জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ পাহারায় তাদের জয়পুরহাট কারাগারে নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল (পিপি) ও এপিপি গকুল চন্দ্র মন্ডল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম ওরফে রেখা ও তার স্বামী সাহাদুল ইসলাম, মৃত ইনারী সর্দারের পুত্র আ. রাজ্জাক, মৃত রইচ উদ্দীনের পুত্র মোজাহার আলী এবং মৃত সামছুদ্দীনের পুত্র রেজাউল ইসলাম। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের আলতাব মন্ডলের ছেলে নুরুন্নবী ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে নুরুন্নবীর শ্বশুরবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গার খোঁজখবর নিয়েও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই বছরের ২০ নভেম্বর ক্ষেতলাল উপজেলার দক্ষিণ হাটশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের কবরস্থানের পুরাতন একটি কবরে নুরুন্নবীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য নুরুন্নবীর লাশ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায়  নুরুন্নবীর পিতা আলতাব মন্ডল অজ্ঞাত আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশের পর তদন্তে নামে জয়পুরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান তদন্ত করে ২০০৭ সালের ৩০ জুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি মরিয়ম বেগম ওরফে রেখার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নুরুন্নবী। এ কারণে আসামিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ পুরাতন কবরে লুকিয়ে রাখে।
০৫ মে, ২০২৪

প্রেমিকাকে হত্যায় প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নরসিংদীর মাধবদীতে প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় প্রদান করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত খাদিজা বেগম মাধবদীর একটি কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাধবদী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। কাজের সুবাদে দ্বীন ইসলাম নামে এক শ্রমিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে খাদিজার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন দ্বীন ইসলাম। এরই মধ্যে খাদিজা বিয়ের জন্য দ্বীন ইসলাম চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। ২০১৮ সালের ১৩ মে খাদিজার বাসায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা আলিমুন্নেছা মাধবদী থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের সূত্র ধরে প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর দ্বীন ইসলাম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে বিচারক অভিযুক্ত প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট এমএএন অলিউল্লাহ। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সুইটি রায়। 
০১ মে, ২০২৪

মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মেহেরপুরে মানবপাচার মামলায় জাহিদুল হক নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুরের মানবপাচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তহিদুল ইসলাম (জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল হক চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন এবং মামলায় তিনি কোনো আইনজীবীও নিয়োগ করেননি। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জতনের মেয়ে রেবা খাতুন ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতো। চাকরির সুবাদে আদম ব্যবসায়ী জাহিদুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ভালো বেতনে চাকরি নামে তাকে জর্ডানে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে রেবা খাতুনের সঙ্গে আসামি মেহেরপুরে যান এবং তার ভাবীর কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন। পরে রেবা খাতুন জর্ডানের পাঠানোর উদ্দেশ্যে রেবাকে নিয়ে ঢাকায় ফিরে যান। কয়েকদিন ধরে রেবার খোঁজ না পেয়ে জাহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে আরও টাকা দাবি করে নানারকম ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে রেবা খাতুনের ভাবী গাজু খাতুন ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর মেহেরপুর মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলু মিয়া ও এস আই ফারুক হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত আসামি জাহিদুলকে যাবজ্জীবন জেল ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সাজা দেন।  মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম আসাদুজ্জামান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হলমার্কের তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তানভীর মাহমুদ ও জেসমিন ইসলামকে ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারনার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহম্মেদ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগণ গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি আব্দুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। প্রতারণরা আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। রায়ে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা-প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হাসান খান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মেরীকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আর প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছর। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এর আগে ২৮ জানুয়ারি আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় থেকে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে পাঠান। পরে গত ১২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।   মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।
১৯ মার্চ, ২০২৪

শিশু চুরির মামলায় দুই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে সজিব নামে ১১ মাসের শিশুকে বিক্রির উদ্দেশ্যে চুরির মামলায় দুই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত একজন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী হাসিনা বেগম ওরফে হাছনা (৪৫) এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দর রেললাইনের বাসিন্দা মৃত অলিউল্লাহর স্ত্রী সেতারা বেগম (৬০)। তাদের মধ্যে সেতারা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০০৮ সালের ৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার দায়ের করা শিশু চুরির মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যজন পলাতক রয়েছে।  আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, ২০০৮ সালের ৩১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর থানার নলুয়া রোড এলাকার বাসিন্দা স্বপন শেখের ১১ মাসের শিশু সজিবকে চুরি করে বিক্রি করে দেয় দণ্ডপ্রাপ্তরা। পরে স্বপন শেখের স্ত্রী পারুল আক্তার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই সঙ্গে পুলিশ অনেক চেষ্টা করে ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করে। এ মামলায় আদালত বিচার কার্যক্রম শেষে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অস্ত্র মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলায় সুভাস নামে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ আদালত। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টায় সিনিয়র দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। সুভাস (৩৩) শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুর আলীডাঙ্গা গ্রামের ফাষটো ভকতের ছেলে।  রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবী নাজমুল আজম জানান, গোপন তথ্যের  ভিত্তিতে ২০২২ সালের ২৭  মার্চ রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার কনসাট ইউপির নয়ন ফিলিং স্টেশন এলাকার একটি আম বাগান থেকে সুভাসকে আটক করে র‍্যাব। তখন তার দেহ তল্লাশি করে ২টি কালো রঙের লোহার তৈরি ওয়ান শুটারগান পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৮ মার্চ সকালে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করে র‍্যাবের উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। পরে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মেসবাহুল হক অভিযোগপত্র জমা দেন।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় মো. হারুন (২১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০  হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হারুন সদর  উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবী  নাজমুল আজম জানান, ২০১৯ সালে ৬  নভেম্বর আসামির বাড়িতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে আসামির ঘরে ১০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। সে সময় অভিযানকারীদের সদস্যদের উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে ৪ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করে।  এ ঘটনায় অভিযানের দিনই সদর থানায় মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক  রায়হান খান। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক আসাদুর রহমমান  মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো মাদক বিক্রেতার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো এক মাদক বিক্রেতার। ২৯ গ্রাম হেরোইন বহন করার দায়ে মো. লাল মিয়া (৪৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত লাল মিয়া উল্লাপাড়া উপজেলার উল্লাপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাচ্চু মেম্বারের ছেলে। ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেবু নেছা (জেবা রহমান) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উল্লাপাড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার নিজ বাড়ির পাশে হেরোইন বিক্রির সময় মো. লাল মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে ২৯ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া থানার এসআই আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

সিলেটে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে মাদক মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আসামি হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উত্তর রণকেলী গ্রামের মৃত আতাউর রহমান আতাই মিয়ার ছেলে আয়লাফ আহমদ (৫৫) । আয়লাফ আহমদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বারের পিপি অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় গোপন সংবাদে আয়লাফ আহমদের বাড়ি থেকে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকাসহ ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৫ হাজার ৭৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে গোলাপগঞ্জ পুলিশ। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানার এসআই পার্থ সারথি দাস বাদী হয়ে ওইদিন রাতে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি জিআর ১৪৬/২০২২ মূলে আদালতে রেকর্ডভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (নং-১৮০) দাখিল করেন। মামলাটি আদালতে দায়রা ১৬/২০২৩ মূলে বিচারের জন্য রেকর্ড করে এ বছরের ২৯ জানুয়ারি আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলার আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

মায়ের হত্যা মামলায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল হোসেন (২৮) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের পিরোজখালি গ্রামের আহসান হাবিব ওরফে আসান আলির ছেলে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের পিরোজখালি গ্রামের জবেদা খাতুনের সঙ্গে ছেলে মুকুল হোসেনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন কলহ চলছিল। এরই জের ধরে ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবেদা খাতুনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে ঘটনাস্থলে জবেদা খাতুন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. হাসানুজ্জামান মুকুল হোসেনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কোর্ট হাজতে নেওয়া হয়েছে।
২২ নভেম্বর, ২০২৩
X