লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০২:৫০ এএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রেলসেতুতে নাটবল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে গাছের ডাল

তিস্তা রেলসেতুতে নাটবল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের ডাল। ছবি : কালবেলা
তিস্তা রেলসেতুতে নাটবল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের ডাল। ছবি : কালবেলা

লালমনিরহাট তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ জায়গায় নেই নাটবল্টু। নষ্ট হয়ে গেছে অনেকাংশের স্লিপার। লোহার পাতের পরিবর্তে সেতুতে ব্যবহৃত বাঁশ তুলে ফেলে এখন ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। আর নাটবল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের শুকনো ডাল।

কিন্তু সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা দুর্ঘটনার আশঙ্কা করলেও, বেশ জোর দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে- উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ ‘তিস্তা রেলসেতুতে লোহার পাতের বদলে বাঁশ’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় খবর প্রকাশ হয়। এ খবর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে ওই দিন রাতের আঁধারে বাঁশ সরিয়ে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুইমাস না যেতেই ওই রেলসেতুতে এখন ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। আর নাটবল্টুর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের ডাল ও লাঠি।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুটির বিভিন্ন স্থানে লোহার পাতের পরিবর্তে লাগানো হয় বাঁশ। তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ মোট ৩২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। অথচ এ রেলসেতুর অধিকাংশ স্থানেই নেই স্পাইক। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। এমনকি ফিসপ্লেট আটকানোর জন্যও নাটবল্টুর বদলে গাছের ডাল ও লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অংশে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার। এমনকি অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুতে লোহার পরিবর্তে লাগানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। তাই যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ অংশে লোহার নাটবল্টু নেই। এর পরিবর্তে গাছের ডাল ও কাঠ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। আবার রেল সেতুর অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের ফালা। সেতুতে ট্রেন উঠলে জোরে ঝাকুনি হয়। খুব আতঙ্কে আমরা ট্রেনে যাতায়াত করি।

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের লোকজন বলেন, রেললাইনের লোহার নাটবল্টু বা চাবি এখন আর পাওয়া যায় না। তাই সাময়িক কাজ চালানোর জন্য সেখানে বাঁশের খিল ও কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, এটা সেতুর মূল স্ট্রাকচারের কোনো অংশ না। যে কারণে এটা ব্রিজের সঙ্গে বা ট্রেন চলাচলে কোনোভাবে জড়িত না থাকায় এটি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আমরা সবসময় ব্রিজগুলোর দেখভাল করি। এর আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা ছিলেন তারা পুরনো স্লিপার চিরাই করে ব্রিজে ব্যবহার করেছে বলেও তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ নেতার সাড়ে ৮ বিঘা জমির ফসল কাটল দুর্বৃত্তরা

ক্রিকেটে এখনও যে আক্ষেপ রয়ে গেছে মোস্তাফিজের

গাজায় যুদ্ধ চান না নেতানিয়াহুর মন্ত্রীও

সামাজিক সুরক্ষায় অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা : দীপু মনি

তীব্র তাপপ্রবাহে লিচুর সর্বনাশ!

আত্মহত্যা করা জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার ফল প্রকাশ

ষাট হাজার টাকা বেতনে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি

হৃদপিণ্ড নিয়ে কোরআনের তথ্যে বিজ্ঞানীরা হতবাক

আবদুল কাদির-সুফিয়া কামালের স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান

রাবিতে সনদ তুলতে গিয়ে হয়রানি

১০

বঙ্গবাজারে মার্কেট নির্মাণকাজের উদ্বোধন ২৫ মে

১১

খুলনায় মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

১২

শামসুর রহমানের মৃত্যুতে বে গ্রুপের শোক

১৩

কোভ্যাক্সিনের টিকায়ও হচ্ছে ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!

১৪

মঞ্চে বিব্রতকর অবস্থায় মাহিরা খান

১৫

বগুড়ায় গরমে স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ

১৬

আওয়ামী লীগ সব কিছুই গোপন রাখছে : জি এম কাদের

১৭

রাতে ঢাকায় ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা

১৮

বাজার থেকে এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ

১৯

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ কোটি ডলারের ‘ড্রোন ভূপাতিত’

২০
X