মোবাইল গ্রাহকের স্বার্থে বাজারে প্রতিযোগিতা আইন জরুরি
মোবাইল গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিযোগিতা আইন ও এসএমপি প্রবিধানমালার যথাযথ প্রয়োগের তাগিদ দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন তাগিদ দেন বক্তারা।  সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা, মুঠোফোন গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, মার্কেটে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির জন্য কমিশন কাজ করবে। গ্রাহকদের অভিযোগ ও করণীয়বিষয়ক সুপারিশ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করার জন্য মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে আমরা গণশুনানি অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছি। যা হবে ৮টি বিভাগে। এছাড়াও অনলাইনে শুনানি অনুষ্ঠিত করা হবে।  সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক সময় সিটিসেল বাজারে মনোপলি করত। এরপর গ্রামীণ টেলিকম ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয়কলে ১০ টাকা করে চার্জ নিত। আবারও সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একটি অপারেটর ৫২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ৩.৫ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এই বৈষম্যের কারণেই নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ বা দেশি বিনিয়োগ আসতে চাচ্ছে না টেলিকম খাতে।  এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্স সেন্টার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সাবেক সচিব) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, গ্রামীণফোন লি: এর সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত, রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. ফজলে হুদা, বাংলালিংক লি: এর চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান, ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ রেগুলেটরি অফিসার আব্বাস ফারুক। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাছের।
১১ মার্চ, ২০২৪

বিটিআরসিকে কঠোর হওয়ার আহ্বান মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আদায়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।  রেভিনিউ শেয়ারিং, এস ও ফান্ডের টাকা, বিলম্ব ফি, লাইসেন্স ফিসহ কয়েক হাজার কোটি টাকা আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইএসপি অপারেটর, আইসি এক্স, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক, বিটিসিএলসহ বেসরকারি খাতের মোবাইল অপারেটর ও অন্যান্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে। এ সকল বকেয়া আদায়ে বিটিআরসিকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।  তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি যে, বিটিআরসি বিশেষ করে আইআইজি এবং আইজিডব্লিউ অপারেটরদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে নমনীয় আচরণ করতে যাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রক কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাতে পারছি না। কারণ তাদের (বিটিআরসি) যদিও ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কিন্তু গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি দেশের ৩৪টি লাইসেন্সধারী আইআইজির কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা আদায় করতে, বিশেষ করে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৮০ কোটি টাকা পাওনা উদ্ধার করতে প্রায় ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ে। যে ভোগান্তির ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তাদের বকেয়ার কারণে দেশের জনগণের ভোগান্তি এবং বিভিন্ন জরুরি গুরুত্বপূর্ণ সেবায় বিঘ্ন ঘটার ফলে তাদের যেখানে শাস্তির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ কমিশনের, সেখানে লক্ষ্য করছি নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি উল্টো পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে নমনীয় হচ্ছে। কমিশনকে বকেয়া আদায় কঠোর হবার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রাহকদের ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার গাজায় মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি টেলিকম প্রতিষ্ঠান। খবর আনাদোলুর। ফিলিস্তিনি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের সঙ্গে সংযুক্ত লাইন ও টাওয়ার তীব্র ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে গাজায় ল্যান্ডলাইন, বেতার ও ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। পশ্চিম তীরের মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ওরেদু প্যালেস্টাইন পৃথক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফিলিস্তিনের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র আনাদোলুকে বলেছে, গাজা উপত্যকা থেকে হঠাৎ করে পরিসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এর কারণ এখনো জানা যায়নি। এদিকে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, গাজার পরিচালনা কক্ষ এবং সেখানে কর্মরত কর্মীদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারছে না। এ কারণে আহতদের দৌড়গড়ায় অ্যাম্বুলেন্সে সেবা পৌঁছানো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলে বিটিআরসির দেওয়া বক্তব্য সাংঘর্ষিক
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তিনদিনের বা স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের ঘোষণা এবং জরিপ প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।  আজ রোববার বিটিআরসির তিনদিনের প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়া জানায় অ্যাসোসিয়েশন।  এতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ গ্রাহকের তথ্য এবং  তাদের বক্তব্য অনুযায়ী। ১৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৬০০ গ্রাহকের চাহিদা তিনদিনের ইন্টারনেট না থাকা। কিন্তু এই সকল গ্রাহকের আচরণ কী, তারা কী ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নাই। আবার ওনারাই বলছেন ৬৯ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হচ্ছে তিনদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারকারী। আবার তারা বলছে তিনদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করার ফলে গ্রাহকরা প্রতারিত হয়েছেন অপারেটরদের অনৈতিক কার্যক্রমের কারণে।  মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন অপারেটররা যদি অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করল না কেন? আবার অনৈতিক অর্থের লভ্যাংশ বিটিআরসি গ্রহণ করল কেন? সর্বশেষ ক্ষুদ্র প্যাকেজের মূল্য কী হবে তার ঘোষণা নয় কেন? প্যাকেজের গায়ে মেয়াদ থাকবে কেন? বা মেয়াদ তুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো না কেন? বিটিআরসির তথ্য উপস্থাপন এবং বক্তব্য ক্ষুদ্র প্যাকেজ তুলে দেওয়ার সঙ্গে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক। আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। 
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিরাপদ ইন্টারনেট ও সাইবার সচেতনতায় প্রচারণা
নিরাপদ ইন্টারনেট এবং সাইবার নিরাপত্তায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর শ্যামপুর আদর্শ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মাধ্যমিক এবং অভিভাবকদের মাঝে এই প্রচারণা চালানো হয়। এসময় তাদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট ও সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে লিফলেট প্রদান এবং মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি এবং আমরা প্রযুক্তি দ্বারা বেষ্টিত। এক্ষেত্রে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রলোভনে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আজকাল খাবার অর্ডার করা হোক বা জামা কাপড় কেনা, সবকিছু মাত্র এক ক্লিক এর কাজ। প্রয়োজনীয় বিষয়ের বাইরে যেমন অপ্রয়োজনীয় ফেসবুকিং, ব্রাউজিং, গেমিং, গ্যাম্বলিং এমনকি পর্নোগ্রাফি দেখাতে ইন্টারনেটের ব্যবহারকে অপব্যবহার বলা হয়। অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কাজ করা হয় যা ব্যক্তির মন ও শরীর নিতে পারেনা সেটাকেই অপব্যবহার বলা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপের বিপদ সম্পর্কে অভিভাবক ও কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণীদের সচেতন করে তুলতে হবে। আসুন আমরা নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং সাইবার জগত সম্পর্কে সচেতন হই। আগামী প্রজন্মই পারে দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে।  প্রচারণা কার্যক্রমে বিতরণকৃত লিফলেটে নিরাপদ ইন্টারনেট এবং সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্তত ১০টি পরামর্শ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দপ্তর ও তথ্য সম্পাদক শেখ ফরিদ, শাজাহান, জুয়েল, জাকির হোসেন , মো. বাবুল মিয়া।
২৪ আগস্ট, ২০২৩
X