বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের নিস্পত্তি হয়েছে আগেই তবে তবুও সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সেই লক্ষ্যে টস হেরে উড়ন্ত সূচনাও করেছিল বাংলাদেশ। তবে তারপর বিশাল এক নাটকীয় ধস নাজমুল হাসান শান্তর দলের। অথচ প্রথমে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখায় বড় সংগ্রহের। তবে দুই ওপেনার বাদে বাকি সব ব্যাটারের ব্যর্থতা বাংলাদেশকে ১৫০ রানও করতে দেয়নি।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশের ওপেনাররা। বিনা উইকেটে ১০১ রানের পর যখন ২০০ রান টার্গেট দেওয়ার কথা সেখানেই নাটকীয় এক ধস। মাত্র ৪২ রানে শেষ ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে ওপেনার তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩ উইকেট।
চট্টগ্রামে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেও পুরো সিরিজ জুড়েই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। মিরপুরে ওপেনারদের দুর্দান্ত শুরু অবশ্য কিছুটা হলেও ভরসা দেওয়ার কথা। তবে পরের ব্যাটিং শুধু হতাশাই বাড়াবে।
মিরপুরে বাংলাদেশের শেষের কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিং মহাবিপর্যয় শান্ত-জাকেরদের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের সামনে চতুর্থ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত টার্গেট দিতে পেরেছে ১৪৪ রানের। ১০ ওভারের মধ্যে ৯০ রান করা দল থেমেছে ১৯.৫ ওভারে।
বাংলাদেশের বিপর্যয়ের শুরু দুই ওপেনারের বিদায়ের পর থেকে। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করার পর তামিম ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন। একই ওভারে ফেরেন ৩৪ বলে ৪১ রান করা আরেক ওপেনার সৌম্যও।
চলতি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র ছন্দে থাকা হৃদয় আজ ছিলেন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকে মাত্র ১ রান করে ফিরেন তিনি ।
একই ওভারের ফিরেছেন ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা অধিনায়ক শান্তও। এরপর ফিরেছেন জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।
এরপর রিশাদ-তাসকিনের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন তাসকিন। শেষে বাকি কেউ ভালো কিছু করতে না পেরে ১৪৩ রানেই থামে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন