কুকুর বিক্রি করে আয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা
দিনাজপুর সদরে বাণিজ্যিকভাবে কুকুরের খামার দিয়েছেন জাহিদ ইসলাম সোহাগ নামে একজন যুবক। বিদেশি বিভিন্ন জাতের কুকুর পালন করে করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। সেই খামার থেকে কুকুর বিক্রি করে মাসে আয় করছেন লাখ টাকারও বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা কুকুর সংগ্রহ করছেন তার খামার থেকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনাজপুর শহর থেকে দুই কিলেমিটার উত্তরে চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর নয়নপুর এলাকায় ‘ডগ হাউজ’ নামে এ কুকুরের খামার। খামারে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কুকুর। সোহাগের কুকুরের খামার দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসে অনেক মানুষ। কুকুরগুলো বেশ প্রভুভক্ত। খামারের শ্রমিকদের সঙ্গে বেশ ভাব এদের। তাদের নির্দেশ মতো খেলা করছে, ছোটাছুটি করছে। জাহিদুল ইসলাম সোহাগ কালবেলাকে বলেন, বছরখানেক আগে শখের বশে সোহাগ প্রথমে একটি ও পরে দুটি বিদেশি কুকুর নিয়ে শুরু করি। প্রথমে তিনটি ও পরে সাতটি বাচ্চার মাধ্যমে ভাগ্য খুলে যায়। পরে অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করি কুকুর বিক্রি। খামারে আমেরিকান লাসা, টয় কোরিয়ান, জাপানি লাসা, চায়না লাসা, জার্মান শেপার্ড, ব্লাক শেপার্ড, উল্ফ, এলসেশিয়ান, গোল্ডেন রিটাইভারসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬৫টি কুকুর রয়েছে।  তিনি বলেন, প্রকারভেদে এসব কুকুর ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। বাণিজ্যিকভাবে কুকুর বিক্রিতে প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হয়। স্থানীয় যুবক রনি নামে একজন বলেন, কুকুরগুলো বেশ প্রভুভক্ত। সোহাগ ভাই এবং তার লোকজন যা বলে কুকুরগুলো তাই শুনে। চুপ থাকতে বললে কুকুরগুলো মাথা নিচু করে বসে বা শুয়ে পড়ে। কোনো লাফালাফি করে না। দিনাজপুর সদর জেলা ভেটেরিনারি অফিসার  ড. আশিকা আকবর তৃষা বলেন, সতর্কতা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে খামারটি পরিচালিত হলে খামারি বেশ লাভবান হবেন। নিয়মিত ভ্যাকসিন করা, কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়া, রুটিন চেকআপ করাতে হবে। তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন রোগজীবাণু না ছড়ায় সেদিকে বেশি নজর দিতে হবে। খামারে হিংস্র কুকুরও রয়েছে তাই সতর্ক থাকতে হবে সবসময়।
০১ মে, ২০২৪

বাসার সামনে খেলছিল শিশুটি ক্ষতবিক্ষত করল কুকুর
রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় মাহিনুর খাতুন (৫) নামে এক শিশুকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে কুকুর। গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিশুটি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে আল-ফালা স্কুলের বিপরীত পাশে একটি বাসায় থাকে। অটোচালক মতিউর রহমান ও কুলসুম বেগম দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে মাহিনুর ছোট। শিশুর মামা মো. মাসুদ বলেন, দুপুরের দিকে আমার ভাগ্নি বাসার পাশের রাস্তায় খেলছিল। এ সময় একটি পাগলা কুকুর তাকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে। পরে মাথা-মুখ ও ডান হাতে কামড়ায়। চিৎকার শুনে আমরা বাসা থেকে বের হয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় সে রাস্তায় পড়ে আছে। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুকুরের কামড়ে শিশুটির সারা মুখমণ্ডল ও মাথা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

চিতাবাঘের আক্রমণ থেকে তারকা ক্রিকেটারকে বাঁচাল কুকুর
আবারও প্রাণে বেঁচে গেলেন জিম্বাবুয়ের সোনালি প্রজন্মের তারকা ক্রিকেটার গাই হুইটাল। এবার চিতাবাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। পোষা কুকুরের সহায়তায় বেঁচে যান জিম্বাবুয়ের জার্সিতে ১৪৭ ওয়ানডে খেলা এ অলরাউন্ডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন গাই হুইটালের স্ত্রী হানা হুইটাল। সাবেক এ তারকা ক্রিকেটারের সাফারির ব্যবসা রয়েছে। তুরগে ও সেভ নদীর মাঝে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তার। সেই ব্যবসায়িক কাজেই বের হয়েছিলেন তিনি। এমন সময় তাকে আক্রমণ করে একটি চিতাবাঘ।  অনেক চেষ্টা করেও বাঘটির কাছ থেকে ছাড়া পাননি তিনি। তখন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তার পোষা কুকুর চিকারা। পরে চিতাবাঘটি কুকুরটিকেও আক্রমণ করে। যদিও শেষ পর্যন্ত চিতাবাঘের কাছ থেকে রক্ষা পান দুজনই।  হুইটালের স্ত্রী হানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সে খুবই ভাগ্যবান মানুষ। প্রথমে কুমির আর এখন চিতাবাঘের হাত থেকে রক্ষা পেল। সে ভাগ্যবান যে চিকারা (পোষা কুকুর) ওর (হুইটাল) সঙ্গে ছিল। হুইটালকে সাহায্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। না হলে কী হতো আমরা কেউ জানি না। আপাতত হুইটালের গায়ে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে। তবে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিচিত্র / কুকুর পালানোয় বন্ধ হলো টানেল!
পোষ্য হারমায়োনিকে নিয়ে এক নারী ও তার স্বামী গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন মেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে। ভূগর্ভস্থ টানেলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কুকুরটি আকস্মিকভাবে পালিয়ে যায়। এতে বিপদের ইলেকট্রনিক সিগন্যাল চলে যায় ট্রাফিক বিভাগে। বন্ধ হয়ে যায় হাইওয়ে টানেলের যান চলাচল। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরের লিগ্যাসি টানেলে গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। টানেলটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সুরবান জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সী মাল্টা জাতের কুকুরটি টানেলে পালিয়ে যাওয়ায় ‘সামনে ট্রাফিক বিপত্তি’ সিগন্যাল যায় এর ইলেকট্রনিক সিস্টেমে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় পুরো টানেল। পরে অবশ্য ট্রান্সুরবান কর্মীরা কুকুরটিকে ধরে ফেলেন এবং নিরাপদে টানেল থেকে বের করেন। হারমায়োনির মালিক জো থেল্যান্ডার বলেন, আমি ও আমার স্বামী জোন টুউম্বায় মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় কুকুরটি অজানা কারণে পালিয়ে যায়। যাইহোক পরে সেখান থেকে হারমায়োনিকে নিয়ে নিরাপদে আমরা বাড়ি ফিরে আসি। পরেরদিন আমরা চাপমুক্তভাবে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। সূত্র: ইউপিআই
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ভূমিকম্পে আটকা পড়াদের খুঁজে বের করে জাতীয় বীরের মর্যাদা পেয়েছে কুকুর
গত সপ্তাহের ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে তাইওয়ানে। দেশটিতে ২৫ বছরের মধ্যে হানা দেওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। ভূমিকম্পের তিন দিন পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে ছিল কয়েকশ মানুষ। আর সেই আটকে পড়াদের খুঁজে বের করায় দারুণ কাজ দেখিয়ে দেশটির মানুষদের হৃদয় জয় করেছে নিয়েছে একটি কুকুর। খবর সিএনএনের। রজার নামের ল্যাব্রাডর কুকুরটিকে এর আগে পুলিশের মাদক অনুসন্ধানী কাজে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে কুকুরটি মনোযোগী না হওয়ায় তাকে এ কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই কুকুরটিই দারুণ কাজ দেখায় ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাতে।  উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো আটকে পড়া মানুষ এবং মৃতদেহ শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গত বুধবারের ভয়ানক ভূমিকম্পের পরে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ দ্রুত কিছু কুকুরের সাহায্য নেয়। ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোতে আটকে পড়াদের খুঁজে বের করতে চমৎকার কাজ দেখিয়েছে কুকুরগুলো। উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা কুকুরদের একটি রজার। ভূমিকম্পে নিহত ১৩ জনের মধ্যে একজনের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে সাহায্য করে সে। রজার এবং তাকে নিয়ে অনুসন্ধান চালানো উদ্ধারকারী দল প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত তারোকো ন্যাশনাল পার্কের শাকাডাং ট্রেইলে ২১ বছর বয়সী এক নিখোঁজ নারীর মৃতদেহ খুঁজে পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের সরকারি সংবাদসংস্থা সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (সিএনএ)।  যদিও অন্য কুকুরগুলো একই ধরনের ভূমিকা পালন করে, তার পরও রজারই বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে দ্বীপবাসীর। এর একটি বড় কারণ তার ক্যারিয়ারের প্রাথমিক ব্যর্থতা এবং এর পেছনের গল্প। রজার ড্রাগ-স্নিফিং, অর্থাৎ মাদক অনুসন্ধানী কুকুরদের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে জন্ম নেয়। কিন্তু সব সময় আনন্দ করতে পছন্দ করা, খাবার এবং মানুষদের প্রতি তার ভালোবাসা বেশি। ফলে প্রশিক্ষকদের আদেশের প্রতি গুরুত্ব দেখাতো না সে। একারণে পুলিশের মাদক গোয়েন্দা কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে।  কিন্তু তার উচ্ছ্বলতা এবং বুদ্ধিমত্তা তাকে উদ্ধারকারী কুকুর হওয়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী করে তোলে। আর তাই এই কাজেই নিয়োগ করা হয় তাকে।  
১০ এপ্রিল, ২০২৪

পাঁচ ঘণ্টায় ১৩ জনকে কামড়াল কুকুর
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১৩ জন আহত হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা নাগাদ উপজেলাসহ পৌর শহরের পৃথক পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- পৌর ৫নং ওয়ার্ডের তারিয়াপাড়া এলাকার রিতা (৩৬), কালু মিয়া (৪৫), সিমলা বাজার এলাকার পল্লবী (৫৫), তামিম (৩), পৌর ৬নং ওয়ার্ডের চকহাট বাড়ী এলাকার মাসুমা বেগম (৫৫), ধানাটা গ্রামের রবিউল ইসলাম (৩৮), রিয়াদ ইসলাম (১৬), মহাদান ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের সাদিয়া (১১), ইসমাইল হোসেন (৫৫) ও ভাটারা ইউনিয়নের ফুলদহ এলাকা হতে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে আসা বৃদ্ধা জমিলা বেগম (৬০) সহ মোট ১৩ জন।  আহতদেরকে আরআইজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রবিউল ইসলাম। রবিউল ইসলাম বলেন, বিকেলে দুইজন রোগী আসে এবং তারা বলে পাগলা কুকুরে কামড় দিয়েছে। ওই দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে আরও ৫/৬জন করে আসা শুরু করে। কেউ জরুরি আহত হয়নি। কিন্তু সকলের পায়ে কুকুরের কামড় দেখা গেছে। তাই সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিছু মানুষকে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দিয়ে কাভার করতে পেরেছি। আর বাকিরা বাইরে থেকে কিনে এনে দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নিয়ে পাগলা কুকুরগুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
০৪ মার্চ, ২০২৪

২৪ বার কামড়েছে বাইডেনের কুকুর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর হোইট হাউসে উঠেছিলেন দুটি কুকুর নিয়ে। তাদেরই একটার নাম কমান্ডার। এই কমান্ডার এতটাই বেপরোয়া যে যখন-তখন, যাকে তাকে কামড়ে বসে। এই কুকুরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরাও। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, অন্তত ২৪ বার কামড় দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কুকুর কমান্ডার। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নতুন নথি এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের সিক্রেট সার্ভিসের তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বাইডেনের কুকুর। এই জার্মান শেফার্ড এ পর্যন্ত ২৪ বার কামড় দিয়েছে। তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতার ভিত্তিতে নথিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।  প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনকে কামড় দিয়েছে। কখনো সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের কব্জি, বাহু, কনুই, কোমর, বুক, ঊরু ও কাঁধে কামড় দিয়েছে ক্ষ্যাপাটে এই কুকুর। গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে হোয়াইট হাউসের এক নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিসের এক এজেন্টকে কামড় দিয়েছিল বাইডেনের পোষা কুকুর। তারপর ০৪ অক্টোবরে হোয়াইট হাউসে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বাইডেনের কুকুরটিকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কমান্ডারকে সবার সামনে নিয়ে আসে বাইডেন। তখন তিনি মুখে টেনিস বল নিয়ে কুকুরছানার দৌড়ের একটি ছবি টুইট করেছিলেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘হোয়াইট হাউসে তোমাকে স্বাগতম। মূলত, বাইডেনের দুটি জার্মান শেফার্ড কুকুর আছে। তার অপর কুকুরের নাম মেজর। এই দুটি মধ্যে কমান্ডার বয়সে ছোট। বাইডেনের ভাই জেমস কমান্ডারকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। তাকে নিয়েই প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ওঠেন বাইডেন দম্পতি। একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া, আমেরিকার ইতিহাসে প্রায়, সব প্রেসিডেন্টই কোনো না কোনো প্রাণী পালতেন। বিভিন্ন সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পোষা প্রাণী হিসেবে হোয়াইট হাউসের আঙিনায় পা পড়েছে ঘোড়া, সাপ,  পেঁচা এমনকি হাতিরও। দেশটির ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট সাপও পালতেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বরিশালে দোকানে বিক্রির উদ্দেশে কুকুর জবাই!
বরিশাল নগরীর বটতলা বাজারে একটি কুকুরকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক কসাইয়ের বিরুদ্ধে।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে রায়হান পলাতক রয়েছে।  এলাকাবাসী জানায়, বিকেলে একটি কুকুর গলাকাটা অবস্থায় দৌড়ে বটতলা মোড় এলাকায় আসে। পরে প্রায় একঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় কুকুরটি। তাদের ধারণা কুকুরটিকে মাংসের দোকানে বিক্রির উদ্দেশে জবাই করা হয়। নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ও পথ-কুকুরদের দেখভাল করা ডা. তাবাছুম বলেন, কুকুরটির নাম সেট। প্রায় তিন বছর ধরে কুকুরটি বটতলা বাজারে থাকত। প্রায় সময় এসে আমি কুকুরটি দেখভাল করতাম। কুকুরটির গলায় নাম সংবলিত একটি বেল্ট পরানো ছিল।  রোববার বিকেলে খবর পেয়ে আমি বটতলা বাজারে ছুটে আসি। তিনি অভিযোগ করেন, ছাগলের মাংস হিসেবে বিক্রি করতেই কুকুরটিকে জবাই করা হয়েছে।  বরিশাল অ্যানিমেল কেয়ার টিমের সভাপতি সৈয়দ রিমেল বলেন, এ ঘটনায় মামলা করবেন তারা। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বটতলা বাজারের মাংস বিক্রেতা হুমায়ুন কবির সিকদার বলেন, রায়হান এ বাজারে কোনো দোকানে থাকে না। এঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। কেউ তাদের ক্ষতিসাধন করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনিসুল হক।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মাংস খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুকুর পালন নিষিদ্ধ দ.কোরিয়ায়
কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন পাস করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে নতুন আইন এখই কার্যকর হচ্ছে না। তিন বছর পর ২০২৭ সালে এই আইন কার্যকর হবে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। মঙ্গলবার দেশের সংসদে এ বিষয়ে বিল উত্থাপন করে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল। এরপর সরকারি ও বিরোধী দলের যৌথ সমর্থনে বিলটি পাস হয়। বিলের পক্ষে ২০৮ জন সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন। আর দুজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। নতুন আইন অনুযায়ী, মানুষের খাওয়ার জন্য মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে কুকুর পালন এবং জবাই করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এই অপরাধ করলে তার তিন বছরের জেল বা ৩ কোটি ওয়ান জরিমানা হতে পারে। তবে কুকুরের মাংস খাওয়ার জন্য কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। কোরীয় উপদ্বীপে কুকুরের মাংস খাওয়া শতাব্দী প্রাচীন প্রথা। তবে গত কয়েক বছর ধরে পশু অধিকারবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কুকুরের মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংষ খাওয়া নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে অনেক সরকার। তবে এ বিষয়ে তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং ফার্স্ট লেডি কিম কেওন হি পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। এই দম্পতির ৬টি পোষা কুকুর ও ৮টি বিড়াল রয়েছে। ফলে ইউন সুক ইওলের আমলে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। এমনকি ফার্স্ট লেডি কিম কেওন এই প্রথার বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার।  
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪
X