মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সিদ্ধান্তে গাজায় উল্লাস
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামীদের সংগঠন হামাস। দলটির এমন সিদ্ধান্তে  উৎসবে মেতেছে গাজাবাসী। সোমবার (০৬ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা হামাসের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়ার সংবাত শুনে উচ্ছ্বাসিত। রাফাহ সীমান্তে আসন্ন স্থল অভিযানের আশঙ্কার সময়ে হামাস এ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।  গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা তারেক আবু আজম আলজাজিরাকে বলেন, আমরা আশা করি আল্লাহ এটি সহজ করে দেবেন এবং আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারব। অপর এক ফিলিস্তিনি বলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যে তারা রাফাহ আক্রমণ করেনি। যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং গাজার পাশে দাঁড়িয়েছেন আমরা তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই, শুধু সামরিক সমাধান নয়। তিনি বলেন, এর জন্য আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীনতা পেতে এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে আগ্রাসন বন্ধ করতে সংগ্রাম করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করুক। আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই। আমাদের পরিবারগুলি খুব ব্যাথিত অবস্থায় রয়েছে। তবে আজ সন্ধ্যায় এই ঘোষণার পরে আমরা আমাদের বেশিরভাগ লোককে খুশি দেখতে পাচ্ছি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেন্ট্রাল গাজার আল আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষ উল্লাস করছে। এ সময় শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে এবং স্থানীয়রা গান গেয়ে এবং হাঁড়ি-পাতিলের শব্দ করে এটি উদযাপন করে।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।  
০৭ মে, ২০২৪

চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে উল্লাস
যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া বিচিত্র কিছু নয়। প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ চাকরি ছাড়েন। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। অফিস থেকে চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে উল্লাস করেছেন এক কর্মী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমন ঘটনা জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ম পরিবেশকে বিরক্তিকর উল্লেখ করে চাকরি ছেড়েছেন এক কর্মী। বিক্রয় সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তবে সেখান থেকে চাকরি ছেড়েই যেন মহাখুশি ওই ব্যক্তি। বসের সামনে ঢাকঢোল পিটিয়ে নৃত্য করেছেন। এরপর তারই কনটেন্ট ক্রিয়েটর এক বন্ধু ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছেন।  ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সামনে আরও দেখা যাবে। দিন দিন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে কর্ম পরিবেশ। আর অফিসের কর্ম পরিবেশ ভালো না হলে কাজ করা কঠিন।  তিনি বলেন, তার বন্ধু তিন বছর ধরে কর্ম পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন। ইসন্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে তার বন্ধু বলেন, বসের কাছে আমার কোনো সম্মান ছিল না। মধ্যবিত্ত হওয়ায় এতদিন বাধ্য হয়ে চাকরি করেছি।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অঙ্কিত নামের ওই ব্যক্তি অফিসের শেষ দিন স্মরণীয় করে রাখতে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় তার  এক বন্ধু অফিসের বাইরে ঢোল বাজানোর পরামর্শ দেন। এরপর বন্ধুর বুদ্ধি অনুসারে যখন অফিসের বস বের হন তখনই তারা ঢোল বাজাতে শুরু করেন। এতে রেগে দিয়ে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন বস।  ২০২৩ সালে হারাপ্পা ইনসাইডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মীবান্ধব বস এবং কর্মপরিবেশ ভালো না হওয়ায় অনেকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। বসের খারাপ আচরণের কারণে প্রায় ৫৮ শতাংশ কর্মী চাকরি ছাড়েন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।   
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইআরডিএফবি সেমিনারে বক্তারা / '৭ই জানুয়ারি তরুণ সমাজ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে বিজয় উল্লাস করবে'
তারুণ্য নির্ভর একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী ইশতেহারের মূল লক্ষ্যই হলো স্মার্ট নাগরিক নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।  আগামী ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে আমাদের এই তরুণ সমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে শেখ হাসিনাকে পুণরায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে বিজয় উল্লাস করবে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত 'আওয়ামী লীগের ইশতেহার-স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)। সেমিনারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঘোষিত এই ইশতেহার একটি সামগ্রিক ইশতেহার। এই ইশতেহার নিঃসন্দেহে আমাদের উন্নয়ন পরম্পরার গল্প। এই ইশতেহার প্রমাণ করে যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো চ্যালেঞ্জকে ভয় পায় না। সকল বাঁধা অতিক্রম করে শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের ফসল আজকের এই বিশ্ব অবাক করা বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যে চ্যালেন্জগুলো রয়েছে তার নির্দেশ এবং তা সমাধানের কর্মকৌশলও রয়েছে এই ইশতেহারে। প্রযুক্তির ওপর জোড় দিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ইশতেহার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রধান বক্তা অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন) বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজকের এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশের যে অর্জন তা অভূতপূর্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরের বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বাজেটের আকার বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, শিশু এবং মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ইত্যাদির মাধ্যমে দরিদ্র একটি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সমাজ এই ৪ টি পিলারের সমন্বয়ে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিঃসন্দেহে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

কোনো উল্লাস করছেন না মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলিরা
প্রায় ৫০ দিন টানা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে হামাস ও ইসরায়েল।  চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩৯ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে ২৪ ইসরায়েলি ও বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। হামাসের হাতে অপহৃত শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি পরিবারের এক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি খুশি তবে গাজা উপত্যকায় এখনো বন্দি থাকা সবাইকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো উৎসব উদযাপন করবেন না। হামাস ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে  যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জিম্মি পরিবার ফোরামের প্রকাশিত এক ভিডিওতে আশের বলেন, ‘আমি খুশি যে, আমি আমার পরিবারকে ফিরে পেয়েছি। এটি আনন্দ অনুভব করার মতো ও অশ্রু ঝরানোর মতো মানবিক বিষয়’। ‘তিনি বলেন, ‘তবে আমি উদযাপন করছি না। শেষ জিম্মি ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আমি কোনো উৎসব উদযাপন করছি না। আমাদের সন্তান, বাবা, মা, বোনেরা বর্তমানে জিম্মি।’ কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তিতেও মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে পারে। এ জন্য শর্তও রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি এক দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য হামাসকে ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩

যুবককে হত্যার পর নেচে উল্লাস করল কিশোর
মাত্র ৩৫০ টাকার জন্য যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এক কিশোর। হত্যার পর রক্তাক্ত শরীরের পাশে ছুরি হাতে নাচতে দেখা যায় তাকে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এসব দৃশ্য। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওয়েলকাম এলাকায়। জানা গেছে হত্যাকাণ্ডের সময় ওই কিশোর মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ওয়েলকাম এলাকায় ১৬ বছরের এক কিশোর ১৮ বছরের এক যুবককে ধরে একটি গলিতে টেনে নিয়ে যায়। এরপর কিশোরকে কিছুক্ষণের জন্য ক্যামেরায় দেখা যায়নি। পরে সে ফিরে আসে এবং ফের ছুরিকাঘাত শুরু করে। এ সময় নির্বিচারে ছেলেটির মুখ ও কানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে হাঁটু গেড়ে নিহতের ঘাড় ও মাথা কেটে ফেলে ওই কিশোর। সে বিচ্ছিন্ন মাথায় লাথিও মারে। পরে নিথর দেহের পাশে কয়েক সেকেন্ডের জন্য নাচতে শুরু করে এবং রক্তে ভেজা দেহটি টেনে অন্যত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় উত্তর পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বলেছেন, আমি নিজে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ঘটনার পেছনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে জানিয়েছে, সে নির্যাতিতার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করলে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে সে ভিকটিমের পকেটে তল্লাশি করে ৩৫০ টাকা পেয়েছিল।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

কানাডায় ফিলিস্তিন সমর্থকদের উল্লাস
ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর কানাডার অন্টারিও প্রদেশে এ নিয়ে উল্লাস করেছে একদল যুবক। তারা হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  ভিডিওতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিন সমর্থকরা ট্রাক ও গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামে। এসময় তারা হামাসের হামলার খবরে উল্লাসে ফেটে পড়ে। এর আগে কানাডার টরন্টোতেতেও ওড়ানো হয় ফিলিস্তিনের পতাকা। এদিকে ইসরায়েল-হামাস নতুন সংঘাতের প্রেক্ষিতে কানাডায় অবস্থিত ইহুদিদের উপাসনালয় বা সিনাগগের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিনাগগসহ ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩

জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, গায়ে মদ ঢেলে উল্লাস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার ছোটো ভাই ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মারধরের পর ভুক্তভোগীর শরীরে মদ ঢেলে মাদকাসক্ত হিসেবে প্রমাণ করারও চেষ্টা করেছেন অভিযুক্তরা। মারধরের ঘটনা কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রলীগ নেতার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকিও প্রদান করেন তারা। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অমানুষিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা। ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (৪৬তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এছাড়া ইমন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (৪১তম ব্যাচ) সাবেক শিক্ষার্থী আরমান খান যুব, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (৪২তম ব্যাচ) আরাফাত, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (৪৫তম ব্যাচ) তুষণ ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি।  এদের মধ্যে আরমান খান যুব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন ছোটভাই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম ব্যাচের ‘র‌্যাগের রাজা’। এ ছাড়া কয়েকবছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হলেও তিনি হলের মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষ দখল করে রেখেছেন। জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট সাভারের রেডিও কলোনীর বউবাজার এলাকার ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় ইমনের। ওই ঘটনার জেরে ইমনকে ফোন দিয়ে আরমান খান যুবর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন বাড়ির মালিকের পূর্ব পরিচিত আরাফাত। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, ইমনকে মওলানা ভাসানী হলের সামনে যেতে বলেন যুব। রাত ১২টার দিকে ইমন সেখানে গেলে, তিনি তাকে মোটরসাইকেল হলের ভিতরে রেখে ১২৬ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন। এরপর কক্ষে ঢুকতেই ঘুষি মেরে ইমনের নাক ফাটিয়ে দেন যুব। তখন যাতে চিৎকার করতে না পারে, তাই ইমনের মুখ বেঁধে দেন আরাফাত। পরে যুব ও আরাফাতসহ সেখানে উপস্থিত অন্য অভিযুক্তরা ইমনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন।  এ সময় ইমন তাদের কাছে কাকুতি-মিনতি করেও কোনো প্রতিকার পাননি। তাকে একদফা মারধরের পর ইয়াবা সেবন করেন যুব। পরে আবারও ইমনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন তারা। এছাড়া ইমনের শরীরে মদ ঢেলে উল্লাস করতে থাকেন যুব ও তার সহযোগীরা। এরপর রাত তিনটার দিকে ইমনকে হলের দ্বিতীয় তলার ২২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে তাকে পরিষ্কার-পরিছন্ন হয়ে আসতে বলেন তুষণ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে গালাগালি করেছেন বলে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেন। এমনকি সেটা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেও রাখেন তুষণ। এরপর তাকে ফের ১২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মারধরের ঘটনা কাউকে না জানাতে ইমনের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন অভিযুক্তরা। কিছুক্ষণ পর আকতারুজ্জামান সোহেল ওই কক্ষে গিয়ে ইমনকে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেও ইমনকে আশ্বাস দেন। এদিকে হলে যাওয়ার আগেই ভয় পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে অবহিত করেছিলেন ইমন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মারধরের ঘটনার বিষয়ে জানাতে ১৪ আগস্ট সকালে প্রক্টরের বাসায় যান তিনি। তবে ইমন সেখানে গিয়ে দেখেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল আগে থেকেই প্রক্টরের বাসায় অবস্থান করছেন। এ সময় ইমনকে মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে (গেস্টরুম) গিয়ে বসতে বলেন তিনি। তখন ইমন প্রক্টরের ওপর ভরসা না পেয়ে তার বাসা থেকে চলে যান। এরপর তিনি মারধরের বিষয়টি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানান। অন্যদিকে আরমান খান যুবর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সিন্ডিকেট ও মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ‘টর্চার সেল’ পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রত্ব শেষ হলেও হলের ওই কক্ষে তিনি অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এমনকি সেখানে বহিরাগতদের নিয়ে নিয়মিত মাদক সেবন করেন যুব। এ ছাড়া মাদক ব্যবসায়ী ও বহিরাগতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে টর্চার করেন তিনি। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বহিরাগত এক যুবককে ১২৬ নম্বর কক্ষে এনে মারধর করেন যুব। তার মারধরের শিকার হয়ে ওই যুবক ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করতে থাকেন। এ বিষয়ে জাহিদ হাসান ইমন বলেন, ‘আমাকে মারধর পরবর্তী নানা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ওপর আমার ভরসা উঠে যায়। পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেইনি। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের জানিয়েছি। তবুও বিচার না পেয়ে কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি। কারণ ওই রাতের ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে আরমান খান যুব ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুসাইন মো. সায়েম বলেন, ‘হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে সাবেক শিক্ষার্থীরা থাকে, সে বিষয়টি আমি জানি। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে মারধরের ঘটনা আমি জানিনা।’ সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে ফোন করলে, তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার তাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

তামিমের ফেরার খবরে চট্টগ্রামে উল্লাস
সব জল্পনা-কল্পনা আর নানা প্রশ্ন ডিঙিয়ে অবশেষে মাঠে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অবসর ভাঙার কথা জানান দেশসেরা এ ওপেনার। শুক্রবার বিকেলে এ ঘোষণার পর নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসেন ক্রিকেট ভক্তরা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। ‘অভিমান ভেঙে’ ফিরে আসায় ধন্যবাদ জানান তামিম ইকবালকে। এর পর সেই মিছিল গিয়ে পৌঁছায় কাজির দেউড়ি এলাকায় তামিম ইকবালের বাসার সামনে। জার্সি গায়ে আর লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে যে যার মতো উল্লাস প্রকাশ করে। ছোট্ট ক্রিকেটপ্রেমী মর্তুজা বলেন, ‘আমি তামিম চাচ্চুর খেলা দেখতে চাই। তামিম চাচ্চু গতকাল কান্না করেছে, আমার ভালো লাগেনি।’ এ মানববন্ধন চলাকালে অনেকেই আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। ভেঙে পড়েন কান্নায়। কান্নাবিজরিত কণ্ঠে ফয়সাল নামে এক যুবক বলেন, ‘প্লিজ তামিম ভাই ফিরে আসেন। আপনি ছাড়া আমাদের আর কেউ নাই। এবারের বিশ্বকাপে আপনার ব্যাটিং আমরা দেখতে চাই, এশিয়া কাপে আপনার খেলা আমরা দেখতে চাই। প্লিজ তামিম ভাই ফিরে আসেন।’ গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দেন তামিম। বিদায়ের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে ধরে আসে তামিমের গলা। মাথা নিচু করে চোখের জল মুছতে দেখা যায় তাকে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালকের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এ মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেকদিন ধরেই আমি ভাবছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে।’ তামিমের বিদায়ের ঘোষণার পর থেকে সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা, উঠছে নানা প্রশ্ন।
০৮ জুলাই, ২০২৩
X