ময়নাতদন্তে হত্যা পিবিআই জানাল আত্মহত্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক অধ্যাপক কেবিএম মামুন রশীদ চৌধুরীর স্ত্রী কোহিনূর বেগমের (৬৫) মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কোহিনূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী রশীদ চৌধুরী ও তাদের পালিত কন্যা ফাইজা নূর-ই-রশীদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মৃতের ভাই সালাহউদ্দীন ম. রহমতুল্লাহ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা তদন্ত করে জানিয়েছে, কোহিনূরকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি ‘বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার’ নামক রোগে ভুগছিলেন। মানসিক এই অসুস্থতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের ১০ এপ্রিল কোহিনূর বেগমের মরদেহ নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় পান তার স্বামী মামুন রশীদ। ডাইনিং রুমের সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিলেন কোহিনূর। মামুন রশীদ নিজেই ওড়না কাঁচি দিয়ে কেটে নিথর কোহিনূরকে নিচে নামিয়ে আনেন। তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দিনই মামুন রশীদ ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হইয়াছে।’ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের এই প্রতিবেদন পেয়ে মৃতের ভাই সালাহউদ্দীন ম. রহমতুল্লাহ বোনের স্বামী মামুন রশীদ ও দত্তক নেওয়া মেয়ে ফাইজা-নূর-ই-রশীদসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন। ২০২৩ সালের আগস্টে ধানমন্ডি থানা থেকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ পিবিআইর অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগকে। মামুন রশীদ ও তার মেয়ে ফাইজা-নূর-রশীদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষে গত ২৮ মার্চ বাবা ও মেয়েকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাহীন মিয়া। তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই জানতে পেরেছে, কোহিনূর বেগম জীবিত থাকাকালে ‘বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার’ নামক রোগে ভুগছিলেন। অধ্যাপক ডা. এম এ মোহিত কামালের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর প্রথম তার কাছে কোহিনূরকে নিয়ে আসে পরিবার। তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ভুক্তভোগী কোহিনূর বেগম বাসায় একাই ছিলেন। তাদের দত্তক মেয়ে ফাইজা অফিসে কাজে সকালে চাঁদপুর যায়। আর তাদের ছেলে নূর-ই-চৌধুরী ছিলেন আইইএলটিএস ক্লাসে আর স্বামী মামুন রশীদ ছিলেন বসুন্ধরায় অবস্থিত ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে। তদন্তে পিবিআই জানিয়েছে, মামুন রশীদ বাসায় প্রবেশের প্রায় পাঁচ মিনিটের মধ্যেই প্রথম ফোন করেছেন তার ভায়রা ভাই আজিজুল্লাহকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্নজনকে এবং শেষে ৯৯৯-এ অর্থাৎ পুলিশকে। এ থেকেও তার সময় ও কার্যক্রম বিবেচনায় সৎ উদ্দেশ্য প্রতীয়মান হয়। এই পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পূর্বের এবং অন্যদের সহযোগিতা ছাড়া ভিকটিমকে মেরে আবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়াটা বাস্তবিক পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ সময়স্বল্পতা, অন্যদের অনুপস্থিতি এবং সর্বোপরি দরজা খোলা ছিল। বাসার কোনো দরজা-জানালা ভাঙা ছিল না; কোনো ভায়োলেন্সের চিহ্ন ছিল না; অন্যপথে প্রবেশের কোনো লক্ষণ ছিল না—এ বিষয়গুলো বিবেচনায় এটি সুস্পস্টভাবে আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। এদিকে পিবিআইর এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজির আবেদন করেছেন মামলার বাদী সালাহউদ্দীন ম. রহমতুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসক হত্যাকাণ্ড বললেও পিবিআই এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজির আবেদন করেছি।’
২ ঘণ্টা আগে

পরীমণির বিরুদ্ধে নাসিরকে মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই
ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, পরীমণিসহ দুজনের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। একজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এখন সাক্ষীরা আদালতে এ মামলার অভিযোগ প্রমাণ করবেন। প্রতিবেদনে পিবিআই বলেছে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে তাকে হুমকি দেন। পরীমণি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে অ্যাস্ট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুক জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল অ্যাস্ট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব চালানো হয়। যার ফলে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ পরীমণি করেছেন বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে নাসির সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে নাসিরকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি দিয়ে ২-৩টি কিল-ঘুসি মারেন। এতে জুনায়েদের বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে, ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নাছির উদ্দিন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, পরীমণি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিলেন। পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদনে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমি সবসময় ন্যায়বিচার চেয়েছি। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা মাদকসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। নাসির ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য নাসিরকে চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি তার দিকে একটি সার্ভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই
ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমনিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি। গতকাল বুধবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।  এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন,  পরীমনিসহ দুজনের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে একজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এখন সাক্ষীরা আদালতে এ মামলার অভিযোগ প্রমাণ করবে।  তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলেছেন, ২০২১ সালের ৮ জুন  রাতে আসামি পরীমনি অসৎ উদ্দেশ্যে বাদী নাছির মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমনি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের উপরে মাথায় আঘাত করে নিলাফুলা জখম করেন। এছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙ্গা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্কযুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভিতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরীমনির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভিতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকিকে বাদী নাছির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শন পূর্বক ২/৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদিণীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মামলার বাদী নাছির উদ্দিন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, পরীমনি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ছিল। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমি সব সময় ন্যায় বিচার চেয়েছি এখনো আমি ন্যায় বিচার চাই। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে শিশু রাইফা হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই
প্রায় ছয় বছর পর সাংবাদিক কন্যা রাফিদা খান রাইফা হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে চিকিৎসায় অবহেলা, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা উল্লেখসহ চার ডাক্তারকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) চকবাজার জিআরও জাফরের কাছে এ চার্জশিট হস্তান্তর করা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার্জশিটে চার ডাক্তার ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশিষ সেন, ডা. সুব্র দেব ও ডা. লিয়াকত আলীকে আসামি করা হয়েছে। চিকিৎসায় অবহেলা জনিত কারণে শিশু রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে। এ ছাড়া হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।  রাফিদা খান রাইফার বাবা চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান সন্তোষ প্রকাশ করে কালবেলাকে বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর পর রাইফা হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। বিভিন্ন দিকের চাপ থাকা সত্ত্বেও পিবিআই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে পেরেছে। সাংবাদিক কন্যা রাইফার ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই জন্য এ হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের অবহেলার কারণে যেন কোনো পিতা-মাতা তাদের আদরের সন্তানহারা না হন এজন্যই সুষ্ঠু বিচার চাই। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ জুন রাতে গলার ব্যথা নিয়ে চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে রাইফাকে ভর্তি করেন বাবা চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যায় দুই বছর চার মাস বয়সী রাইফা। রাইফার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাইফার বাবা মোহাম্মদ রুবেল খান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই ৪ ডাক্তারকে আসামি করে নগরের চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতার কারণে রাইফা মারা গেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
২৬ মার্চ, ২০২৪

বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলা / সেই কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিল পিবিআই
বগুড়া ধুনটে এক স্কুলছাত্রীকে তাদের বাসার ভাড়াটিয়া কলেজশিক্ষক ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে বগুড়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  রোববার (২৪ মার্চ) মামলার একমাত্র আসামি কলেজশিক্ষক মুরাদুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার তৎকালীন ওসি কৃপাসিন্ধু বালা ভিডিও ফুটেজ ডিলিটসহ আলামত নষ্ট করেছেন বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। সেই বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জব্দ করা তিনটি মোবাইল ফোনসেট ৪টি ল্যাবে ফরেনসিক টেস্ট করানো হয়। তবে তাতে ভিডিও ডিলিট করার কোনো তথ্য মেলেনি বলে জানিয়েছেন বগুড়া পিবিআই’র পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবির।  পুলিশ সুপার জানান, গত ২০২২ সালের ৩ মার্চ ধর্ষণ করা হয়। গত ১২ মে ওই স্কুলছাত্রীর মা ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই উপজেলার শৈলমারী গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে কলেজশিক্ষক মুরাদুজ্জামানকে আসামি করা হয়।  মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর বাড়ির নিচতলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটে মুরাদ ভাড়া থাকতেন। মামলার বাদী এবং তার স্বামী স্কুলশিক্ষক। এ কারণে তারা কর্মস্থলে গেলে তার মেয়ে স্কুলছাত্রীকে বাসায় ডিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করত মুরাদ। গত ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল একইভাবে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গেলে তার চিৎকার শুনে অন্য মেয়ে সেখানে গেলে মুরাদ পালিয়ে যায়। বাদী অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে মুরাদ। পুলিশ মামলাটি গ্রহণের পর মুরাদকে আটক করে এবং তাকে ওই মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে বাদী অভিযোগ করেন যে, মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ওসি কৃপাসিন্ধু বালা আসামির মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ডিলিটসহ আলামত নষ্ট করেছেন। এ কারণে আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সুপার এহসান বলেন, তদন্তকালে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেন। এদিকে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি কৃপাসিন্ধু বালার বিরুদ্ধে তিনি নিজে বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব পান। তদন্তে মুরাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সবুজ আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তে বেশকিছু অসঙ্গতি উঠে এসেছে, সেসব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে ভিডিও ডিলিটের বিষয়টির প্রমাণ মেলেনি। এখনো ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার এহসান। এর আগে ধর্ষণের বিচার চেয়ে ২২ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছিল বগুড়ার ধুনট উপজেলার ওই স্কুলশিক্ষার্থী। এরপর ২২ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা আর এগোয়নি। ধর্ষণের আলামত ধ্বংসকারী সেই পুলিশ কর্মকর্তাও দিব্বি আছেন বহাল তবিয়তে। ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ধুনট থানার দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিল্প এলাকায় কর্মরত। এমন হতাশা নিয়ে মামলার বাদী ওই ছাত্রীর মা কলেজশিক্ষিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হাজির হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষক ও ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের ন্যায় বিচার চেয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষিকার আবেদনের প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

হ্যালো পিওর গোল্ড  / সোনার দোকান উদ্বোধন করলেন পিবিআই প্রধান
দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেনের নবপ্রতিষ্ঠিত ‌‘হ্যালো পিওর গোল্ড’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নবপ্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।  এ সময় পিবিআই প্রধান বলেন, ভেজালের ভিড়ে খাঁটি জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন। স্বর্ণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। সততাই ব্যবসায়ের মূলধন। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আনোয়ার সাহেব সততা নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন বলে প্রত্যাশা করি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আখতার উল আলম, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. নাসিম মিয়া। আনোয়ার হোসেনের সহধর্মিণী তার পরিবারবর্গ, গুণীজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
২২ মার্চ, ২০২৪

ছাত্রীকে ধর্ষণ / মুশতাকের বিরুদ্ধে তদন্তে পিবিআই
ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজির আবেদন গ্রহণ করে এ নির্দেশ দেন।  এর আগে ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। পরে মামলার তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।  এ মামলার অন্য আসামি হলেন- অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে,  ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসত এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজখবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করত। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। ভিকটিম এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা করার কথা বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করতে থাকেন। গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।
১৪ মার্চ, ২০২৪

বেইলি রোডে আগুন / যে সমস্যার কথা জানাল পিবিআই
বেইলি রোডের যে বহুতল ভবনটি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে, সে ভবনটিতে নানা অব্যবস্থাপনা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণের পিবিআইর পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সেলি এ তথ্য জানিয়েছেন। মিজানুর রহমান জানান, বেইলি রোডের ওই ভবনটির ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বেশিরভাগ মানুষ ধোঁয়ার কারণেই মারা গেছেন। এ ছাড়া ভবনটিতে কোনো ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা ছিল না। ওই ভবনে ফায়ার ইকুয়েপমেন্টও পাওয়া যায়নি। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রিফাতুল ইসলাম। এ ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর আগে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। তারপর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক গোলাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, নিহতদের স্বজনেরা যাদের শনাক্ত করতে পেরেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
০১ মার্চ, ২০২৪

একই পরিবারে ট্রিপল মার্ডার : তদন্তে সিআইডি ও পিবিআই
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় নিজ বাড়িতে একই পরিবারে তিনজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি ও পিবিআই। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নিহতের বাসায় তারা উৎসুক জনতার প্রবেশ সংরক্ষিত করে এ কার্যক্রম শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিউল আলম ঘটনাস্থলে থেকে সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন। নিহত বিকাশ সরকার (৪৫) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তাড়াশ উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ও তাড়াশ গোপাল জিউ বিগ্রহেরও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। নিহতের বড়ভাই প্রকাশ চন্দ্র সরকার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তারা দুই ভাই পৃথকভাবে ওই বাসার তৃতীয় তলার আলাদা দুটি ফ্লাটের বসবাস করতেন। লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও তাদের মেয়ের (তিন জনের) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায়, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে গোপনে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে হত্যার পর লাশ ফেলে, ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা দুদিন ধরে তাদের খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই
চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে ৫ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রোববার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র ও দোষীপত্র মিলিয়ে ৩৫৭ পৃষ্ঠার নথি জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ কুমার দে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  শিশু আয়াতকে হত্যা এবং হত্যার পর তার মরদেহ ৬ টুকরো আলাদা ব্যাগে ভরে নালায় ফেলে দেয় প্রতিবেশী আবির আলী (১৯)। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে আসামি আবিরকে অভিযুক্ত করে তার মা-বাবাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে দোষীপত্রও জমা দিয়েছে পিবিআই। চার্জশিটে আবিরের বোনকে দোষীপত্র থেকে অব্যাহতির সুপারিশও করা হয়েছে। মনোজ কুমার দে কালবেলাকে বলেন, খুন ও লাশ গুম করার অপরাধে ৩০২/২০১ ধারায় আবির আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর সব পরিকল্পনা ও ঘটনা জেনেও গোপন করে রাখায় ১৭ বছর বয়সী অপর কিশোরের বিরুদ্ধে দোষীপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। মা-বাবাকে অব্যাহতির সুপারিশের ব্যাপারে তিনি বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে, আবিরের বাবা-মা ও ছোট বোন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানত না। তাই তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবির আলী নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুরে।     আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ নভেম্বর আয়াতকে শ্বাসরোধে খুন করেন প্রতিবেশী আবির। ৩০ নভেম্বর ইপিজেডের আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেইটের এক গর্ত থেকে আয়াতের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পিবিআই। এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আয়াতের বাবা।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩
X