জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই ঘোষণা দেওয়ার পরপর শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। চলতি বছরে জুনে শেষ হচ্ছে বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের চুক্তির মেয়াদ। অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ২০২১ সালে বিরাট-রোহিতদের কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন তিনি। তবে দ্রাবিড় চাইলে পুনরায় এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ।
নতুন বিজ্ঞাপনে দেশিয়দের পাশাপাশি বিদেশি কোচদের আবেদন করার সুযোগ রাখা হবে। এই গুঞ্জনে আগামী দিনে ভারতীয় জাতীয় দলের দায়িত্ব বিদেশিদের দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জয় শাহ বলেন, ‘নতুন কোচ ভারতীয় না বিদেশি হবেন, তা তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এটা ঠিক করবে কোচ নিয়োগের জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটি।’
২০০০ সালে প্রথমবারের নিউজিল্যান্ডের জন রাইটকে ভারতের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে জর্জরিত ছিল ভারতীয় দল। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে তার রসায়ণ জমে ছিল বেশ। ফলে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে ভারত।
রাইট চলে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেলকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয় বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট টালমাটাল শুরু হয় তার আমলে। বাংলাদেশের কাছে হেরে ২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় ভারত। একই সঙ্গে বরখাস্ত হয় চ্যাপেলও।পরে গ্যারি কার্স্টেনকে দেওয়া হয় দায়িত্ব। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি। তার অধীনে প্রথমবার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে ভারত। এমনকি ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপও জেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
কার্স্টেনের বিদায়ের পর ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেন জিম্বাবুয়ের ডানকান ফ্লেচার। তার অধীনে ২০১৩ সালে সবশেষ আইসিসির বৈশ্বিক আসরের ট্রফি জেতে ভারত।
এরপর থেকে ভারতীয় কোচেরাই দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় দলের কোচের। অনিল কুম্বলে, রবি শাস্ত্রী, রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং ভারতকে জেতাতে পারেনি আইসিসির কোনো ট্রফি। তাই আবারও বিদেশি কোচের দিকে ঝুঁকতে পারে বিসিসিআই।মন্তব্য করুন