আল্লাহর অনুগ্রহ কামনায় মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
রোদ আর গরমে জামালপুরের ইসলামপুরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। কৃষকরা ফসল তুলতে হিমশিম খাচ্ছে রোদের মধ্যে। তাপ থেকে পরিত্রাণ ও বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় ইসলামপুর সরকারি নেকজাহান মডেল হাইস্কুল মাঠে এ নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন, উপজেলার জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা মুহতামীম আলহাজ হজরত মাওলানা আব্দুল খালেক। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। মুসল্লিদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নামাজে অংশগ্রহণ করা ইসলামপুর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, অসহনীয় গরম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা ও বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। হাফেজ মো. ফয়জুর রহমান মুহতামীন বলেন, আল্লাহর কাছে মনের থেকে মোনাজাত করেছি। তিনি যেন আমাদের নামাজ ও দোয়া কবুল করেন। বৃষ্টি দিয়ে যেন তিনি তার জমিনকে শীতল করে তার বান্দাদের মনের কষ্ট দূর করে দেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহে বৃষ্টি চেয়ে হাজারো মুসল্লির কান্না
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল ঈদগা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মুসল্লি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডে মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। এতে সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশ নেয়। নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাতুয়াইল কবরস্থান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আল্লামা মুফতি নাহিদুর রহমান মৃধা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের আলেম, ওলামা এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এ সময় ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসল্লিরা ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির কামনায় ফরিয়াদ করেন। এর আগে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে আমাদের একমাত্র আর্জি তিনি যেন আমাদের নিয়ত কবুল ও মঞ্জুর করেন এবং দ্রুত বৃষ্টি দিয়ে দাবদাহ থেকে আমাদের মুক্তি দেন। আমিন।  এ সময় সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আসুন সব হিংসা বিদ্বেষ ভুলে আমরা এককাতার শামিল হই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। আমাদের আমল ছাড়া পরকালে কিছুই নিয়ে যেতে পারব না। তাই আল্লাহ ও নবী রাসুলের পথ অবলম্বনের বিকল্প নেই। কেননা, কেয়ামতের আলামত দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। পরকালে বেহেশতে যেতে নামাজ-রোজা এবং আল্লাহ ও নবী রাসুলের পথে চলার বিকল্প নেই। এ ইসতিসকার নামাজে ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত বাসিন্দা ছাড়াও ঢাকা -৫ নির্বাচনী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৬৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল, ডেমরা থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম আলো, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতা জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তনুর খান শান্ত, পাড়া ডগাইর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, ৬৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. সোহেল খান, ৬৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এনামুল ইসলাম এনাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাছান মাহমুদ অপু প্রমুখ।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ওদের ঘরে নেই ঈদের আনন্দ / ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী জেলে কান্না থামছে না স্ত্রীর
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর এলাকায় গত বুধবার মাদকাসক্ত ছেলে কাউসার বাগমারকে (২৩) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বাবা রশিদ বাগমার। ঘটনার দিনই রশিদ বাগমারকে আটক করে পুলিশ। বতর্মানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। একদিকে ছেলের নির্মম মৃত্যু, অন্যদিকে স্বামী কারাগারে—এমন অবস্থায় পরিবারের ১২ সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রশিদ বাগমারের স্ত্রী মোছলেমা। তিনি অনবরত কেঁদেই চলেছেন। শনিবার সকালে সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জ্ঞান হারিয়ে চৌকি থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন মোছলেমা। তার বড় মেয়ে রুশিয়া ও বড় ছেলের স্ত্রী তাকে চৌকিতে তুলে মাথায় পানি ঢালছেন। পাশেই নাতি-নাতনিরা দাদিকে ডাকছে। ২০ মিনিট পর সুস্থ হয়ে কান্নাজড়ি কণ্ঠে মোছলেমা বলেন, ‘রোজা রেখে কাউছারের বাবা মসজিদের মোয়াজ্জেমের বাড়িতে কুড়াল দিয়ে খড়ি কেটে ৩০০ টাকা পেয়েছে। সেই টাকা ছেলে কাউছারকে এনে দেয়। আমি রোজা রেখেছি পানি পান করে। আমার ছেলে কাউছারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গোপনে স্বর্ণের দুল বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা দিই। সেই টাকা নেশা করে শেষ করেছে। আবার বলে আমার বাড়ি থেকে দুই কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা দিতে। এটা কী সম্ভব। বাড়িতে মোট জমিই মাত্র আড়াই কাঠা।’ মোছলেমা বলেন, ‘দুদিন আগে আমার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে এক বাটি ভাত নিয়ে আসে। সেখান থেকে একটু খেয়েছি। কীভাবে চলব। আমার একমাত্র উপার্জনের মানুষ জেলে। টাকার অভাবে তাকে দেখতে যাইতে পারছি না। কীভাবে ছাড়াব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ এ বিষয়ে বাহদুশাদী ইউপি চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, তিনি অসহায় পরিবারটিকে কিছু টাকা ও ২০ কেজি চাল দিয়েছেন। তবে বাগমারের বাড়ি জামালপুর ইউনিয়ন এলাকায় হলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম পরিবারটিকে কোনো সহায়তায় এগিয়ে আসেননি।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

জুমাতুল বিদায় আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে মুসল্লিদের কান্না
আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা, ঢাকার মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জুমার নামাজের নির্ধারিত সময় আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়েছেন। এরপর বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তারা। এ সময় আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।  মুসল্লিরা বলছেন, আজকের জুমাতুল বিদা কার্যত রমজান মাসকে বিদায় জানানো। এ মাসে ক্ষমাপ্রার্থীর বড় সুযোগ হাতছাড়ার ভয়ে তারা ভীত। এ ছাড়া এ মাসে আল্লাহর রহমত পাওয়ার মহাসুযোগ। তাই শেষ সময় হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে তারা উদ্‌গ্রীব। সরেজমিনে দেখা গেছে, আজানের আগেই ঢাকার মসজিদগুলোতে লোকজন উপস্থিত হতে থাকেন। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে সড়কে চাদর বিছিয়ে নামাজে অংশ নেন। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজের আগে বয়ান করেন খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। তিনি মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। এরপর বিশেষ মোনাজাত করেন। অনেক মুসল্লি বলেন, ‘আল বিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরু রমাদান।’ অর্থাৎ, বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান। জুমাতুল বিদা রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষলগ্নে এর চেয়ে ভালো কোনো দিন আর পাওয়া যাবে না।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

মসজিদের অজুখানায় কান্না করছিল ফুটফুটে নবজাতক
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মসজিদের অজুখানা থেকে এক ফুটফুটে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামের একটি মসজিদের অজুখানা থেকে এ নবজাতক ছেলে শিশুটি পাওয়া যায়।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন রাত ১টার দিকে মসজিদের অজুখানায় নবজাতকটিকে কেউ রেখে যায়। পরে কান্না শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে নবজাতকটিকে দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তানভীর হাসান জিকো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত প্রায় ১টার দিকে হোসেনপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নবজাতকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ও খাবারের জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

গাজায় শিশুদের কান্না করার মতো শক্তিও নেই : ইউনিসেফ
দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলার সঙ্গে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। না খেতে পেয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, অনাহারে শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার। রোববার (১৭ মার্চ) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আরও হাজার হাজার শিশু আহত হয়েছে। অথবা এসব শিশু কোথায় আছে তা-ও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে শিশুদের এত মৃত্যুর হার দেখিনি। তিনি বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে ছিলাম। তারা মারাত্মক রক্তস্বল্পতাজনিত অপুষ্টিতে ভুগছে। অথচ পুরো ওয়ার্ড একেবারে নীরব। কারণ শিশুদের গায়ে কান্না করার মতো শক্তিও নেই। রাসেল বলেন, ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ যুদ্ধের কারণে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় গড়াগড়ি করে কান্না
মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের বারান্দায় গড়াগড়ি দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি চিৎকার করে তিনি বলেন, চক্রান্ত করে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। পরে পুলিশ ও রিটার্নিং অফিসের লোকজন তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আকতার।  আব্দুল আলী বেপারীর বাড়ি মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার সিংজুড়ি ইউনিয়নের ভেড়াডাঙ্গা গ্রামে। তিনি ইট ও বালুর ব্যবসা করেন।      স্বতন্ত্র প্রাথী আব্দুল আলী বেপারীর কাগজপত্রের মধ্য তার নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের তালিকা দিতে না পারায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় বলে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‌‘এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাকে মানুষ ভোট দিবে সেই বিশ্বাস আমার আছে। এজন্য চক্রান্ত করে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে।’  মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান তিনি। আব্দুল আলী বেপারী এর আগেও ২০১১-১৬-২১ সালেও তিনবার ঘিওর উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। টানা তিনবারই ইউপি নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

চট্টগ্রামে পাহাড়ের বোবা কান্না শুনছে না কেউ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাতগড় লম্বা শিয়ার পাহাড়ের মুখ এলাকায় সংরক্ষিত বন বিভাগের জায়গায় শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করে, বালু জব্দ করে, পুণরায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে। বালু উত্তোলনকারীরা শ্যালু মেশিন বসিয়ে বালু তুলে নিলাম দেওয়া বালুর উপর পুণরায় বালু জমা করছে।  স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, বালু নিলাম নেওয়া ব্যক্তি ও উত্তোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের একটা যোগসাজস রয়েছে। কারণ বালু উত্তোলনকারীরাই তাদের উত্তোলনকৃত বালুগুলো বারবার নিলাম নিযে থাকে।প্রশাসনও তাদের সুযোগ দেওযার জন্য মাস দেড়েক পরে একবার অভিযান চালিয়ে আসে। স্থানীয়রা আরও বলেন, নিয়ম মোতাবেক প্রতি ঘনফুট বালুর মূল্য ২০ টাকা হয়। অথচ প্রশাসন নিলাম দিয়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা, কোনো সময় আবার ৫ থেকে ৬ টাকাও দিয়েছে। তারা বলেন নিলামকারীর সাথে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গোপন আঁতাত করে এসব কাণ্ড চালাচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের বনাঞ্চল।  এই বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সম্পদ,যা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওই বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল। তবে অন্যায়ভাবে পাহাড় কাটার ফলে তাদের আবাসস্থল নষ্টের সাথে দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংকট। ফলে মাঝেমধ্যে বন্য হাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসে জনসাধারণের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে থাকে। এ ছাড়া ফসলের ক্ষতিসহ মানুষের প্রাণহানী ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব এলাকার লোকজন চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের সাতগড় বনবিট ও পদুয়া রেঞ্জর ডলু বনবিটের আওতাধীন ঘোড়ামারা, করিম্মাকাটা, বদারবর ঘোনা, সাইটতালা ও লম্বাশিয়া এলাকায় সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড়ের ছড়ায় আনুমানিক ২০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পাহাড়ের মধ্যে প্রায় ৩০টির মত পাহাড় ইতোমধ্যে বালুখেকোরা সাবাড় করে দিয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য নির্ধারিত এসব পাহাড় বিলীন হয়ে যাওয়াই নিয়মিত চলার পথ হারিয়ে হাতিরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।  প্রসঙ্গত গত বছরের চলতি মাসের ২৬ তারিখে বালুখেকোদের বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এখানে একটি হাতি শাবক গর্তে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। বালু উত্তোলন করার ফলে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকায় হাতির দল নিয়মিত বিচরণ করে। গত বছর চলতি মাসে একটি হাতি বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট গর্তে পড়ে মারাও গেছে। আর মাত্রাতিরিক্ত বালু পরিবহনের গাড়ি চলাচলের ফলে সড়কের বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। বর্ষার মৌসুমে আমাদের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া ধুলোবালি সারা শরীরে এমনকি নাকের ভিতর ঢুকে যায়, যা পরবর্তীতে শ্বাস কষ্ট হয়। এই পাহাড় নিধনের ফলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ঝুকির মধ্যে, যা পরিবেশ প্রকৃতির জন্য এক মহাবিপদ সংকেত। এভাবে দিন কিংবা বছরের পর বছর পাহাড় ধ্বংসের ফলে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নীরব। তারা আরও জানান, বেশ কয়েকদিন আগে অভিযানে বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হলেও আবার শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবেশবাদী কর্মী ও শিক্ষক সানজিদা রহমান বলেন, বালু উত্তোলন এখানকার একটি নিয়মিত ব্যবসায় পরিণত হয়ে গেছে। এখানকার মানুষ এইটা ধরে নিয়েছে বা এটা শিক্ষার অভাব বা সচেতনতার অভাব হতে পারে। এই বালু উত্তোলন একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে, আমি প্রায় দেড় বছর যাবৎ পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি, এখানে দেখা যাচ্ছে অবৈধ বালু যখন প্রশাসন এসে জব্দ করে নিলামে, বিক্রি করে দেয়, তখন ওই সিন্ডিকেটরা কিনে নেয়। কিন্তু যে পরিমাণ বালু জব্দ করে সে পরিমাণ বালু থেকেই থাকে। প্রতিদিন দেড়শো থেকে ২০০ ট্রাক করে বালি নেওয়ার পরও কমে না। স্যালো মেশিন দিয়ে পাহাড় কেটে বালু উঠাতে থাকে, কাজেই নিলাম কোনো সমাধান না। যে পরিমাণ বালু সিন্ডিকেটরা বের করছে প্রশাসনের সাহায্যে সে পরিমাণ বালু ওই স্থানে ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর অর্থদণ্ড কিংবা অন্যান্য আইনি দণ্ডে দণ্ডিত করতে হবে এবং দুর্গম পাহাড় কেটে যে রাস্তা করছে তা বন্ধ করে সিলগালা করে দিতে হবে। লোহাগাড়া উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার নাজমুন লায়েল বলেন, জব্দকৃত বালি নিলামে দেওয়ার পর নতুন করে বালু উঠানোর কোনো সুযোগ নেই। লম্বা শিয়াসহ অন্যান্য পাহাড় কাটা বন্ধের ব্যাপারে আমরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসে আলোচনা করে একটা স্থায়ী পদক্ষেপ নেব। এই অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটি কিংবা বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিও পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। সেখান থেকে উত্তরণের সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুনতি রেঞ্জাধীন সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে যাচাই করে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করবো। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাহাড় ও পাহাড়ের ভেতর চলমান ছড়া থেকে অনিয়ন্ত্রিত বালি তোলা হলে পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা থাকে। এটি বনভূমির জন্য ক্ষতিকর। তাই কাউকে পাহাড় ও বনের ভেতর চলমান ছড়া থেকে বালি উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয় না। যারা এসব করছেন অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলি বর্বরতা / গাজায় গগনবিদারী কান্না
ইসরায়েলি হামলায় নরক হয়ে ওঠা ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিমুহূর্তে চলছে গগনবিদারী কান্নার আওয়াজ। কিছুক্ষণ পরপর শুরু হওয়া অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন সেই কষ্টকে যেন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পুরো গাজা হয়ে উঠেছে যেন এক ধ্বংসস্তূপ। সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেক মানুষ। তাদের উদ্ধারে চলছে প্রাণপণ চেষ্টা। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে সেই উদ্ধার তৎপরতাও হয়ে পড়েছে অনেক কঠিন। এরই মাঝে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর আগে গত মঙ্গলবার গাজায় ঢুকে পড়া ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের সঙ্গে তুমুল লড়াই হয় হামাস সদস্যদের। সেই লড়াইয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলের আরও ১১ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে নিজ সেনাদের হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা এক কঠিন যুদ্ধের মধ্যে আছি।’ এদিকে আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো রাফাহ ক্রসিং খুলে দিয়েছে মিশর। কাতারের মধ্যস্থতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে আহত বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে এদিন মিশরে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া এ সীমান্ত পথ দিয়ে গতকাল অনেক বিদেশি নাগরিককেও সরিয়ে নেওয়া হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। ইসরায়েলি সেনারা মঙ্গলবার গাজায় স্থল অভিযানে গিয়ে ব্যাপক প্রতিরোধের মধ্যে পড়ে। হামাস যোদ্ধাদের হামলায় এ সময় ১১ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয় আরও কয়েক সেনা। উত্তর-পূর্ব গাজার বেইত হ্যানউনে ইসরায়েলের চারটি সামরিক গাড়ি একদম গুঁড়িয়ে দেয় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে নিহত সেনাদের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়, মঙ্গলবার হামাসের হামলায় মারা যাওয়া ১১ ইসরায়েলি সেনার সবার বয়সই ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীও এক বিবৃতিতে হতাহতদের এ সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা এক কঠিন যুদ্ধে আছি। এ যুদ্ধ দীর্ঘ হতে যাচ্ছে।’ অন্যদিকে বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, মঙ্গলবার গাজায় অভিযান চালাতে গিয়ে হামাসের হামলায় ৯ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এতে করে গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলি সেনার মোট সংখ্যা ৩২৬ জনে পৌঁছেছে। আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য খুলল রাফাহ ক্রসিং : এদিকে কাতারের মধ্যস্থতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে আহত বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মিশরে নেওয়া হয়েছে। বুধবার আলোচিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মিশরে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনিদের জন্য সীমান্ত খুলে দিল প্রতিবেশী দেশটি। তবে শুধু আহত ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে ভর্তি করার জন্যই এ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল বেশ কয়েকজন আহত ফিলিস্তিনিকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় মিশর, ইসরায়েল ও হামাসের সমঝোতা চুক্তির আওতায় বেশকিছু বিদেশি ও গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ গাজা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মিশরীয় এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বুধবার আহতদের পাশাপাশি ৫০০ বিদেশি পাসপোর্টধারীকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মিশর এ ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবার সকালে থেকে রাফাহ ক্রসিংয়ে শত শত মানুষকে জড়ো হতে দেখা যায়। বিবিসি জানিয়েছে, প্রথমে গুরুতর আহত ৮৮ ফিলিস্তিনিকে সীমান্ত পার হতে দেওয়া হবে। এরপর বিদেশি নাগরিকদের যেতে দেওয়া হবে। রাফাহ ক্রসিং মিশরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্ত পথ, যেটি গাজার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটিই এখন বন্ধ আছে। ফলে মিশরের এই সীমান্ত পথটিই এখন গাজার অসহায় মানুষের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই সীমান্তটি মিশরও বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর বেশ কয়েক দিন আলোচনার পর গত সপ্তাহে গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশের জন্য এই সীমান্ত ক্রসিংটি সীমিত সময়ের জন্য খুলে দেয় মিশর। এবার আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্য ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার অনুমতি দিল দেশটি। প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি। নিহতদের মধ্যে ৩২৬ সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এ ছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ আরও দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এ ঘটনার জের ধরে গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিশু, ২ হাজারের বেশি নারী এবং প্রায় ৫০০ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলের এ বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনো অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক মানুষের বাড়িঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। একই সঙ্গে গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

পা ধরে কান্না করলেও বাইডেন কারও সঙ্গে সেলফি তোলেন না : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেছেন, পা ধরে কান্নাকাটি করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কারও সঙ্গে সেলফি তোলেন না। সেখানে নিজের ফোন দিয়ে নিজ হাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন বাইডেন।  বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ হলে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি তোলা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। মেয়র তাপস বলেন, ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশ নিয়েছেন। জো বাইডেন তাদের কারও সঙ্গে সেলফি তো দূরের কথা, আলাদা একটি ছবিও তোলেননি। অথচ সেই বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসে বললেন, ‘ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার, আপনার সঙ্গে একটি সেলফি তুলতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেওয়ার পর বাইডেন নিজের মোবাইলে নিজ হাতে সেলফি তুলেছেন। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এ সেলফি বিশ্বদরবারে আমাদের মর্যাদা সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে, তা কোনোদিন চেয়েও পাওয়া যেত না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন নিয়ে ইতিহাস রচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জীবন নিয়ে ইতিহাস রচনার এখনই সময়। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহবায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনির, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X