নতুন ধান উদ্ভাবন, একবার রোপণে ফসল হবে পাঁচ বছর
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) কৃষি অনুষদের গবেষকরা চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় বহুবর্ষজীবী ধানের গবেষণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বহুবর্ষজীবী ধানের বিশেষত্ব হলো, এটি পাঁচ বছরে টানা দশটি ফসল ফলাতে পারে। অর্থাৎ প্রতিবছর দুবার করে ফসল পাওয়া যাবে। আইইউবিএটি কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারজানা সুলতানার তত্ত্বাবধানে গবেষকরা ২০২০ সাল থেকে বহুবর্ষজীবী ধানের গবেষণার কাজ তাদের নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্রে চালিয়ে যাচ্ছেন। আইইউবিএটির কৃষি অনুষদ ২০১৯ সালে এমটিএ এর মাধ্যমে  চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটি থেকে বহুবর্ষজীবী ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।   গত শনিবার (১৮ মে ) গাজিপুরের রাজেন্দ্রপুরে এই বহুবর্ষজীবী ধান কাটার নবম পর্বের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউবিএটির  উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ মিয়া,  কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) পরিচালক  ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা,  ইরি  বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ব্রিডিং লিড, ইরি  ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এবং বিটিভি এর মাটি-ও-মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক  অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকসহ আইইউবিএটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।    অনুষ্ঠানে আগত সকল অথিতিদের বহুবর্ষজীবী ধানে জাতগুলোর পরিচয় করিয়ে দেন এবং উৎপাদনের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন  ড. ফারজানা সুলতানা। তিনি বলেন বহুবর্ষজীবী ধান সামগ্রিকভাবে এটি একটি টেকসই ফসল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, প্রতিবার ধান চাষ করতে যে বীজ, পানি, সার, রাসায়নিক ও শ্রমের দরকার হয়- সেগুলোর খরচ বহুলাংশে কমিয়ে আনবে। পরিবেশগত দিক থেকেও এর ভূমিকা অনেক। কারণ, ধান উৎপাদনে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়, তা অনেকাংশে কমিয়ে আনবে, মাটির ক্ষয়রোধ করবে এবং মাটির গুণগতমান বৃদ্ধি করবে।   বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান, ইরি বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্রিডিং লিড এবং সভায় উপস্থিত অন্য অতিথিরা বাংলাদেশে আইইউবিএটির অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ফিল্ডে বহুবর্ষজীবী ধানের অসামান্য পারফরম্যান্স দেখে প্রশংসা করেন এবং তারা এটির সাফল্য দেখতে চান। উল্লেখ্য, আইইউবিএটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে এটি। বর্তমানে উত্তরায় ২০ বিঘার নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে ৬টি অনুষদে ১৪টি প্রোগ্রাম চালু আছে এই প্রতিষ্ঠানে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আট হাজার  শিক্ষার্থীর সঙ্গে এশিয়া ও আফ্রিকার ১২টি দেশের শতাধিক শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত পড়াশোনা করছেন।  
৩৮ মিনিট আগে

আ.লীগ নেতার সাড়ে ৮ বিঘা জমির ফসল কাটল দুর্বৃত্তরা
মেহেরপুরের মুজিবনগরে এক আওয়ামী লীগ নেতার সাড়ে আট বিঘা জমির অসংখ্য ফলের গাছ ও ফসল কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।  শনিবার (১৮ মে) রাতে মহাজনপুর ইউনিয়নের নীলজাবার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নেতার নাম গোলাম মোস্তফা। তিনি মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। এতে ১২-১৩ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এ নেতা।  এলাকাবাসীর ধারণা, সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমাম হোসেনের পক্ষে কাজ করেছিলেন গোলাম মোস্তফা। এ জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন তার জমির এসব গাছ নষ্ট করেছে। এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রামের নীলজাবার মাঠে আমার চার বিঘা জমিতে কলা, দুই বিঘা জমিতে পেঁপে এবং আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপি ছিল।  কয়েক দিনের মধ্যে এসব ফসল সংগ্রহের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। এর মধ্যে গতকাল রাতে ক্ষেতের প্রায় সব কলা ও পেঁপে গাছ এবং আড়াই বিঘা জমির বাঁধা কপি কেটে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। রাজনৈতিক শত্রুতাবশত প্রতিপক্ষের লোকজন তার ফসল তছরুপ করেছে বলে ধারণা গোলাম মোস্তফার।  মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জল দত্ত জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে ফসল বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৯ মে, ২০২৪

ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী
চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।  সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চে ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষিখাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের কৃষিখাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের ২০০ এর বেশি প্রতিনিধি এ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষিখাতকে ঝুঁকিমুক্ত, টেকসই, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।   বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এবং গবেষণায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই চারটি বিষয়ের উপর আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
০৭ মে, ২০২৪

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার, কৃষক সায়াদ উদ্দিন প্রমুখ। আড়পাড়া গ্রামের কৃষক সায়দ উদ্দিনের জমিতে উৎপাদিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ কেটে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস উদযাপন করা হয়। প্রধান অতিথি সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, জিংক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ প্রতি হেক্টরে আড়পাড়া গ্রামের জমিতে ৭.৮১ টন ফলন দিয়েছে। গোপালগঞ্জের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আশিক ইকবাল বলেন, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করলে সার কম প্রয়োজন হয় এবং ফসলের উৎপাদনও ভলো হয়। অন্যদিকে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে আন্দাজ করেবেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন যেমন ব্যাহত হয় তেমনই ধীরে ধীরে মাটির উর্বরতা কমে গিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এত কৃষকের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তাই জমির মাটি পরীক্ষা করে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের আবশ্যকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে কৃষকদের এ ধরনের সহায়তা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। প্রদর্শনীর কৃষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি পূর্বে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে যে ফলন পেয়েছি এবং এবার মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তাদের দেওয়া কম পরিমাণের সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পেয়েছি। মাঠ দিবসে অংশে নেওয়া আরেক কৃষক গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় সার ব্যবহার করে তার ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, অনেক জায়গায় তার জমির ধান পুড়ে গেছে আবার অনেক জায়গায় ধান চিটা হয়ে গেছে। মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অল্প সার প্রয়োগে প্রদর্শনী কৃষকের ধান অনেক ভালো হয়েছে। সার কম ব্যবহার করায় তার খরচও অনেক কমে গেছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফসল রক্ষণাবেক্ষণে ড্রোন প্রযুক্তি আনছে বাংলাদেশ
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বা রোগ শনাক্ত করতে রিমোট সেন্সিং ও ড্রোন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। আর এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শেখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রায় ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় ‘শস্য পর্যবেক্ষণ এবং ফসলের ক্ষতির মূল্যায়নের জন্য ড্রোন এবং স্যাটেলাইট চিত্রের ব্যবহার’ শীর্ষক ৭ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এডিবি যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করবেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর দ্য সেমি-অ্যারিড ট্রপিকসের (আইসিআরআইএসএটি) প্রখ্যাত ভূ-স্থানিক বিশেষজ্ঞরা। প্রশিক্ষণার্থীরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি শনাক্তকরণের জন্য ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেম (জিআইএস) এবং রিমোট সেন্সিং বিশ্লেষণের ওপর চার দিনের প্রশিক্ষণ পাবে। এরপর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে গ্রাউন্ড ডাটা সংগ্রহের পদ্ধতি শিখতে সিলেটে তিন দিনের মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিতে অংশ নেবে। ২০২২ সালের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সিলেটে প্রশিক্ষণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে এডিবি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে যৌথ প্রতিবেদন তৈরি করবে। এ ছাড়াও গোপালগঞ্জ এলাকায় এডিবির সহায়তায় সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মূল্যায়ন সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে। 
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিএডিসি ম্যানেজারের দাপট, কোটি টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা
বরগুনার তালতলীতে তরমুজ ক্ষেতে পানি সেচ দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন শতাধিক কৃষক। এতে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে কয়েক কোটি টাকা। এ বিষয়ে থানা ও ইউএনও অফিসে বারবার অভিযোগ দিলেও তোয়াক্কা করছেন না বিএডিসি ম্যানেজার ফারুক মোল্লা।  জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া এলাকায় গত (২০১৯-২০) অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সমিতির মাধ্যমে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। সেখানে স্থানীয় ফারুক মোল্লাকে ওই সমিতির ম্যানেজার করা হলে সেচ প্রকল্পগুলো নিজের বলে দাবি করেন তিনি । এ সেচ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ২০ হেক্টর জমি রয়েছে। তবে ফারুক মোল্লার সঙ্গে কৃষকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে কৃষকদের পানি দিচ্ছেন না তিনি। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ফলতে পাড়ছে না কৃষকরা। এতে প্রতি বছরই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরো, আমন ও তরমুজ চাষিরা । এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেও তার কোনো সমাধান পাচ্ছে না স্থানীয় চাষিরা।  পরে স্থানীয় কৃষকরা থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে পুলিশের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। উপায় না পেয়ে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসাররের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফারুক মোল্লাকে শুনানির জন্য নোটিশ করেন ইউএনও। গত ৩ মার্চ শুনানির তারিখ থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে না আসার কথা জানিয়ে দেয় সে।  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ফারুক মোল্লাকে ইএনও অফিসে ডাকা হয়। গত ৪ মার্চ ইউএনও অফিসে শুনানি হলে সেখানে ফারুক মোল্লা তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের সেচের পানি দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন ।  তবে পরের দিনই দেখা গেল তার উল্টো চিত্র। ফারুক মোল্লা কৃষকদের পানি না দিয়ে উল্টো কৃষকদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।  এ ব্যাপারে স্থানীয় তরমুজ চাষি নজরুল বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষের জন্য সেচের অভাবে কষ্টে আছি। তিনি বলেন, সাবেক ইউএনও কাওসার সাহেব, এস.এম সাদিক তানভীর স্যার বারবার আমাদের পানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং প্রতিবছর অস্থায়ীভাবে ব্যাপারটি সমাধান হয়েছে। নতুন ইউএনও আসলেই নতুনভাবে ঝামেলা করেন ফারুক মোল্লা। সাবেক এক সচিব এর প্রভাব দেখিয়ে তিনি আমাদের সেচের পানি দিচ্ছে না।  কালাম নামে আরেক কৃষক জানান, সময় মতো সেচের পানি না পেলে আমরা প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হব। বর্তমান ইউএনও স্যারের কাছে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। তিনিও বারবার উদ্যোগ নিয়েও তাদের খামখেয়ালির কারণে কিছু করতে পারছে না। উল্টো বর্তমান ইউএনও স্যার ন্যায়ের পক্ষে কথা বলায় তাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।  এদিকে ফারুক মোল্লা অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিএডিসির পানির সেচ নষ্ট হওয়ার কারণে আমাদের পুকুরে পানি উঠে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। এ কারণে পানি সেচ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মোসাদ্দেক জানান, সেচ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে জমিতে পানি সরবারহ করার জন্য। স্থানীয় বিরোধ নিয়ে ওই সেচের ম্যানেজার জমিতে সঠিকভাবে পানি দিচ্ছে না বলে অনেক অভিযোগ আছে আমাদের কাছে। গত ৩/৪ বছর ধরে এমন অভিযোগ আসতেছে বলে জানতে পেরেছি। এগুলো অস্থায়ীভাবে সমাধানও হয়েছে। এ বিষয় অভিযুক্ত ফারুক মোল্লার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি যদি পানি না দেয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, কবিরাজপাড়া এলাকার বিএডিসি সেচের পানি কৃষকদের না দেওয়ার একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। এ জন্য শুনানিও করেছি। সেখানে ফারুক মোল্লা কৃষকদের পানি দেবেন মর্মে স্বীকার করেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি কৃষকদের পানি দিচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
১১ মার্চ, ২০২৪

আজমিরীগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধে ভাঙন
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ফসলি জমিসহ অন্তত কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসলহানির আশঙ্কায় দিন পার করছেন স্থানীয় কয়েক শতাধিক কৃষক। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় সাত কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, বাঁধটি নির্মাণের বছর তিনেক পর দ্বিতীয় দফায় সংস্কারের সময় বাঁধের গোঁড়া থেকে মাটি কেটে সংস্কার করায় বাঁধটি দুর্বল হয়ে গেছে দ্রুত। তাই নদীভাঙনের কবলে পড়েছে বাঁধটি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত হাওরে চারশ হেক্টরের বেশি কৃষি জমি রয়েছে। এ ছাড়া বাঁধটি নদীভাঙনের কবলে বিলীন হলে পাশের জলসুখা ইউনিয়নের হাওর ও বদলপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমির বোরো ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সরেজমিন কালনী-কুশিয়ারা ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের ঘাগানি গাছ সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায়, বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশে এরই মধ্যে নদীভাঙনের কবলে পড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কৃষক রফিক মিয়া জানান, বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ফসলি জমি ও বোরো ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সিদ্দিক মিয়া নামের অন্য এক কৃষক জানান, বাঁধটি নদীভাঙনের কবলে পড়লে ঘাগানির হাওরসহ জলসুখা ও বদলপুর হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে বাঁধটি দ্রুত মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভাঙনের কবলে ফসল রক্ষা বাঁধ, শঙ্কায় কৃষক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ফসলি জমিসহ অন্তত কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের আশঙ্কায় দিন পার করছেন স্থানীয় কয়েক শতাধিক কৃষক।  জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় সাত কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়।  স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণের বছরতিনেক পরে দ্বিতীয় দফায় সংস্কারের সময় গোড়া থেকে মাটি কাটায় সেটি দুর্বল হয়ে গেছে।  তাই নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে বাঁধটি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত হাওরে চারশ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি রয়েছে। এছাড়া বাঁধটি নদীভাঙনের কবলে বিলীন হলে পার্শ্ববর্তী জলসুখা ইউনিয়নের হাওর ও বদলপুর ইউনিয়নের বেশকটি হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমির বোরো ফসল নষ্ট হবার শঙ্কা রয়েছে।  কালনী-কুশিয়ারা ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের ঘাগানি গাছ সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায়, বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশে এরইমধ্যে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।  স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হলে কয়েকশ হেক্টর ফসলি জমি এবং তিনটি হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর বোরো ফসল নষ্ট হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।  স্থানীয় কৃষক রফিক মিয়া জানান, বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ফসলি জমি ও বোরো ফসল নষ্ট হবার শঙ্কা রয়ছে।  জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী  প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন,  সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাঁধটি দ্রুত মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফসল সংগ্রহে প্রকিউরমেন্ট হাব চালু
ফসল সংগ্রহ ও শস্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে প্রকিউরমেন্ট হাব চালু করেছে আইফার্মার। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গড়ে তোলা এই হাবে প্রায় ২০ হাজার টন শস্য সংগ্রহ করে রাখার সুবিধা রয়েছে। হাবটির অবস্থান হাইওয়ে সংলগ্ন স্থানীয় বাজারের মাঝে। তাই কৃষকরা সহজেই তাদের ফসল এখানে আনতে পারবেন। এরই মধ্যে হাবটি ডিজিটাল স্কেল মিটার ব্যবহার করে কৃষকদের থেকে ধান, চাল, ভুট্টা এবং সরিষা সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে।  প্রকিউরমেন্ট হাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ফাহাদ ইফাজ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেটিং অফিসার জামিল মহিউদ্দিন আকবর, দিনাজপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মইনুল ইসলাম। দিনাজপুরের পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও আইফার্মারের প্রকিউরমেন্ট হাব চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

তীব্র শীতে ফসল রক্ষায় কৃষি পরামর্শ
সারাদেশে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় মিলছে না রোদের দেখা। ফলে ক্ষেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। বিশেষ করে ধানের বীজতলার ক্ষতির শঙ্কা বাড়ছে কৃষকদের। এ কারণে ভাল চারার সংকট দেখা দিতে পারে। অন্যান্য ফসলেও রোগবালাই দেখা দেওয়ার ভয় করছেন তারা। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফসল রক্ষায় কৃষি পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত জরুরি পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো- # কুয়াশা ও মৃদু/তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। # ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। # আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। # সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে। # ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X