লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় প্রাথমিকের শিক্ষকদের শিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষক-প্রশিক্ষণার্থীদের নির্মাণের খাওয়া, উপকরণ দেওয়া ও সম্মানী হতে টাকা কেটে নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পাটগ্রামের ১৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯০ জন শিক্ষককে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ জন্য সম্মানী ভাতা, খাবার ভাতা, ব্যাগ, প্রশিক্ষণ উপকরণ ও যাতায়াত ভাতার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ, ইউআরসি কর্মকর্তা এএসএম হেলাল তার কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রেজাউল হাকামের যোগসাজশে কম টাকায় নিম্নমানের ব্যাগ, উপকরণ ও খাবার সরবরাহ করেন। এ ছাড়া সনদ দেওয়ার সময় টাকা নেওয়া এবং যাতায়াত ভাতা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বিতণ্ডা হয়। তারা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়েও যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ইউআরসি কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কাটছাঁট করে টাকা মেরে দিয়েছেন। ব্যাগ ও উপকরণের মান খুবই খারাপ।
তবে ইউআরসি কর্মকর্তা হেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ কেউ দেননি আমাদের। খাদ্যদ্রব্য ও অন্য উপকরণ সবই ঠিক ছিল। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে শিক্ষকরা গিয়েছিলেন, তারা বিধি অনুযায়ী যাতায়াত ভাতা পাবেন না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) জেলা সুপারিনটেনডেন্ট শামছিয়া আখতার বেগম বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব, মানসম্মত জিনিস দিয়েছে কি না। দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে অফিশিয়াল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন