঁটি ও তাদের সম্পত্তিতে হামলার ঘটনা ঘটছে। এরমধ্যে এ ড্রোন ধ্বংস এ অঞ্চলের সর্বশেষ ঘটনা। পেন্টাগনের দাবি, ফিলিস্তিন- ইসরায়েল যুদ্ধের সুবিধা নিয়ে ইরানপন্থি বিভিন্ন গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়ে আসছে।  এর আগে বুধবার ( ৮ অক্টোবর) আমেরিকার একটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ধ্বংস করে ইয়েমেন। ওই সময়ে পেন্টাগন জানায়, হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে তারা ধ্বংস করা এয়ারক্রাফটটি সামরিক ছিল কি না বা কোথায় উড্ডয়নকালে এটি ভূপাতিত করা হয় তার বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে কর্মকর্তাদের বরাতে এএফপি জানিয়েছিল, মানুষবিহীন এমকিউ-৯ সিরিজের বিমানটি ইয়েমেনের উপকূলে ভূপাতিত করা হয়েছে।
১০ নভেম্বর, ২০২৩

সুফিউলসহ পাঁচ কর্মকর্তার মুক্তিতে ইয়েমেন সরকারকে ধন্যবাদ জাতিসংঘের
ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার জিম্মিদশা থেকে বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামসহ জাতিসংঘের পাঁচ কর্মকর্তা মুক্ত হওয়ার ঘটনায় দেশটির সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ।  শুক্রবার (১১ আগস্ট) ইয়েমেনে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক ডেভিড গ্রাসলি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি ইয়েমেন সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। দেড় বছর মাস আগে ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের এই কর্মকর্তাকে এনএসআইর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। পরে ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে জাতিসংঘের পাঁচ কর্মকর্তাকে আল-কায়েদার সদস্যরা অপহরণ করেছিলেন। সুফিউল আনাম ছাড়া বাকি চারজন ইয়েমেনের নাগরিক। ইয়েমেনে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক ডেভিড গ্রাসলি বাংলাদেশি সুফিউলসহ পাঁচজনের মুক্তি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি শুক্রবার জাতিসংঘের ইয়েমেনি চার কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে। মুকুল্লা থেকে তাদের নিয়ে এডেনে ফিরেছেন তিনি। ডেভিড গ্রাসলি আরও বলেন, তাদের পাঁচ কর্মকর্তাই সংস্থার সব ধরনের সহায়তা পাচ্ছেন। তারা ভালো আছেন এবং পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে। তিনি পাঁচ কর্মকর্তার মুক্তিতে সহায়তার জন্য ইয়েমেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এদিকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের কাছে অপহরণের বিবরণ দেন সুফিউল আনাম।  তিনি বলেন, ভয়ংকর সন্ত্রাসীরা অপহরণ করার পর জীবন নিয়ে দেশে ফিরতে পারব, এটা ভাবতেও পারিনি। গত ১৮ মাস অত্যন্ত বিপৎসংকুল পরিবেশের মধ্যে ছিলাম। মনে হয়েছিল, যেকোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা করবে। তিনি বলেন, ১ বছর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার সময় আমাকে অপহরণ করা হয়। ইয়ামেনের চারজন সহযোগী ছিলেন। অবর্ণনীয় দিন কেটেছে। প্রতিটি দিনে ছিল মৃত্যুর ভয়। ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। তা কেবল সিনেমায় দেখা যায়। ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে কর্মরত সুফিউল আনামকে ইয়েমেনের মুদিয়াহ প্রদেশ থেকে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সদস্যরা অপহরণ করে এবং তার মুক্তিপণ বাবদ ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করে।
১২ আগস্ট, ২০২৩
X