বোলারদের নৈপুণ্যে টাইগারদের শ্বাসরুদ্ধকর জয়
বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট হিসেবেই খ্যাত মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। সেই হোমেই দীর্ঘ সময় পর ফিরেছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের ফেরাটা অবশ্য আরেকটু হলেই হতে যাচ্ছিল অস্বস্তির। তবে বোলাররা সেই অস্বস্তি দূর করে এনে দিল স্বস্তির এক জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও জয় তুলে নিল টিম টাইগার্স। অবশ্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও দারুণ এই জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি বোলারদের। শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেয়া ১৪৪ রানের ছোট্ট টার্গেটে স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ১৩৮ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। জিম্বাবুয়ের পক্ষে জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩১ রান। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সল্প রানের টার্গেট দিয়েও জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ৩২ রানেই সফরবারীদের ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররাপ। ওপেনিংয়ে নামা ব্রায়ান বেনেট শূন্য রানে ফেরার পর সিকান্দার রাজা ১০ বলে ১৭ রান করে আউট হন। দুটি উইকেটই নেন তাসকিন আহমেদ। মারুমানি ১৩ বলে ১৪ রান করে সাকিবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। ক্লাইভ মাদানদে ১২ রান করে রিশাদ হোসেনের শিকারে পরিণত হন। তখন ৪ উইকেটে ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৫৭। এরপর ক্যাম্পবেল ও বার্ল মিলে দলের হাল ধরেন। তাদের দুজনের ৩৫ রানের জুটি জিম্বাবুয়েকে প্রাপ্য এক জয়ের স্বপ্ন দেখায়। তবে একই ওভারে বার্ল ও লুক জঙ্গুইকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজুর রহমান। বার্ল ২০ বলে ১৯ ও জঙ্গুই ১ রান করেন। এরপর ফেরত এসে ক্যাম্পবেলকেও ৩১ রানে আউট করেন কাটার মাস্টার। এরপর জিম্বাবুয়ের ভাগ্য নির্ভর করছিল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওপর। তবে শেষ ওভারে সাকিবের অভিজ্ঞতা জিম্বাবুয়ের হাত থেকে একপ্রকার জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে শেষ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দেন সাকিব আল হাসান। যার মধ্যে রয়েছে শেষ দুই বলে দুই উইকেট। ২৯৯ দিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে সাকিব নেন ৪ উইকেট। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশের ওপেনাররা। বিনা উইকেটে ১০১ রানের পর যখন ২০০ রান টার্গেট দেওয়ার কথা সেখানেই নাটকীয় এক ধস। মাত্র ৪২ রানে শেষ ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে ওপেনার তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩ উইকেট।
৫৩ মিনিট আগে

৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে নাটকীয় ধস বাংলাদেশের
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের নিস্পত্তি হয়েছে আগেই তবে তবুও সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সেই লক্ষ্যে টস হেরে উড়ন্ত সূচনাও করেছিল বাংলাদেশ। তবে তারপর বিশাল এক নাটকীয় ধস নাজমুল হাসান শান্তর দলের। অথচ প্রথমে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখায় বড় সংগ্রহের। তবে দুই ওপেনার বাদে বাকি সব ব্যাটারের ব্যর্থতা বাংলাদেশকে ১৫০ রানও করতে দেয়নি। শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশের ওপেনাররা। বিনা উইকেটে ১০১ রানের পর যখন ২০০ রান টার্গেট দেওয়ার কথা সেখানেই নাটকীয় এক ধস। মাত্র ৪২ রানে শেষ ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে ওপেনার তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩ উইকেট। চট্টগ্রামে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেও পুরো সিরিজ জুড়েই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। মিরপুরে ওপেনারদের দুর্দান্ত শুরু অবশ্য কিছুটা হলেও ভরসা দেওয়ার কথা। তবে পরের ব্যাটিং শুধু হতাশাই বাড়াবে। মিরপুরে বাংলাদেশের শেষের কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিং মহাবিপর্যয় শান্ত-জাকেরদের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের সামনে চতুর্থ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত টার্গেট দিতে পেরেছে ১৪৪ রানের। ১০ ওভারের মধ্যে ৯০ রান করা দল থেমেছে ১৯.৫ ওভারে। বাংলাদেশের বিপর্যয়ের শুরু দুই ওপেনারের বিদায়ের পর থেকে। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করার পর তামিম ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন। একই ওভারে ফেরেন ৩৪ বলে ৪১ রান করা আরেক ওপেনার সৌম্যও। চলতি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র ছন্দে থাকা হৃদয় আজ ছিলেন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকে মাত্র ১ রান করে ফিরেন তিনি । একই ওভারের ফিরেছেন ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা অধিনায়ক শান্তও। এরপর ফিরেছেন জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান। এরপর রিশাদ-তাসকিনের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন তাসকিন। শেষে বাকি কেউ ভালো কিছু করতে না পেরে ১৪৩ রানেই থামে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগে

সাকিব-মোস্তাফিজকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মাত্র ২২ দিন পর শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবারের বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা। এরইমধ্যে অবশ্য চট্টগ্রামে হওয়া সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে জয়লাভ করে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নাজমুল হাসান শান্তর দল। সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেও বাংলাদেশ দল এখনও এই সিরিজকে হালকাভাবে নিচ্ছে না। রোডেশিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফিরিয়ে এনেছে দলের দুই বড় তারকা সাকিব ও মোস্তাফিজকে। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তাদেরকে নিয়েই ব্যাটিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচের জন্য দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার। আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় আজকের ম্যাচে মোটামুটি ভারমুক্ত হয়েই আজকে মাঠে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তৃতীয় ম্যাচের একাদশ থেকে অবশ্য বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে। অবধারিতভাবে আজকের ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। এই দুই ক্রিকেটারকে জায়গা দিতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন জায়গা হারিয়েছেন। এছাড়াও বাজে ফর্মের ভিতর দিয়ে যওয়া টাইগারদের ওপেনিং ব্যাটার লিটন দাসকেও আজকের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় দলে এসেছেন ইনজুরিতে প্রথম তিন ম্যাচে না থাকা সৌম্য সরকার। অন্যদিকে সফরকারী জিম্বাবুয়ের এই সিরিজে এখন লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। চতুর্থ ম্যাচে দলে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। দলে নেই জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেগ আরভিন। বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
৫ ঘণ্টা আগে

দ্রাবিড়ের বদলে ভারতীয় দলে বিদেশি কোচ!
জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই ঘোষণা দেওয়ার পরপর শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। চলতি বছরে জুনে শেষ হচ্ছে বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের চুক্তির মেয়াদ।   অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ২০২১ সালে বিরাট-রোহিতদের কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন তিনি। তবে দ্রাবিড় চাইলে পুনরায় এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ। নতুন বিজ্ঞাপনে দেশিয়দের পাশাপাশি বিদেশি কোচদের আবেদন করার সুযোগ রাখা হবে। এই গুঞ্জনে আগামী দিনে ভারতীয় জাতীয় দলের দায়িত্ব বিদেশিদের দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জয় শাহ বলেন, ‘নতুন কোচ ভারতীয় না বিদেশি হবেন, তা তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এটা ঠিক করবে কোচ নিয়োগের জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটি।’ ২০০০ সালে প্রথমবারের নিউজিল্যান্ডের জন রাইটকে ভারতের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে জর্জরিত ছিল ভারতীয় দল। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে তার রসায়ণ জমে ছিল বেশ। ফলে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে ভারত।   রাইট চলে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেলকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয় বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট টালমাটাল শুরু হয় তার আমলে। বাংলাদেশের কাছে হেরে ২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ভারত। একই সঙ্গে বরখাস্ত হয় চ্যাপেলও। পরে গ্যারি কার্স্টেনকে দেওয়া হয় দায়িত্ব। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি। তার অধীনে প্রথমবার টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে ভারত। এমনকি ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপও জেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।   কার্স্টেনের বিদায়ের পর ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেন জিম্বাবুয়ের ডানকান ফ্লেচার। তার অধীনে ২০১৩ সালে সবশেষ আইসিসির বৈশ্বিক আসরের ট্রফি জেতে ভারত।   এরপর থেকে ভারতীয় কোচেরাই দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় দলের কোচের। অনিল কুম্বলে, রবি শাস্ত্রী, রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং ভারতকে জেতাতে পারেনি আইসিসির কোনো ট্রফি। তাই আবারও বিদেশি কোচের দিকে ঝুঁকতে পারে বিসিসিআই।
৮ ঘণ্টা আগে

সাকিব-মোস্তাফিজ ফেরায় যেমন হবে টাইগারদের একাদশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি জন্য জিম্বাবুয়েকে ডেকে আনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি জিতে এরই মধ্যে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরপরও বাকি দুই ম্যাচের জন্য স্কোয়াডের শক্তি বাড়িয়েছে জাতীয় দলের নির্বাচকরা। এতে ফেরানো হয় সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকারকে। আর তাতে না খেলেই বাদ পড়েন আফিফ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন। চলতি বছর জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখবে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে এ ম্যাচের একাদশে। অন্তত দুটি পরিবর্তন নিশ্চিত। সব কিছু ঠিক থাকলে একাদশে ফিরবেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। বছরজুড়ে রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন কুমার দাসকে আরও সুযোগ দেওয়ার পক্ষে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম তিন ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করার পরও সৌম্য সরকারকে জায়গা করে দিতে বেঞ্চে বসতে হতে পারে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে। সুতরাং ওপেনিং লিটনের সঙ্গী হতে পারেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা সৌম্য। তিনে যথারীতি খেলবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। তাই তো নেতৃত্বের পাশাপাশি ফর্মে ফিরতে ব্যাটিংয়েও বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। চারে দেখা যাবে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাকিবকে। ফলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তাওহীদ হৃদয়কে নেমে যেতে হবে পাঁচে। বিশ্বকাপের আগে ডানহাতি ব্যাটারের ফর্ম আস্থা বাড়াচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টের। ছয়ে নিশ্চিতভাতে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর উইকেটের পেছনে থাকবেন জাকের আলি অনিক। আগের তিন ম্যাচের মতো একাদশে দেখা যাবে দুই স্পিনারকে। সেক্ষেত্রে অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গী হতে পারেন রিশাদ হোসেন। ব্যাট হাতে বড় শট খেলার সামর্থ্য এগিয়ে রাখছে এই লেগ স্পিনারকে। বোলিং আক্রমণে দুই স্পিনারের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তিন পেসার। সেক্ষেত্রে অটো চয়েজ হতে পারেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। এই দুই প্রিমিয়াম ফাস্ট বোলারের সঙ্গে একাদশে থাকতে পারেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফলে বিশ্রামে থাকতে পারেন শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
১০ ঘণ্টা আগে

হাজার কোটি টাকায় বদলে যাচ্ছে লর্ডস
অনেক আগে ক্রিকেটের তীর্থভূমির উপাধি পেয়েছে লর্ডস। ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক এ মাঠে রয়েছে ক্রিকেটের হাজার হাজার রেকর্ড। এই স্টেডিয়ামের সংস্কারের পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নতুন রূপে সাজতে খরচ হতে পারে প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুনরায় লর্ডসের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বাড়ানো হবে আসন সংখ্যা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ আসন বাড়তে পারে। ভেঙে দেওয়া হতে পারে বর্তমানের অ্যালেন স্ট্যান্ড। এক তলা বাড়িয়ে করা হবে পুনর্নির্মাণ। একই সঙ্গে চতুর্থ স্তর বসানো হবে ভার্ন স্ট্যান্ডের ওপর। ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বলছে, পুনঃসংস্কারে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে। ক্লাবটির সদস্যদের ভোটে গত সপ্তাহে পাশ হয় পুনর্নির্মাণ প্রকল্প। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা লডর্সের পুনর্নির্মাণ কাজ। চলতি বছরের শুরুতে লর্ডস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায় মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। এ ক্লাবটি মূলত ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির অধীনে পরিচালিত হয়। এর আগে ২০২১ সালে লর্ডসের কম্পটন ও এদরিচ স্ট্যান্ড পুনঃসংস্কার করা হয়। তখন ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।
১৩ ঘণ্টা আগে

পুরো দলের রান মাত্র ১২
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হরহামেশাই দেখা যায় চার-ছক্কার ফুলঝুরি, যা দেখে অভ্যস্ত দর্শকরা। আবার অল্পরানেও অলআউট হতে দেখা যায় অনেক দলকে। এই যেমন জাপানের বিপক্ষে মাত্র ১২ রানে অলআউট হয় মঙ্গোলিয়া। এরপরও এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড নয়। এর চেয়ে কম ১০ রানে আউট হওয়ার রেকর্ড আইরিশ সাগরে অবস্থিত স্বশাসিত অঞ্চল আইল অব ম্যানের। এর আগে ২০২৩ সালে স্পেনের বিপক্ষে মাত্র ১০ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে জাপান। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে অলআউট হয় মঙ্গোলিয়া। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাপানের সানো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে ১০ রান তুলতে প্রথম ৫ উইকেট হারায় মঙ্গোলিয়া। আর বাকি ৫ উইকেট হারায় মাত্র ২ রানে। দলের ৬ ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে। তুর সুমায়া সর্বোচ্চ ৪ রান (১১ বলে) করেন। ৭ রানে ৫ উইকেট নেন জাপানের বাঁহাতি পেসার কাজুমা কাতো-স্টাফোর্ড। সর্বনিম্ন রান তো বটেই, দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বলে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছে মঙ্গোলিয়া। দলীয় স্কোর ১২তে নিয়ে যেতে তারা বল খেলেছে ৫০টি। ২০২৩ সালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম ৩৭ বলে অলআউট হওয়ার রেকর্ড রুয়ান্ডার। মঙ্গোলিয়ার নামের পাশে আরও একটি বিব্রতকর রেকর্ড রয়েছে। তাদের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৩১৪/৩ রানের রেকর্ড গড়ে নেপাল।
০৯ মে, ২০২৪

জিম্বাবুয়ে সিরিজেই রানে ফিরবেন বলে বিশ্বাস লিটনের
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন লিটন দাসের হলোটা কি? এক সময় তিন ফরম্যাটে টাইগারদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের ব্যাটে অনেক দিন ধরেই রানের দেখা নেই। দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটারের অফফর্ম নিয়ে বেশ চিন্তিতই বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। মঙ্গলবার (৭ মে) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে  ১২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। অফফর্মের পাশাপাশি লিটনের আউট হওয়ার ধরণটাও ভাবাচ্ছে ক্রিকেট ভক্তদের। ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিটন স্বীকার করে নিলেন নিজের অফ ফর্মের কথা। তবে এর সঙ্গে তার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই তিনি আবার রানে ফিরবেন। লিটন সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মেনে নেন তিনি নিজের চেনা ফর্মে নেই। তিনি বলেন, 'অবশ্যই (চেনা রূপে নাই)। চেষ্টা করছি, হচ্ছে না। পরিশ্রম করছি। এমন না যে পরিশ্রম করছি না। অনেক সময় আপনি পরিশ্রম করবেন, কিন্তু ক্রিকেট তো এটা। হতেই পারে। এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন না। চেষ্টা করছি। অবশ্যই আমার ভালো করা উচিত।’  তবে লিটনের আশা সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে সুযোগ পেলে তিনি ভালো কিছু করবেন। তিনি বলেন, ‘দেখা যাক আরও দুটো ম্যাচ আছে। আমি যেভাবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করি, সেভাবেই খেলছি। আশা করি সামনের ম্যাচেই আমার ব্যাট হাসবে।’ লিটনকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি যে কথাটি উচ্চারিত হয়েছে তা হলো তার আউটের ধরণ। গতকালের ম্যাচেও পরপর দুই বলে স্কুপ শট খেলতে ব্যর্থ হয়ে তৃতীয় বলে একই শট খেলতে যেয়ে আউট হন লিটন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ক্রিকেট বিশ্লেষক, সকলেই মুখর হয়েছে সমালোচনায়। সেই ব্যাখা হিসেবে বলেন, ‘না না তেমন না (জোর করে স্কুপ মারা)। আমার কাছে মনে হয়েছিলো ওটাই আমার কাছে আদর্শ (বিকল্প)। এজন্য আমি এটা চেষ্টা করেছি। দেখেন ব্যাটে লেগে স্টাম্পে লেগেছে। এটা যদি ওদিক দিয়ে চলে যেত তাহলে বাউন্ডারি পেয়ে যেতাম। এটা ক্রিকেটের একটা অংশ। একটা ব্যাটারের এরকম হবেই। কোন সময় ভালো শট খেলেও আউট হয়ে যাবেন। কোন সময় খারাপ খেলেও রান পেয়ে যাবেন। চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ গণমাধ্যমে তার সমালোচনা নিয়ে লিটন বলেন, 'গণমাধ্যমকে আমার পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই। আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি। সেটা যদি হোটেলে থেকেও হয়, ওটা যদি উন্নতির কাজ হয় ওটাও করব। আসলে মানুষ সব সময় ফলাফল আশা করে। আপনি যদি টানা পাঁচদিন অনুশীলন না করেন তাহলেও ভালো। কিন্তু নিয়মিত অনুশীলন করেও যদি ব্যর্থ হন তাহলে ভাববে ওটাই খারাপ। ওটা নিয়ে উদ্বিগ্ন না। নিজেকে কতটা দিতে পারছি ম্যাচে, অনুশীলনে ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'
০৮ মে, ২০২৪

বাজে ফর্মে থাকা লিটন-শান্তর র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস যে বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হতে হয়না। বারবার ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটার কোন যুক্তিতে দলে আছেন এই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেকেই। এত সমালোচনার মধ্যে আরও একটি দুঃসংবাদ পেলেন এই ব্যাটার আইসিসির সদ্য প্রকাশিত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটারের। এর আগের মাসের প্রকাশিত আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে লিটনের অবস্থান ছিল ২৯ নম্বরে। তবে লঙ্কানদের সাথে সিরিজের পর চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ব্যর্থতার বৃত্তে থাকায় সেই জায়গা থেকেও দুই ধাপ অবনমন হয়ে তিনি নেমে গেছেন ৩১ নম্বরে। একই অবস্থা হয়েছে এই সিরিজে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের দলপতি নাজমুল হোসেন শান্তরও। দুই ধাপ পিছিয়ে ৩২ নম্বর থেকে ৩৪ নম্বরে নামতে হয়েছে টাইগারদের অধিনায়ককে।     তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার এই সিরিজে ব্যতিক্রম তাওহীদ হৃদয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাকিরা ব্যর্থ হলেও দারুণ ব্যাটিং করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। সিরিজে সর্বোচ্চ রানের মালিকও তিনি। দারুণ ব্যাটিংয়ের প্রভাব পড়েছে তার র‍্যাঙ্কিংয়েও। বড় লাফে প্রথমবারের মতো ব্যাটারদের তালিকায় সেরা ১০০ এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন হৃদয়। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে ২৬ ধাপ এগিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। অস্ট্রেলিয়ার বেন ম্যাকডারমটের সঙ্গে যৌথভাবে ৯০ নম্বরে আছেন তিনি। দুই ধাপ এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৮১ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। এছাড়াও দুই ধাপ পিছিয়েছেন দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানও। কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে ৭২তম স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন সাকিব। এদিকে ব্যাটারদের ব্যর্থতার মধ্যেও বোলাররা দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন । বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ তার বোলিং দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। বোলারদের নৈপুণ্যেই বলতে গেলে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়েও যার প্রভাব পড়েছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ৩ ম্যাচে ৮.৮ গড়ে ৬ উইকেট শিকার করা তাসিকন আহমেদ টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা রেটিং অর্জন করেছেন। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়েছেন তিনি। হালনাগাদকৃত র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি বোলারদের তালিকার ২৬ নম্বরে উঠে এসেছেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার সেরা র‍্যাঙ্কিং। তাসকিনের মতো মেহেদীও সুখবর পেয়েছেন। প্রথম দুই ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করায় তিনিও ছয় ধাপ এগিয়েছেন। নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির সঙ্গে যৌথভাবে ২২ নম্বরে আছেন মেহেদী।
০৮ মে, ২০২৪

ভিসা জটিলতায় আয়ারল্যান্ড যাওয়া হচ্ছে না আমিরের
একপ্রকার অভিমান করেই ২০২০ সালে আন্তর্জাাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেস বোলিং তারকা মোহাম্মদ আমির। সেই অবসরের সাড়ে ৪ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেন এই পেসার । তার প্রত্যাবর্তনটা অবশ্য খুব যে মন্দ হয়েছে তা নয়। তবে এবার আরেক সমস্যায় পড়েছেন এই পেসার। জুনের ২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সারতে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেই দলে রাখা হয়েছে মোহাম্মদ আমিরকেও। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ভিসা জটিলতায় পাকিস্তান দলের অন্য সবাই আয়ারল্যান্ডের বিমানে চড়লেও ৩২ বছর বয়সী এই পেসারের চড়া হয়নি। সিরিজটি তিনি আদৌ খেলতে পারবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আগামী ১০ মে আইরিশদের বিপক্ষে মেন ইন গ্রিনদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। সিরিজটি খেলার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে দেশ ছেড়েছেন বাবর আজমরা। তবে মোহাম্মদ আমিরের যাওয়া হয়নি। যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও এখন পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের ভিসা এই ক্রিকেটার পাননি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দাবি অবশ্য দলের অন্য সবার সঙ্গে আমিরের ভিসার আবেদনও করা হয়েছিল। সফরের আগের দিন অন্যরা ভিসা পেয়ে গেলেও পাননি আমির। সাধারণত আইসিসির সফরে সফররত দলের ক্রিকেটারদের ভিসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডকে দেওয়া হয়। তাই আইরিশ বোর্ডের সঙ্গে ভিসা ইস্যুর সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছে পাকিস্তান।   আসন্ন এই সিরিজের আগে একই ঝামেলায় পড়েছিলেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফও। তবে শেষ পর্যন্ত ভিসা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দলের সঙ্গেই আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে উড়াল দিতে পেরেছেন তিনি। দুইদিন পরেই সিরিজ শুরু। আমিরের ভিসা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তাই এই সিরিজে তারকা পেসারকে পাওয়ার বিষয়ে সংশয় দেখা গেছে। এদিকে, আয়ারল্যান্ডে সংক্ষিপ্ত ট্যুর শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। ২২ মে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাবররা। এই দুই সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড (১৫ সদস্য) দিবে পিসিবি।    
০৮ মে, ২০২৪
X