সৈয়দপুরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
অবশেষে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়ের রাতের লাইটিং সিস্টেম সচল করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সৈয়দপুর ও ঢাকা থেকে আসা প্রকৌশল বিভাগ দুপুর ৩টার পর রানওয়ে লাইটিং সিস্টেম ত্রুটিমুক্ত করে। ফলে রাতে বিমানের ফ্লাইট ওঠা-নামা স্বাভাবিক হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রানওয়ের লাইটিং সিস্টেমের বিদ্যুৎ সংযোগে ত্রুটি দেখা দেয়। এতে করে রানওয়ের লাইটিং সিস্টেম সচল করা যায়নি। তবে সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি সৈয়দপুর বিমানবন্দরের প্রকৌশল বিভাগ লাইটিং সিস্টেম সচল করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিদ্যুৎ লাইনের ক্যাবল মাটির নিচে থাকায় মেরামত কাজ করতে বেগ পেতে হয়।  সোমবার সকালে ঢাকা থেকে একটি প্রকৌশলী দল সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে মেরামত কাজে যোগ দেয়। পরে সৈয়দপুর ও ঢাকার প্রকৌশলীরা রানওয়ের একটি সার্কিটের লাইটিং সিস্টেম সচল করেন। এর দ্বিতীয় লাইটিং সিস্টেম রাতের মধ্যে চলাচল করার কাজ চলছে। সচল করা একটি সার্কিটে লাইটিং সিস্টেম দিয়ে বিমান ওঠা-নামায় সমস্যা নেই। ফলে রাতের সব ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, গতকাল রোববার রানওয়েতে রাতে আলো না জ্বলায় ফ্লাইট ওঠা-নামা করতে পারেনি। এতে করে রাত ৯টার পর নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা ও এয়ারএস্ট্রা এয়ারলাইন্সের ৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েন। এসব স্থানীয় যাত্রীরা বাড়ি ফিরে গেলেও দূরের যাত্রীরা আজ (সোমবার) সকালের ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন।  তবে জরুরিভিত্তিতে সৈয়দপুর ও ঢাকার প্রকৌশল বিভাগ কাজ করে লাইটিং সিস্টেমের একটি সার্কিট সচল করেছে। দ্বিতীয় সার্কিটটি সচল করার কাজ চলছে। রাতের মধ্যেই দ্বিতীয় সার্কিটটিও সচল করা সম্ভব হবে। বর্তমানে রাতে বিমান ওঠা-নামা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
১৩ মে, ২০২৪

শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিমান চলাচল
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে করে প্রায় দুই দশক পর উজবেকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় বাংলাদেশের বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।  সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এর উদ্যোক্তা ছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এই চুক্তির আওতায় উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে।  তিনি জানান, ৯৩ সালে একটা চুক্তির মাধ্যমে এর জার্নিটা শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে এসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ মিলে খসড়াটির চুক্তি হয়। এখন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল মানদণ্ড অনুযায়ী এটি সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
০৬ মে, ২০২৪

ইরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
তেহরানসহ সব বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইরান। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরবেলা ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় দেশটির সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্ফাহান শহরে। এরপরই ইরানের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।  ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ বিমানবন্দরে ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।  খবরে আরও বলা হয়, তেহরানের প্রধান অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর মেহরাবাদে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এর খবরেও বলা হয়েছে, তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে। ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনেই সিরিয়ায় সামরিক অবকাঠামোগুলো এবং ইরাকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা। বিবিসি বলছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দুই মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়, ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইরানের সেই হামলার জবাব দেওয়ার ঘোষণা ইসরায়েল আগেই দিয়েছিল এবং এরপর থেকে ইরান সর্বোচ্চ সতর্কতায় ছিল। ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইস্ফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি। ইস্ফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমানঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ইরানে বড় শহরগুলোতে বিমান চলাচল বন্ধ
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহরে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেশটির ইস্ফাহানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরান, ইস্ফাহাস, সিরাজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।  গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সিনেটরের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইরানের ইস্ফাহান শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে নানান ছক কষছে পশ্চিমাদের ভরকেন্দ্র আমেরিকা। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সিলেটের প্রবাসীদের লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দেবে বিমান
বিমানের কানেক্টিং ফ্লাইটে আসা প্রবাসী যাত্রীদের যেসব লাগেজ ঢাকায় আটকা পড়ে সেগুলো নিজ খরচে বাড়ি পৌঁছে দেবে বিমান। তবে, কেবল সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দারা এ সুবিধা পাবেন। এ ক্ষেত্রে যাত্রীরা ঢাকায় থাকা অবস্থায় বিমান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানির সময় এ তথ্য জানানো হয়। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদের সভাপতিত্বে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সেমিনার হলে গণশুনানিতে বিমানবন্দরে সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও বিমানের যাত্রীরা অংশ নেন। শুনানিতে মিজান মিয়া নামের এক সৌদিপ্রবাসী যাত্রী অভিযোগ করেন, প্রবাস থেকে দেশে ফেরার পথে সিলেটে পৌঁছে জানতে পারেন তার লাগেজ আসেনি। এ নিয়ে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এটা নিত্যদিনের ঘটনা, যা একেবারে কাম্য নয়। তিনি এ ধরনের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। জবাবে পরিবহন সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, ঢাকা থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটের উড়োজাহাজ আকারে ছোট থাকায় যাত্রীদের সব লাগেজ একসঙ্গে পরিবহন করা সম্ভব হয় না। এ কারণে কিছু যাত্রীর লাগেজ পরবর্তী ফ্লাইটে পৌঁছায়। সিলেটে পৌঁছালে যাত্রীদেরকে খুদে বার্তায় কিংবা টেলিফোনে লাগেজ সংগ্রহ করতে বলা হয়। তবে, যেসব যাত্রী সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা তারা চাইলে লাগেজ তাদের বাসায় পৌঁছে দেবে বিমান। যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ এয়ারলাইন্সগুলোর উদ্দেশে বলেন, যাদের লাগেজ একই বিমানে সিলেটে পৌঁছাবে না তাদেরকে ঢাকা থেকে বিমান ছাড়ার আগেই সুনির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে। এতে যাত্রীরা সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছে অপেক্ষা করবে না বা খুঁজতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়বে না। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে তিনি সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, প্রতি তিন মাস পর পর গণশুনানির আয়োজন করা হয়। এতে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রস্তাব গুরুত্বসহকারে দেখা হয় এবং সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুনানিতে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) উপপরিচালক মো. আব্দুল গনি, স্কোয়াড্রন লিডার মো. কামরুল আহসান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিকিউরিটি অফিসার রিয়াজ আহমেদ, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ওসি মো. আব্দুল কুদ্দুস, কাস্টমসের রেভিনিউ অফিসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বিমানবন্দরের সিনিয়র অফিসার মো. আহসান হাবিবসহ ইমিগ্রেশন পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাংক, গোয়েন্দা শাখা ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ মার্চ, ২০২৪

লালমনিরহাটে ‘ডেভেলপিং স্মার্ট এভিয়েশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্প্রেস বিশ্ববিদ্যালয় লালমনিরহাট ক্যাম্পাসের আয়োজনে ‘ডেভেলপিং স্মার্ট এভিয়েশন ইন বাংলাদেশ ; চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপার্চুনিটিসেস’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বিমান শিল্পের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি বিস্তৃত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ এবং বৃদ্ধির সুযোগের ওপর এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্প্রেস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি নিবন্ধ করার উদ্দেশ্যে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের (বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান।  সেমিনারে স্মার্ট এভিয়েশন সেক্টরে ডিজিটালাইজেশন কানেক্টিভিটি ও সম্ভাব্য ক্যারিয়ারের সুযোগের ওপর জোর দেওয়ার জন্য একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্কাই ক্যাপিটাল এয়ার লাইন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উইং কমান্ডার জে এম মোস্তাফিজুর রহমান।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এএসএম ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে শিক্ষার্থী ও অনুষদ সদস্যসহ বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। 
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বিমান চলাচল নিয়ে বাংলাদেশ ইথিওপিয়ার চুক্তি সই
বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে নতুন দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) ‘এয়ার সার্ভিস নেগোসিয়েশন ইভেন্ট (আইক্যান-২০২৩)’ অনুষ্ঠানে এ চুক্তি হয়। ইথিওপিয়ার সঙ্গে ওই নতুন চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তিগুলোর আওতায় বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির (বেবিচক) কর্মকর্তারা বলছেন, আইকাওর এ ইভেন্ট বিমান চলাচল সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। এবার এ ইভেন্ট ৩ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৭ তারিখ শেষ হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনের মধ্যে অ্যাগ্রিড মিনিটস; জর্ডান, আলজেরিয়া, ওমান, থাইল্যান্ড, কানাডা, উজবেকিস্তানের সঙ্গে রেকর্ড অব ডিসকাশন এবং বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রেকর্ড অব ডিসকাশন স্বাক্ষরিত হয়েছে। বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, দেশগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ফ্লাইট চলাচল করলেও এসব চুক্তি হালনাগাদ ও সম্প্রসারণ করতে চায় বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বেবিচকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান জানান, এ বছর এই ইভেন্টে আইকাওর ৯৭টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই, অনুস্বাক্ষর, চুক্তির সস্প্রসারণ এবং বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করে থাকে।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার বাহরাইনের, বিমান চলাচল স্থগিত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের জেরে জনরোষের মুখে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে আরব দেশগুলো। এই যুদ্ধ শুরুর পরপরই এক সময় তেলআবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়নে জড়িয়েছে। এবার এই তালিকায় নাম লেখাল বাহরাইন। খবর আলজাজিরার। অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে বাহরাইন। বিষয়টি বাহরাইন সরকার নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাহরাইনের সংসদের নিম্নকক্ষ জানায়, তাদের দেশ ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে এবং মানামায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত কিছুক্ষণ আগেই বাহরাইন ত্যাগ করেছেন। সংসদের এমন বিবৃতির পরপরই সরকারের তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানায় বাহরাইন সংসদের একটি কমিটি। যদিও পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের কোনো ক্ষমতা নেই এই কমিটির। তবে এমন দাবি অস্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, বাহরাইনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে গত ১ নভেম্বর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় জর্ডান। একই সঙ্গে আম্মানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে আর জর্ডানে না ফেরার নির্দেশ দেয় দেশটি। মিসরের পর দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র জর্ডান। এর আগে গত শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মানবিক কারণে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২২টি আরব দেশের পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল জর্ডান। পরে সেই প্রস্তাব ১২০-১৪ ভোট পেয়ে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাস হয়।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

মস্কোয় আবারও ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, বিমান চলাচল ব্যাহত
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। হামলা প্রতিহত করলেও বিধ্বস্ত ড্রোনের কিছু অংশ একটি ভবনের ওপর পড়লে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মস্কোর প্রধান চার বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। খবর রয়টার্স। রাশিয়া বলছে, মস্কোর পশ্চিমের রুজস্কি জেলায় একটি এবং পাশের ইস্ট্রিনস্কি জেলায় আরেকটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় মস্কোর প্রায় ৫০টি বিমানের চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রাশিয়ান বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়েতসিয়া জানিয়েছে, মস্কোর প্রধান চারটি বিমানবন্দর ভনুকোভো, ডোমোদেডোভো, শেরেমেতিয়েভো ও ঝুকভস্কির বিমানের আগমন এবং প্রস্থান কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫টি যাত্রীবাহী বিমান এবং দুটি কার্গো বিমান। সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার এলাকার পাশাপাশি মস্কো ও আশপাশে ড্রোন হামলার ঘটনা বেড়েছে। এর মধ্যে মস্কোর বাণিজ্যিক এলাকায় দুটি ড্রোন হামলাও রয়েছে। এমনকি গত মে মাসে ক্রেমলিনের খুব কাছে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার রাশিয়ার তিন অঞ্চলে একযোগে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এসব হামলায় পাঁচজন আহত এবং রাশিয়ার দুটি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়েছে।
২১ আগস্ট, ২০২৩

মস্কোয় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, আতঙ্কে বিমান চলাচল বন্ধ
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় একাধিক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে একাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় ধরনের এ হামলার পর আতঙ্কে সাময়িকভাবে মস্কোয় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ রোববার (৩০ জুলাই) ভোরের দিকে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা চালায়। তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেন, অন্তত দুটি অফিস ভবনে আঘাত হানে ড্রোন। হামলার পরপরই সরিয়ে নেওয়া হয় আশপাশের বাসিন্দাদের। আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোরেই মস্কোর পশ্চিমাঞ্চল থেকে আরও দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে রুশ এয়ার ডিফেন্স ট্রুপস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র সহায়তার কারণে ইউক্রেন আবারও যুদ্ধে গতি বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন এলকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আরও পড়ুন : মস্কোয় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করল রাশিয়া গত মে মাসে ক্রেমলিনে পুতিনের বাস ভবনে পর পর দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। অবশ্য সেই সময় বাসায় ছিলেন না পুতিন। ওই হামলাকে মস্কো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছে। সেই সময় ক্রেমলিন জানায়, ওই হামলায় দুটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। ক্রেমলিনের গণমাধ্যম বিভাগ জানায়, পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মনুষ্যবিহীন দুটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। তবে রুশ সামরিক বাহিনী ও স্পেশাল সার্ভিস রাডার ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ায় সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। একই ভাবে নতুন করে চালানো দুটি ড্রোনও ভূপাতিত করা হয়। শুধু ড্রোন হামলাই নয়, গত মে মাসেই রুশ সীমান্ত এলাকা বেলগোরদ অঞ্চলে ঢুকে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। হামলার পর পরই মস্কো বেলগোরদ অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাতে শুরু করে। তাৎক্ষণিক রাশিয়া দাবি করে, তারা হামলা চালিয়ে ৭০ ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করেছে। তবে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইউক্রেন।  
৩০ জুলাই, ২০২৩
X