

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের জেরে জনরোষের মুখে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে আরব দেশগুলো। এই যুদ্ধ শুরুর পরপরই এক সময় তেলআবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়নে জড়িয়েছে। এবার এই তালিকায় নাম লেখাল বাহরাইন। খবর আলজাজিরার।
অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে বাহরাইন। বিষয়টি বাহরাইন সরকার নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাহরাইনের সংসদের নিম্নকক্ষ জানায়, তাদের দেশ ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে এবং মানামায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত কিছুক্ষণ আগেই বাহরাইন ত্যাগ করেছেন। সংসদের এমন বিবৃতির পরপরই সরকারের তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানায় বাহরাইন সংসদের একটি কমিটি। যদিও পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের কোনো ক্ষমতা নেই এই কমিটির। তবে এমন দাবি অস্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, বাহরাইনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় জর্ডান। একই সঙ্গে আম্মানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে আর জর্ডানে না ফেরার নির্দেশ দেয় দেশটি।
মিসরের পর দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র জর্ডান।
এর আগে গত শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মানবিক কারণে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২২টি আরব দেশের পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল জর্ডান। পরে সেই প্রস্তাব ১২০-১৪ ভোট পেয়ে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাস হয়।
মন্তব্য করুন