তেহরানসহ সব বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইরান। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরবেলা ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় দেশটির সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্ফাহান শহরে। এরপরই ইরানের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ বিমানবন্দরে ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়, তেহরানের প্রধান অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর মেহরাবাদে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এর খবরেও বলা হয়েছে, তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে।
ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনেই সিরিয়ায় সামরিক অবকাঠামোগুলো এবং ইরাকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
বিবিসি বলছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দুই মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়, ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইরানের সেই হামলার জবাব দেওয়ার ঘোষণা ইসরায়েল আগেই দিয়েছিল এবং এরপর থেকে ইরান সর্বোচ্চ সতর্কতায় ছিল।
ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইস্ফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।
ইস্ফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমানঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের।
মন্তব্য করুন