ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে প্রতি বছরের মতো এবারও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকা।
তিস্তা ব্যারাজে দর্শনার্থীদের সমাগমে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠেছে পুরো তিস্তা ব্যারেজ এলাকা। এ ছাড়া স্পিডবোট আর পালতোলা নৌকায় ওঠতে অপেক্ষা করছেন দর্শনার্থীরা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেলে, অটোরিকশায় ও মাইক্রোবাসে আসছেন তারা। তিস্তা পাড়ে চলছে আনন্দ-উল্লাস। এতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
তিস্তার বুকে স্পিডবোটে দ্রুত বেগে এপাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলছেন পর্যটকরা। স্পিডবোট ও পালতোলা নৌকায় মাত্র ৫০ টাকায় তিস্তার বুকে ভাসছেন দর্শনার্থীরা। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তার পাড়ে। ছিটকে আসা জলরাশির আনন্দে মেতে উঠছে সবাই। এ সময় তিস্তা ব্যারাজে আনন্দের স্মৃতির হিসেবে ফ্রেমবন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রুমানা আক্তার বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নানান উৎসবে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ছুটে আসি। আমি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে অনেক মজা করেছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
আরেক দর্শনার্থী রুহুল বলেন, আমরা ঢাকা শহরে গণ্ডির মধ্যে বসবাস করি। কোথাও যেতে পারি না। তাই ঈদে সন্তানদের নিয়ে তিস্তা ব্যারাজে ছুটে আসছি। এতে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পাচ্ছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, অত্র এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছরের মতো এবারও লাখ লাখ মানুষ তিস্তা ব্যারাজে এসে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে তিস্তা ব্যারাজে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য দোয়ানি ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন