কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন পাস করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে নতুন আইন এখই কার্যকর হচ্ছে না। তিন বছর পর ২০২৭ সালে এই আইন কার্যকর হবে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
মঙ্গলবার দেশের সংসদে এ বিষয়ে বিল উত্থাপন করে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল। এরপর সরকারি ও বিরোধী দলের যৌথ সমর্থনে বিলটি পাস হয়। বিলের পক্ষে ২০৮ জন সংসদ সদস্য ভোট দিয়েছেন। আর দুজন ভোটদানে বিরত ছিলেন।
নতুন আইন অনুযায়ী, মানুষের খাওয়ার জন্য মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে কুকুর পালন এবং জবাই করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এই অপরাধ করলে তার তিন বছরের জেল বা ৩ কোটি ওয়ান জরিমানা হতে পারে। তবে কুকুরের মাংস খাওয়ার জন্য কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।
কোরীয় উপদ্বীপে কুকুরের মাংস খাওয়া শতাব্দী প্রাচীন প্রথা। তবে গত কয়েক বছর ধরে পশু অধিকারবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কুকুরের মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ।
এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংষ খাওয়া নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে অনেক সরকার। তবে এ বিষয়ে তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং ফার্স্ট লেডি কিম কেওন হি পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। এই দম্পতির ৬টি পোষা কুকুর ও ৮টি বিড়াল রয়েছে। ফলে ইউন সুক ইওলের আমলে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। এমনকি ফার্স্ট লেডি কিম কেওন এই প্রথার বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার।
মন্তব্য করুন