ভারতের আসামের গুয়াহাটি শহরে গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি তাণ্ডব চালিয়েছে। এই তাণ্ডবের মাঝেই শহরের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ঝড়ে বিমানবন্দরের ছাদের একাংশ উড়ে গেছে। এমনকি ভারী বৃষ্টির পানিতে বিমানবন্দরের ভেতরের ফলস সিলিংয়ের একাংশ ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত এবং বেশ কয়েকটি বিমানের যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল রোববার লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয় এবং ছয়টি বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের বাইরের অংশে বেশ কয়েকজন যাত্রী অপেক্ষা করছেন। তখন ছাদের একটি অংশ হঠাৎ তাদের মাথার উপরে ভেঙে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। উপচে পড়া বৃষ্টির পানি ও প্রবল ঝড়ো বাতাসের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে।
এ ছাড়া অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে বিমানবন্দরের ভেতর সয়লাব হয়ে গেছে। ছাদের ভাঙা অংশ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। পানি বের করতে ঝাড়ু দিতে দেখা যায় বিমানবন্দরের কর্মীদের। এ ছাড়া পানি যেন চারদিকে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বালতি দিতেও দেখা যায়।
বিমানবন্দরের সিএও (প্রধান বিমানবন্দর কর্মকর্তা) উৎপল বড়ুয়া বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ঝড়ে বিমানবন্দরের ছাদের একটি অংশ উড়ে যায়। গাছ উপড়ে বিমানবন্দরের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। আমরা দেরি না করে সেখানে ছুটে গিয়ে সড়ক পরিষ্কার করেছি। এতে আমাদের দেড় ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, যাত্রীরা যেন কোনো ধরনের অসুবিধার মধ্যে না পড়েন সে জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা ভয়াবহভাবে কমে গেছে। এ জন্য আমাদের ছয়টি ফ্লাইটের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে হয়েছে।
উৎপল বড়ুয়া বলেন, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইটগুলোকে আগরতলা ও কলকাতায় ঘুরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে এখন দৃশ্যমানতা উন্নত হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। ফ্লাইট গুয়াহাটিতে অবতরণ করতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন