গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব

ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস। ছবি : সংগৃহীত
ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস। ছবি : সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার, কৃষক সায়াদ উদ্দিন প্রমুখ।

আড়পাড়া গ্রামের কৃষক সায়দ উদ্দিনের জমিতে উৎপাদিত বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ কেটে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস উদযাপন করা হয়। প্রধান অতিথি সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, জিংক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ প্রতি হেক্টরে আড়পাড়া গ্রামের জমিতে ৭.৮১ টন ফলন দিয়েছে।

গোপালগঞ্জের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আশিক ইকবাল বলেন, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করলে সার কম প্রয়োজন হয় এবং ফসলের উৎপাদনও ভলো হয়। অন্যদিকে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে আন্দাজ করেবেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন যেমন ব্যাহত হয় তেমনই ধীরে ধীরে মাটির উর্বরতা কমে গিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এত কৃষকের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

তাই জমির মাটি পরীক্ষা করে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের আবশ্যকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে কৃষকদের এ ধরনের সহায়তা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

প্রদর্শনীর কৃষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি পূর্বে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে যে ফলন পেয়েছি এবং এবার মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তাদের দেওয়া কম পরিমাণের সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পেয়েছি।

মাঠ দিবসে অংশে নেওয়া আরেক কৃষক গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় সার ব্যবহার করে তার ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, অনেক জায়গায় তার জমির ধান পুড়ে গেছে আবার অনেক জায়গায় ধান চিটা হয়ে গেছে। মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অল্প সার প্রয়োগে প্রদর্শনী কৃষকের ধান অনেক ভালো হয়েছে। সার কম ব্যবহার করায় তার খরচও অনেক কমে গেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পিছিয়ে রাখা হয়েছিল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ

জোয়ারের তোড়ে লোকালয়ে ভেসে এলো বনের হরিণ

৩শ সাপ পুষছেন ইদ্রিস, কামড় খেয়েছেন দুই শতাধিক

রেকর্ড জয়ের পরও সিরিজ হাতছাড়া অজিদের

ভয়াবহ যৌন হয়রানির ঘটনা জানালেন সালমানের নায়িকা

‘আইন শক্তিশালী হলেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে’

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসিতে ধাক্কাধাক্কি-হাতাহাতি, ক্ষোভ ঝাড়লেন রুমিন ফারহানা 

গণফ্রন্টের কার্যকরী চেয়ারম্যান হয়েছেন অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন

১০

ক্যাম্পাসে এখনো প্রান্তিক অবস্থায় ছাত্রদল, অভিযোগ আবিদের

১১

১২ মাসের জন্য ছিটকে গেলেন সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গতিময় পেসার

১২

তরুণ ব্যবসায়ীর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

১৩

আমরা চাই টাকা-পয়সার ব্যাপারে সমাধান হোক : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৪

বাম চোখ লাফালে কী হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম

১৫

গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রাইজ মানি বাড়ানোর আহ্বান জোকোভিচের

১৬

সবজির চড়া দামে বিপাকে সাধারণ মানুষ

১৭

গোবিন্দকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন রাভিনা ট্যান্ডন, দাবি সুনীতার

১৮

হঠাৎ মোবাইলের ডায়াল প্যাড পরিবর্তন হলে যা করবেন

১৯

পাকিস্তানের বন্যায় নিহত ছাড়াল ৪০০

২০
X