রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প
দেশের উত্তরাঞ্চলে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা কম বা ভূকম্পন মৃদু অনুভূত হওয়ায় এ অঞ্চলে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের বিষয়ে রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক গাওসুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের এখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। দ্বিতীয়ত, রাজশাহীতে ভূমিকম্প পরিমাপের যে যন্ত্রটি রয়েছে, তা নষ্ট।’ কতদিন থেকে নষ্ট, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি বলতে পারব না। কারণ, আমি বাইরের স্টেশনে ছিলাম। সম্প্রতি রাজশাহী অফিসে যোগদান করেছি।’ গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেমের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৭টা ৬ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মৃদু এ ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে। তবে ভূমিকম্পের বিষয়ে রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক গাওসুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের এখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। দ্বিতীয় রাজশাহীতে ভূমিকম্প পরিমাপের যে যন্ত্রটি রয়েছে তা নষ্ট।’  কতদিন থেকে নষ্ট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কত দিন থেকে নষ্ট আমি বলতে পারবো না। কারণ, আমি বাইরের স্টেশনে ছিলাম। সম্প্রতি রাজশাহী অফিসে যোগদান করেছি।’ তবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেমের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে। এই ভূমিকম্প রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ দশমিক ২ মাত্রায় অনুভূত হয়েছে এবং এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ রহিদুল ইসলাম জানান, রাত আটটার পরে মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে  কিনা, এটার মাত্রা কত এ বিষয়ে জানতে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। তবে আমাদের এখানকার সেন্সরে ভূমিকম্প রেকর্ড হয়নি। বিষয়টি ঢাকা অফিস নিশ্চিত করেছেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

তাইওয়ানে এক রাতে ৮০ বার ভূমিকম্প
তাইওয়ানে মাত্র এক রাতে ৮০ বারের বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এসব ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এমনকি দেশটির রাজধানী তাইপেতে পর্যন্ত এসব ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। খবর রয়টার্সের। এবারের ভূমিকম্পগুলো হুয়ালিয়েনের বৃহত্তর গ্রামীণ এলাকায় বেশি অনুভূত হয়েছে। গত ৩ এপ্রিলের ভয়াবহ ভূমিকম্পে এই অঞ্চলটি বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সারা রাতই থেমে থেমে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে রাজধানী তাইপেসহ উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম তাইওয়ানের বিস্তর এলাকা কেঁপে উঠেছে। হুয়ালিয়েনের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এবারের কম্পনে একটি হোটেল এক পাশে হেলে পড়েছে। এই হোটেলটি গত ৩ এপ্রিলের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর থেকে এটি বন্ধই ছিল। তবে এবারের ভূমিকম্পে তাইওয়ানে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখানো পাওয়া যায়নি। দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত তাইওয়ান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। প্রায় নিয়মিত এখানে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে গত ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশকিম ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়। এ ছাড়া শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে। তার আগে সবশেষ ১৯৯৯ সালে সেখানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যান। এ ছাড়া ভূমিকম্পে ৫০ হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

তাইওয়ানে ভয়াবহ ভূমিকম্প : হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে
তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। খবর বিবিসির। তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, সুনামির ভয় কেটে গেছে। তবে হতাহতের চিত্র খারাপের দিকে যাচ্ছে।  আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুতর আহত ৭৩৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডজনের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন। তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধার অভিযান চলছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত আনে। এটি দ্বীপ অঞ্চলটির ২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর ফলে তাইওয়ান ছাড়াও জাপান ও ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, আজকের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি বলে জানানো হয়। তবে তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, এই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার। তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়ি ও স্বল্প জনবসতিপূর্ণ হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে হতাহত বেশি। এ ছাড়া কমপক্ষে ২৬টি ভবন ধসে পড়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিন হুয়ালিয়েনে অবস্থিত। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের এক কর্মকর্তা সু চিং-হুই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, উদ্ধারকারীরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, যখনই আমাদের উদ্ধার চেষ্টা করছে তখন হেলে পড়া ভবন নড়ে উঠছে। তাই লোকজনকে সেখান থেকে বের করে আনার আগে উদ্ধারকারী ও আটকে পড়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপায় খোঁজা হচ্ছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

২৫ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি তাইওয়ান
তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রায় শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটি দ্বীপ অঞ্চলটির ২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।  তোমধ্যে এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাইওয়ান ছাড়াও জাপান ও ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের। বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এ ভূমিকম্প আঘাত আনে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, আজকের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি বলে জানানো হয়। তবে তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, এই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার। তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়ি ও স্বল্প জনবসতিপূর্ণ হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে চারজন মানুষ মারা গেছেন। ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কমপক্ষে ২৬টি ভবন ধসে পড়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিন হুয়ালিয়েনে অবস্থিত। প্রায় ২০ জন মানুষ আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। ৬০ বছর বয়সী তাইপেই হাসপাতালের কর্মী চ্যাং ইউ-লিন বলেন, এটি খুব শক্তিশালী ছিল। মনে হচ্ছিল আমাদের বাড়ি ভেঙে পড়বে। তাইওয়ানের সরকারি কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা বলেছে, আজকের ভূমিকম্পটি এই দ্বীপ অঞ্চলের ২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। তার আগে সবশেষ ১৯৯৯ সালে সেখানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যান। এ ছাড়া ভূমিকম্পে ৫০ হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এদিকে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, তাইওয়ানের ভূমিকম্পের কারণে তাদের ওকিনাওয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ছোট আকারের সুনামি আঘাত হেনেছে। তবে প্রথম দিকে সুনামি সতর্কতা জারি করলেও পরে সেটি কমিয়ে পরামর্শ হিসেবে দেখানো হয়। এ ছাড়া ফিলিপাইনের বেশ কয়েকটি প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে ফিলিপাইন সিসমোলজি এজেন্সি। সেখানের বাসিন্দাদের উঁচু এলাকায় সরে যেতে বলেছে সংস্থাটি। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। অন্যদিকে রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এটি সাংহাইতেও অনুভূত হয়েছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

তাইওয়ানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছ দেশটির পূর্ব উপকূল। ভূমিকম্পের পর তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে দেশটির পূর্ব উপকূলে এ ভূমিকম্প আঘাত আনে।  এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি বলে জানানো হয়। জানা যায়, গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত আনে। তাতে ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যদিও সুনামি সতর্কতা জারি করেছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। এক জরুরি বার্তায় জানানো হয়, ভূমিকম্পের কারণে সুনামি আঘাত হানতে পারে। তাইওয়ানে এর প্রভাব পড়তে পারে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। অন্যদিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপগুলোতেও সুনামি সতর্কতা দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। তাদের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, তাইওয়ানের কাছে মিয়াকোজিমা দ্বীপসহ জাপানের কয়েকটি দ্বীপে শিগগিরই ১০ ফুট উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের পর কোনো ধরনের সুনামি সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। খবর রয়টার্সের। ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক্স এজেন্সি বিকেএমজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্ব জাভা প্রদেশের তুবান থেকে ১৩২ কিলোমিটার উত্তরে। এ দিকে তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ব জাভা, এর রাজধানী সুরাবায়া ও পার্শ্ববর্তী প্রদেশের শহরে এই কম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়। গত বছরের নভেম্বরে দেশটির বান্দা সাগর এলাকায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে পশ্চিম জাভায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৬০২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ২০০৪ সালে সুমাত্রায় ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প এবং তৎপরবর্তী সুনামিতে এই অঞ্চলে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার।
২২ মার্চ, ২০২৪

মধ্যরাতে পাকিস্তানে ভূমিকম্প
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান। দেশটিতে পাঁচ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বুধবার (২০ মার্চ) ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, দেশটিতে মধ্যরাতে দেশটিতে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০৫ কিলোমিটার গভীরে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল পাঁচ দশমিক ৫। এটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০৫ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।  ইসলামাবাদ, লাহোর ও আশপাশের এলাকা এবং খায়বার পাখতুনখাওয়ার অংশবিশেষে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।  এর আগে গত মাসে পাকিস্তানে চার দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এ ছাড়া গত জানুয়ারিতে দেশটিতে ৪ দশমিক তিন মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
২০ মার্চ, ২০২৪

সীমান্তে গোলাগুলি / ‘বিকট বিস্ফোরণে মনে হলো ভূমিকম্প হচ্ছে’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে আবারও শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে বোমা ও গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এত বিকট শব্দ মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনেছেন তারা। বিস্ফোরণে হ্নীলায় যেন কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে, ভূমিকম্প হচ্ছে। শব্দ শুনেই শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন কালো ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন। কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের কয়েক দিন ধরে মর্টার শেলের ভারী আওয়াজে সীমান্ত এলাকায় লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মিয়ানমারে সীমান্তে কালো ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। সেখানকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে নাফ নদের ওপারে একটি বিস্ফোরণ হয়। এত বিকট শব্দ মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনলাম। বিস্ফোরণে হ্নীলায় যেন কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে ভূমিকম্প হয়েছে। শব্দ শুনেই শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। হ্নীলা এলাকার সীমান্তের এ বাসিন্দা আরও জানান, রাখাইন রাজ্যের বলিবাজারের দক্ষিণে ও নাগাকুরা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সারা রাত টানা গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এপারের মানুষ নানাভাবে জানতে পেরেছে– জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে ওই দুই এলাকা আরাকান আর্মি দখলে নিয়ে নিয়েছে। পুনঃদখলের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে। এ কারণে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে শুক্রবার সারা রাত থেমে থেমে চলছিল মর্টার শেল ও গোলাগুলি। সকালেও সেটি থেমে থেমে চলমান ছিল। হ্নীলা চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মায়ানমারে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। বলতে পারছি না কখন শেষ হবে এ সংঘাত। দিন দিন আরও বাড়ছে, এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। মানুষ সব সময় আতঙ্কে রয়েছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক পাচার রোধসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্ত নিরাপদে রাখতে বিজিবি রাত-দিন কাজ করছে।’
০২ মার্চ, ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী, নাটোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান কালবেলাকে বলেন, আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এটি রাত ৮টা ৭ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে সংঘটিত হয়ে রাত ৮টা ৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শেষ হয়। ঢাকা ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ১১১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার আটঘরিয়ায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। যার মাত্রা ৩.৬ রিখটার স্কেল। এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বারুইপাড়ায় উৎপত্তি হওয়া ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X