কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে পৌরসভা
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার টোল আদায় কাজে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে বুধবার (১ মে) চার দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।  স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ময়লা পরিষ্কার না করায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে পৌরসভা। ময়লার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। জানা গেছে, গাবতলী সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মাধবপুর পৌরসভার নিয়মিত টোল আদায় করা নিয়ে অটোরিকশাচালক ও পৌরসভার লোকজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে দুপক্ষের হামলার ঘটনায় পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারী আহত হন। এরপর থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় পৌর পরিষদ ও পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।  পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে পৌরবাসী দুর্ভোগে পড়েছে। এতে পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবাগ্রহীতারা। নাগরিক সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার বাসিন্দাদের। পরিচ্ছন্ন কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। বিভিন্ন জায়গায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।  পৌরসভার একজন বাসিন্দা বলেন, সকালে আসছিলাম আমার ছেলের জন্মনিবন্ধন করা জন্য। কিন্তু এসে দেখি তাদের নাকি কর্মবিরতি চলছে। এটা ঠিক নয়, এতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। আর ময়লা পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পৌরসভা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই। অটোরিকশাচালক সংঘঠনের শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম লিটন বলেন, টোল আদায় করা যাবে কি যাবে না মন্ত্রণালয়ে চিঠি ও উচ্চ আদালতের রায়ের ব্যাখ্যা নিয়ে আমরা একাধিকবার লিখিত অভিযোগসহ মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালের কাছে গেলেও তিনি উল্টো আমাদের মোবাইল কোর্টের ভয় দেখান। তখন যদি তিনি এর সঠিক ফয়সালা, ব্যাখ্যা বা ব্যবস্থা নিতেন তাহলে কাউকে হতাহত হতো হয় না। পৌরসভার কর্মচারীদেরও কর্মবিরতি দেওয়া লাগত না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি করছি। মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক কালবেলাকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে তারা। আমাদের লোকজনকে আহত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না পুলিশ কিংবা ইউএনওর কাছে। সে জন্যই কর্মবিরতি দেওয়ার বিকল্প অন্য কোনো রাস্তা আমাদের ছিল না।
০১ মে, ২০২৪

পার্বতীপুর পৌরসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা
দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আবুল কালাম বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) পার্বতীপুর বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। আবুল কালাম ডালিম প্রতীক নিয়ে ৫১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজবাউল ইসলাম টুকুন সরকার টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯৯ ভোট। অপর প্রার্থী মতিয়ার রহমান উটপাখি মার্কায় পান ১৯৯টি ভোট। এবারে উপনির্বাচনে ভোটাররা আটটি বুথে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুলাই পার্বতীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মারা যান। তার মৃত্যুতে পদটি শূন্য হলে তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
০৯ মার্চ, ২০২৪

শিবগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী আ.লীগ নেতা
বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে তৌহিদুর রহমান মানিক আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শফিকুল ইসলাম আকন্দ ভোট গণনা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। তৌহিদুর রহমান মানিক নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ১৩১টি। মানিক শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বারের মেয়র। মানিকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুর রহমান রাজু। তিনি হ্যাঙ্গার প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১০। ভোট গ্রহণের হার ৬৬ দশমিক ৩৬ ভাগ। সহকারী রিটার্নিং অফিসার শফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ১১টি কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ১৯ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে অপর দুই মেয়র প্রার্থী আবদুল খালেক (মোবাইল ফোন) ভোট পেয়েছেন ২১০টি এবং হামদান মন্ডল (জগ) ভোট পেয়েছেন ১৭২টি।
০৯ মার্চ, ২০২৪

শিবগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচন / সব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, আলোচনায় ২ আ.লীগ নেতা
বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ শনিবার (৯ মার্চ)। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ জন্য শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১১টি কেন্দ্র রয়েছে। সব কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে পুলিশ-প্রশাসন। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক (নারিকেল গাছ), একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল রহমান রাজু (হ্যাঙ্গার), ওষুধ ব্যবসায়ী হামদান মন্ডল (জগ) ও খালেকুজ্জামান খালেক (মোবাইল ফোন)। স্থানীয় ভোটাররা জানান, চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হবে তৌহিদুর রহমান মানিক ও রিজ্জাকুল রহমান রাজুর মধ্যে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান আকন্দ জানান, পৌরসভার উপনির্বাচনে মোট ভোটার ১৯ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৬৩০ জন এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ৮৪৩ জন। ইভিএম পদ্ধতিতে ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করা হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১১টির সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া ২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনছারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক। এতে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়।
০৮ মার্চ, ২০২৪

বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন / ভোটারকে টাকা দিচ্ছেন মেয়র প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল
জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এক মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারকে প্রকাশ্যে টাকা দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ইসমাইল তালুকদার বাবুল তার মোবাইল ফোন প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচার করছেন। এক পর্যায়ে একজন ভোটারকে তার ডান হাতে থাকা লিফলেট দিচ্ছেন। লিফলেট দেওয়ার পর কথা বলতে বলতে বাম পকেট থেকে টাকা বের করে ভোটারের হাতে তুলে দেন বাবুল। টাকা দেওয়ার পরপরই তিনি ভোটারের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। দুপুরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাগমারি পাড়ায় ভোট চাইতে গিয়ে বাবুল তালুকদার ভোটারকে টাকা দেন। এ সময় কেউ ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওটা ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল তালুকদার বাবুল টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘একজন রোগীকে ইনহেলার কেনার টাকা দিয়েছি।’ ভোট চাইতে গিয়ে তিনি ভোটারকে প্রকাশ্যে টাকা দিতে পারেন কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ভিডিও বেশি সাউন্ড দিয়ে শুনেন। একজন শ্বাসকষ্টের রোগীকে ওষুধ কেনার টাকা দিয়েছি।’ এ বিষয়ে জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শানিয়াজ্জামান তালুকদার কালবেলাকে জানান, ভিডিওটি তিনি দেখেননি। ভিডিওটি দেখে আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো কিছু পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আগামী ৯ মার্চ বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ভোটাররা।
০৫ মার্চ, ২০২৪

আমতলী পৌরসভা নির্বাচন / আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা
বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল আহসান খান নান্নুর সমর্থকদের অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই ওয়ার্ডে দুটি ক্যাম্প স্থাপন করায় এ জরিমানা করা হয়।  শুক্রবার (১ মার্চ) আমতলী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বরফকল এলাকায় নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জাহিদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পান তিনি। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের (পৌরসভা) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল আহসান খান নান্নুর সমর্থকরা দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেন। দায়িত্ব পালনকালে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুর রহমানের নজরে এলে একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা হ্যাঙ্গার প্রতীকের এক সমর্থককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। জাহিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমতলী পৌরসভায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অতিরিক্ত মাইক ব্যবহার, একাধিক ক্যাম্প স্থাপনসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একাধিক প্রার্থীকে মোট ৭৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে পৌর এলাকায় মিছিল করার দায়ে হ্যাঙ্গার প্রতীকের এক সমর্থককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
০১ মার্চ, ২০২৪

আমতলী পৌরসভা নির্বাচন / আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল, মেয়র প্রার্থীর সমর্থককে সাজা
বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করে মেয়র প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করার দায়ে এক যুবককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ সাজা দেন।  অর্থদণ্ড প্রাপ্ত ওই যুবকের নাম তালহা তাজবিন। তিনি হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল আহসান খান নান্নুর সমর্থক। জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে অভিযুক্ত তালহা তাজবিনের নেতৃত্বে হ্যাঙ্গার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খান নান্নুর পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকা থেকে শুরু এ কে স্কুল সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতলী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন চৌরাস্তা এলাকা থেকে অভিযুক্ত তালহাকে আটক করেন। তবে মিছিলে অংশ নেওয়া বাকিরা পালিয়ে যান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন (পৌরসভা) বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে তালহা তাজবিন নামের ওই যুবককে জরিমানা করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যত্রতত্র ফেলা হয় ময়লা, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
ডাস্টবিন না থাকায় ড্রেন ও রাস্তায় ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার নতুনবাজার এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ডাস্টবিন না থাকায় রাস্তা ও ড্রেনে ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। পৌরসভায় বর্জ্য ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত আস্তাকুঁড় (ডাস্টবিন) নেই। ফলে বিভিন্ন মহল্লায় যত্রতত্র বর্জ্য ফেলছেন বাসিন্দারা। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে রয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।  পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, কিছু এলাকায় ডাস্টবিন রয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় ডাস্টবিন স্থাপনের চেষ্টা চলছে। অনেকে ক্ষেত্রে জায়গার অভাবে স্থাপন করা যায়নি। এ ছাড়া বাসিন্দারা অনেক সময় পয়োনিষ্কাশন নালায় (ড্রেনে) ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নালা বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা নিরসনে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হবে। লোকজন কিছুক্ষণ পরপর এসে ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে টেকা দায়। মশা-মাছিরও অত্যাচার খুব। রায়পুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে নিয়মিত কর প্রদানকারী পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। গড় হিসাবে প্রতিটি পরিবার থেকে প্রতিদিন দুই কেজি পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়। এর বাইরে একটি সদর হাসপাতাল, চারটি কাঁচাবাজার, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের দপ্তর থেকে প্রতিদিন প্রচুর ময়লা-আবর্জনা তৈরি হয়। প্রতিদিন চারটি গাড়ি এলাকা ভাগ করে বিভিন্ন স্থান থেকে থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকে। শহরে প্রতিদিনের বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। তাই প্রতিদিন ভোরবেলায় পৌরসভার কয়েকটি ভ্যানে করে রায়পুর-ফরিদগন্জ উপজেলার বোর্ডারবাজার এলাকায় সড়কের পাশে পরিত্যাক্ত জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। কিছু এলাকায় পুরোনো ডাস্টবিন থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। শহরবাসী যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন।  সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালের সামনে, বাসটার্মিনাল এলাকা, থানার সামনে, আর্ট স্কুলের সামনে, নতুনবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে, টেলিফোন একচেন্জ কার্যালয়ের সামনে, আলীয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে, জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে, কৃষি অফিসের সামনে, উপজেলা পরিষদ গেইটের পূর্ব পাশসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় ময়লাগুলো ফেলছেন। মুরগি, ছাগল খাবার খুঁজতে গিয়ে এলোমেলো করে রাস্তার ওপর ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিচ্ছে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতাল এলাকার ও নতুনবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন নেই। দোকানিরা ও বাসাবাড়ির লোকজন এসব প্রতিষ্ঠানের সামনে ফাঁকা জায়গায় ময়লা ফেলছেন। এতে দুর্গন্ধের পাশাপাশি মশা ও মাছির উপদ্রবও বেশি। অনেকবার বলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ডাস্টবিন স্থাপন করেনি।  নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক আবদুর রহমান ও সংবাদকর্মী রাকিব হোসেন বলেন, প্রথম শ্রেণির একটা পৌরসভার সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এখন পৌরসভার ডাস্টবিন করতে জায়গা পাওয়াটাও বড় বিষয়। ডাস্টবিন না থাকায় বেশির ভাগ লোকই বাইরে ময়লা ফেলে চলে যান। তবে যদি আমাদের এসব এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন দেওয়া হয় এবং প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন নিয়ে যাওয়া, তাহলে হয়তো অনেকটা পরিষ্কার থাকবে। কিন্তু এখান থেকে তো ময়লা নেওয়া হয় ২-৩ দিন পরপর। সরকারি হাসপাতাল এলাকার অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজিবি জহির হোসেন বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিন ওষুধ দোকানে এবং হোটেলে নাস্তা করতে আসি। এখানে কোনো ডাস্টবিন নেই। তারপরও হাসপাতালের সামনেই এলাকার দোকানিরা ও প্রায় ২০টি পরিবারের লোকজন কিছুক্ষণ পরপর ময়লা ফেলে চলে যান। দুর্গন্ধে টেকাটাই দায়। মশা-মাছির অত্যাচারও খুব। রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ডাস্টবিন স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করতে গিয়ে বাসিন্দাদের বাধায় নানা রকমের ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তবে আশার কথা হলো, শহর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও ডাস্টবিন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ডাস্টবিন ব্যাবস্থা করা হবে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ময়মনসিংহ সিটি ও ৯ পৌরসভা নির্বাচন ৯ মার্চ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। একই দিন দেশের ৯টি পৌরসভাতেও নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনে এ-সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক তপশিল ঘোষণা করা হবে। গতকাল রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এসব তথ্য জানান। এর আগে ২০১৯ সালের ৫ মে প্রথমবার ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু। ময়মনসিংহ সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। প্রথম সিটি ভোটে মোট ১২৭টি কেন্দ্র ছিল। তখনো নগরবাসী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেন। সিটি করপোরেশনটির আয়তন ৯১.৩১৫ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন। সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বয়ড়া ও আকুয়া ইউনিয়নের পুরোটা এবং খাগডহর, চর ঈশ্বরদিয়া, দাপুনিয়া, ভাবখালী, সিরতা ও চরনিলক্ষ্মীয়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে এ সিটি করপোরেশনের এলাকা নির্ধারণ করা হয়। যে ৯টি পৌরসভায় নির্বাচন এদিকে ৯ মার্চ দেশের ৯টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে আছে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা, পটুয়াখালী পৌরসভা, রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভা, সাতক্ষীরা পৌরসভা, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর পৌরসভা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা এবং বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা। সবগুলোতেই ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমে।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

৯ পৌরসভার ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ
দেশের ৯টি পৌরসভায় আগামী ৯ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ দেশের ৯টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করতে কমিশন ফাইল অনুমোদন করেছে। এসব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে- জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা, পটুয়াখালী পৌরসভা, রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভা, সাতক্ষীরা পৌরসভা, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর পৌরসভা, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট হয়েছে। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় নওগাঁ–২ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩, জাতীয় পার্টি ১১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, জাসদ ১, কল্যাণ পার্টি ১ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪
X