কৃত্তিম বুধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাইডলাইন বা নীতিমালা জরুরি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, এআই বিষয়ে গাইডলাইন থাকলে বাংলাদেশে মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রযুক্তির বিশ্বে কেউ কেউ একে আশীর্বাদ বললেও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং প্রযুক্তি গবেষকদের কেউ কেউ বলছেন সারা বিশ্বে এআই ব্যবহারের ফলে ৩০ কোটি অদক্ষ শ্রমিক কর্মসংস্থান হারাবে।
আইএলও এর হিসাব বলছে, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ‘তৈরি পোশাক, আসবাবপত্র তৈরি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন ও চামড়াশিল্প’ এই পাঁচটি খাতে প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ কাজ হারাবে। শুধু শ্রমঘন তৈরি পোশাক শিল্পের ৬০ শতাংশ শ্রমিক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি কারণে বেকার হয়ে পড়বে।
কৃষি ক্ষেত্রে এই হার হবে অন্তত ৪০ শতাংশ। আবার কেউ কেউ মনে করে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার করে অবিকল রাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিদের বা শীর্ষ রাজনীতিবিদ অথবা কোনো বিশিষ্ট নাগরিকের অবিকল অবয়ব সৃষ্টি করে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য এআই নিয়ে একটি গাইডলাইন থাকা জরুরি।
মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ধরা যাক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কিংবা তার শ্রমিকদের প্রযুক্তিবান্ধব প্রশিক্ষণ না দিয়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে উৎপাদন শুরু করল। ফলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ল। কিন্তু যদি একটি গাইডলাইনে নির্দেশনা থাকতো যে এআই শুরুর পূর্বে তাকে অবশ্যই অনুমোদন এবং তার শ্রমিকদের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা তৈরি করবেন। তাহলে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একদিকে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাশাপাশি দক্ষ প্রযুক্তিবান্ধব শ্রমিক তৈরি হতো।
তিনি আরও বলেন, এআই নিজে পরিচালিত হতে পারে না, সে কেবল তথ্য গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে থাকে এবং সেই কাজটি মানুষ দ্বারাই পরিচালিত হয়। তাই প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে এবং শিল্প কারখানায় দক্ষ প্রযুক্তিবান্ধব শ্রমিক গড়ে তোলার পাশাপাশি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।
মন্তব্য করুন