জিম্মি থাকা এক ইসরায়েলির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। বুধবার ভিডিওটি প্রকাশ হয়। তবে সোমবারই যুক্তরাষ্ট্র ভিডিওটি পেয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে।
গাজার রাফা শহরে হামলার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চূড়ান্ত প্রস্তুতির খবরের মধ্যে ভিডিওটি প্রকাশ হলো।
বৃহস্পতিবার সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিন নামের ওই তরুণ ইসরায়েলি-আমেরিকান। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সে সময় গোল্ডবার্গ-পোলিনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
ওই দিনের একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখা গেছে। তখন তিনি গুরুতর আহত ছিলেন। অনেকে ধারণা করছিলেন, পোলিন মারা গেছেন। কিন্তু তার বেঁচে থাকার প্রমাণস্বরূপ ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওতে চেয়ারে বসা পোলিনকে খুবেই বিমর্ষ দেখা গেছে। তার এক হাত কনুই থেকে নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন ছিল।
জানা গেছে, ২৩ বছর বয়সী গোল্ডবার্গ-পোলিনকে নোভা সংগীত উৎসবে ছিলেন। সেখানে হামলা করে হামাস যোদ্ধারা। এ সময় একটি বাংকারে আশ্রয় নেন তিনি। ওই বাংকার থেকে গ্রেনেড বাইরে ছুড়ে ফেলতে সাহায্য করেছিলেন গোল্ডবার্গ-পোলিন। তাতে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে তিনি মারাত্মক আহত হন।
প্রকাশিত ভিডিওতে গোল্ডবার্গ-পোলিন নিজের পরিচয়, জন্মতারিখ ও মা–বাবার নাম বলেন। তিনি বলেন, প্রায় ২০০ দিন ধরে জিম্মি আছেন। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেন।
পোলিনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করতে শোনা গেছে। যেমনটি এর আগে প্রকাশিত জিম্মি ইসরায়েলের নাগরিকদের ভিডিওতে দেখা গেছে। তবে ভিডিওটি অসংখ্যবার কাট করা হয়েছে। বারবার ফুটেজ জোড়া দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝা যায়, হামাস পোলিনকে এসব বলতে বাধ্য করে থাকতে পারে।
এ ছাড়া পোলিন পরিবারকে ভালোবাসার কথা জানান। তিনি পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরতে বলেন। ভিডিওয়ের পুরোটা সময় পোলিনের চোখেমুখে ছিল আতঙ্ক। কান্নার ভাব ছিল চেহারাজুড়ে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করে ১ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা করে। তাদের এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমায় হাজারো বেসামরিক নাগরিক আহত হন। এ সময় দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় তারা। এরপরই গাজায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন