শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত কেনিয়া, নিহত ৪২
কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী নাইরোবির অদূরে কামুচিরি শহরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার মাই মাহিউর রিফট ভ্যালি শহরের কাছে বাঁধটি ভেঙে যায়। স্থানীয় গভর্নর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মার্চ মাসে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দেয়। এতে পানির নিচে রয়েছে অসংখ্য গ্রাম। ডুবে গেছে সড়ক। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি।  স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে কেনিয়ায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। নাকুরু কাউন্টির গভর্নর সুসান কিহিকা বলেন, ‘দেশটিতে বাঁধ ভেঙে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এ দুর্যোগে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস হয়েছে। এখনো অনেকে কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। আমরা নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছি।’
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

নদীগর্ভে ৫ শতাধিক মানুষের বাস, অরক্ষিত বাঁধে যত ভয়
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। সেই রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন আবদুল গফুর (৬৫)। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুফানও বাড়তে শুরু করে। একসময় পানি বাড়ির উঠানে চলে আসলে বাড়ির অপরদের সঙ্গে ঘর থেকে বের হলেও কোথাও যাওয়ার উপায় না দেখে ঘরের চালায় উঠে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই কে কোথায় গেছে আর কেউই জানেন না। পরের দিন খোঁজাখুঁজি করেও তার পরিবারের তিন সদস্যের সন্ধান মেলেনি। একই রাতে আশপাশের অন্তত শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হলেও পরে মাত্র ২০-৩০ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের সেই ভয়াল স্মৃতি নিয়ে আজও ঘুরে বেড়াই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্বগহিরা গ্রামের আবদুল গফুর, আবদুস সবুর, দিলুয়ারা বেগমসহ শতশত মানুষ। কিন্তু সেই ভয়াল রাতের ৩৩ বছর পার হলেও তাদের স্থায়ী ঠিকানা এখনো নদীর ভেতরেই। ১৯৯১ সালের পর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রায়পুর ইউনিয়নে একটি মাটির বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। তখন ইউনিয়নের পূর্বগহিরা ঘাটকূল এলাকার তিন চারটি বসতবাড়ি বেড়িবাঁধের বাইরে নদীর ভেতর রয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে অনেকেই গ্রাম-বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও চারটি বাড়ির ৮৫টি পরিবার দারিদ্র্যতার কারণে অন্য কোথাও যেতে পারেননি। এতে অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ বেড়িবাঁধের বাইরে নদীর ভেতর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। তারা আক্ষেপ করে বলেন, সরকার ভূমিহীনদের হাজার হাজার ঘর দিলেও আমাদের কপালে তা জোটেনি। নদীর ভেতর বসবাসকারী দিলুয়ারা বেগম (৬০) বলেন, ‘শেখ হাসিনা বওত মানুষরে ঘর দিয়ে, আঁরার হোয়ালত এইল্লা একখান ঘরও ন জোটে (শেখ হাসিনা অনেক মানুষকে ঘর করে দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের কপালে একটি ঘরও জোটেনি)।’ ১৯৯১ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আনোয়ারাবাসী এক প্রকার অরক্ষিত থাকলেও ২০১৮ সালে সরকার আনোয়ারার উপকূলীসহ ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের উন্নয়নে ৫৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু কাজ শুরুর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ৫ কিলোমিটারের অধিক এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ না হওয়ায় শঙ্কায় বসবাস করছেন উপকূলের অর্ধলাখ হাজার মানুষ। উপকূলীয় এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাইন্নার দীঘি, ফকির হাট, বার আউলিয়া, উত্তর গহিরা, দক্ষিণ গহিরা, মধ্যম গহিরা, পরুয়াপাড়া ফুলতলী এলাকাসহ উপকূলজুড়ে চলছে বেড়িবাঁধের ব্লকের কাজ। তবে পূর্বগহিরা ঘাটকুল ও সরেঙ্গা এলাকায় এখনো ব্লক বসানো সম্ভব হয়নি। এতে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত রয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারার উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ২০১৮ সালে সরকার ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের উন্নয়নে ৫৭৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এতে রায়পুর ইউনিয়নের ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ব্লক বসানো হয়। বাকি ৫ কিলোমিটার এলাকায় মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গহিরা সাগর উপকূলে ২৭৭৫ মিটার ও সরেঙ্গা শঙ্খ নদীর ২৪০০ মিটার রয়েছে। এই ৫ কিলোমিটারের জন্য নতুন করে ৩০০ কোটি টাকার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ঘাটকূল এলাকার বৃদ্ধ আবদুস সবুর বলেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি পাথরের বেড়িবাঁধের। তবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও আমাদের বাড়িঘরের পাশে এখনো ব্লক বসানো হয়নি। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত শুনলে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে হয়। রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, ২০১৮ সালের আগে পুরো রায়পুর ইউনিয়ন অরক্ষিত ছিল, এখন সেখানে ব্লক বসানো হয়েছে। তবে পূর্বগহিরা ঘাটকূল ও সরেঙ্গা এলাকায়র কিছু অংশে মাটির কাজ হলেও টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি। তাই দ্রুত এসব এলাকায় ব্লক বসানো না হলে আবারো প্লাবিত হবে। এ ছাড়া উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের রব্বাত মিয়াজির বাড়ী থেকে হাজিবাজারসহ তিন কিলোমিটার বাঁধ ও ফসলি জমি তীব্র ভাঙনের মুখে রয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারাচ্ছে শত শত মানুষ। বর্ষার আগে বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে বন্যা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হবে পুরো জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন। এমনটা ধারণা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ইদ্রিস বলেন, বর্ষার আগে ভাঙন না কোনো ব্যবস্থা না করলে পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপপ্রকৌশলী (আনোয়ারার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মিজানুল হক বলেন, রায়পুর ইউনিয়নের ৫ হাজার ১৭৫ মিটার বেড়িবাঁধে ব্লক বসানোর জন্য নতুন করে ৩৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে ওই এলাকায় ব্লকের কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে আনোয়ারা থেকে অন্তত ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিলীন হয়ে যায় হাজার হাজার বাড়িঘর। দিনটি উপকূলের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এ উপলক্ষে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় প্রতি বছরের মতো এবারও ঘরে ঘরে মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানি, স্মরণসভা ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয়রা।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / ৫০০ বছরের পুরোনো খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে খালে অবৈধভাবে দেওয়া বাঁধ অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাঁধ অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা গেছে, খালের বাঁধের মাটি শ্রমিকরা অপসারণ করছেন। এ সময় খালে বাঁধ দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত সাইদুর রহমানের ছেলে মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে।     স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, এই খালটির বয়স অন্তত ৫০০ বছর। এ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন খাল। সেচ মৌসুমে খালের পানি দিয়ে কৃষকরা ফসল ফলায়। প্রভাবশালী মহল খালের মাঝে বাঁধ দিয়ে চলাচলে রাস্তার তৈরি করেছে। এ বিষয়ে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা প্রশাসন খালের বাঁধের মাটি অপসারণের অভিযান চালায়। এতে প্রায় ৩০০ কৃষকের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।   স্থানীয় কৃষক আলী আহম্মদ বলেন, পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর দ্রুত খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়। বাঁধ অপসারণ করায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, কালবেলায় ‘দেবিদ্বারে ৫০০ বছরের পুরানো খাল ভরাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। খবরটি দেখে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমানের নির্দেশে খালের বাঁধ অপসারণের করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

গদাই নদীতে বাঁধ দিয়ে আ.লীগ নেতার মাটি ব্যবসা
নাটোরের সিংড়ায় গদাই নদীতে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে মাটি ব্যবসা শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নওফেল উদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন প্রভাবশালী। বিষয়টি জানতে পেরে বাঁধ অপসারণ করতে নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বাঁধ নির্মাণকারীরা। অবশেষে সেই বাঁধ ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।    সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নলবাতা এলাকায় অবৈধ বাঁধ অপসারণে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। পাশাপাশি অবৈধভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা নওফেল উদ্দিন চৌধুরীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর খিড়া নদীর সেই বাঁধ অপসারণ
‘ভাটায় মাটি নিতে নদীতে বাঁধ’ শিরোনামে জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর কুমিল্লার মুরাদনগরের দারোরা ইউনিয়নে খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণ করেছে প্রশাসন। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়ায় শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। জানা যায়, উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্ব পাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। পানি চলমান নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছিল কৃষি জমির সেচ কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে দেশের প্রথম সারির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কালবেলাসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে রোববার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের। রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা এই বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় মুরাদনগর থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর নদীর বাঁধ অপসারণ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, খিড়া নদীর বাঁধ অপসারণের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ার কাউকে শাস্তির আওতায় আনতে পারিনি। ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

নদীতে বাঁধ দিয়ে ভাটার ব্যবসা করছেন ইউপি সদস্য
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মাটির বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে নদীর গতিপথ রোধ করে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্বপাড়া জব্বার হাজীর বাড়ির পাশের খিড়া নদীর গতিপথ রোধ করে মাটির এ বাঁধ নির্মাণে চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কৃষিজমির সেচকাজ। ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীরে গর্ত খুঁড়ে মাটি কেটে নিচ্ছে ওই ক্ষমতাধর প্রভাবশালী মহলটি। এতে হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দারোরা ও ধামঘর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে খিড়া নদী। একসময় এ নদী দিয়ে যাত্রী ও মালবাহী শত শত নৌকা ও ট্রলার চলাচল করত। বর্তমানে দারোরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি ট্রাক্টর কৃষিজমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি জোগান দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, কৃষিকাজই তাদের প্রধান পেশা। এ কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা তাদের রুটি-রুজিতে আঘাত করছে। এরা যেভাবে কৃষিজমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আর জমি খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রশাসন যদি এখনই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমির মালিক আমার ভাই। সে বিদেশ থাকে। জমিগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে আমি রয়েছি। ভাই নিজেই মাটি বিক্রি করেছে। ভারপ্রাপ্ত মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বিষয়। মাটির বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে খবর নিয়ে দ্রুত নদীটি খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

ইটভাটার মাটি নিতে নদীতে বাঁধ নির্মাণ
নদী মাঝে বাঁধ দিয়ে করে ইটভাটায় মাটি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। চলমান নদীতে বাঁধ নির্মাণের ফলে চরম আকারে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি জমির সেচ কার্যক্রম।  কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের দারোরা-কৃষ্ণপুর সড়কের কাজিয়াতল পূর্বপাড়া জব্বার হাজির বাড়ির পাশের খিড়া নদীতে এ বাঁধ দেওয়া হয়েছে।  তিন ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী মহলটি। এতে করে হুমকিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন জানার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় সুশীল সমাজ ও কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার দারোরা ও ধামঘর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে খিড়া নদী। এক সময় এ নদী দিয়ে যাত্রীবাহী ও মালবাহী শত শত নৌকা এবং ট্রলার চলাচল করত। বর্তমানে দারোরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮/১০টি ট্রাক্টর কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় দিচ্ছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, কৃষি কাজই আমাদের প্রধান পেশা। এ কাজ করেই আমরা সংসার চালাই। কিন্তু ভূমিখেকো ইটভাটার মালিকরা আমাদের এ রুটি রুজিতে আঘাত করছে। এরা যেভাবে কৃষি জমি নষ্ট করছে, তাতে কিছুদিন পর আমরা আর জমি খুঁজে পাব না। প্রশাসন যদি এখনই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমাদের ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে।  ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমির মালিক আমার ভাই। সে বিদেশ থাকে। জমিগুলো দেখা- শোনার দায়িত্বে আমি রয়েছি। ভাই নিজেই মাটি বিক্রি করেছে।  মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি খুবই দু:খজনক। খুব দ্রুত নদীটি খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

এলাকাবাসির উদ্যোগেই তৈরি হলো বাঁধ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষকে জলবায়ুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। অসময়ের বন্যা বৃষ্টিতে বছরের বড় একটি সময় জনপদগুলো হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন। বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের তেমনি একটি এলাকা চর কৃষ্ণপুর। শিক্ষা-চিকিৎসা-ব্যবসাসহ যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলার নাগেশ্বরীই কেবল নয়, পাশের কুমুদপুর বাজারে যাতায়াতে শুকনো মৌসুমে এই চর কৃষ্ণপুরবাসীর পায়ে হাঁটার বিকল্প নেই। আবার অসময়ের বন্যা আর বৃষ্টিতে হাঁটার সেই রাস্তাটুকুও তলিয়ে থাকে বছরের বড় একটি সময়। উঁচু একটি সড়কের অভাবে জীবন-জীবিকার গতি থমকে আছে এ এলাকায়। বহু বছর অপেক্ষার পরও যখন এখানে একটি সড়ক নির্মাণের দাবি পূরণ হয়নি, তখন স্থানীয়রাই উদ্যোগ নেন সড়কটি তৈরির। চর কৃষ্ণপুর গ্রামের অদিবাসীরা জানেন এ রকম দীর্ঘ একটি রাস্তা তৈরি করতে তাদের বহু টাকা লাগবে। তারপরও তারা নেমে পড়েছেন নিজেদের সামর্থটুকু নিয়ে। মনোবল আর শ্রমকে পুঁজি করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে গ্রামবাসী দীর্ঘ এ রাস্তার যতটুকু কাজ করে ফেলেছেন সেটিই এখন এক বিস্ময়।  গ্রামবাসী উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের শ্রম আর টাকায় রাস্তাটির কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের নিয়ে সড়ক নির্মাণ কমিটি তৈরি করেছেন তারা। এ কমিটি আস্থার সঙ্গে তত্ত্বাবধান করছে কাজটি। কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন স্তরে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কটি তৈরি হলে বহুমুখী সুবিধা পাবেন এলাকাবাসী। চরের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। এ গ্রামে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বছরের বেশিরভাগ সময় আমাদের বন্যা আর বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হয়। সে সময় যাতায়াতের কোনো প্রকার ব্যবস্থা থাকে না। শুকনো মৌসুমেও কষ্ট করতে হয়। কোনো রকমে ক্ষেতের আলপথ ধরে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পাকা সড়কে উঠতে হয়। এ পথে আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়া বড়ই কষ্টের। এ চরের ছেলে-মেয়েরা যোগাযোগের অভাবে লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে। বহু বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপর মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও একটি সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা হয়নি। তাই আমরা গ্রামবাসী একত্র হয়ে নিজেদের সড়ক নিজেরাই তৈরি করছি। চরের আরেক বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুব আলী জানান, সড়কটি তৈরির জন্য বহুজনের কাছে গেছি। সবাই কথা দিয়েছেন। কিন্তু কাজ করেননি। তাই আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা জানি একটা সড়কের জন্য আমাদের কত কষ্ট করতে হয়। বন্যা এবং বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। প্রসূতি মায়ের জরুরি চিকিৎসা করাতে পারি না। সড়কটি নির্মাণ হলে সব সমস্যার সমাধান হবে। এ ছাড়া সড়কটি বন্যার সময় বাঁধের কাজ করবে। ফসলহানিও রোধ হবে। খোকন মিয়া জানান, সড়কটি নির্মাণে গ্রামবাসীদের একত্র করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। সবাই সাধ্যমতো টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। কেউ শ্রম দিচ্ছেন। সড়ক নির্মাণ একটা কমিটি করেছি। এ কমিটি আস্থার সঙ্গে সড়ক নির্মাণ বাস্তবায়ন করছে।  কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক জানান, গ্রামেরে বাসিন্দারা সর্বনিম্ন দুই হাজার, কেউ চার হাজার, দশ হাজার, আবার কেউ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। তবে এ টাকা খুব নগণ্য। সড়কটি নির্মাণে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হবে। বল্লভেরখাষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি তৈরিতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই চরের বাসিন্দাদের জোটবদ্ধ হয়ে কাজটি শুরু করার পরামর্শ দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।  কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, চর কৃষ্ণপুরবাসী সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে একটি সড়ক নির্মাণ করছেন। এটি প্রশংসনীয়। আমরা তাদের কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পরিদর্শন করে সেখানে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

নবগঙ্গা নদীর বাঁধ অপসারণ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে স্থাপিত মাটির বাঁধ অপসারণ করেছে প্রশাসন। অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই অভিযান চালানো হয়।  হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সোনাতনপুর, ভেড়াখালি ও ভুইয়াপাড়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর অন্তত আড়াই কিলোমিটার অংশের ৩টি স্থানে আড়াআড়িভাবে স্থাপিত মাটির বাঁধ এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আরিফুল ইসলাম ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় এসিল্যান্ড নিরুপমা রায় উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, হাইকোর্টের এক আদেশের আলোকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর সব অংশ থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধ দখলদারদের তালিকাও করা হচ্ছে। হরিণাকুণ্ডুর ইউএনও মো. আক্তার হোসেন বলেন, হাইকোর্টের আদেশের আলোকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় নদীর ওপর অবৈধভাবে স্থাপিত বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। নবগঙ্গা ছাড়াও উপজেলায় অন্য কোনো নদ-নদীতেও যদি বাঁধ থাকে তাহলে সেখানেও অভিযান চালানো হবে। এরইমধ্যে দখলদারদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X