পঞ্চগড়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন হাজারো মুসল্লি
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসল্লি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় দেবীগঞ্জ পৌরসদরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দেবীগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় এক হাজারের অধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সমবেত হয়ে এ বিশেষ নামাজে আদায় করেন। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন দেবীগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আবু মুসা আশয়ারী। নামাজ শেষে প্রখর রোদের মধ্যে মোনাজাতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মুসল্লিরা ক্ষমা প্রার্থনা করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ জানান। নামাজে অংশ নেওয়া মো. মিজানুর রহমান নামে এক মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড রোদের তাপে দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছেন। তাই সবাই মিলে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করেছি। আল্লাহ যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন। দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সারা দেশে তীব্র দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ফসলের মাঠ, ঘাট শুকিয়ে গেছে। ছোট বাচ্চা এবং বৃদ্ধরা কষ্ট পাচ্ছে, অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সারা দেশেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে। আমরা উপলব্ধি করেছি আমাদের গোনাহর জন্য মাফ চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা প্রয়োজন। তাই আজকে দেবীগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে ইস্তিস্কার নামাজের আয়োজন করা হয়। এতে সকল শ্রেণি-পেশার হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বৃষ্টির পানির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজারও মুসল্লি
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে লালমনিরহাট। জনজীবন বিপর্যস্ত। ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীবন। হুমকির মুখে ফল ও ফসল। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে তওবা, ইস্তিস্কার নামাজ ও দোয়া করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় বৃষ্টির পানির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজার হাজার মুসল্লি। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে হাতীবান্ধার বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন বড়খাতা নূরানী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. নাজমুল হুদা। হাতীবান্ধার বড়খাতা বাজার ব্যবসায়ী ও ওলামা সমিতির উদ্যোগে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে প্রথমে মুসল্লিরা পাপ মোচনের জন্য কান ধরে তওবা করেন। পরে টুপি ও পাঞ্জাবি উল্টে সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ ও পরে দুই হাত উল্টে  ঘণ্টাব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শত শত মুসল্লি আল্লাহর কাছে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ কাছে মোনাজাত করেন। ফকিরপাড়া ইউনিয়নের আব্দুস সালাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে এলাকায় কোনো বৃষ্টি নেই। শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিতে অবস্থা খারাপ। প্রচণ্ড দাবদেহে ভুট্টা পোড়া যাচ্ছে। জমিতে কোনো রস নাই। পাট ক্ষেতের অবস্থা খুব খারাপ। বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে এ কথা শুনেই ছুটে এসেছি। বড়খাতা নূরানী জামে মসজিদের খতিব মাও. মো.নাজমুল হুদা বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে বড়খাতা ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ মিলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি এ এলাকায় রহমতের বৃষ্টি দিয়ে যেন পরিপূর্ণ করে দেন। অনাবৃষ্টির কারণেও ক্ষেত, ফসল পশুপাখি কষ্টে আছে। বড়খাতা বাজার কমিটির সদস্য ও সমাজসেবক আহসান হাবীব লাভলু বলেন, বৃষ্টির অভাবে ধান, ভুট্টা ও পাট ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা বড়খাতা বাজার ব্যবসায়ী ওলামা সমিতি মিলে নামাজ ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছি।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বৃষ্টির পানির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজারও মুসল্লি
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে লালমনিরহাট। জনজীবন বিপর্যস্ত। ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীবন। হুমকির মুখে ফল ও ফসল। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে তওবা, ইস্তিস্কার নামাজ ও দোয়া করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় বৃষ্টির পানির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজার হাজার মুসল্লি। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন বড়খাতা নূরানী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. নাজমুল হুদা। হাতীবান্ধার বড়খাতা বাজার ব্যবসায়ী ও ওলামা সমিতির উদ্যোগে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে প্রথমে মুসল্লিরা পাপ মোচনের জন্য কান ধরে তওবা করেন। পরে টুপি ও পাঞ্জাবি উল্টে সালাতুল ইস্তিস্কার নামাজ ও পরে দুই হাত উল্টে  ঘণ্টাব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শত শত মুসল্লি আল্লাহ কাছে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন। ফকিরপাড়া ইউনিয়নের আব্দুস সালাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে এলাকায় কোনো বৃষ্টি নেই। শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিতে অবস্থা খারাপ। প্রচণ্ড দাবদাহে ভুট্টা পোড়া যাচ্ছে। জমিতে কোনো রস নাই। পাট ক্ষেতের অবস্থা খুব খারাপ। বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে এ কথা শুনেই ছুটে এসেছি। বড়খাতা নূরানী জামে মসজিদের খতিব মাও. মো. নাজমুল হুদা বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে বড়খাতা ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ মিলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি এ এলাকায় রহমতের বৃষ্টি দিয়ে যেন পরিপূর্ণ করে দেন। অনাবৃষ্টির কারণেও ক্ষেত, ফসল পশুপাখি কষ্টে আছে। বড়খাতা বাজার কমিটির সদস্য ও সমাজসেবক আহসান হাবীব লাভলু বলেন, বৃষ্টির অভাবে ধান, ভুট্টা ও পাট ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা বড়খাতা বাজার ব্যবসায়ী ওলামা সমিতি মিলে নামাজ ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করলেন ২ কোটির বেশি মুসল্লি
মসজিদে নববীতে রেকর্ড মুসল্লিদের সমাগম হয়েছে। পবিত্র রমজানের প্রথম ২০ দিনে মদিনার এ মসজিদে ২ কোটির বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজানের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে ২০ মিলিয়নের বেশি মুসল্লির ভিড় হয়েছে। এসব মুসল্লি মসজিদটিতে নামাজ আদায় করেছেন এবং ইবাদতও পালন করেছেন।  মসজিদে নববীর রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের ইবাদতের জন্য স্বস্তিদায়ক সেবা নিশ্চিত করতে সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে।  কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের সংখ্যা ১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯১ জনে পৌঁছেছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, এ সময় মসজিদের নববীতে অবস্থিত রাসুল (সা.) এর রওজা জিয়ারত করেছেন ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারী রয়েছেন।  এদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের কঠোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুক্রবার ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসায় ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের দিন রাত থেকেই মসজিদে প্রবেশের মুখে চেকপয়েন্ট বসায় ইসরায়েল বাহিনী। মুসল্লিদের প্রবেশ ঠেকাতে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। এ সময় জোর করে মসজিদে প্রবেশের সময় ১১ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারও করে ইসরায়েলি বাহিনী। একপর্যায়ে কিছুটা সংঘাতময় পরিস্থিতিও তৈরি হয়। মসজিদুল আকসার বাইরে ফিলিস্তিনিরা জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় ফিলিস্তিনিরা গাজায় নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নানা স্লোগান দেন। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে ঠিকই জুমার নামাজ আদায় করেছেন ফিলিস্তিনিরিা। শুধু জুমার নামাজই নয়, তারাবিহতেও ছিল মুসল্লিদের ঢল।  
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ পড়লেন ২ লাখ মুসল্লি
ইসরায়েলের বিভিন্ন কঠোর নিরাপত্তা বিধিনিষেধ ও বিপুল সেনা মোতায়েন সত্ত্বেও পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ও পবিত্র কদরের রাতে আল আকসা মসজিদে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি ইশা ও তারাবির নামাজ আদায় করেছেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ও লাইলাতুল কদরের রাত ছিল। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই রাতের ইশা ও তারাবির নামাজ আদায় করতে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি আল আকসা মসজিদে জড়ো হন। সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ। আর ইহুদিদের কাছেও এটি পবিত্র স্থান। তাদের কাছে এটি ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে পরিচিত। ফলে যুগের পর যুগ ধরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে আল-আকসা। শুক্রবার সকাল থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী পবিত্র এই মসজিদে প্রবেশের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের জেরুজালেমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুরাতন জেরুজালেম শহর থেকে আসা তরুণ মুসল্লিদের পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই শেষে অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে অনেক মানুষ আল-আকসায় নামাজ আদায় করতে পারেননি। ওয়াফার খবরে আরও বলা হয়েছে, জেরুজালেমে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ইসরায়েলি অনুমতির নেই এমন অজুহাতে কালান্দিয়া ও বেথলেহেম চেকপয়েন্টে কয়েক ডজন বয়স্ক মুসল্লিকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া ওল্ড সিটি ও আশপাশের এলাকায় পুলিশি উপস্থিতি জোরদার করে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ। এদিন জেরুজালেমের ওল্ড সিটি ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ৬০০ ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ অফিসার মোতায়েন করা হয় এবং ওল্ড সিটির চারপাশের অনেক সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

মসজিদে নববীতে ইতিকাফে বসেছেন ৪৭০০ মুসল্লি
বিদায় নিচ্ছে পবিত্র রমজান। প্রতি বছর এই মাসের শেষ দশকে সৌদি আরবের মদিনা শহরের মসজিদে নববীতে ইতিকাফে বসেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা। রেজিস্ট্রেশনের পর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে এই ইতিকাফে যুক্ত হতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে ইতিকাফ করছেন প্রায় ৪ হাজার ৭০০ মুসল্লি। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মসজিদে নববীতে ইতিকাফরত সব মুসল্লিকে খাবার ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তাসহ অন্যান্য ইস্যুতেও তৎপর রয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদে নববীতে ইতিকাফ পালনকারী মুসলমানদের সার্বিক প্রয়োজনে পাশে থাকছে দেশটির সরকার। দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য প্রফেট মস্ক অ্যাফেয়ার্স ইতিকাফ পালনকারীদের জন্য ইফতার ও সেহেরির খাবারের পাশাপাশি মসজিদে প্রবেশের ব্রেসলেটসহ অন্যান্য পরিষেবা ও মোবাইল চার্জার প্রদান করছে। পুরুষ ও নারী ইতিকাফ পালনকারীদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে মসজিদে নববীতে। দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য প্রফেট মস্ক অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, চলতি বছর ৭০০ জন নারীসহ ইতিকাফরত মোট মুসল্লির সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে তাদের নববীতে ইতিকাফ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ইতিকাফের এলাকা সুরক্ষিত করা এবং এই ইবাদত পালনকারীদের সেখানে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত গেটে পারমিট চেক করার জন্য একটি অনুমোদিত নিরাপত্তা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া চাইলেই বাইরের কেউ ইতিকাফস্থলে যেতে পারেন না। ইতিকাফের অর্থ হলো নবী মোহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করে একজন মুসলমান শুধু ইবাদত করার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করেন। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে মসজিদে ইতিকাফ পালন করতে হয়। গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে এবং মাসটি আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

মসজিদুল হারাম ও মদিনায় রাতযাপনে ১০ লক্ষাধিক মুসল্লি
রমজান মাসের শেষ দিকে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঢল নেমেছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে রাতযাপন করছেন অন্তত ১০ লাখ মুসল্লি। সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোজার মাস শেষের দিকে। শেষমুহূর্তে ফজিলতপূর্ণ সময় পুরোদমে কাজে লাগাতে চাইছেন মুসল্লিরা। তারা সারারাত জেগে তারাবির নামাজ আদায় করছেন। ওমরাহ আদায়কারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তারা সারা দিন মসজিদে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকছেন। এ ছাড়া দিনরাত নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের ফরিয়াদ করছেন।  কত সংখ্যক মানুষ বর্তমানে মসজিদ দুটিতে অবস্থান করছেন তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়, তারাবির নামাজের জামাতে মসজিদ দুটির বারান্দাসহ সর্বত্রই শুধু মানুষ। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আল্লাহর অন্যতম বিধান নামাজ আদায় করছেন।   এদিকে পবিত্র কাবায় এ বছর ইতেকাফকারীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সেখানে ছয় হাজারের বেশি মানুষ সৌদি আরব সরকারের তালিকাভুক্ত হয়ে ইতিকাফ করছেন। মুসলিমরা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য মসজিদে ইবাদত করে ব্যয় করেন। এ সময়কে ইসলামে ইতিকাফ বলে অবিহিত করা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর প্রদর্শিত পন্থায় এ ইবাদত পালন করেন মুসলিমরা। চলতি বছর সৌদি আরবে ১১ মার্চ থেকে রমজানের শুরু হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

রমজানে কাবা থেকে ৪ হাজার মুসল্লি গ্রেপ্তার
রমজানে দুঃসংবাদ দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, নেতিবাচক আচরণ করায় রমজানে পবিত্র কাবা থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, কেবল মুসল্লিদের গ্রেপ্তার নয়, ওমরাহর ভুয়া অফার দিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ৩৫টি প্রতারক প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বন্ধও করে দিয়েছে দেশটির সরকার।  রমজানে মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও ইবাদতের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে এসব মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  রমজান মাসে পবিত্র ওমরাহ পালনে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। ফলে বছরের এ সময়ে মুসল্লিদের আনাগোনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ ভিড় সামাল দিতে নানা পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  পবিত্র রমজান মাসকে ওমরাহর পিক সিজন ধরা হয়। এ সময়ে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বেশকিছু নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনায় মুসল্লিদের যেসব হোটেলে নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে।  এর আগে সৌদি জেনারেল অথরিটি জানিয়েছিল, রমজানের প্রথম ১০ দিনে এক কোটির বেশি মুসল্লি মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করেছেন। সবার মসজিদে আগমন সহজ এবং মুসল্লিরা যেন সুখকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে উন্নতমানের সেবা দেওয়া হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, রমজানের প্রথম ১০ দিনে মোট ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৪ জন মুসল্লি মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করেছেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন আরও ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০২ জন ধর্মপ্রাণ মানুষ।  
৩১ মার্চ, ২০২৪

বৃহত্তম জুমার নামাজের অপেক্ষায় লাখো মুসল্লি
দেশে বৃহত্তম জুমার নামাজের অপেক্ষায় রয়েছে লাখো মুসল্লি। টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত। নামাজে শরিক হতে সকাল থেকেই দলে দলে ইজতেমায় আসছেন এর আশপাশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা। জানা গেছে, আজ দুপুর দেড়টায় দেশের সর্ববৃহৎ এ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জুমার জামাতে ইমামতি করবেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্বের ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। বিশ্ব ইজতেমার জুমার নামাজে অংশ নিতে এক মুসল্লি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা বেলাবো এলাকার ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিলাম ইজতেমার জুমার নামাজে অংশ নেব। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আমার ইচ্ছের কথা জানালে তারা রাজি হন। পরে একটি পিকআপ ভাড়া করে ইজতেমা ময়দানে এসেছি দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে। প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব (মাওলানা জুবায়ের অনুসারী)। এ পর্ব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার ২য় পর্ব (মাওলানা সাদ অনুসারী) শুরু হয়ে তা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X