১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ও বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেনডেজ ও তার স্ত্রী নাদিন আর্সলানিয়ান মেনেনডেজ। এবার তার বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
সিএনএন জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ৫০ হাজার ডলার ও স্বর্ণসহ বব মেনেনডেজের নাম সংবলিত একটি জ্যাকেট ও খাম জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে করা এক দুর্নীতির মামলায় এ অভিযান চালানো হয়।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জব্দ করা এসব খামে কয়েকজন ব্যবসায়ীর আঙুলের ছাপ ও ডিএনএ পাওয়া গেছে। এসব ব্যবসায়ার সাথে তার যোগাযোগ এমনকি তাদের কাছ থেকে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানে কর্মকর্তারা তার বাসার নিচ থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করাছেন। এ গাড়িটিও ওইসব ব্যবসায়ীরা তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া এসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুস হিসেবে স্বর্ণের বারও নিয়েছেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, মেনেনডেজ ও তার স্ত্রী এক দল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিসর সরকারের সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কয়েক হাজার ডলারের ঘুস নিয়েছিলেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই সিনেটর। তবে অভিযোগ ওঠার পর তিনি বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে, ঘুস ও বিশেষ সুবিধা দেওয়া ওই ব্যবসায়ী দলে তিনজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা হলেন ওয়ায়েল হানা, জোসে উরিবে ও ফ্রেড ডাইবস। গত শুক্রবার তার দুর্নীতির বিষয়ে ৩৯ পাতার অভিযোগপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মেনেনডেজের রাজনৈতিক অবস্থান ও ক্ষমতা তাকে এ ধরনের দুর্নীতিতে জড়াতে উৎসাহিত করেছে।
তবে এর জবাবে পালন্টা বিবৃতি দিয়েছেন মেনেনডেজ। সেখানে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মেননডেজের দাবি, তিনি নির্দোষ। আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের মাধ্যমে অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালেও সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল মেনেনডেজকে। ওই সময় তার বিরুদ্ধে ফ্লোরিডার এক চক্ষুচিকিৎসকের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ওই ঘটনায় বিচারকরা সর্বসম্মত রায় দিতে পারেননি।
মন্তব্য করুন