চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে ৫ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র ও দোষীপত্র মিলিয়ে ৩৫৭ পৃষ্ঠার নথি জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ কুমার দে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিশু আয়াতকে হত্যা এবং হত্যার পর তার মরদেহ ৬ টুকরো আলাদা ব্যাগে ভরে নালায় ফেলে দেয় প্রতিবেশী আবির আলী (১৯)। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে আসামি আবিরকে অভিযুক্ত করে তার মা-বাবাকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে দোষীপত্রও জমা দিয়েছে পিবিআই। চার্জশিটে আবিরের বোনকে দোষীপত্র থেকে অব্যাহতির সুপারিশও করা হয়েছে।
মনোজ কুমার দে কালবেলাকে বলেন, খুন ও লাশ গুম করার অপরাধে ৩০২/২০১ ধারায় আবির আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর সব পরিকল্পনা ও ঘটনা জেনেও গোপন করে রাখায় ১৭ বছর বয়সী অপর কিশোরের বিরুদ্ধে দোষীপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
মা-বাবাকে অব্যাহতির সুপারিশের ব্যাপারে তিনি বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে, আবিরের বাবা-মা ও ছোট বোন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানত না। তাই তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আবির আলী নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুরে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ নভেম্বর আয়াতকে শ্বাসরোধে খুন করেন প্রতিবেশী আবির। ৩০ নভেম্বর ইপিজেডের আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেইটের এক গর্ত থেকে আয়াতের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পিবিআই। এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আয়াতের বাবা।
মন্তব্য করুন