প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ
প্রবল বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত কিংবা নিহত হননি। বুধবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘটছে এ ঘটনা। খবর আল আরাবিয়া। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, গত দুদিন ধরে সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণেই কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই মসজিদের ছাদ ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল। স্টিলের ছাদের ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। একপর্যায়ে ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়। কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছে আল আরাবিয়া। বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে। সৌদির মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সৌদি আরবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন স্থানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।  ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববীও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, মসজিদে নববীতে বৃষ্টিতে ভিজে আনন্দ করছে শিশুরা। বৃষ্টির পরিমাণ এতই বেশি ছিল, মসজিদটিতে যে ছাউনি আছে সেগুলো বেয়ে বেয়ে সজোরে পানি নিচে নেমে এসেছিল। ওই সময় মদিনার আল ইসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বৃষ্টির পানিতে উপত্যকা এবং বিভিন্ন প্রাচীরে পানি উপচে পড়েছিল। ওই সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে গিয়েছিল, অনেক জায়গায় রাস্তাঘাটও বন্ধ হয়ে ছিল।   
০২ মে, ২০২৪

বাসের ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ছিল ব্যবসায়ীর তাজা রক্ত
জয়পুরহাটের কালাইয়ে বগুড়াগামী একটি বাসের ছাদ থেকে হরেকমাল ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালাইয়ের বাসস্ট্যান্ডে বাসটির ছাদ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসটি কালাই বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে। এ সময় বাসের ছাদ থেকে সড়কে রক্ত পড়ছিল। তা দেখে বাসস্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার আতাউর রহমানসহ কয়েকজন ছাদে উঠে দেখতে পান এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  খোরশেদ আলম নামে এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‌জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের নিশ্চিন্তা তেলের পাম্পের পাশে বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে লাইনের তারগুলো সড়কে ঝুলে যায়। এর মধ্যে বাসটি দ্রুতগতিতে এসে তারের নিচ দিয়ে পার হলে বিকট শব্দ হয়। তারপরও বাসটি সেখানে না থামিয়ে কালাই বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। এর পুরো দায় বাস চালকের।   কালাই বাসস্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার আতাউর রহমান বলেন, বাসটি জয়পুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার আগে নিহত ব্যক্তি প্লাস্টিকের হরেকমাল নিয়ে বাসের ছাদে ওঠেন। কালাই বাসস্ট্যান্ডে থামার পর ছাদ থেকে নিচে তাজা রক্ত পড়া দেখে আমিসহ কয়েকজন ছাদের ওপর উঠে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন। তিনি বলেন, তাকে নামিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। ওই ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ সুযোগে চালক বাস নিয়ে পালিয়েছে।    কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে  কালাই থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা মরদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজধানীতে বাসার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর বংশালে বাসার ছাদ থেকে নিচে পড়ে উরাইশিদ ইসলাম আয়ান (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বংশাল আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ প্রসঙ্গে শিশুটির চাচা মকবুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আলু বাজার হাজি ওসমান গনি রোডে আয়ানদের বাড়ি। তারা বাড়িটির ৪র্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। সে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা আমিনুল ইসলাম ইমন বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আয়ান ছিল বড়। তিনি বলেন, সারা দিন বাসাতেই ছিল আয়ান। দুপুরে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির ৬ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছে সে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলেও চিকিৎসক মৃত বলে জানান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানায় জানানো হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গাছের ধাক্কায় উড়ে গেল বাসের ছাদ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেছে যাত্রীবাহী বাসের ছাদ। এ ঘটনায় আল শামীম (২৪) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বাসটির আরও ৭ যাত্রী। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে শাহজাদপুর উপজেলার টেটিয়ারকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আল শামীম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম আবুর ছেলে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।  হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সি-লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি পাবনা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি টেটিয়ারকান্দি এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ছাদটি উড়ে যায়। আহত হন বাসের ৮ যাত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল শামীম। অন্য আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ঝড়ে উড়ে গেল বিমানবন্দরের ছাদ
ভারতের আসামের গুয়াহাটি শহরে গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি তাণ্ডব চালিয়েছে। এই তাণ্ডবের মাঝেই শহরের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ঝড়ে বিমানবন্দরের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে। এমনকি ভারী বৃষ্টির পানিতে বিমানবন্দরের ভেতরের ফলস সিলিংয়ের একাংশ ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত এবং বেশ কয়েকটি বিমানের যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল রোববার লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয় এবং ছয়টি বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের বাইরের অংশে বেশ কয়েকজন যাত্রী অপেক্ষা করছেন। তখন ছাদের একটি অংশ হঠাৎ তাদের মাথার উপরে ভেঙে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। উপচে পড়া বৃষ্টির পানি ও প্রবল ঝড়ো বাতাসের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে বিমানবন্দরের ভেতর সয়লাব হয়ে গেছে। ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। পানি বের করতে ঝাড়ু দিতে দেখা যায় বিমানবন্দরের কর্মীদের। এ ছাড়া পানি যেন চারদিকে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বালতি দিতেও দেখা যায়। বিমানবন্দরের সিএও (প্রধান বিমানবন্দর কর্মকর্তা) উৎপল বড়ুয়া বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ঝড়ে বিমানবন্দরের ছাদের একটি অংশ উড়ে যায়। গাছ উপড়ে বিমানবন্দরের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। আমরা দেরি না করে সেখানে ছুটে গিয়ে সড়ক পরিষ্কার করেছি। এতে আমাদের দেড় ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। তিনি বলেন, যাত্রীরা যেন কোনো ধরনের অসুবিধার মধ্যে না পড়েন সে জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা ভয়াবহভাবে কমে গেছে। এ জন্য আমাদের ছয়টি ফ্লাইটের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে হয়েছে। উৎপল বড়ুয়া বলেন, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইটগুলোকে আগরতলা ও কলকাতায় ঘুরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে এখন দৃশ্যমানতা উন্নত হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। ফ্লাইট গুয়াহাটিতে অবতরণ করতে শুরু করেছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ির ছাদ থেকে ৩টি কালনাগিনী সাপ উদ্ধার
বরিশালের একটি বাড়ির ছাদ থেকে তিনটি কালনাগিনী সাপ ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিরল প্রজাতির চিল উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা।  শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে বরিশাল-ভোলা সড়কের পাশে বনবিভাগের বাগানে সাপগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। বনবিভাগের বরিশাল সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান সাকিব জানান, নগরীর চৌমাথা এলাকার সুলতান মাহমুদ রিয়াদের প্রফেসর ভিলার ছাদে বৃহস্পতিবার রাতে সাপের বাসা দেখতে পান বাসিন্দারা। বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরে সামাজিক বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী গ্রুপের সদস্যদের সহায়তায় ছাদ থেকে তিনটি কালনাগিনী প্রজাতির সাপ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে একই দিন সিটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিরল প্রজাতির একটি চিল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সাপ তিনটি বনবিভাগের বাগানে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও চিলটি অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে বনে অবমুক্ত করা হবে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

রমজানে মুসল্লিদের জন্য খুলল মসজিদে নববীর ছাদ
মুসলিমদের জন্য বিশ্বের অন্যতম পবিত্র জায়গা মসজিদে নববী। প্রতিবছর লাখ লাখ মুসল্লির পদচারণায় মুখর থাকে মদিনার এ পবিত্র মসজিদ। তবে রমজানে বছরের অন্য সময়ের ‍তুলনায় মুসল্লি বাড়ে কয়েকগুণ। ফলে মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে নববীর ছাদ। বুধবার (২৭ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের জন্য খুলেছে মসজিদে নববীর ছাদ। ফলে প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার মুসল্লি সেখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন।  সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে মসজিদে নববী অন্যতম আকাঙ্ক্ষার জায়গা। এর পাশেই রয়েছে রাসুল (স.)-এর রওজা মোবারক। রাসুলের রওজা জিয়ারত ও এ মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলিম মদিনায় হাজির হন।  রমজানে ওমরাহ পালনে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। ফলে এ সময় বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ওমরাহকারীদের ভিড় অনেক বেড়ে যায়। এ ভিড়ের মধ্যে এবার রমজান মাসে মসজিদে নববীর ছাদ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি সরকার ও বিভিন্ন দাতব্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অর্থায়নে এরইমধ্যে মসজিদের ছাদ জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের ছাদে সুগন্ধি ছিটানো হয়েছে। নামাজের জন্য বিভিন্ন আকারের পাঁচ হাজার মাদুরও বিছানো হয়েছে।  এসব পদক্ষেপ ছাড়াও রমজান উপলক্ষে মসজিদের ছাদে ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন রোজাদারদের মধ্যে খাবার, জমজমের পানি ও ২০ হাজার কোরআন বিতরণ করা হচ্ছে।  গালফ নিউজ জানিয়েছে, মসজিদে নববীর ছোদের আয়তন প্রায় ৬৭ হাজার বর্গমিটার। এ ছাদে ওঠার জন্য ২৪টি সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া নামাজের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে আরও নানা সুবিধা রাখা হয়েছে। নামাজের আগে পরে ছাদে ওঠার জন্য যুক্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি এস্কেলেটর।   
২৮ মার্চ, ২০২৪

হিমেলের ছাদ বাগানে দেশি-বিদেশি ৪০ প্রজাতির ফলের চাষ
‘চ্যানেল আইয়ে শাইখ সিরাজের হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছাদবাগান দেখে ইচ্ছা জাগে কীভাবে ছাদ বাগান করা যায়। এরপর অনেকের পরামর্শ নিয়ে আমার বাড়ির ছাদে শখের ছাদ বাগান শুরু করি। চার বছর পর এখন নিজের ছাদবাগান দেখে নিজেই মুগ্ধ হই। নিজেকে আজ সফল মনে হচ্ছে।’ সম্প্রতি কালবেলার কাছে এভাবেই নিজের ছাদবাগান করার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট বন্দর এলাকার বেকার যুবক হিমেল মোল্লা। তার শখের ছাদবাগানে স্ট্রবেরিসহ দেশি-বিদেশি ৪০ প্রজাতির ফলের চাষ হয়েছে। বাগানের উৎপাদিত বিদেশি জাতের এসব ফল খেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, হিমেল পড়াশোনা শেষ করে দীর্ঘদিন ধরে বেকার জীবন পার করছিলেন। করোনার সময় ইউটিউব দেখে বাড়ির ছাদবাগানে দেশি-বিদেশি প্রজাতির বিভিন্ন ফলের বাগান করার পরিকল্পনা করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফলের চারা সংগ্রহ শুরু। বর্তমানে তার বাগানে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০ প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে। এসব ফল গাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলন ধরেছে আর্লি গ্লো, আমেরিকান ফেস্টিবল, রাবি-৩ জাতের স্ট্রবেরি। এ ছাড়াও তার বাগানে ব্যানানা, ব্রুনাই কিং, মিয়াজাকি, কিউজাই প্রজাতির আম, মিসরীয়, ব্লাক জেনোয়া, সৌদি ইউলো প্রজাতির ত্বিন, পাকিস্তানি, থাই, মেক্সিকান, সুপার ভাগোয়ান, বিভিন্ন প্রজাতির আনার, বিকসন, ব্লাক রুবি, সবুজ মিস্টি, কোড-২৪ প্রজাতির আঙুর, থাইরেড, থাই গোল্ড, পিংক রোজ, ব্রুনি ও কলি মায়ারসহ প্রায় ৩৫টি জাতের ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। হিমেলের বাগানে বাউ লেবু নামে একটি লেবু গাছ রয়েছে, যে গাছটিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রায় বিলুপ্ত গাছ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বছরজুড়ে বাগানের এসব গাছে ফল ধরে। এসব ফলেই হিমেলের পরিবারের ফলের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তার প্রতিবেশী অনেক বেকার যুবকের কাছে হিমেল এখন অনুপ্রেরণা। হিমেলের কাছ থেকে এসব গাছের চারা নিয়ে তারাও ছাদবাগান তৈরি করেছেন। রিফাত মাদবর ও অভি হাওলাদার নামে দুজন কালবেলাকে বলেন, আমরা হিমেল মোল্লার ছাদবাগান থেকে চারা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে এসব ফল উৎপাদনের চিন্তা করছি। হিমেল ভাই পড়াশোনা শেষ করে বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি ফলের গাছ এনে ছাদে চাষাবাদ করেছেন। তার গাছে প্রচুর ফল হলেও তিনি বিক্রি করেন না। পাড়া প্রতিবেশীসহ গরিবদের খাওয়ান। তার বাগান থেকে চারা ও পরামর্শ নিয়ে এবছর আমরাও বাগান তৈরি করেছি। আশা করছি আর বেকার ঘুরে বেড়াতে হবে না। এসব ফল বিক্রি করে আমরা সাবলম্বী হতে পারব। সাকিব মোল্লা নামে স্থানীয় এক যুবক কালবেলাকে বলেন, হিমেল ভাই ছোটবেলা থেকে যে কাজই করেন না কেনো, তা তিনি মনোযোগ দিয়ে করেন। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য না থাকলেও তিনি গাছগুলোর প্রতি যত্নশীল হয়েছেন বলেই সব গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরেছে। আমরা প্রায় সময়ই তার বাগানে এসে ফল খাই। বিদেশি ফলগুলো খেতে বেশ ভালোই মজা লাগে। আনন্দ প্রকাশ করে ছাদ বাগাননের মালিক হিমেল মোল্লা কালবেলাকে বলেন, প্রথমে আমি আমগাছ দিয়ে শুরু করেছিলাম। ধীরে ধীরে বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়েছে। এরপর আমি বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা সংগ্রহ শুরু করি। আমার বাগানের স্পেশাল হলো- স্ট্রবেরি। এবছর অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এগুলো আমি বিক্রি করি না। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দিয়ে দেই। ফলগুলোর একটি অংশ আমি পাখির জন্য রেখে দেই। পাখি ফলগুলো খেলে আমার ভালো লাগে। বিদেশে চলে যাব বলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করি না। চাইলে যে কেউ ছাদবাগান করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন গাছগুলোর পরিচর্যা করি। নিজের হাতে লাগানো গাছের টাটকা ফল দেখে মন জুড়িয়ে যায়। গাছ থেকে নিজ হাতে ফল পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ছাদের বাগানে চাষ করা বিষমুক্ত ফল নিজেরা খাচ্ছি এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতেও পাঠাচ্ছি। ইউপি মেম্বার মামুন মোল্লা কালবেলাকে বলেন, পড়াশোনা শেষ করে হিমেল বেকার ছিল। পরে সে ছাদ বাগান করে এখন সফলতা পেয়েছে। তার বাগানের স্ট্রবেরি ফল দেখতে অনেক সুন্দর এমনকি খেতেও মজা। তা ছাড়া হিমেলের বাগানের ফল খেতে বেশি মজা, কেননা তার বাগানের ফলে কোনো কেমিক্যাল নেই। যদিও হিমেল বাগানের ফল বিক্রি করে না। হিমেলকে দেখে বেকার যুবকরা অনুপ্রাণিত হয়ে সাবলম্বী হতে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ কালবেলাকে বলেন, যুবক হিমেলের মতো প্রত্যেককে ছাদবাগান করার মতো নান্দনিক কাজকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের ছাদবাগান গড়ে পারিবারিক ফল-সবজি ও পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব। এতে করে নিজেরা উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি সমাজও উপকৃত হবে। ছাদবাগান স্থাপনে আগ্রহীদের আগামীতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা, পরমর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

হাতিরপুলে আগুন লাগা ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার ৪ 
রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার এলাকায় ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। আগুন লাগা ভবনের ছাদ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।  ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগা ভবনের ছাদ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলমান। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ৬টা ১৩ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে শুরুতে ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ৩টি ইউনিট যোগ দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের ঠিক আগে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান তারা। দ্বিতীয় তলায় কার্পেট ও কাপড়ের গোডাউন ছিল বলেও জানান তারা। এ সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে আশপাশের বাড়িঘরের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এদিকে গুলশান-১ এর ‘মেজবান ডাইন’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবরও পাওয়া গেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন নিভে যায় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
১৪ মার্চ, ২০২৪

ছাদ থেকে পড়ে স্পেন দূতাবাসের কর্মকর্তা নিহত
রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের পিঙ্ক সিটির বিপরীতে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ইসমাইল গিল সেরেনো (৫৮) নামে স্পেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, ওই ভবনটিতে গত ছয়-সাত মাস ধরে স্পেনের এই নাগরিক ভাড়া ছিলেন; কিন্তু চার-পাঁচ দিন ধরে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। রাস্তায় মানুষকে মারধর ও ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। ওই ভবনের কেয়ারটেকার জানান, এসব ঘটনায় গত শনিবার তাকে গুলশান থানা পুলিশ নিয়ে যায়। পড়ে ছেড়ে দেয়। গতকাল দুপুরের দিকে তালা ভেঙে তিনি ছাদে যান। এরপর সেখান থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্পেনের এই নাগরিক আত্মহত্যা করেছেন। একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ মার্চ, ২০২৪
X