জয়কে জুতাপেটা করতে চান মিষ্টি জান্নাত
উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে থাপড়াতে চেয়েছিলেন ঢাকাই নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। তবে একদিন যেতে না যেতেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন মিষ্টি। থাপড়ানোর সিদ্ধান্ত বদলে জয়কে এবার জুতাপেটা করতে চেয়েছেন এই নায়িকা। জয়ের কিছু মন্তব্যে মেজাজ হারিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর কালবেলার সঙ্গে কথা হয় তার। তখনই জয়কে জুটাপেটা করার বাসনা প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা। ঘটনার সূত্রপাত ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিয়ের পাত্রী খোঁজাকে কেন্দ্র করে। আগের দুই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে তৃতীয় বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। নায়কের জন্য প্রয়োজন ডাক্তার মেয়ে। অন্যদিকে ঢালিউড নায়িকা মিষ্টি জান্নাতও দাঁতের চিকিৎসক। তাই তাকে ঘিরে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছেন শাকিবিয়ানরা। গুঞ্জন উঠেছে মিষ্টিই নাকি হচ্ছেন ‘মিসেস খান’। গুঞ্জনের সত্য-মিথ্যা জানতে চাইলে মিষ্টি রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। ঝেড়ে কাশেননি এই নায়িকা। তাই মিষ্টিকে টিপ্পনী কেটে বিতর্কিত উপস্থাপক জয় বলেছেন, মিষ্টি জান্নাত নাকি ভাইরাল হতে চাইছেন। এ কারণে শাকিবকে জড়িয়ে এমনভাবে কথা বলেছেন তিনি। জয় আরও বলেছেন, শাকিব খানের সঙ্গে মিষ্টির বিয়ে হলেও, সেই বিয়ে টিকবে না। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে জয় এসব কথা বলার পর, জয়ের কুকীর্তির বিষয়ে হাঁটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। জানিয়েছেন, জয় তাকে লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। এমনকি জয়ের প্রোগ্রামে গেলে তিনি অফস্ক্রিনে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান মিষ্টি। জয়ের সেই কীর্তির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুকে। জয়ের এসব আচরণে বেশ ক্ষুব্ধ মিষ্টি জান্নাত। তাই মেজাজ হারিয়ে জয়কে থাপড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নায়িকা। একদিন না পেরোতেই মিষ্টির মেজাজের পারদ থার্মোমিটার ফেটে উপচে পড়েছে। জয়ের মরার বয়স হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন এই নায়িকা। জয়কে অ্যাটেনশন সিকারও বলেছেন মিষ্টি জান্নাত। এই উপস্থাপককে বয়কট করতে সব শিল্পীদের আহ্বান জানিয়েছেন নায়িকা। এসব ছাড়াও জয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। নায়িকার ভাষ্য, জয় তার মানহানি করেছেন।
১৭ মে, ২০২৪

মিষ্টি জান্নাতকে চুমু খেতে চেয়েছেন জয়, আছে ভিডিও
দেশের বিতর্কিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। নানা সময় অতিথিদের আপত্তিকর প্রশ্নের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। এবার শাকিব-মিষ্টির বিয়ের গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন জয়। মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে জয় বলেছেন, ‘ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।’ এরপরই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন মিষ্টি। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।  মিষ্টি বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন, ‘ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।’ এটা উনি কীভাবে জানল? কীভাবে বলল? এটা আমার প্রশ্ন।’’ এরপর জয় তাকে নিয়মিত কু-প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে মিষ্টি জান্নাত আরও বলেন, ‘সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না। সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।’ মিষ্টি জান্নাত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মিডিয়াতে কাজ করছেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘লাভ স্টেশন’, যেটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়।
১৬ মে, ২০২৪

পাস করা শিক্ষার্থীদের মিষ্টি আনতে বিদ্যালয়ের নোটিশ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সেন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের এক কেজি করে মিষ্টি স্কুলে নিয়ে আসার নোটিশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রোববার (১২ মে) স্কুলের ফেসবুক পেইজে এই নোটিশটি আপলোড করা হয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিস্টার রিক্তা গমেজ আরএনডিএম-এর স্বাক্ষরিত নোটিশ এ লিখা আছে, সেন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা/অভিভাবকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, আগামী ১৩/০৫/২০২৪ খ্রি. সোমবার, এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থী, শিক্ষকমণ্ডলী এবং বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দ করা হবে। কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ১ কেজি করে মিষ্টি নিয়ে সময় ১০.২০ মি. বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এক কেজি মিষ্টি নিয়ে স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই নোটিশটি ফেসবুকে দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা গুরুত্ব দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সোমবার স্কুলের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের আনা মিষ্টি নিয়ে স্কুলের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিষ্টি করিয়েছেন তারা। এ সময় স্কুলে আনন্দ উৎসব করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, আমজাদ হোসেন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আমার প্রশ্ন এ কেমন নোটিশ? আমি এক কেজি মিষ্টি নিয়ে স্কুলে যাব আর অভিভাবককে কেন তিনি নোটিশ করবেন? আমি অভিভাবক যদি মনে করি শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ানো দরকার তাহলে আমি অভিভাবক নিজেই মিষ্টি মুখ করাব। সেটা মিষ্টির জন্য স্কুলে নোটিশ করবে কেন? তিনি অভিভাবককে মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ করতে পারেন কি না? তাও নোটিশের মধ্যে অনুরোধ করেননি তিনি আদেশ করেছেন। যদি ৬৮ জন শিক্ষার্থী থাকে তাহলে ৬৮ কেজি মিষ্টি জমা হবে, এত মিষ্টি দিয়ে কী করবেন? এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিষয়টি নজরে আনার জন্য অনুরোধ করছে। রবি উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, এই প্রথম দেখলাম স্কুলে মিষ্টি আনার নোটিশ। আরও কত কী দেখতে হবে? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার রিক্তা গমেজ আরএনডিএম বলেন, আমাদের স্কুল থেকে ৬৬ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে ৬৩ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে আটজন গোল্ডেন এ প্লাস। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৬ জন। আমরা প্রতিবছরই পাস করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুরো স্কুলে আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। পাস করা শিক্ষার্থীরা তাদের জুনিয়রদের মিষ্টিমুখ করিয়ে যান। এটা আমাদের স্কুলের ট্রেডিশন। গতকাল সবাই আনন্দ নিয়েই মিষ্টি এনেছে। কেউ তো এই বিষয়ে অভিযোগ করেনি। আমরা স্কুলের সবাইকে নিয়ে একটা আনন্দ উৎসব করেছি। মিষ্টি আনার জন্য কাউকে জোড় করা হয়নি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন বলেন, এভাবে নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মিষ্টি নিয়ে আসার নিয়ম নেই। এই বিষয়টা স্কুল কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে দেওয়ায় মানুষ সমালোচনা করছেন। স্কুলে শিক্ষার্থীরা পাস করলে এমনিতেই মিষ্টি নিয়ে যায়। এরকমভাবে ফেসবুকে নোটিশ দিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া স্কুল কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। আমাদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টির ব্যাখা চাওয়ার জন্য বলেছেন। আমি কিছুক্ষণ আগেও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে আজই এই ঘটনার লিখিত ব্যাখ্যা দিবেন।
১৪ মে, ২০২৪

নানা বাড়িতে মিষ্টি দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শিক্ষার্থীর
নানা বাড়িতে এসএসসি পাসের মিষ্টি  দিয়ে আর বাড়িতে ফেরা হলো না জান্নাতুজ্জামান চঞ্চলের (১৬)। ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল তার প্রাণ। সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে গাংনী-কাথুলি সড়কের ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত জান্নাতুজ্জামান চঞ্চল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের মোল্লাপাড়ার প্রবাসী রকিবুজ্জামানের ছেলে। সে সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতের বন্ধু আলিফ জানায়, ‘তারা ইজিবাইকে চড়ে নওপাড়া থেকে গাংনীতে আসছিল। হঠাৎ পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দিলে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে তারা। মুমূর্ষু অব্স্থায় চঞ্চলকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ নিহতের বাবা রাকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমার ছেলে এসএসসির ফলাফল পেয়েছে। তার ফলাফল ছিল জিপিএ-৪.৩৩। পাসের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সে নানিবাড়ি ধলা গ্রামে মিষ্টি দিতে গিয়েছিল।’ গাংনী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমাইয়া আক্তার কালবেলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই চঞ্চল মারা গেছে। মাথায় আঘাত এবং প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃতু হয়।’ গাংনী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যায়। তবে বর্তমানে ট্রাক ও তার চালককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারিকে ‘অবাঞ্ছিত’ করে মিষ্টি বিতরণ
চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষের চার দিন পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ এবং একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। পরে তাদের দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে কলেজ ছাত্র সংসদ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাহমুদুল করিম ও সুভাষ মল্লিক সবুজের দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতারা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতারা সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে খাম বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের চাঁদা দিতে বাধ্য করা, কলেজের উন্নয়নমূলক কাজে চাঁদাবাজি, কলেজের প্রধান সহকারীসহ কর্মচারীদের ওপর নির্যাতন, শিক্ষক বদলিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ধরে। এর আগে গত ৯ মে নতুন ভর্তিতে খাম বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সংঘর্ষের পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছেন। সমাবেশে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই তারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মহানায়ক বনে যান। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম কলেজ  একাত্মতা পোষণ করেছে দাবি করে কলেজ ছাত্রলীগের আরেক সহসভাপতি জেড মনির। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে মাহমুদ-সবুজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মির মাধ্যমে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটায়। এদের ভয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের অত্যাচারে মুখ খোলেনি। কলেজের বিভিন্ন বিভাগে খাম বাণিজ্য করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের মনির উদ্দিন, সহসভাপতি জাহিদ হাসান সাইমুন, রাকিবুল ইসলাম সাইক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন রিহান, মহিউদ্দিন বাপ্পি, মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান সুজন, অর্ণব দেব, দপ্তর সম্পাদক জামশেদ উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক কাজী আব্দুল মালেক রুমি, উপ সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক কায়েস মাহমুদ, সহসম্পাদক মোস্তফা আসিফ, সাইফুর রহমান হানিফ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আমান, উপপ্রচার সম্পাদক মো. ফোরকান, উপমানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক রুবেল হোসেন মুন্না, ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছির আরাফাত রিকু, উপসাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক ইমাম হোসেন ও গিয়াসউদ্দিন সাজিদসহ কলেজ ছাত্রলীগের সব সহসম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মে, ২০২৪

তিস্তার চরের মিষ্টি কুমড়ায় কৃষকের মুখে হাসি
লালমনিরহাট কালীগঞ্জের তিস্তা নদীর বালুচরে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চরের মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ বেশি হওয়ায় সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ চরের মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করা হয়। চরের কয়েকজন কৃষক জানান, খেতেই কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। প্রতিটি কুমড়া ওজন ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। চরের কুমড়ার চাহিদা ভালো। এ বছর কুমড়ার ফলন হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয় তিস্তা নদী। তিস্তার বালুচরে ফসল ফলানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে বালুচরে কুমড়া চাষ করছেন চাষিরা। চরাঞ্চলের বালুতে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদে খরচ কম এবং ফলন বেশি হওয়ায় এ ফসলে বেশি আগ্রহী ওঠেন চাষিরা। লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে অনেক চর। এ বছর চরে ১০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ হয়েছে। তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়া ভালো ফলনে চরবাসীর মুখে ফুটেছে হাসি। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১০০ প্রান্তিক চাষি নিয়ে ১০৫ হেক্টর বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া রোপণ করে তা এপ্রিলের শেষে ক্ষেত থেকে তোলা শুরু হয়েছে। চাষিরা তাদের পাকা মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত তুলে বিক্রির জন্য নদী পাড়ে স্তূপ করে রাখছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা সারা দেশ থেকে এসে কুমড়া কিনে নিয়ে যান এখান থেকে।  কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় কালবেলাকে বলেন, তিস্তার বালুর চরে মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও খুশি। দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন। চাষের উপকরণ সহায়তা প্রদান শীর্ষক উপপ্রকল্পের আওতায় ১০০ জন চাষি ১০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করেছে। তাদের বীজ, রাসায়নিক সার প্রদানসহ পোকামাকড় দমনে নানা উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারে মিরপুরে মিষ্টি বিতরণ 
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করায় মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার (৪ মে) বিকেল ৫টায় মিল্টনের আশ্রমের সামনে থেকে এলাকাবাসীর ব্যানারে একটি মিছিল নিয়ে নতুন বাজার চার রাস্তায় গিয়ে মানববন্ধন করে মিষ্টি বিতরণ করেন তারা। এ সময় মিল্টনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। এর আগে গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
০৪ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার : আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করায় তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বুধবার (১ মে) রাতে সংগঠনটির মহানগর উত্তর শাখার নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন। এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে। তার আগে গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। যেখানে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেছেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দেন, করেন সেবা-শুশ্রূষা। জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও। তবে ভালো কাজ যতটুকু করেছেন, প্রচার করেছেন তার চেয়েও কয়েক গুণ। মানুষের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রির মতো ভয়ংকর অপকর্মের পাশাপাশি রয়েছে বহু অভিযোগ।   অনুসন্ধানে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-    মিল্টন সমাদ্দারের দাবি, আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হয় না। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার আশ্রমে চিকিৎসার খরচ বাবদ প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়; যা অস্বাভাবিক। আবার আশ্রমে চিকিৎসা না দেওয়ার দাবি করলেও তিনি ডাক্তারদের জন্য ৬০ লাখ টাকার বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন বলেও অভিযোগ আছে।  আশ্রমের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে দাবি করেন মিল্টন। এসব মরদেহ রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ও আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে দাবি তার। তবে কালবেলার অনুসন্ধানে উঠে আসে মিল্টনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সব মিলিয়ে ৫০টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ছাড়া রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১৫টির মতো মরদেহ দাফনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আজিমপুর কবরস্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহের দাফন হয়নি। তবে মিল্টন সমাদ্দারের দাবি অনুযায়ী ৯০০ মরদেহ দাফন করা হলে বাকি ৮৩৫টি মরদেহ কোথায় দাফন করা হয়েছে, তার কোনো সুদুত্তর পাওয়া যায়নি। এসব মরদেহ আবার বেশিরভাগ সময় রাতে দাফন করা হয়েছে না রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তাছাড়া দাফন করা মৃতদেহের পেটে আবার কাঁটাছেঁড়ার দাগ থাকার অভিযোগও রয়েছে।  আশ্রমে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ডেথ সার্টিফিকেট মিল্টন নিজেই তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। ডাক্তারের সীল-সাক্ষর জাল করে এসব করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। আবার মৃতদেহের শরীরে কাঁটাছেঁড়ার দাগ থাকার বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুললে বিনামূল্যে সেখানে গোসল (মৃতদের) করানো বাদ দেন মিল্টন। পরে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে খরচ করে আশ্রমের মধ্যে মৃতদেহ গোসল করানো হতো বলে জানা গেছে।  মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে এক বৃদ্ধকে রেখে আসেন মিরপুরের দারুস সালাম থানার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি রনি মল্লিক। তবে সেই বৃদ্ধের ভাগ্যে কী ঘটেছিল সেই উত্তর পাননি রনি মল্লিক। রনির অভিযোগ, বৃদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টো আমাকে নির্যাতন করা হয়। তার ধারণা বৃদ্ধকে হয়তো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মিল্টন সমাদ্দার হোমকেয়ার নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করে ৬৬ লাখ টাকা বৃদ্ধাশ্রমে দান করেছেন বলে সাক্ষাতকার দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তার হোমকেয়ারের কোনো সার্ভিস নেই। শুধু লাইসেন্স আছে। এছাড়া তিনি সব সময় দুটি আশ্রমের কথা বলে এসেছেন। তবে একটি আশ্রমের তথ্য সব সময় গোপন রেখে এসেছেন অভিযোগ আছে।    এছাড়া আশ্রমে চর্টার সেল বানিয়ে মানুষকে নির্যাতন, বরিশালে চার্চ দখল করতে মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া চিঠি তৈরি, চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, শিশু পাচার বা বিক্রি, সাঈদী, মামুনুল হকের মতো লোকদের মুক্তির মিথ্যা প্রচারণা ইত্যাদি নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০২ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার, বরিশালে মিষ্টি বিতরণ
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করায় তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে মিষ্টি বিতরণ করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (১ মে) রাতে তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র মিষ্টি বিতরণ করেছেন তারা। এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে। তার আগে গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণা আর অপকর্মের তথ্য। চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চের যাজক ফিলিপ বিশ্বাস বলেন, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আমরা এজন্য মিডিয়া ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। চার্চের পক্ষ থেকে আমরা মিল্টন সমাদ্দারের বিচার চাই। আমরা দীর্ঘদিন তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন হাওলাদার বলেন, মানবতার ফেরিওয়ালার আড়ালে মিল্টন সমাদ্দার যেসব অপকর্ম করেছে তার সঠিক বিচার চাই। সে আমাদের এলাকার কলঙ্ক। আমরা এলাকাবাসী তার আটকের খবর শুনে খুশি হয়েছি। পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট ন্যায়বিচার দাবি করছি। বৈরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা পলাশ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিলাম। বিশেষ করে তার অন্যায় কাজের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করত মিল্টন সমাদ্দার। তার আটক হওয়ার খবর শুনে আমরা এলাকাবাসী আনন্দিত হয়েছি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ইতোমধ্যে এই সংবাদ পেয়ে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছে।
০১ মে, ২০২৪

মিষ্টি খেতে বছরজুড়ে থাকে ভিড়
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বাজারে উৎসব ছাড়াই আউয়ালের মিষ্টি খেতে সারা বছর ভিড় লেগে থাকে দোকানে। ১৯৫২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত এই দোকানে দিন দিনই বাড়ছে তাদের তৈরিকৃত মুখরোচক মিষ্টির চাহিদা। আর এখানের তৈরিকৃত মিষ্টি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে বলে আউয়াল সুইটস দোকানটিকে বলা হয় ফরিদগঞ্জের আভিজাত্যের প্রতীক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হাজি আউয়ালের মিষ্টির দোকানে গেলে এসব তথ্য জানা যায়। আউয়াল সুইটসের কারিগর মো. নেয়ামত বলেন, ১৯৯১ সালে আমি এখানে মিষ্টি তৈরির কারিগর হিসেবে যোগ দিয়েছি। এখানকার নামকরা স্পন্সের রসগোল্লাগুলো তৈরির প্রথম ধাপে দুধকে জাল দিয়ে ছানা তৈরি করা হয়। এরপর দুধ আগুনের জ্বালে কড়াইয়ে উতরানোর পর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে জাল দিয়ে ছানা কাটা হয়। তারপর ছানাগুলোর পানি ছাড়িয়ে এরসঙ্গে ময়দা ও চিনি মিশিয়ে দিয়ে রসগোল্লা তৈরি করা হয়। হাজি আউয়াল সুইটসের পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন, পারিবারিকভাবে কথিত রয়েছে এই দোকানের প্রতিষ্ঠাতা হাজি আব্দুল আউয়াল। আমার আব্বা যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন, তখন থেকেই তিনি এখানে ছোট পরিসরে মিষ্টি বেচাবিক্রি শুরু করেন। এরপর কালের পরিক্রমায় তার তৈরিকৃত স্পঞ্জের রসগোল্লা দিনদিন সবার মুখে মুখে আউয়ালের মিষ্টি নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে দোকানটিতে স্পন্সের রসগোল্লা ছাড়াও শুকনা মিষ্টি, কালোজাম, মালাইকারী, দধি, রসমলাই ও ছানা তৈরি হয়। এর মধ্যে রস মিষ্টি ৩৬০ টাকা, শুকনা মিষ্টি ৩২০ টাকা, দই ১ বাটি ২৬০ টাকা, মালাইকারি ১ বাটি ৪৭০ টাকা, রসমালাই ১ বাটি ৪২০ টাকা, ছানা ১ কেজি ৬শ টাকা, টফি ১ কেজি ৫৪০ টাকা এবং আঙ্গুরি ১ কেজি ৫২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, উৎসব পার্বনতো রয়েছেই। রাজনৈতিক চর্চা কিংবা ঘোরাঘুরি ফরিদগঞ্জের সব কিছুতেই মিষ্টির প্রয়োজন পড়া মানেই প্রথম পছন্দে থাকে আউয়ালের মিষ্টি। আর বর্তমান বাজার দর হিসেবে দামও সহনশীল থাকায় আমরা এখানকার মিষ্টিই দেশ-বিদেশে পাঠাচ্ছি। এ বিষয়ে হাজি আউয়াল সুইটসের প্রধান পরিচালক আব্দুল আখের বলেন, এখানে দিনে মিষ্টির চাহিদা মেটাতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ দুধ লাগে। কখনো কখনো অর্ডার থাকলে বা বিশেষ দিনে চাহিদা থাকলে আরও ২০-২৫ মণ বেশি দুধ সংগ্রহ করতে হয়। আর এত এত দুধের জোগান দিতে নিজেদের খামারের পাশাপাশি ২০-২৫ জন খামারি এবং ৮-১০ জন গোয়ালা নিয়মিতই এখানে দুধ দেয়। পুরো দোকান ও কারখানায় ৩০ এর অধিক লোক কাজ করছে। আমার আব্বা হাজি আব্দুল আউয়াল বয়সের ভারে নুয়িয়ে পড়ায় আমরা তার ৭ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে ২-৩ জন ছেলে নিয়মিতই সময় দিয়ে এখানে দোকান ও কারখানা পরিচালনা করছি। স্বাভাবিকভাবে এখানে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা এবং ঈদ পূজো পার্বনে ১০-১২ লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
X