সারাদেশে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় মিলছে না রোদের দেখা। ফলে ক্ষেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
বিশেষ করে ধানের বীজতলার ক্ষতির শঙ্কা বাড়ছে কৃষকদের। এ কারণে ভাল চারার সংকট দেখা দিতে পারে। অন্যান্য ফসলেও রোগবালাই দেখা দেওয়ার ভয় করছেন তারা।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফসল রক্ষায় কৃষি পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এ মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত জরুরি পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো-
# কুয়াশা ও মৃদু/তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।
# ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
# আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
# সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।
# ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন