বেইলি রোডের যে বহুতল ভবনটি অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে, সে ভবনটিতে নানা অব্যবস্থাপনা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণের পিবিআইর পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সেলি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান জানান, বেইলি রোডের ওই ভবনটির ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বেশিরভাগ মানুষ ধোঁয়ার কারণেই মারা গেছেন। এ ছাড়া ভবনটিতে কোনো ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা ছিল না। ওই ভবনে ফায়ার ইকুয়েপমেন্টও পাওয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রিফাতুল ইসলাম। এ ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এর আগে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। তারপর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক গোলাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, নিহতদের স্বজনেরা যাদের শনাক্ত করতে পেরেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন