প্রায় ৫০ দিন টানা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে হামাস ও ইসরায়েল।
চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩৯ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে ২৪ ইসরায়েলি ও বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
হামাসের হাতে অপহৃত শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি পরিবারের এক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি খুশি তবে গাজা উপত্যকায় এখনো বন্দি থাকা সবাইকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো উৎসব উদযাপন করবেন না। হামাস ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জিম্মি পরিবার ফোরামের প্রকাশিত এক ভিডিওতে আশের বলেন, ‘আমি খুশি যে, আমি আমার পরিবারকে ফিরে পেয়েছি। এটি আনন্দ অনুভব করার মতো ও অশ্রু ঝরানোর মতো মানবিক বিষয়’। ‘তিনি বলেন, ‘তবে আমি উদযাপন করছি না। শেষ জিম্মি ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আমি কোনো উৎসব উদযাপন করছি না। আমাদের সন্তান, বাবা, মা, বোনেরা বর্তমানে জিম্মি।’
কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তিতেও মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে পারে। এ জন্য শর্তও রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতি এক দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য হামাসকে ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
মন্তব্য করুন