গত সপ্তাহের ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে তাইওয়ানে। দেশটিতে ২৫ বছরের মধ্যে হানা দেওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। ভূমিকম্পের তিন দিন পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে ছিল কয়েকশ মানুষ।
আর সেই আটকে পড়াদের খুঁজে বের করায় দারুণ কাজ দেখিয়ে দেশটির মানুষদের হৃদয় জয় করেছে নিয়েছে একটি কুকুর। খবর সিএনএনের।
রজার নামের ল্যাব্রাডর কুকুরটিকে এর আগে পুলিশের মাদক অনুসন্ধানী কাজে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে কুকুরটি মনোযোগী না হওয়ায় তাকে এ কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই কুকুরটিই দারুণ কাজ দেখায় ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাতে।
উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো আটকে পড়া মানুষ এবং মৃতদেহ শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গত বুধবারের ভয়ানক ভূমিকম্পের পরে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ দ্রুত কিছু কুকুরের সাহায্য নেয়। ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোতে আটকে পড়াদের খুঁজে বের করতে চমৎকার কাজ দেখিয়েছে কুকুরগুলো।
উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা কুকুরদের একটি রজার। ভূমিকম্পে নিহত ১৩ জনের মধ্যে একজনের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে সাহায্য করে সে। রজার এবং তাকে নিয়ে অনুসন্ধান চালানো উদ্ধারকারী দল প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত তারোকো ন্যাশনাল পার্কের শাকাডাং ট্রেইলে ২১ বছর বয়সী এক নিখোঁজ নারীর মৃতদেহ খুঁজে পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাইওয়ানের সরকারি সংবাদসংস্থা সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (সিএনএ)।
যদিও অন্য কুকুরগুলো একই ধরনের ভূমিকা পালন করে, তার পরও রজারই বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে দ্বীপবাসীর। এর একটি বড় কারণ তার ক্যারিয়ারের প্রাথমিক ব্যর্থতা এবং এর পেছনের গল্প।
রজার ড্রাগ-স্নিফিং, অর্থাৎ মাদক অনুসন্ধানী কুকুরদের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে জন্ম নেয়। কিন্তু সব সময় আনন্দ করতে পছন্দ করা, খাবার এবং মানুষদের প্রতি তার ভালোবাসা বেশি। ফলে প্রশিক্ষকদের আদেশের প্রতি গুরুত্ব দেখাতো না সে। একারণে পুলিশের মাদক গোয়েন্দা কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে।
কিন্তু তার উচ্ছ্বলতা এবং বুদ্ধিমত্তা তাকে উদ্ধারকারী কুকুর হওয়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী করে তোলে। আর তাই এই কাজেই নিয়োগ করা হয় তাকে।
মন্তব্য করুন