তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে দিল্লি আগ্রহী
তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিং সফরের আগে দিল্লি যাবেন বলেও ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে, সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়। এ প্রকল্পে চীনও অর্থায়ন করতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকার অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাইছে, সে বিষয় নিয়েই আজ আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, যে সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা কানেক্টিভিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, এখানকার (বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে) সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা আরও লোকবল নিয়োগ করছেন এবং কোনো উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় করা যায় কি না ভাবছেন। আমি অনলাইনে আবেদন করার কথা বলেছি, যেন সহজে মানুষ ভিসা পায়। তারা এ বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা অনেকদূর এগিয়েছে। বিশেষ করে, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়া এবং এ দুই দেশ থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। এরই মধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ট্যারিফ নিয়েও আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত হয়েছে। সেটি আমাদের পারচেস কমিটিতে যাবে। সেটি হলে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারব ভারতের ওপর দিয়ে। অনেক অগ্রগতি আছে। সীমান্তে হত্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করার ওপর আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। তিনি (কোয়াত্রা) জানিয়েছেন, তাদের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তারা সেটি অনুসরণও করেন। তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এটি নিয়ে দুই দেশের সরকারি এবং রাজনৈতিক পর্যায়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। ব্রিফিংয়ে সরকারপ্রধানের দিল্লি সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কৌশলী জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দিল্লি না ভারত সফর করবেন— এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিল্লি তো আমাদের কাছে, বেইজিং একটু দূরে। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হবে। সেখানে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সফর কখন হবে, সেটা ঠিক হবে। ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার দিল্লি সফর করার কথা রয়েছে। জুনের শেষ সপ্তাহে সফরটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তায় দেশটির অর্থায়নে আগ্রহের কথা জানান। ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। এই সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমার পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি বাড়ানোর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে, নন লিথাল (প্রাণঘাতী নয়) ওয়েপন ব্যবহার করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তিনি (কোয়াত্রা) বলেছেন তারা তাদের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ডকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিন্ত খুব নিকট থেকে সেটি যখন ব্যবহার করা হয় তখন সেটি লিথাল (প্রাণঘাতী) হয়ে যায়, এই জন্যই মাঝে মাঝে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তবে এই বেপারে তাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। ভারত ও চীনের মধ্যে কোন প্রধানমন্ত্রীর কোন সফরটি আগে হবে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত আমাদের নিকটবর্তী, চীন অনেক অনেক দূরে (দূরত্ব)। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অবশ্যই হবে। কিন্তু সেখানে এখন নির্বাচন চলছে। সেটি শেষ না হলে সফরের সময় ঠিক করা যাবে না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। সকালে গণভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
০৯ মে, ২০২৪

রেলসেতুতে নাটবল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে গাছের ডাল
লালমনিরহাট তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ জায়গায় নেই নাটবল্টু। নষ্ট হয়ে গেছে অনেকাংশের স্লিপার। লোহার পাতের পরিবর্তে সেতুতে ব্যবহৃত বাঁশ তুলে ফেলে এখন ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। আর নাটবল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের শুকনো ডাল। কিন্তু সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা দুর্ঘটনার আশঙ্কা করলেও, বেশ জোর দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে- উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ ‘তিস্তা রেলসেতুতে লোহার পাতের বদলে বাঁশ’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় খবর প্রকাশ হয়। এ খবর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে ওই দিন রাতের আঁধারে বাঁশ সরিয়ে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুইমাস না যেতেই ওই রেলসেতুতে এখন ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। আর নাটবল্টুর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের ডাল ও লাঠি।  লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুটির বিভিন্ন স্থানে লোহার পাতের পরিবর্তে লাগানো হয় বাঁশ। তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ মোট ৩২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। অথচ এ রেলসেতুর অধিকাংশ স্থানেই নেই স্পাইক। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। এমনকি ফিসপ্লেট আটকানোর জন্যও নাটবল্টুর বদলে গাছের ডাল ও লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অংশে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার। এমনকি অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুতে লোহার পরিবর্তে লাগানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। তাই যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ অংশে লোহার নাটবল্টু নেই। এর পরিবর্তে গাছের ডাল ও কাঠ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। আবার রেল সেতুর অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের ফালা। সেতুতে ট্রেন উঠলে জোরে ঝাকুনি হয়। খুব আতঙ্কে আমরা ট্রেনে যাতায়াত করি। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের লোকজন বলেন, রেললাইনের লোহার নাটবল্টু বা চাবি এখন আর পাওয়া যায় না। তাই সাময়িক কাজ চালানোর জন্য সেখানে বাঁশের খিল ও কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
০৮ মে, ২০২৪

তিস্তা রেলসেতুতে এবার নাট-বোল্টের পরিবর্তে গাছের ডাল
লালমনিরহাট তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ জায়গায় নেই নাট-বোল্ট। নষ্ট হয়ে গেছে বেশিরভাগ স্লিপার। লোহার পাতের পরিবর্তে সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। আর নাট-বোল্টের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের শুকনো ডাল। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এর আগে গত ২৩ মার্চ ‘তিস্তা রেলসেতুতে লোহার পাতের বদলে বাঁশ’ শিরোনামে কালবেলায় খবর প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে ওই রাতেই বাঁশ সরিয়ে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই মাস না যেতেই ওই সেতুতে ফের ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। আর নাট-বোল্টের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের ডাল ও লাঠি। সরেজমিন দেখা গেছে, ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রেলসেতু দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, কমিউটার, লোকালসহ ৩২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। অথচ সেতুর বেশিরভাগ স্থানেই নেই স্পাইক। পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। এমনকি ফিশপ্লেট আটকানোর জন্যও নাট-বোল্টের বদলে গাছের ডাল ও লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অংশে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার। সেতুতে লোহার পরিবর্তে লাগানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। এলাকাবাসী জানান, সেতুতে ট্রেন উঠলে জোরে ঝাঁকুনি হয়। খুব আতঙ্কে আমরা ট্রেনে যাতায়াত করি। রেলওয়ের লোকজন জানান, রেললাইনের লোহার নাট-বোল্ট বা চাবি এখন আর পাওয়া যায় না। তাই সাময়িক কাজ চালানোর জন্য সেখানে এসব ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, যেখানে এসব ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সেতুর মূল স্ট্রাকচারের অংশ নয়। এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
০৮ মে, ২০২৪

রমজান বাহিনীর হাতে জিম্মি তিস্তা চরের মানুষ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা তিস্তা চর এলাকায় গড়ে ওঠা রমজান বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে তিস্তা চরের মানুষ। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ চরের বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহির তাহু রমজান বাহিনীকে মদদ দিচ্ছেন। এ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলী। সম্প্রতি এ বাহিনীর সদস্যরা ওই ইউনিয়নের এক যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনায় আবারও আলোচনায় চলে আসে। জানা গেছে, কাকিনা ইউনিয়নের আয়নাল হক নামে এক যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রমজান আলীকে গ্রেপ্তার ও তার ইউপি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে সোমবার (২২ এপ্রিল) মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।  মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী জানান, ইউপি সদস্য রমজান আলী প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ঘর টাকার বিনিময়ে ভূমিহীন মানুষের নিকট বিক্রি করে আসছে। গত ১৫ এপ্রিল ঘর না পাওয়া একজনের টাকা ফেরত চাওয়ায় রমজান বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগ কর্মী আয়নাল হকের ওপর হামলা করে তাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়। বর্তমানে সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা বলেন, রমজান আলী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিস্তা চর এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। যা এলাকায় রমজান বাহিনী নামে পরিচিত। এই রমজান বাহিনী চরের জমিদখলসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি ইউপি সদস্য রমজান আলী এক ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয় দেখিয়ে একটি ধর্ষণ মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে। তারা আরও বলেন, এই বাহিনীর সাহায্যে সে রাতের আঁধারে গরিব অসহায় মানুষের ভোগদখলে থাকা খাস জমি দখল করে আসছে। সপ্তাহখানেক আগেও এক অসহায় গরিব মানুষের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভিটা ছাড়া করে ভোর রাতে সে জমি দখলে নিয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাটি খুঁড়তেই মিলল রাইফেল, মাইন ও গ্রেনেড
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সেচ ক্যানেলের মাটি খনন করার সময় থ্রি নট থ্রি রাইফেল, পরিত্যক্ত মাইন ও গ্রেনেডসহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। অস্ত্রগুলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজেডুমুরিয়া গ্রামের ক্যানেল বাজার এলাকায় এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডালিয়া প্রধান সেচ ক্যানেলের মাটি খননের সময় এসব বের হয়ে আসে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, ক্যানেলের মাটি খননের সময় একটি গ্রেনেড, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুটি পরিত্যক্ত মাইন, একটি ভাঙা মর্টার সেল ও একটি রাইফেলের ম্যাগাজিন উঠে আসে। স্থানীয়রা কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই স্থানটি ঘিরে রাখে। ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধার অস্ত্রগুলো জরার্জীণ হলেও পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে। বোমা নিস্ক্রিয়করণ দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অস্ত্র। এদিকে অস্ত্র উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর তিস্তা ব্যারাজ
ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে প্রতি বছরের মতো এবারও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকা। তিস্তা ব্যারাজে দর্শনার্থীদের সমাগমে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠেছে পুরো তিস্তা ব্যারেজ এলাকা। এ ছাড়া স্পিডবোট আর পালতোলা নৌকায় ওঠতে অপেক্ষা করছেন দর্শনার্থীরা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেলে, অটোরিকশায় ও মাইক্রোবাসে আসছেন তারা। তিস্তা পাড়ে চলছে আনন্দ-উল্লাস। এতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। তিস্তার বুকে স্পিডবোটে দ্রুত বেগে এপাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছেন পর্যটকরা। স্পিডবোট ও পালতোলা নৌকায় মাত্র ৫০ টাকায় তিস্তার বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তার পাড়ে। ছিটকে আসা জলরাশির আনন্দে মেতে উঠছে সবাই। এ সময় তিস্তা ব্যারাজে আনন্দের স্মৃতির হিসেবে ফ্রেমবন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রুমানা আক্তার বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নানান উৎসবে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ছুটে আসি। আমি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে অনেক মজা করেছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।  আরেক দর্শনার্থী রুহুল বলেন, আমরা ঢাকা শহরে গণ্ডির মধ্যে বসবাস করি। কোথাও যেতে পারি না। তাই ঈদে সন্তানদের নিয়ে তিস্তা ব্যারাজে ছুটে আসছি। এতে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পাচ্ছে।  গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, অত্র এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছরের মতো এবারও লাখ লাখ মানুষ তিস্তা ব্যারাজে এসে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।  হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে তিস্তা ব্যারাজে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য দোয়ানি ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

খরস্রোতা তিস্তা শুকিয়ে মরা খাল, জেলেদের দুর্দিন
রংপুরের কাউনিয়ায় এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ না থাকায় নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় শত শত মাঝি ও তিস্তা পাড়ের মৎস্যজীবীরা বেকার হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে তিস্তা নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নৌকা চালিয়ে একসময় কাউনিয়া ও রাজারহাট এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার শত শত মাঝি জীবন-জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে সে নদীর উজানে ভারতের গজল ডোবায় বাঁধ নির্মাণ করায় এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা এখন পানি শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীকে ঘিরে কাউনিয়ার সভ্যতার ক্রমবিকাশসহ শত শত মানুষ একসময় জীবন-জীবিকা নির্বাহ করত। নদীতে পানি না থাকায় কাউনিয়া থেকে রাজারহাট, কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারী বন্দর পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌকার মাঝিরা বেকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। কাউনিয়ায় নিজপাড়া মাঝিপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী শীতল, শুশিলসহ কয়েকজন জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে তিস্তা নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে মাছ ধরে তা বিক্রি করে জীবন চালিয়ে আসছি। কিন্তু বর্তমানে আর এ পেশায় থাকা যাচ্ছে না, তিস্তা নদী আর নদী নাই, চর পরে মরা খালে পরিণত হয়েছে। জীবন বাঁচাতে আমাদের এ পেশা অনেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা সত্য বাবু জানান, ‘আগে তিস্তা নদীতে হরেক রকমের মাছ পাওয়া যেত, তার মধ্যে বিখ্যাত ছিল বইরাতি মাছ। তিস্তার মাছ অনেক সুস্বাদু হওয়ায় কেনার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসত আর আমরা মাছ বিক্রি করে আনন্দের সঙ্গে জীবন চালাতাম। এখন তিস্তা নদীতে পানি নাই আমাদের সেই দিনও আর নাই।’  মাছের আড়তদার ভোলা রাম বর্মন জানান, ‘একটা সময় ছিল তিস্তা নদীর মাছ কেনার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসত আড়তে। এখন নদীতে পানি নেই, সেই মাছও নেই, ক্রেতাও নেই। নদীতে মাছ না থাকায় ব্যবসা আর আগের মতো চলে না তাই ৪-৫জন কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দিয়েছি, আবার অনেক ব্যবসা’ই বাদ দিয়েছে। নদীটি ড্রেজিং করলে হয়তো কিছু পানি থাকত, তখন কিছু মাছ পাওয়া যেত।’ পাঞ্জর ভাঙ্গা গ্রামের নৌকার মাঝি জব্বার, নুরল, কাদের, জলিল, জাহেদুল এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রায় চার মাস থেকে নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তখন থেকে নৌকা না চলায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারিভাবে তাদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা করা হয় না। অনেকে বাধ্য হয়ে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। যারা দিন মজুরির কাজ করতে পারছে না তারা বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। নদীতে পানি না থাকায় বোরো চাষও হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরকার দফায় দফায় তিস্তার পানি চুক্তি ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও তা বাস্তবতার মুখ দেখছে না। কাউনিয়া এলাকার সকল মৎস্যজীবী, মাঝিমাল্লাসহ সাধারণ মানুষ তিস্তা নদীর হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

তিস্তা রেল সেতুর স্লিপারে ব্যবহৃত বাঁশ অপসারণ
তিস্তা রেল সেতুর স্লিপারে লোহার পাতের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার নিয়ে কালবেলা মাল্টিমিডিয়ায় ভিডিও সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে ওই বাঁশ সরিয়ে ফেলেছে লালমনিরহাট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে বাঁশ সরিয়ে নিলেও এখনো ব্যবহার করা হয়নি লোহার পাত; মেরামত করা হয়নি নষ্ট স্লিপার; টাইট করা হয়নি স্লিপার থেকে খুলে পড়া নাট-বোল্ট। তাই ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয় বাঁশ। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটি মেরামত এবং একটি নতুন রেলসেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশের সঙ্গে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয় রেলসেতু। নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮৩৪ সালে ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করে। ১৮৩৪ সালে নির্মিত সেতুটির মেয়াদ ওই সময় ধরা হয়েছিল একশ বছর। বর্তমানে যার বয়স চলছে ১৮৬ বছর। স্লিপার ধরে রাখতে লোহার পাতের পরিবর্তে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় বাঁশ। মাঝেমধ্যে ফাটল দেখা দিলে তা ঝালাই দিয়ে মেরামত করে চালানো হচ্ছে ট্রেন। মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুটির পাশে আর একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে নেই কোনো উদ্যোগ। স্থানীয়রা জানান, সেতুর ওপর ট্রেন উঠলে ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে। প্রতিদিন অনেক ট্রেন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে অথচ এটির বিষয়ে কোনো গুরুত্ব নেই রেল কর্তৃপক্ষের। তিস্তা রেল সেতুটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ নয় দাবি করে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, সেতুর ওপর ভারী ট্রেন উঠলে একটু ঝাঁকুনি হতেই পারে। অল্প সময়ের সেতুর রেললাইনের স্লিপারে লোহার পাত ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চলাচল করতে পারবেন বলেও তিনি দাবি করেন।
২৪ মার্চ, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হলো তিস্তা রেলসেতুর স্লিপারে ব্যবহৃত বাঁশ
তিস্তা রেলসেতুর স্লিপারে লোহার পাতের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার নিয়ে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রচারের পর তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে ওই বাঁশ সরিয়ে ফেলেছে লালমনিরহাট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে বাঁশ সরিয়ে ফেলা হলেও স্লিপারে এখনো ব্যবহার করা হয়নি লোহার পাত। মেরামত করা হয়নি নষ্ট স্লিপার, টাইট করা হয়নি স্লিপার থেকে খুলে পড়া নাট-বল্টু। তাই ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটি মেরামত এবং একটি নতুন রেলসেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয় তিস্তা রেলসেতু। নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮৩৪ সালে ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করে। ১৮৩৪ সালে নির্মিত সেতুটির মেয়াদ ওই সময় ধরা হয়েছিল ১শ বছর। বর্তমানে যার বয়স চলেছে ১৮৬ বছর। স্লিপার ধরে রাখতে লোহার পাতের পরিবর্তে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় বাঁশ। মাঝে মধ্যে ফাঁটল দেখা দিলে তা ঝালাই দিয়ে মেরামত করে চালানো হচ্ছে ট্রেন। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন ১৮টি ট্রেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা থেকে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এ সেতুর ওপর দিয়ে পার হচ্ছে কয়েক হাজার যাত্রী। মেয়াদ উত্তীর্ণ সেতুটির বেশকিছু স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে, খুলে পড়েছে অনেক স্লিপারের প্লেট ও নাট-বল্টু। পাশাপাশি স্লিপার ধরে রাখতে লোহার পাত ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও বাঁশ ব্যবহার করা হয়। মাঝে মধ্যে ফাটল ঝালাই দিয়ে মেরামত করা হয়। দীর্ঘদিন অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকা সেতুটিতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।   মেয়াদ উত্তীর্ণ সেতুটির পাশে আর একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে নেই কোনো উদ্যোগ।  স্থানীয়রা জানান, সেতুর উপর ট্রেন উঠলে ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে।  প্রতিদিন অনেক ট্রেন চলাচল করে এ সেতু দিয়ে অথচ এটির বিষয়ে কোনো গুরুত্ব নেই রেল কর্তৃপক্ষের।  উত্তরের দুই জেলার রেলযোগাযোগের একমাত্র ভরসা তিস্তা রেল সেতু। এটি বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে। সেতুটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হতে পারে রেলযোগাযোগ। তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে তিস্তা রেল সেতুটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ নয় দাবি করে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, সেতুর উপর ভারী ট্রেন উঠলে একটু ঝাঁকুনি হতেই পারে। অল্প সময়ের সেতুর রেললাইনের স্লিপারে লোহার পাত ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চলাচল করতে পারবে বলেও তিনি দাবি করেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪
X