জাতিসংঘের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ টিআইবির
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিএসএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশের প্রাপ্য অর্থ অন্যায়ভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জাতিসংঘের অধীন এ সংস্থা দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও জাতিসংঘেরই আরেক সংস্থা ইউএনডিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ফের তাদের অর্থ ছাড় দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি ভঙ্গ করে বাংলাদেশি সংস্থার অর্থায়নে ধীরগতি, কম সুবিধা দেওয়া এবং নিবন্ধন না দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে টিআইবি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মাইডাস সেন্টারে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ কথা বলেন তিনি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংস্থাকে ঋণ আর আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বেশি করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। জিএসএফ দুর্নীতিগ্রস্ত এই অর্থে যে তারা নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বাস্তবতা। এই বাস্তবতা আমরা মেনে নিইনি, নেব না। এটিকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রাপ্য অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, করা হবে—এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিলের ভূমিকা হতাশাজনক। জিএসএফে জবাবদিহি করার মতো অবকাঠামো নেই। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। জিএসএফের ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেনদরবারের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিএসএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দিয়েছে। জিসিএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়, যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এ সময় সংস্থাটির কান্ট্রি ওনারশিপ নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১৫ মে, ২০২৪

জলবায়ু তহবিল / জাতিসংঘের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ টিআইবির
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিএসএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশের প্রাপ্য অর্থ অন্যায়ভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জাতিসংঘের অধীনস্থ এ সংস্থা দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও জাতিসংঘেরই আরেক সংস্থা ইউএনডিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুনরায় তাদের অর্থ ছাড় দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি ভঙ্গ করে বাংলাদেশি সংস্থার অর্থায়নে ধীরগতি, কম সুবিধা দেওয়া এবং নিবন্ধন না দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে টিআইবি। মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার মাইডাস সেন্টারে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ অভিযোগ করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংস্থাকে ঋণ আর আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বেশি করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। জিএসএফ দুর্নীতিগ্রস্ত এই অর্থে যে তারা নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্যমূলক কাজ করছে। তারা তাদের পারফরম্যান্সে ফেল করছে। কাজেই ক্ষমতার অপব্যবহার বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বাস্তবতা। এই বাস্তবতা আমরা মেনে নেইনি, নেব না। তবে এটিকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রাপ্য অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, করা হবে- এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিলের ভূমিকা হতাশাজনক। জিএসএফে জবাবদিহি করার মতো কোনো অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। জিএসএফের ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেন-দরবারের সুযোগ রয়েছে।  টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিএসএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।  গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দিয়েছে। জিএসএফ ইউএনডিপিকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। জিসিএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়, যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।  এতে জানানো হয়, তহবিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতির অজুহাতে জিসিএফ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।  এসময় সংস্থাটির কান্ট্রি ওনার শিপ-নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
১৪ মে, ২০২৪

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণে দুর্নীতির অভিযোগ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় প্রাথমিকের শিক্ষকদের শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষক-প্রশিক্ষণার্থীদের নির্মাণের খাওয়া, উপকরণ দেওয়া ও সম্মানী হতে টাকা কেটে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পাটগ্রামের ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯০ জন শিক্ষককে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ জন্য সম্মানী ভাতা, খাবার ভাতা, ব্যাগ, প্রশিক্ষণ উপকরণ ও যাতায়াত ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ, ইউআরসি কর্মকর্তা এএসএম হেলাল তার কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রেজাউল হাকামের যোগসাজশে কম টাকায় নিম্নমানের ব্যাগ, উপকরণ ও খাবার সরবরাহ করেন। এ ছাড়া সনদ দেওয়ার সময় টাকা নেওয়া এবং যাতায়াত ভাতা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বিতণ্ডা হয়। তারা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়েও যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ইউআরসি কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কাটছাঁট করে টাকা মেরে দিয়েছেন। ব্যাগ ও উপকরণের মান খুবই খারাপ। তবে ইউআরসি কর্মকর্তা হেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কেউ দেননি আমাদের। খাদ্যদ্রব্য ও অন্য উপকরণ সবই ঠিক ছিল। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে শিক্ষকরা গিয়েছিলেন, তারা বিধি অনুযায়ী যাতায়াত ভাতা পাবেন না। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) জেলা সুপারিনটেনডেন্ট শামছিয়া আখতার বেগম বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব, মানসম্মত জিনিস দিয়েছে কি না। দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে অফিশিয়াল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

দুর্নীতির অভিযোগ জাপানের ৪ মন্ত্রীর পদত্যাগ
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের একটি তহবিল উত্তোলনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশটির চার মন্ত্রী একসঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) তারা নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিকে কেন্দ্র জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থার সংকটে ভুগছেন। আর ঠিক এমন সময়েই এই চার মন্ত্রী তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। তাদের এই পদত্যাগকে কিশিদার জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। পদত্যাগ করা মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলেন জাপানি মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ও সরকারের প্রধান মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো। তিনি কিশিদার ডান হাত হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া অর্থনীতি ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি এবং কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মিয়াশিতা পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া পাঁচ সিনিয়র উপমন্ত্রী এবং একজন সংসদীয় উপমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। তারা জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বে একই দলের উপদলের সদস্য। অভিযোগ উঠেছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত আগের পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীন দল এলডিপির তহবিল থেকে ৫০ কোটি জাপানি ইয়েন লাপাত্তা হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কৌঁসুলিরা দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিক্কেই। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় সবটা সময় জাপানের ক্ষমতায় আছে ক্ষমতাসীন এলডিপি। তবে ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো দলটির প্রতি জনসমর্থন ৩০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম এনএইচকের এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং পূর্বের কেলেঙ্কারি সামাল দিতে না পারায় কিশিদা প্রতি ক্ষুব্ধ ভোটাররা। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিশিদা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। ২০২৫ সালে জাপানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

খুলনার সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
প্রশিক্ষণার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করা, নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের গায়ে হাত তোলাসহ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ খুলনার একমাত্র সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।প্রতিষ্ঠানকে কুক্ষিগত করে নিজ সম্পত্তি বানিয়ে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতি ও কর্মচারী লাঞ্ছিত হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযোগ এমনকি মামলা দায়ের করা হলেও বহাল তবিয়তে চলছে তার কর্মকাণ্ড। এসবের কারণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বৃহৎ অংশ আন্দোলন করছে তাকে অপসারণের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনার খানজাহান আলী থানার তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত খুলনা সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামকে নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানানিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। ক্ষমতার দম্ভ এবং ব্যক্তিগত অসদাচরণের কারণে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা শুরু থেকে তার উপর ছিল নাখোশ। প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালককে মারধর, প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক প্রশিক্ষককে হত্যা করে লাশ গুম, প্রতিষ্ঠানের মালামাল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে পরিচালনা না করারসহ নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রির। প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের কাঁচামাল সরবরাহ না করে সেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষক, কর্মচারী এবং প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। যার বিস্ফোরণ ঘটে গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর)। এ দিন তার কাছে হেনস্তা হওয়া প্রশিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পদ থেকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ নিয়ে উত্তেজনা চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এক গাড়িচালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না করিয়ে ভাউচার করে সমন্বয় করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ২৩ নভেম্বর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের কাজ শুরুহওয়ার পূর্বে প্রতিষ্ঠানের ১৯৫টি গাছ ভেকু দিয়ে কেটে ফেলে কিছু গাছ বিক্রির অভিযোগে খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন স্থানীয় বাসিন্দা কাজী আরিফুল ইসলাম বকুলসহ স্থানীয়রা। অভিযোগ তদন্তের জন্য বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন সরেজমিনে এসে অভিযোগকারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় লোকজন অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রশিক্ষক কাজী মঈনুল ইসলাম বাবলুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদানের অভিযোগে এনে খুলনা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজী মইনুল ইসলাম বাবলু ৩০ অক্টোবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থী রাকিবুল ইসলাম জানায়, অধ্যক্ষের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে প্রশিক্ষণের জন্য আসি। সেই প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ না করে যখন শুনি প্রতিনিয়ত ভিতরের এবং বাইরের গেস্টদের নিয়ে ভূরিভোজ করে। অথচ আমাদের প্রশিক্ষণের জন্য কাঁচামালসহ অন্যন্যা সরঞ্জাম আমাদের টাকা দিয়ে কিনে আমাদের প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে। ইসমাইল ও নাজমুল নামে আরও দুই প্রশিক্ষার্থীও একই অভিযোগ করে বলেন আমি ওয়েল্ডিং ট্রেডের একজন প্রশিক্ষণার্থী। কিন্তু আমি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ডিস্কসহ অনেক কিছুই আমাদের নিজেদের টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এখান থেকে কিছু দেয় না। প্রশিক্ষক হযরত আলী ও ইনস্পেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, এই অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় মন যা চায় তাই করছে। কর্মচারীদের মারধর করে মেরে ফেলার হুমকিসহ নানান অনিয়মের সাথে জড়িত তিনি। উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য প্রতিষ্ঠানদের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে যারা অনিয়ম করে খাচ্ছিল তারাই এখন আমার ভুল ধরতেছে। তাদের অনিয়ম রুখতে আমি তাদের শত্রু হয়েছি। আমি বিধি মোতাবেক সরকারি দায়িত্ব নিয়ে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কে শত্রু হলো, কে আমার বিরুদ্ধে বলল এ বিষয়ে কিছুই যায় আসে না। 
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সুনামগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের চোখে দেখেন না। দাপ্তরিক থেকে ব্যক্তিগত সব কাজই করেন অন্যের সাহায্য নিয়ে।  সম্প্রতি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলার শিক্ষকরা দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিবাদ জানান। শিক্ষকরা জানান, নিজের সীমাবদ্ধতাকে পুঁজি করে অনুসারী শিক্ষকদের নিয়ে নানা দুর্নীতি আর অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল খায়ের। দৃষ্টিশক্তি না থাকায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ বিশ্বাস করতে পারেন না অনেকেই। দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের কারণে কার্যালয়ে কর্মরত দুথজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে তার সম্পর্ক তলানিতে। বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনের কাজে তার সঙ্গে থাকেন শান্তিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুসেন আহমদ তৈফুল। সব পরিদর্শন প্রতিবেদনও তৈরি করেন প্রধান শিক্ষক তৈফুল। এ ছাড়াও সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে তিনি সব কাজ করেন নির্দিষ্ট কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে। শিক্ষকরা জানান, দৃষ্টিশক্তি না থাকায় বিদ্যালয় পরিদর্শন কাজে তার সঙ্গে থাকেন প্রধান শিক্ষক তৈফুল। পরিদর্শন প্রতিবেদনও তৈরি করেন তিনি। একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের কাজ বাদ দিয়ে অন্য বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন এবং প্রতিবেদন তৈরির বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তাই নয় বিদ্যালয় পরিদর্শন খাতার লেখাও ওই প্রধান শিক্ষকের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩৪টি বিদ্যালয়ের বাস্তবায়িত বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থেকে ২ হাজার, ৮৮টি বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত রুটিন মেইনটেন্যান্স পরিকল্পনা থেকে ২ হাজার, ৯টি বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্র মেরামত থেকে ৪ হাজার করে টাকা নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। নিজে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এবং অনেক জায়গায় তার অনুগত শিক্ষকদের মাধ্যমে এ টাকা আদায় করেছেন। উজান তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মইনুল হক জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের উৎকোচের টাকার জন্য তার বিদ্যালয়ের বরাদ্দ আটকে রাখেন। পরে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে বিলে স্বাক্ষর করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর বড়দল ইউনিয়নের একজন নারী প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের নামে আসা বরাদ্দের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়েছে। অথচ চাপের মুখে শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে ২ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।  ফয়েজ আহমদ শাহিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৯ নভেম্বর বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক হুসেন আহমদ তৈফুল। বিদ্যালয়ের পরিদর্শন খাতায় এক পৃষ্ঠার বেশি একটি মন্তব্য লিখেছিলেন তৈফুল।  এ ব্যাপারে শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুসেন আহমদ তৈফুল জানান, পরিদর্শনের সময় সবার সঙ্গে আলোচনা করেই খাতায় লেখা হয়। তবে সবসময় তিনি এসব লেখেন না। অন্যরা লিখে থাকেন। তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার লিটন জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চোখে না দেখতে পারায় প্রাথমিক শিক্ষায় সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ছাড়া একজন শিক্ষকের নিজের কাজ ফেলে অন্য স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই আপত্তিকর। এদিকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের ও বিল আটকে রেখে এবং মেরামতের টাকা ছাড় দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।’ তবে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি ওই কর্মকর্তা।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
বরিশালের বাবুগঞ্জের ৫ নম্বর রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন পরিষদের ১২ সদস্য। তারা মিলনের বিচার দাবি করে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্যের সিল এবং স্বাক্ষরিত এক পাতার অভিযোগ ৩টি দপ্তর প্রদান বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্র উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউপি সচিবের সহযোগিতায় সরকারি বরাদ্দের সুষম বণ্টন না করা, মাসিক সভা না করা এবং ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ ৮টি অভিযোগ করা হয়েছে চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, ‘চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি বরাদ্ধ সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে নিজের ইচ্ছেমতো বণ্টন করেছেন। ইউনিয়নে মাসিক কোনো সভা না ডেকে সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান ও সচিব সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহযোগিতায় তারা এ সমস্ত সরকারি বরাদ্দ তারা নিজেদের মতো তালিকা করে দেন। উপজেলা পিআইওর সাথে চেয়ারম্যান সমন্বয় করে সবকিছু ভাগ-বাটোয়ারা করে ভোগ করেন। চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এ ছাড়াও জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি, বাইরের আবেদন গ্রহণ না করা। ডানিডা, ননওয়েল, ওয়ান পার্সেন্ট, এডিবি, ট্যাক্স আদায়, টিআর, কাবিখা, কাবিটা কর্মসূচি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, রেশন কার্ড, টিসিবি, ভিজিডি কার্ড নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে পছন্দমতো লোকদের দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার উজ জামান মিলন পরিষদে চাল না দিয়ে সরকারি গোডাউনে বসে চাল বিতরণ করেন। ইউপি সদস্যদের সম্মানি ভাতা দিচ্ছেন না, মৎস্য চাল, উন্নয়ন তহবিল, গভীর নলকূপ, মাসিক মিটিং এমনকি প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনও করছেন না। তিনি নিজের আত্মীয়দের উদ্যোক্তা বানিয়ে তাদের দিয়ে ইউপি সদস্য ও সাধারণ জনগণকে হয়রানি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছেন ইউপি সদস্যরা। অভিযোগপত্রে পরিষদের সদস্যরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং অভিযোগের যাতে সুষ্ঠু তদন্ত হয় সে বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার উপপরিচারক ও উপজেলা নির্বাহী বরাবর। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ্জামান মিলিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সদস্যরা দিয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। কেননা সদস্যরা যদি সাথে থাকে তবে চেয়ারম্যান দুর্নীতি করে কীভাবে। এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলার স্থানীয় সরকার উপপরিচালক গৌতম বাড়ৈ বলেন, ‘আমি পূজার ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। তাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিয়েছে কি না তা বলতে পারব না। অভিযোগ দিয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০ অক্টোবর, ২০২৩

নীলফামারীতে এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে নীলফামারীর ডিমলা সদর ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া চৌপথি হতে তিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করছে বুলুরাণী ট্রেডার্স। সড়কটির আইডি নং-১৭৩১২৪০৪৬। চলমান এ রাস্তার নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণাধীন রয়েছে রাস্তাটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বুলুরাণী ট্রেডার্স রাস্তাটি নির্মাণ করছেন। চলমান এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও কাঁদামাটিযুক্ত ভিটিবালু ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইটের খোয়া এবং ভিটিবালুর পরিমাণের মিশ্রণ ১/১ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ভিটিবালুর পরিমাণ বেশি এবং ইটের খোয়া কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা জুলহাস, আব্দুল করিম, শৈলেন চন্দ্রসহ আরও অনেকে এ রাস্তার কাজ তদারকিতে ডিমলা উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং স্বজনপ্রীতি আছে বলেও অভিযোগ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলজিইডির ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রংপুর বিভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য প্রাক্কলিত বরাদ্দ ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৫ টাকা। চুক্তিমূল্য ৮২ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৭ টাকা। রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে রায়েছে-রাস্তার বক্স কাটিংয়ের পর সেই মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে বক্স ভরাট করণ, রোড রোলারের ব্যবহার না করা, পানি কিউরিং না করা এবং নিম্নমানের ইটের খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ডব্লিউবিএম তৈরি করা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও অফিস কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারের যোগসাজশে এখনো ওই কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার ও তাদের লোকজন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে কাদামাটি দিয়ে তার ওপর নিম্নমানের ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটেরভাঙ্গা অংশ রাবিশ দিয়ে কাজ করে হচ্ছে। রাস্তার কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, কার্যসহকারীসহ  কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি। অথচ ইট, ইটের খোয়ায় পা দিয়ে চাপ দিলে তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারের কাজ করার কথা বললেও তিনি কোনো তোয়াক্কা না করে অনুমোদনবিহীন নিম্নমানের ভিটিবালু, ইট ও ইটের খোয়া দিয়ে কাজ সম্পন্ন করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।’  অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি প্রভাত সাহার কাছে রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাজের মান এলজিইডি তদারকি করে বিল দেবে। আমরা দরপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। অফিস আমাদের কাছ থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নিচ্ছে।’ এলজিইডির ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে ও কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  এ বিষয়ে নীলফামারী এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ হাসান বলেন, ‘রাস্তার কাজে অনিয়ম পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’
১৮ অক্টোবর, ২০২৩

বাকৃবি লাইব্রেরিয়ানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে ঘিরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলম নান্নুর বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এ অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে।  লাইব্রেরির বাজেট ব্যবহারে অসংগতি, একাডেমিক বইয়ের অপর্যাপ্ততা, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণে অসংগতি, লাইব্রেরির এসির অচলাবস্থা, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গণগ্রন্থাগার তালা দেওয়া, লাইব্রেরিতে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ জনকে কাজ করানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় লাইব্রেরি নিয়ে তার স্বেচ্ছাচারিতায় যেন বেড়েই চলেছে। অভিযোগে জানানো হয়, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ নির্মাণের কাজ দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেও শেষ হয়নি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই। বরাদ্দের টাকার অসংগতির কারণেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ একই সময়ে লাইব্রেরির বৈদ্যুতিক, সংস্কার, মেরামত ও লাইব্রেরিয়ানের অফিস কক্ষের আধুনিকায়ন কাজসহ নানা কাজে ব্যয় করা হয়েছে এক কোটি টাকার ওপরে বলে জানান লাইব্রেরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। লাইব্রেরির এসব কাজের ব্যয় ও কেনাকাটা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে প্রশ্নবিদ্ধ কেনাকাটার ভাউচারে কমিটির অনেকেই স্বাক্ষর করেননি বলেও জানানো হয়। এ বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলম নান্নু জানান, সোনালী ব্যাংক থেকে অনুদান পাওয়া ২৫ লাখ টাকা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আরও কিছু বাজেট হলে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ নির্মাণের কাজ শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন আমার রুম ডেকোরেশেনের জন্য। লাইব্রেরির নিচতলায় যে ৪টি এসি পড়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণ শেষ হলে এসির কার্যক্রম শুরু হবে। লাইব্রেরিতে বই সংগ্রহের জন্য একটি কমিটি আছে। কমিটির সকল সদস্যের পরমর্শক্রমেই বই সংগ্রহ করা হয়। লাইব্রেরিতে পিওন সংকট হওয়ার কারণে ৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদেরকে বেতন দেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. অলিউল্লাহ বলেন, লাইব্রেরিতে খণ্ডকালীন কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে যেকোনো বিভাগের প্রধান প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বাজেটের আওতায় কন্টেনজেন্সি হিসেবে জনবল রাখতে পারেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ২০টি ফ্যান ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।  এ বিষয়ে খাইরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০টি ক্রয় করা হয়। ফ্যান ক্রয়ের পর অবশিষ্ট টাকা দিয়ে আইপিএস ক্রয় করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, লাইব্রেরির রিডিং রুমে ১৫টি মীরা ফ্যান সচল রয়েছে। সরকারি গণগ্রন্থাগার বন্ধের অভিযোগের বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান বলেন, গণগ্রন্থাগারে পাঠক সংখ্যা কম হওয়ার কারণে এটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য বলেছিলাম। পরে গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক বরাবর আমরা কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। তারা কোনো চিঠির উত্তর দেয়নি। এ কারণে তালা দেওয়ার পরও গণগ্রন্থাগারটি আবার খুলে দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক আব্বাস আলী বলেন, কোনো ধরনের চিঠি, ফোন না দিয়ে গণগ্রন্থাগার তালা দেওয়া হয়। কে বা কারা তালা দিয়েছে সেটি আমি জানি না। তবে আমি রেজিস্ট্রার মহোদয়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলার পরে তিনি ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে খুলে দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, লাইব্রেরির তিনতলায় পরিত্যক্ত রুমটি দ্রুত পড়ার উপযুক্ত করা হবে। লাইব্রেরির কেন্দ্রীয় এসি পরিবর্তন করা হবে। এ জন্য ডিপিপির একটি বাজেট পাস হয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যাটি সমাধান হবে। একাডেমিক বই হিসেবে ই-বুকের আধিক্য বাড়ছে। বইয়ের হার্ডকপি কম পাওয়া যাচ্ছে। লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদেরকে ই-বুক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। লাইব্রেরির অসংগতির বিষয়ে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণে অধিকাংশ বাজেট খরচ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ও হিসাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী বাজেট দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবি লাইব্রেরিয়ান বলেছেন, ২৫ লাখ টাকা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তারা এই টাকা কি কাজে শেষ করেছেন সেই হিসাব আমি নেব। যদি দেখি তারা টাকা ঠিকমতো খরচ করেনি, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ রয়েছে, সব অভিযোগ যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যায় ও অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।
০২ অক্টোবর, ২০২৩

দুর্নীতির অভিযোগ : মেনেনডেজের কাছ থেকে অর্থ ও স্বর্ণ জব্দ
১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেনডেজ ও তার স্ত্রী নাদিন আর্সলানিয়ান মেনেনডেজ। এবার তার বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। সিএনএন জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ৫০ হাজার ডলার ও স্বর্ণসহ বব মেনেনডেজের নাম সংবলিত একটি জ্যাকেট ও খাম জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে করা এক দুর্নীতির মামলায় এ অভিযান চালানো হয়।  আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জব্দ করা এসব খামে কয়েকজন ব্যবসায়ীর আঙুলের ছাপ ও ডিএনএ পাওয়া গেছে। এসব ব্যবসায়ার সাথে তার যোগাযোগ এমনকি তাদের কাছ থেকে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।  অভিযানে কর্মকর্তারা তার বাসার নিচ থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করাছেন। এ গাড়িটিও ওইসব ব্যবসায়ীরা তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া এসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুস হিসেবে স্বর্ণের বারও নিয়েছেন।   আইনজীবীদের অভিযোগ, মেনেনডেজ ও তার স্ত্রী এক দল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিসর সরকারের সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কয়েক হাজার ডলারের ঘুস নিয়েছিলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই সিনেটর। তবে অভিযোগ ওঠার পর তিনি বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। জানা গেছে, ঘুস ও বিশেষ সুবিধা দেওয়া ওই ব্যবসায়ী দলে তিনজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা হলেন ওয়ায়েল হানা, জোসে উরিবে ও ফ্রেড ডাইবস। গত শুক্রবার তার দুর্নীতির বিষয়ে ৩৯ পাতার অভিযোগপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মেনেনডেজের রাজনৈতিক অবস্থান ও ক্ষমতা তাকে এ ধরনের দুর্নীতিতে জড়াতে উৎসাহিত করেছে। তবে এর জবাবে পালন্টা বিবৃতি দিয়েছেন মেনেনডেজ। সেখানে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মেননডেজের দাবি, তিনি নির্দোষ। আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের মাধ্যমে অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।  এর আগে ২০১৫ সালেও সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল মেনেনডেজকে। ওই সময়  তার বিরুদ্ধে ফ্লোরিডার এক চক্ষুচিকিৎসকের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ওই ঘটনায় বিচারকরা সর্বসম্মত রায় দিতে পারেননি।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X