আরেক জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করে ফিলিস্তিনিদের সতর্কবার্তা
আরেক জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দলটি ভিডিও প্রকাশের সঙ্গে ইসরায়েলের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে। শনিবার (১১ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড প্রকাশিত ভিডিওটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১১ সেকেন্ড। ভিডিওবার্তা দেওয়া ওই জিম্মির চোখে কালো দাগ দেখা গেছে। ভিডিওবার্তা রেকর্ড করার সময় ওই জিম্মি জীবিত ছিলেন।  সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ভিডিওবার্তা দেওয়া ওই জিম্মির নাম নাদাভ পোপেলওয়েল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি নিরুম থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।  ভিডিওবার্তায় আরবি ও হিব্রু ভাষায় একটি সতর্কবার্তা দিয়েছে হামাস। এতে বলা হয়েছে, সময় ফুরিয়ে আসছে। তোমাদের সরকার মিথ্যা বলছে। হামাসের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ওই জিম্মি মারা গেছেন। এক মাস আগে তিনি ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হয়েছিলেন বলেও জানায় তারা।  এর আগে গত ২৭ এপ্রিল হামাস একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করে। এতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলা শুরু পর আটক দুই ইসরায়েলি জিম্মিকে দেখা যায়। হামাসের প্রকাশিত ভিডিওর সঙ্গে আগের প্রকাশ করা জিম্মিদের ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইসরায়েলি এটিকে মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানায়। ভিডিও প্রকাশ করা দুই জিম্মি হলেন কেইথ সিজেল এবং ওমরি মিরান। তারা দুজনেই ক্যামেরার সামনে আলাদাভাবে কথা বলেন। এ ছাড়া তারা পরিবারের প্রতি ভালোবাসা জানান এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। রয়টার্স জানায়, মিরান নামের ওই ব্যক্তিকে নাহাল ওজ থেকে জিম্মি করা হয়। ওই সময় এলাকাটিতে হামাসের অভিযান চলছিল। তখন নিজ স্ত্রী ও দুই কন্যার সামনে থেকে তাকে জিম্মি করা হয়। অন্যদিকে সিজেল দ্বৈত মার্কিন নাগরিক। তাকে স্ত্রীসহ ইসরায়েলের একটি সীমান্ত শহর থেকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে অবশ্য নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির সময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। হামাস ভিডিওটি এমন সময়ে প্রকাশ করছে যখন ইহুদিগোষ্ঠী ছুটির দিন উদযাপন করছিল। এ দিনটি ইহুদিরা বাইবেল অনুসারে মিসরে দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য উদযাপন করে থাকে। ভিডিওতে একপর্যায়ে সিজেল কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি গত বছর পরিবারের সঙ্গে ছুটির দিনটি উদযাপনের স্মৃতিচারণ করেন। এ ছাড়া পুনরায় পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।  
১১ মে, ২০২৪

লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ
লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে ওই দিন সকালে হামলা করা হয়। ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ নিউজ চ্যানেলের বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে ভিডিওটি সম্প্রচার করা হয়েছে। জানা গেছে, চলমান ইসরায়েলবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজ সাইক্লেডস এবং দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়েছে ইরানপন্থি গোষ্ঠীটি।  ভিডিওটি জাহাজ সাইক্লেডসের। তাতে দেখা যায়, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ছোড়া হয়। সেটি রিমোট সেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। ড্রোনটি লোহিত সাগরে চলমান একটি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে। এরপর টার্গেট নিশ্চিত করে হামলা করা হয়। ওই জাহাজটিকে সাইক্লেডস জাহাজ বলে দাবি করেছে হুতিরা। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। এ ছাড়া ভারত মহাসাগরে ড্রোন ব্যবহার করে একই কায়দায় এমএসসি ওরিয়ন কন্টেইনার জাহাজে হামলা করেছেন তারা। পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজটি পর্তুগালের সায়েন্স থেকে ওমানের সালালাহ বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজটির নিবন্ধিত মালিক হলো জোডিয়াক মেরিটাইম। এই জাহাজ কোম্পানিতে ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ইয়াল ওফারের মালিকানা রয়েছে। হুতিদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, লোহিত সাগরে শত্রুদের জাহাজে সফল অভিযান করেছি। হামলায় ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি জাহাজ অধিকৃত ফিলিস্তিনের এইলাত বন্দরে যাচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের সমর্থনে এবং ইয়েমেনের নিজস্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হুতিরা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা করে আসছে।
০১ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনে জিম্মি দুই ইসরায়েলির ভিডিও প্রকাশ
ফিলিস্তিনে এখনো অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি অভিযান। ইসরায়েলির এ অভিযানের মধ্যে দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার হামাস একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলা শুরু পর আটক দুই ইসরায়েলি জিম্মিকে দেখা গেছে।  হামাসের প্রকাশিত ভিডিওটির সঙ্গে আগের প্রকাশ করা জিম্মিদের ভিডিওর মিল রয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি এটিকে মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে  উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে।  ভিডিও প্রকাশ করা দুই জিম্মি হলেন কেইথ সিজেল এবং ওমরি মিরান। তারা দুজনেই ক্যামেরার সামনে আলাদাভাবে কথা বলেন। এ ছাড়া তারা পরিবারের প্রতি ভালোবাসা জানান এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। রয়টার্স জানিয়েছে, মিরান নামের ওই ব্যক্তিকে নাহাল ওজ থেকে জিম্মি করা হয়। ওই সময় এলাকাটিতে হামাসের অভিযান চলছিল। তখন নিজ স্ত্রী ও দুই কন্যার সামনে থেকে তাকে জিম্মি করা হয়।  অন্যদিকে সিজেল দ্বৈত মার্কিন নাগরিক। তাকে স্ত্রীসহ ইসরায়েলের একটি সীমান্ত শহর থেকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে অবশ্য নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির সময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।  হামাস ভিডিওটি এমন সময়ে প্রকাশ করছে যখন ইহুদীগোষ্ঠী ছুটির দিন উদযাপন করছিল। এ দিনটি ইহুদিরা বাইবেল অনুসারে মিসরে দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য উদযাপন করে থাকে।  ভিডিওতে একপর্যায়ে সিজেল কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি গত বছর পরিবারের সঙ্গে ছুটির দিনটি উদযাপনের স্মৃতিচারণ করেন। এ ছাড়া পুনরায় পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

গাজায় জিম্মি ইসরায়েলির ভিডিও প্রকাশ
জিম্মি থাকা এক ইসরায়েলির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। বুধবার ভিডিওটি প্রকাশ হয়। তবে সোমবারই যুক্তরাষ্ট্র ভিডিওটি পেয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে। গাজার রাফা শহরে হামলার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চূড়ান্ত প্রস্তুতির খবরের মধ্যে ভিডিওটি প্রকাশ হলো। বৃহস্পতিবার সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিন নামের ওই তরুণ ইসরায়েলি-আমেরিকান। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সে সময় গোল্ডবার্গ-পোলিনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।    ওই দিনের একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখা গেছে। তখন তিনি গুরুতর আহত ছিলেন। অনেকে ধারণা করছিলেন, পোলিন মারা গেছেন। কিন্তু তার বেঁচে থাকার প্রমাণস্বরূপ ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে চেয়ারে বসা পোলিনকে খুবেই বিমর্ষ দেখা গেছে। তার এক হাত কনুই থেকে নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন ছিল।  জানা গেছে, ২৩ বছর বয়সী গোল্ডবার্গ-পোলিনকে নোভা সংগীত উৎসবে ছিলেন। সেখানে হামলা করে হামাস যোদ্ধারা। এ সময় একটি বাংকারে আশ্রয় নেন তিনি। ওই বাংকার থেকে গ্রেনেড বাইরে ছুড়ে ফেলতে সাহায্য করেছিলেন গোল্ডবার্গ-পোলিন। তাতে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে তিনি মারাত্মক আহত হন। প্রকাশিত ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিন নিজের পরিচয়, জন্মতারিখ ও মা–বাবার নাম বলেন। তিনি বলেন, প্রায় ২০০ দিন ধরে জিম্মি আছেন। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেন। পোলিনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করতে শোনা গেছে। যেমনটি এর আগে প্রকাশিত জিম্মি ইসরায়েলের নাগরিকদের ভিডিওতে দেখা গেছে। তবে ভিডিওটি অসংখ্যবার কাট করা হয়েছে। বারবার ফুটেজ জোড়া দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝা যায়, হামাস পোলিনকে এসব বলতে বাধ্য করে থাকতে পারে। এ ছাড়া পোলিন পরিবারকে ভালোবাসার কথা জানান। তিনি পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরতে বলেন। ভিডিওয়ের পুরোটা সময় পোলিনের চোখেমুখে ছিল আতঙ্ক। কান্নার ভাব ছিল চেহারাজুড়ে।  গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করে ১ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা করে। তাদের এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমায় হাজারো বেসামরিক নাগরিক আহত হন। এ সময় দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় তারা। এরপরই গাজায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিধ্বস্ত গাজার ভিডিও প্রকাশ করল জাতিসংঘ
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ভিডিও প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলে প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে হামলা চালিয়ে আসছে। আর তাতে ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউর প্রকাশিত ভিডিওতে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে।      ইউএনআরডব্লিউ জানিয়েছে, গাজার ৭০ শতাংশ বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংস্থাটি এ ভিডিও প্রকাশ করেছে।  এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বলা হয়েছে, কোথাও নিরাপদ নয়।  Shocking footage shows unimaginable destruction in#Gaza city, including our health centre. +70% of civilian infrastructure- including homes, hospitals & schools- have been destroyed or severely damaged. 84% of health facilities have been affected by attacks. Nowhere is safe. pic.twitter.com/9yRjJGvSMA — UNRWA (@UNRWA) February 15, 2024 এদিকে ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলছে, হামলা বন্ধ না হলে সেখানে গুরুতর মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।  চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এমন কর্মের বিরোধিতা ও নিন্দা জানায় চীন। এ জন্য রাফা শহরে ইসরায়েলকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানায় বেইজিং। পাশাপাশি সেখানে নিরীহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এবং গুরুতর মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে ইসরায়েলকে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের নাড়ে ২৮ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখন কেবল বসতিতে ছেয়ে গেছে উপত্যাকা। এ ছাড়া ইসরায়েলের বর্বরতায় গাজায় ব্যাপক মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চারদিকে খাবার পানীয়ের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ লোক নিহত হয়েছেন। 
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘মুজিব’ সিনেমায় নিজের মেহেনতের ভিডিও প্রকাশ করলেন শুভ
দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর সিনেমা ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’। ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত এই ছবিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা আরিফিন শুভ। চরিত্রটি সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিন বছর পরিশ্রম করেছেন এই অভিনেতা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ফেসবুকে ১১ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আরিফিন শুভ। তাতে ‘মুজিব’ সিনেমায় তার পরিশ্রমের ‘সামান্য কিছু অংশ’ দেখা গেছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “৫৫ বছরের গল্প যেমন একটা তিন ঘণ্টায় সিনেমায় দেখানো অসম্ভব, তেমনি একটা কাজের জন্য ৩ বছরের যে মেহনত, সেটা ছোট একটা ভিডিওতে ব্যক্ত করা যায় না। তবুও ‘মুজিব’ সিনেমায় আমার চেষ্টার সামান্য কিছু অংশ…”। ভিডিও থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর চরিত্র ধারণের জন্য শুটের সময় আরিফিন শুভর দাঁতে চার ডেনচার পরানো হয়েছিল। তা ছাড়া প্রায় সাড়ে তিন কেজির নকল পেট পরে অভিনয় করতে হয়েছে। অনশনের দৃশ্য সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে না খেয়ে ছিলেন ২৪ ঘণ্টা না খেয়ে ছিলেন শুভ।  ৮৩ কোটি টাকা বাজেটের এ সিনেমায় অরিফিন শুভ পারিশ্রমিক নিয়েছেন এক টাকা। যদিও তাকে বলা হয়েছিল—যত চাইবেন ততই দেওয়া হবে। এমনকি মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিকের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল শুভকে। সেই প্রস্তাব উপেক্ষা করে তিনি নিয়েছেন এক টাকা। কারণ হিসেবে অভিনেতা শুভ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ১১ বছর ৪ মাস ২২ দিন কারাগারে কাটিয়েছেন। এই মানুষটার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য স্যাক্রিফাইস। বঙ্গবন্ধুর সাহস ও স্যাক্রিফাইসের কাছে আমার এ স্যাক্রিফাইস কিছুই না। মনে হয়েছে, এই সামান্য স্যাক্রিফাইসের মাধ্যমে তার চরিত্রের গভীরতা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারব’।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩

পিসিবির পিছুটান ইমরানকে যুক্ত করে নতুন ভিডিও প্রকাশ
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ছিল ১৪ আগস্ট। সেদিন ক্রিকেটের বড় অর্জন নিয়ে পিসিবি একটি ভিডিও বানায়। সেই ভিডিওতে ছিল না সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানের ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার দৃশ্যটি। এর পরই দেশের সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রতিবাদের মুখে স্বাধীনতা দিবসের ভিডিওতে পরিবর্তন এনে নতুন ভিডিওতে ঠাঁই পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। বুধবার রাতে নিজেদের অফিসিয়াল টুইটারে প্রায় ১৩ মিনিটের নতুন ভিডিও আপলোড করে পিসিবি। সেখানে ইমরান খানের নেতৃত্বে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খানের নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। অথচ পাকিস্তানের সেই জাতীয় বীরকে বাদ দিয়ে আগের ভিডিও তৈরি করেছিল পিসিবি। পিসিবির বানানো ভিডিওতে ইমরান খান কেন ছিল না, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক কারণেই দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে বাদ দিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যেজন্য দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পিসিবিকে। টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। তিনি লিখেছিলেন, ‘বিমানে লম্বা সফর এবং ট্রানজিটে দীর্ঘক্ষণ কাটিয়ে শ্রীলঙ্কায় ঢোকার পর জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাতটা পেলাম পিসিবির ভিডিও দেখে। পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসের বর্ণনা দেওয়া ভিডিওতে ইমরান খানই নেই! রাজনৈতিক মতভেদ থাকবেই। কিন্তু ইমরান বিশ্বক্রিকেটের একজন মহাতারকা। নিজের সময়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল করে তুলেছিলেন, যা পরের দিকে আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। পিসিবির উচিত অবিলম্বে ভিডিও মুছে ফেলে ক্ষমা চাওয়া।’ পিসিবি বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আগের ভিডিও টুইটার থেকে সরিয়ে ফেলে নতুন ভিডিও আপলোড করেছে। ২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের নতুন ভিডিওতে ১৯৯২ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইমরান খানের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ম্যাচ শেষের উদযাপন ও বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে নেওয়ার মুহূর্ত ভিডিও ক্লিপে যোগ করা হয়েছে। ইমরান খানকে বাদ দিয়ে কেন আগের ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছে পিসিবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পিসিবি পোস্ট করেছে, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে পিসিবি। তারই অংশ হিসেবে ১৪ আগস্ট ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল। ভিডিওটি সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বাদ পড়ে গিয়েছিল। তবে পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে আগের ভুলগুলো সংশোধন করেছে পিসিবি।’ ভিডিওটি শুরু হয় পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহামেদ আলি জিন্নাহর ছবি দিয়ে। এ ছাড়া পাকিস্তানের টেস্ট অভিষেক, টেস্টে ফজল মেহমুদের ১২ উইকেট, হানিফ মোহাম্মদের ৩৩৭ রানের ইনিংস, জহির আব্বাসের ডাবল সেঞ্চুরি, ১৯৮৬-র এশিয়া কাপে জাভেদ মিয়াঁদাদের বিখ্যাত ছক্কাও দেখানো হয়েছে। এদিকে পিসিবির মতো না হলেও অন্যরকম বিড়ম্বনায় পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও দেবব্রত পালের পদত্যাগ নিয়ে সমালোচিত। দুদিন আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ম্যাচ রেফারি ও কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেবব্রত পাল। তিনি বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার এবং ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের (ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাধারণ সম্পাদক। আসলে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে। ১৫ আগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করে ভারত। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেন, সব ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের। আর সেজন্যই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে দেশের জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল পিকচার বদলে তারা দেশের জাতীয় পতাকার ছবি দেয়। আর সেইসঙ্গে প্রোফাইলের গোল্ডেন টিক গায়েব হয়ে যায়। এই ঘটনায় বোর্ড স্তম্ভিত হয়।
১৮ আগস্ট, ২০২৩

‘মাসুদ রানা’র ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ
‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা। দেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের এই সিনেমা ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। হবে না কেন, জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজ মাসুদ রানার ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।  সম্প্রতি এই সিনেমার ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। ভিডিওতে দেখা গেছে, মাসুদ রানার হাতে ফয়সাল পিস্তল তুলে দিচ্ছে। রানা প্রথমে তার প্রিয় পিস্তলটি নিতে চাইলে তাকে বাধা দেয় ফয়সাল। বলে, আমি জানি এটি তোমার প্রিয় পিস্তল। তবে তোমার জন্য আরও আপগ্রেডেড ভার্সনের পিস্তল ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এমআরনাইনটুজিরো’। যেখানে এবিএম সুমনের সঙ্গে বিসিআই টেক এক্সপার্ট ফয়সালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত বলিউড অভিনেতা অমি বৈদ্য। কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট চরিত্র মাসুদ রানা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নির্মাতা আসিফ আকবর ছবিটি নির্মাণ করেছেন। এতে এবিএম সুমনকে দেখা যাবে মাসুদ রানা চরিত্রে। তার সঙ্গে এ দেশ থেকে আরও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন ও টাইগার রবি। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন হলিউডের মাইকেল জেই হোয়াইট, সাক্ষী প্রধান, নিকো ফস্টার, ম্যাট পাসমোর, কেলি গ্রেসন, ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ। ৮৩ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে নির্মিত ‘এমআর-৯’ এর চিত্রনাট্য নির্মাতা আসিফ আকবরের সঙ্গে লিখেছেন আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় একযোগে মুক্তি পাবে ছবিটি।  
১১ আগস্ট, ২০২৩
X