কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০৭:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নতুন ধান উদ্ভাবন, একবার রোপণে ফসল হবে পাঁচ বছর

নতুন উদ্ভাবন করা ধান। সৌজন্য ছবি
নতুন উদ্ভাবন করা ধান। সৌজন্য ছবি

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) কৃষি অনুষদের গবেষকরা চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় বহুবর্ষজীবী ধানের গবেষণার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বহুবর্ষজীবী ধানের বিশেষত্ব হলো, এটি পাঁচ বছরে টানা দশটি ফসল ফলাতে পারে। অর্থাৎ প্রতিবছর দুবার করে ফসল পাওয়া যাবে।

আইইউবিএটি কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারজানা সুলতানার তত্ত্বাবধানে গবেষকরা ২০২০ সাল থেকে বহুবর্ষজীবী ধানের গবেষণার কাজ তাদের নিজস্ব গবেষণা কেন্দ্রে চালিয়ে যাচ্ছেন। আইইউবিএটির কৃষি অনুষদ ২০১৯ সালে এমটিএ এর মাধ্যমে চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটি থেকে বহুবর্ষজীবী ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।

গত শনিবার (১৮ মে ) গাজিপুরের রাজেন্দ্রপুরে এই বহুবর্ষজীবী ধান কাটার নবম পর্বের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ মিয়া, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) পরিচালক ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা, ইরি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ব্রিডিং লিড, ইরি ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এবং বিটিভি এর মাটি-ও-মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকসহ আইইউবিএটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে আগত সকল অথিতিদের বহুবর্ষজীবী ধানে জাতগুলোর পরিচয় করিয়ে দেন এবং উৎপাদনের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন ড. ফারজানা সুলতানা। তিনি বলেন বহুবর্ষজীবী ধান সামগ্রিকভাবে এটি একটি টেকসই ফসল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, প্রতিবার ধান চাষ করতে যে বীজ, পানি, সার, রাসায়নিক ও শ্রমের দরকার হয়- সেগুলোর খরচ বহুলাংশে কমিয়ে আনবে। পরিবেশগত দিক থেকেও এর ভূমিকা অনেক। কারণ, ধান উৎপাদনে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়, তা অনেকাংশে কমিয়ে আনবে, মাটির ক্ষয়রোধ করবে এবং মাটির গুণগতমান বৃদ্ধি করবে।

বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান, ইরি বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্রিডিং লিড এবং সভায় উপস্থিত অন্য অতিথিরা বাংলাদেশে আইইউবিএটির অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ফিল্ডে বহুবর্ষজীবী ধানের অসামান্য পারফরম্যান্স দেখে প্রশংসা করেন এবং তারা এটির সাফল্য দেখতে চান।

উল্লেখ্য, আইইউবিএটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে এটি। বর্তমানে উত্তরায় ২০ বিঘার নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে ৬টি অনুষদে ১৪টি প্রোগ্রাম চালু আছে এই প্রতিষ্ঠানে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আট হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে এশিয়া ও আফ্রিকার ১২টি দেশের শতাধিক শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত পড়াশোনা করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসুর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারা এগিয়ে 

ডাকসুর ভিপি-জিএস প্রার্থীদের পরিচয়

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার ও বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৮

১১ দল নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে রিজিওনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

হঠাৎ মোবাইলের ডায়াল প্যাড বদলে যাচ্ছে কেন?

বাংলাদেশি পোশাক খাতে দুই মাসে ক্রয়াদেশ বেড়েছে ৩২ শতাংশ

গরম পানি পান করলে কি সত্যিই ওজন কমে?

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খান

যৌবন ধরে রাখতে সার্জারি করেছেন রোনালদো, দাবি সার্জনের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ

১০

ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হচ্ছেন গিল!

১১

যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেস্ট হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন মিলন

১২

ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না জানালেন পুষ্টিবিদ

১৩

সুনামগঞ্জে ভুয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার

১৪

সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানীর পদ-ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি রাশেদের

১৫

ব্যক্তিগত মিলে মজুত করা ছিল সরকারি চাল

১৬

অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ / ভারতের বিপক্ষে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

১৭

সড়কে খানাখন্দ, দুর্ভোগ লাখো মানুষের

১৮

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মানসী

১৯

কলকাতায় টানা ৩ দিন দুর্যোগের সতর্কতা

২০
X