ছাত্র রাজনীতি হতে হবে শিক্ষার্থীবান্ধব : ছাত্রলীগ সভাপতি
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মিসভায় এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশে অনেককিছুর প্রথমের সাক্ষী শাবিপ্রবি। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু, আন্তর্জাতিক জার্নালে সবচাইতে বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশনা, সেমিস্টার পদ্ধতি চালু ইত্যাদি। এ ছাড়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নানামুখী  প্রশংসা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সাদ্দাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তারা আরও নানা ধরনের নতুন নতুন আইডিয়া, উদ্ভাবন, শিক্ষা-গবেষণাসহ নানা কর্মকাণ্ডে  অবদান রাখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়াও দীর্ঘ এক দশক যাবৎ কমিটি গঠন থেকে বঞ্চিত শাবিপ্রবি ছাত্রলীগে কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটকে আরও গতিশীল করতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে। সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে শেখ ওয়াসিফ আলী ইনান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের নেতিবাচক উপাদানগুলোকে বাদ দিতে হবে। ইতিবাচক গুণাবলি অর্জনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে যাতে সেটি হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্ভরতার ঠিকানা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দক্ষতা, সাংস্কৃতিক, সমন্বয়গত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপ তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি রিপন মিয়া, আল আমিন রহমান, জয়নাল আবেদীন ও আবু সাঈদ কনক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সবুর খান কলিন্স ও কাজল দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ, উপ দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপন, উপ-অটিজমবিষয়ক সম্পাদক মো. ফাহিম চৌধুরী ও সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি প্রমুখ।
১৯ মার্চ, ২০২৪

ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে : ছাত্রলীগ সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দুঃস্বপ্ন দেখতে না পারে। এর জন্য আমাদের ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে। কারণ ভোট আমাদের নাগরিক অধিকার, ভোট আমাদের মৌলিক অধিকার। ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে, এক সাথে কাজ করতে হবে। এই ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নির্বাচনী পথসভায় তিনি তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের লড়াই দুটো। ৭ জানুয়ারি যেমন নৌকার পক্ষে নিরুঙ্কুশ ব্যালট বিপ্লব হবে, একই সাথে গণতন্ত্রের পক্ষে ব্যালট বিপ্লব হবে। গণতন্ত্রের শত্রু, আগুনসন্ত্রাসের হোতা ও বিদেশি দালালদের পরাজিত করে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করব।   এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন হাবিব খান মানিকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে আমরা লাল কার্ড দেখাব : ছাত্রলীগ সভাপতি
ছাত্রলীগ সভাপতি সদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‘যারা সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, যারা গণতন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করতে চেয়েছে, যারা লাশের ওপর ভিত্তি করে রাজনীতি কায়েম করতে চেয়েছে আমরা তাদের বয়কট করব। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে আমরা লাল কার্ড প্রদর্শন করব।’ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসদরের বিজয় চত্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঝটিকা পথসভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ভোটাধিকার প্রয়োগ সম্পর্কে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সকলের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, আসুন ভোট আপনার অধিকার, এ ভোটের অধিকার আপনি প্রয়োগ করবেন। আমরা চাই যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পঞ্চগড়ের মানুষ ভোট উৎসবে শামিল হোক। যারা সহিংসতা তৈরি করতে চায়, যারা মনে করে আপনার আমার ভোটের চেয়ে আপনার আমার লাশ গুরুত্বপূর্ণ। যারা আমাদের ভোটের অধিকার, নাগরিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, আসুন তাদের আমরা লাল কার্ড প্রদর্শন করি‌।’ পথসভায় পঞ্চগড়-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, রেলপথমন্ত্রী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম সুজন দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে এ এলাকায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি শুধু এমপি কিংবা মন্ত্রী হিসেবে নয় আমরা মনে করি সত্যিকার অর্থেই তিনি এ এলাকার মানুষের অভিভাবক। এ এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের অত্যন্ত আপনজন। পঞ্চগড়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেতা নুরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে রায় দেবে, নৌকা মার্কার পক্ষে রায় দেবে এ প্রত্যাশা করছি।’ নতুন ভোটারদের উদ্দেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলার তারণ্য নৌকার পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দেবীগঞ্জের সকল স্তরের ভোটার কেন্দ্রে আসবে এবং ভোট প্রদান করবে। ৭ জানুয়ারি একইসঙ্গে গণতন্ত্র এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।’ পথসভায় দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইউনিয়ন নেতার পা ভাঙলেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি
পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ ৬-৭ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অনার্স) কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে দাশুড়িয়ার সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ছেলের দুই পা ভেঙে গুরুতর আহত হওয়ার খবর শুনে আলমগীর হোসেনের বাবা আকমল হোসেন (৬৫) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে মুলাডুলি মুক্তমঞ্চে বর্ধিত সভায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আলমগীর ও তার কর্মী-সমর্থকরা দাশুড়িয়া দিয়ে মুলাডুলি যাচ্ছিলেন। এ সময় সিএনজি পাম্পের সামনে পৌঁছলে দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অনার্স) কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে আলমগীরের দুই পা ভেঙে যায় এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আলমগীরসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিল্টন হোসেন জানান, আহত আলমগীরকে নিয়ে এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছি। তার দুই পা ভেঙে গেছে। ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় আমিসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা অতিথি ছিলেন। সেখানে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। আলমগীরের দুই পা ভেঙে দেওয়ার খবর শুনে তার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু জানান, কলেজের কোনো বিষয় নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে শুনেছি। মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা জানান, ঘটনাটি ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে। ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবে কাম্য নয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অনার্স) কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাইমের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে
সিলেটের বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি সুহেল মিয়া হত্যা মামলায় বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একে টুটুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও আব্দুল মতিনের ভাই তুরণ মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সিলেট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুলাই বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের জবান উল্যার ছেলে কাঠমিস্ত্রি সুহেল মিয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বালাগঞ্জে বাজারে অতর্কিত হামলা করা হয়। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন সুহেলকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা বাধা দেন। পরে সুহেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট রাতে মারা যান তিনি। লাশ বাড়িতে নেওয়া হলে হামলাকারীরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার জোর চেষ্টা চালান। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।  এই ঘটনায় সুহেলের স্ত্রী হেপি বেগম বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। নিরুপায় হয়ে গত ১৪ আগস্ট সিলেট আদালতে মামলা করেন তিনি। বালাগঞ্জ সিআর মামলা নং-৮৭। মামলায় চাঁনপুর গ্রামের সৈয়দ উল্যার ছেলে বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, তার ভাই তুরণ মিয়া, একই গ্রামের কদর উল্যার ছেলে বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একে টুটুল, বালাগঞ্জ উপজেলার নতুন সুনামপুর গ্রামের ইকবাল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার রাহীসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নথিভুক্ত করেন। পাশাপাশি তদন্ত করে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার জন্য বালাগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি সিলেট জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমদ বলেন, আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার অগ্রগতি না করায় বালাগঞ্জ থানার সাবেক ওসিসহ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন মামলার বাদী হেপি বেগম। ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার আগে অভিযুক্ত তিন জন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেওয়ার পর জামিনের সময়সীমা শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতে তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী হেপী বলেন, বালাগঞ্জ বাজারস্থ আকবর কমিউনিটি সেন্টারের পেছনে আমাদের রাস্তার পাশের জমি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা একে টুটুল ও তাদের সহযোগীরা। আমার স্বামী তাতে বাধা দেন। এ জন্য আমার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা। এ কারণেই তারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমার ২টি সন্তান রয়েছে, তারা এতিম হয়ে গেল। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি আমার স্বামী হত্যার ন্যায়বিচার চাই।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩

রাবি শিক্ষার্থীরা মৌলবাদীদের জায়গা দেয় না : ছাত্রলীগ সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সাংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মৌলবাদীদের জায়গা দেয় না। এখানের ছাত্ররা কখনো মৌলবাদীদের সঙ্গে আপোস করতে জানে না। স্বাধীনতা ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা জীবন দিয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে এসব বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত হব, সেই লক্ষ্য আমাদের কাজ করতে হবে। মিছিল মিটিংয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্ৰী শেখ হাসিনা আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। সম্মেলনে প্রাধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সংসদে নির্বাচন আসলেই নিজেদের জাতীয়বাদী পরিচয় দেওয়া একটা দল ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে মৌলবাদী কর্মকাণ্ড চালাতে চায়। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। এখানে অনেক পদপ্রার্থী আছে কিন্তু সবাইকে নির্বাচন করা সম্ভব না। কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে আলোচনা করে ঠিক করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, রাজশাহীতে ছাত্রলীগ করা আর মরুভূমিতে ফুলের বাগান করা একই কথা। জাতীয় রাজনীতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতার সংখ্যা খুবই সীমিত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব খুবই কম। এ সময় তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নেতৃত্বের বিষয়টি দেখার জন্য।  পদপ্রত্যাশী ছাত্রনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, এমন নেতা হওয়ার চিন্তা করবেন না যেন আপনার আচরণে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী কষ্ট পায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, যুব মহিলা লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন রনি, উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন, সহ-সম্পাদক আদনান হোসেন প্রমুখ। 
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ছাত্রলীগ সভাপতি পদপ্রার্থীর রগ কেটে হত্যাচেষ্টা, বিমানবন্দরে ধরা আসামি
গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ফেরদৌসের রগ কেটে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি রবিন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।  আজ বুধবার সকালে বিমানবন্দর থেকে এপিবিএনের গোয়েন্দা দল তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।  গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় বাসন থানাধীন আউটপাড়া লিংকন কলেজের সামনে থেকে ভাওয়ালবদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ফেরদৌসকে অপহরণ করে একই পদপ্রার্থী রবিন সরদার। এ সময় তার সঙ্গে তার আরও বেশ কিছু সহযোগী জড়িত ছিল। অপহরণের পর গোপন স্থানে নিয়ে নিয়ে গিয়ে ফেরদৌসের রগ কেটে দেওয়াসহ মারপিট করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগীর মায়ের নম্বরে ফোন করে মুক্তিপণও দাবি করা হয়। মুক্তিপণ নেওয়ার পর ফেরদৌসকে গাজীপুর সদর থানাধীন শিববাড়ি মোড়ের হলিল্যাব হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।  এ ঘটনায় ফেরদৌসের মা বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা করেন। এরপর থেকেই আসামি রবিন সরদারসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছিল গাজীপুর মহানগর পুলিশের একাধিক দল। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে আসামি রবিন সরদার ভিন্ন নামে আজ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। আগে থেকে প্রস্তুত সাদা পোশাকের এপিবিএন সদস্যরা এ সময় তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি রিভাকে পেটাল জুনিয়র কর্মীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে সভায় মঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ইডেন মহিলা কলেজের আলোচিত ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাসহ কলেজটির বেশ কয়েকজন নেত্রীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে দলের জুনিয়র কর্মীদের বিরুদ্ধে।   মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভা শেষে টিএসসি মিলনায়তনের প্রবেশ পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শামসুন নাহার হল ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।   জানা যায়, সভায় প্রথম দিকের চেয়ারে বসেছিলেন রোকেয়া হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী মিহা আক্তার ও শামসুন নাহার হলের নীলম বিশ্বাস সেতুসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় রিভাসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেত্রী তাদের উঠে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। তবে তারা রিভাদের চিনেন না জানিয়ে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় মিহার চোয়াল ধরে ঝাঁকি দেন রিভা। পরে সভা শেষে সৈকতের অনুসারী বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী তানিয়া আক্তার তাপসীসহ কয়েকজন রিভাকে আটকে ধরেন। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ইডেন কলেজের দুই নেত্রী নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, ‘রিভা আপুকে গলা টিপে ধরে কয়েকটা থাপ্পড় মারছে, লাথিও মারা হয়েছে। এটা তো আমাদের ইউনিট ছাত্রলীগকে থাপ্পড় মারা হলো। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ইডেন তো সাধারণ ইউনিট না। আমরা এটার সুষ্ঠু বিচার চাই। সঠিক বিচার না হলে আমরা শেষ পর্যন্ত যাব।’ তামান্না জেসমিন রিভা একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারে বলেন, বসা নিয়ে ছোটবোনদের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তারা ইউনিভার্সিটির কয়েকজন পদপ্রত্যাশী। আমরা কেন্দ্রীয় পদধারীরা বসতে চাইছি, কিন্তু তারা উঠবে না। ওরা আমাদের কাউকে চিনেই না এরকম। পরে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা এসে তাদের সরিয়ে দেন। পরে আমরা যখন সভা শেষে বের হই, আমাদের কয়েকজনকে আটকায়। আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করার চেষ্টা করছিল। তেমন কিছু হয়নি।’ অভিযোগের বিষয়ে তানিয়া আক্তার তাপসী ওই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা আগে গিয়ে সামনে বসেন। ১২টার দিকে ইডেনের নেত্রীরা এসে তাদের উঠায়ে দিয়েছেন। তারা ওই মেয়েগুলোকে মুখে ধরে বাজে ব্যবহার করেছেন। তো আমরা প্রোগ্রাম শেষে রিভার কাছে বিচার দিতে গিয়েছি। তখন উনি আমাদের সঙ্গে অ্যাগ্রেসিভ আচরণ করেন। আমরা বাঁচার জন্য যা করার করছি। ওরা অনেকে ছিলেন। ইডেন কলেজ মারামারিতে সবসময় ফার্স্ট, আমরা না।’  
২৩ আগস্ট, ২০২৩
X