হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার টোল আদায় কাজে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে বুধবার (১ মে) চার দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ময়লা পরিষ্কার না করায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে পৌরসভা। ময়লার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, গাবতলী সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মাধবপুর পৌরসভার নিয়মিত টোল আদায় করা নিয়ে অটোরিকশাচালক ও পৌরসভার লোকজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে দুপক্ষের হামলার ঘটনায় পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারী আহত হন। এরপর থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় পৌর পরিষদ ও পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে পৌরবাসী দুর্ভোগে পড়েছে। এতে পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবাগ্রহীতারা। নাগরিক সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার বাসিন্দাদের। পরিচ্ছন্ন কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। বিভিন্ন জায়গায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
পৌরসভার একজন বাসিন্দা বলেন, সকালে আসছিলাম আমার ছেলের জন্মনিবন্ধন করা জন্য। কিন্তু এসে দেখি তাদের নাকি কর্মবিরতি চলছে। এটা ঠিক নয়, এতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। আর ময়লা পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পৌরসভা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।
অটোরিকশাচালক সংঘঠনের শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম লিটন বলেন, টোল আদায় করা যাবে কি যাবে না মন্ত্রণালয়ে চিঠি ও উচ্চ আদালতের রায়ের ব্যাখ্যা নিয়ে আমরা একাধিকবার লিখিত অভিযোগসহ মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালের কাছে গেলেও তিনি উল্টো আমাদের মোবাইল কোর্টের ভয় দেখান। তখন যদি তিনি এর সঠিক ফয়সালা, ব্যাখ্যা বা ব্যবস্থা নিতেন তাহলে কাউকে হতাহত হতো হয় না। পৌরসভার কর্মচারীদেরও কর্মবিরতি দেওয়া লাগত না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি করছি।
মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক কালবেলাকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে তারা। আমাদের লোকজনকে আহত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না পুলিশ কিংবা ইউএনওর কাছে। সে জন্যই কর্মবিরতি দেওয়ার বিকল্প অন্য কোনো রাস্তা আমাদের ছিল না।
মন্তব্য করুন