রাজন ভট্টাচার্য
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৫ এএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দুর্বল বাঁধ নির্মাণে উদ্বিগ্ন হাওরের কৃষক

অনিয়মের অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে
দুর্বল বাঁধ নির্মাণে উদ্বিগ্ন হাওরের কৃষক

বছরে একটিমাত্র ফসলের ওপর নির্ভরশীল সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। আগাম বন্যায় বারবার ভেসে যায় সেই বোরো ফসল। ২০১৭ সালে হাওরের প্রায় সব ফসল নষ্ট হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে সরকার। প্রতি বছর সঠিক সময়ে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, কাজের মান ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও তদারকির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এত কিছুর পরও বাঁধ নির্মাণে অবহেলা ও অনিয়ম যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। অনেক জায়গায় দায়সারাভাবে কাজ শেষ করায় বাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। ফলে যে কোনো মুহূর্তে পাহাড়ি ঢল নামলেই ভেসে যেতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ৪০ হাওরে ৭৩৫ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ ও সংস্কার হচ্ছে ৬৯১ কিলোমিটার বাঁধ। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮টি, বিশ্বম্ভরপুরে ৩১, জামালগঞ্জে ৪৪, তাহিরপুরে ৮২, ধর্মপাশায় ৯৬, মধ্যনগরে ৩২, শান্তিগঞ্জে ৬৬, জগন্নাথপুরে ৩১, দিরাইয়ে ১১০, শাল্লায় ১৩১, দোয়ারাবাজারে ৫১ ও ছাতক উপজেলায় ৩১টি প্রকল্পের আওতায় বাঁধের কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা (ক্লোজার) আছে ১৬৪টি। এ কাজে সব মিলিয়ে বরাদ্দ হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, ওই সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরোটা সম্পন্ন হতে আরও ১৫ দিন লাগতে পারে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) স্থানীয় সদস্য ও এলাকাবাসীর মতে, বেশিরভাগ জায়গায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তাহিরপুর উপজেলায়।

শুধু ধীরগতি নয়—ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ চলাকালেই নানা জায়গায় শুরু হয়েছে ভাঙন। মাটির পরিবর্তে ফেলা হয়েছে বালু। দূর থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও বাঁধের নিচের মাটি দিয়েই উঁচু করা হচ্ছে বাঁধ। উন্মুক্ত রয়ে গেছে ১৬৪ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বেশিরভাগ। কোথাও কোথাও মাটি ফেলার পর ঠিকমতো বসানো হয়নি। ওপরে সামান্য মাটি ফেলে পুরোনো বাঁধকে নতুন দেখানোর চেষ্টাও চলছে সমানতালে। দূর্বাঘাসের জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও বেশিরভাগ বাঁধে তা লাগানো হয়নি এখনো। ভাঙনপ্রবণ অংশে বসানো হয়নি বাঁশ, বস্তা ও চাটাই।

এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা হাওর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির বিরুদ্ধে পানিসম্পদ মন্ত্রী ও সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ও প্রকল্প কমিটির কৃষক প্রতিনিধি রণজিৎ কুমার দাস। তার অভিযোগ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হাওর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নীতিমালা লঙ্ঘন করে পিআইসি অনুমোদন দেন। অভিযোগপত্রে মোট ৪৬টি পিআইসির বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের সদর, শান্তিগঞ্জ, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও শাল্লা উপজেলার হাওর এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঢিলেঢালাভাবে করা হচ্ছে বাঁধের কাজ। অনেক বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওর ঘুরে দেখা যায়, উপপ্রকল্পের ৮৫, ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪ ও ৯৫ নম্বর পিআইসিতে পুরোনো বাঁধের ভেঙে পড়া মাটি কেটে নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু পিআইসিতে এখনো মাটি ফেলা হয়নি। কোথাও বা সামান্য মাটি দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে।

এই হাওরের কৃষক রন দাস বলেন, ‘দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ না হলে হাওরের হাজার হাজার হেক্টর জমি অরক্ষিত থাকবে।’

আরেক কৃষক সুধাকর দাস বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধেও বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের টাকা লোপাট করা হচ্ছে। তার পরও এখনো অনেক বাঁধে মাটি পড়েনি। ওপরে প্রলেপ দিয়ে পুরোনো বাঁধগুলোকে নতুন দেখানোর চেষ্টা চলছে।’

শাল্লার কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, এবারের বাঁধের কাজ অন্যবারের তুলনায় খুবই দুর্বলভাবে করা হচ্ছে। বাঁধ দুর্বল হলে এক দিনের বৃষ্টিতেই তা ভেঙে ফসল তলিয়ে যাবে।

তাহেরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামলে প্রথম আঘাত আসে মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে। অথচ বড়দল কাউকান্দি এলাকার বাঁধের মাটির কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।’

জানা গেছে, এখনো তাহিরপুরের আরও আটটি বাঁধের অর্ধেক কাজ বাকি। এ বাঁধগুলোর মধ্যে উপজেলার সর্ববৃহৎ শনি ও মাটিয়ান হাওরের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধও রয়েছে। শনির হাওরে বাঁধের কাজের সঙ্গে যুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. গোলাম সরোয়ার ডালিম বলেন, ‘আমরা কার্যাদেশই পেয়েছি বিলম্বে। এরপর এক্সক্যাভেটর মেশিন পেতেও বিলম্ব হয়েছে। চার দিন বৃষ্টি থাকায় বাঁধের কাজ পিছিয়েছে।’

জানা গেছে, জামালগঞ্জে হালির হাওরের উলুখানি যতিন্দ্রপুর পর্যন্ত বড় বাঁধে এখনো মাটির কাজই শেষ হয়নি। এ বাঁধের যতিন্দ্রপুরের পার্শ্ববর্তী অংশ বৌলাই নদীতে ধসে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই বাঁধে ধস শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার বড় অংশ ধসে পড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো তৎপরতাই নেই। অথচ এ বাঁধ ভেঙে বৌলাই নদীর পাহাড়ি ঢলে এর আগেও ডুবিয়েছে বিশাল হালির হাওরকে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের কৃষক সোবহান মিয়া বলেন, ‘ক্লোজারের মাটি ধসে গেছে। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ না হলে এই হাওরের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল ঝুঁকির মুখে থাকবে।’

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘গত বুধবার কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও কোনো কোনো বাঁধে ২০ থেকে ৩০ শতাংশও কাজ হয়নি।’

সিপিবির জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এনাম আহমদ বলেন, ‘জেলায় এবার ৭৩৪টি বাঁধের কোনো কোনোটিতে স্লোব, কমপেকশন, বন বা ঘাস লাগানোর কাজ বাকি রয়েছে। আবার কিছু বাঁধ বালু মাটি দিয়ে উঁচু করা হয়েছে। এ অবস্থায় বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায়ও ঝুঁকি বেড়েছে।’

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার কালবেলাকে জানান, ‘জাতীয় নির্বাচনের কারণে এবার সময়মতো কাজ শুরু করা যায়নি। তা ছাড়া অসময়ে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ করা যায়নি। সব মিলিয়ে গড়ে ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। তাহিরপুরের মাটিয়াইন ও শনির হাওরের কিছু বাঁধে সামান্য কাজ বাকি আছে। ওখানে কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে।’

তাহিরপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রকৌশলী মনির আহমেদ জানান, তাহিরপুর উপজেলায় ৮১ পিআইসি ১০৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ ১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ক্লোজার আছে ১৭টি। এর মধ্যে সাতটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টি বাঁধে দূর্বাঘাস লাগানো সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিগুলো এখনো হয়নি।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন তাহিরপুর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তুজাম্মিল হক নাসরুম বলেন, ‘শুরু থেকেই বলে আসছি বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। গড়ে ৬০ শতাংশেরও কম কাজ হয়েছে বাঁধগুলোতে। তা ছাড়া দূর্বাঘাস লাগানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাঁধে দায়সারা ঘাস লাগানোর কাজ চলছে। দুর্বল বাঁধ নিয়ে আমরা ও হাওর পাড়ে কৃষকরা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়।’

সংগঠনের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল বলেন, ‘কাজ শুরুতে দেরি হলে শেষও হয় বিলম্বে। এটা একটা বড় সমস্যা।’

নীতিমালা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকিতে জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে (পওর বিভাগ-১) সদস্যসচিব করে জেলা কমিটি এবং প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সভাপতি ও পাউবোর উপজেলা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।

মূলত উপজেলা কমিটি প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠন করে পাঠায় জেলা কমিটিতে। পরে জেলা কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য প্রকৃত কৃষক ও স্থানীয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে পাঁচ থেকে সাত সদস্যের একটি পিআইসি থাকে। একটি পিআইসি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার কাজ করতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্প গ্রহণ ও পিআইসি গঠনে গণশুনানির কথা থাকলেও মাঠপর্যায়ে প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তারা তা যথাযথভাবে অনুসরণ করেন না। এগুলো নিশ্চিত করা গেলে বাঁধের কাজে অনিয়ম কমে যেত এবং বাঁধও টেকসই হতো।

জানতে চাইলে বাঁধ নির্মাণকাজে অবহেলা বা অনিয়মের সুযোগ নেই দাবি করে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন বাঁধের কাজ ধীরগতিতে হয়েছে। সেজন্য সময়মতো শেষ হয়নি। তবে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলব। অনিয়মের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘শরীফ থেকে শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার সুপারিশে এইচআরএফবি’র প্রতিবাদ

পলাশ ও এন্ড্রু কিশোরের ফিরিয়ে দেওয়া গান গেয়েই আসিফের বাজিমাত

রাইসির মৃত্যুতে শি’র মাতম

কর অঞ্চল-১৭, ঢাকায় ১০১ জনের বড় নিয়োগ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাউশির ৯ নির্দেশনা

রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের শোক

গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদের সব প্রোগ্রাম বর্জন / প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই মোটরসাইকেল আরোহীর

সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্ত্রী, হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তা

ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা

১০

খেলাধুলা-সংস্কৃতিতে দক্ষরাই বিশেষ মেধাসম্পন্ন : জবি উপাচার্য 

১১

চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজকে ইসিতে সশরীরে তলব, প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কা

১২

বজ্রপাতে রানওয়ের ক্ষতি, নামতে পারেনি বিমানের ফ্লাইট

১৩

ভদ্রতা দেখাব সর্বোচ্চ, আইনের প্রয়োগ হবে শতভাগ : এসপি সাতক্ষীরা 

১৪

ভাতিজার হাতে চাচা খুন, মামলা দায়ের

১৫

কুঁচিয়া বিক্রি করে সংসার চালান খোকন

১৬

আ.লীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল

১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ, আবেদন ফি ৩০০

১৮

বিশ্বসেরা কোচ, তবুও তারা কেন বেকার?

১৯

ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

২০
X