মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কর্মবিরতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে পৌরসভা

কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় ময়লা আবর্জনা জমে গেছে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে। ছবি : কালবেলা
কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় ময়লা আবর্জনা জমে গেছে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার টোল আদায় কাজে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে বুধবার (১ মে) চার দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ময়লা পরিষ্কার না করায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে পৌরসভা। ময়লার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।

জানা গেছে, গাবতলী সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মাধবপুর পৌরসভার নিয়মিত টোল আদায় করা নিয়ে অটোরিকশাচালক ও পৌরসভার লোকজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে দুপক্ষের হামলার ঘটনায় পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারী আহত হন। এরপর থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় পৌর পরিষদ ও পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে পৌরবাসী দুর্ভোগে পড়েছে। এতে পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবাগ্রহীতারা। নাগরিক সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার বাসিন্দাদের। পরিচ্ছন্ন কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। বিভিন্ন জায়গায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

পৌরসভার একজন বাসিন্দা বলেন, সকালে আসছিলাম আমার ছেলের জন্মনিবন্ধন করা জন্য। কিন্তু এসে দেখি তাদের নাকি কর্মবিরতি চলছে। এটা ঠিক নয়, এতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। আর ময়লা পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পৌরসভা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।

অটোরিকশাচালক সংঘঠনের শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম লিটন বলেন, টোল আদায় করা যাবে কি যাবে না মন্ত্রণালয়ে চিঠি ও উচ্চ আদালতের রায়ের ব্যাখ্যা নিয়ে আমরা একাধিকবার লিখিত অভিযোগসহ মাধবপুরের ইউএনও একেএম ফয়সালের কাছে গেলেও তিনি উল্টো আমাদের মোবাইল কোর্টের ভয় দেখান। তখন যদি তিনি এর সঠিক ফয়সালা, ব্যাখ্যা বা ব্যবস্থা নিতেন তাহলে কাউকে হতাহত হতো হয় না। পৌরসভার কর্মচারীদেরও কর্মবিরতি দেওয়া লাগত না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি করছি।

মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক কালবেলাকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে তারা। আমাদের লোকজনকে আহত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না পুলিশ কিংবা ইউএনওর কাছে। সে জন্যই কর্মবিরতি দেওয়ার বিকল্প অন্য কোনো রাস্তা আমাদের ছিল না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ

রাজধানীতে বিটিআরসির অভিযান, সরঞ্জামাদি জব্দ

৫৪ মণ ওজনের গরু প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান হামিদা

নরসিংদীতে বিদ্যুৎস্পর্শে ঝলসে গেছে দুই শিক্ষার্থী

হবিগঞ্জে খড়ের গাদা থেকে পড়ে কৃষকের মৃত্যু

কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মৌলভীবাজারে গরম মসলার বাজারে অভিযান

শাবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রমজান, সম্পাদক জাবেদ

নরসিংদীতে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন

১০

আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোস্তাকিম 

১১

চসিকে যুক্ত হলো ময়লার ৪০ কন্টেইনার

১২

ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

১৩

ক্রিকেট খেলায় পাওয়ারপ্লে কি? কখন এবং কেন পাওয়ারপ্লে দেখানো হয়?

১৪

চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১৫

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কী প্রভাব পড়বে?

১৬

‘উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ’

১৭

শাবিপ্রবিতে গবেষণা নিবন্ধবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৮

মেম্বারদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

১৯

কম দামের পণ্যে দামি ব্র্যান্ডের লোগো, জরিমানা

২০
X